( রূপরেখা) নিউ এজ সালভিনম্পানন॥ এরা তিলক্মিতউজ্ড কলিকাতা-৭৩ প্রথম প্রকাশ £ আধাট £ ১৩৬৯ জুলাই £ ১৯৬২ প্রকাশক £ জে. এন, সিংহ রায় নিউ এজ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ ১২ বঙ্কিম চ্যাটাজি স্ট্রীট কলিকাতী-৭৩ খএদ্রক ৪ জমতী বাণী ঘোষ রেনবো প্রিপ্টার্স ১৫ কান্তিক বোস লেন কলিকাতী-৬ পুরিভাম্ন ভারতের বস্তবাদী দর্শনের একমাত্র প্রতিভূ চার্বাকের ছবি স্থন্পষ্ট রেখায় রেখায়িত নয় । বোধকরি এ মতবাদ তার সমগ্র আরুতিতে কোনদিন আমাদের কাছে উদ্ভাসিত হবে না, কারণ ইতিহাসের নিগুঢ পরিহাসে তার নিজস্ব বক্তব্যের সবটকুই প্রায় আজ লুপ্ধ। চাধাক দর্শনের ঘে বপরেখ! আকার চেষ্টা! করে'ছ এই বই-এর মাধামে, তার মালমশলার জোগানদার ভারতের ইতিহাসের চলার পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাক প্রাসঙ্গিক নানা ধরনের রচনা, যণ্দও তা! প্রধানতঃই চার্বাকেতর গোঠীর । তাতে চার্বাকের রূপ কি আকার নিয়েছে জানি না তবে যর্দি এই বইথানি চার্বাককে সাধারণের দরবারে পরিচিত করতে সামান্য সাহাধ্যও করে, তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক মনে করব। এই প্রসঙ্গে করণ করি আমার স্থামী প্রয়াত শ্রীস্ধাকর চট্টোপাধ্যায়কে-_-এই বই-এর কাজ নিয়ে অগ্রসর হসাব পথে নানাভাবে ধিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন । আমার কন্যা অনুরাধা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বই সরবরাহের মাধ্যয়ে আমার এই কাজ সম্পূর্ণ করেছে । পরিশেষে সরৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাই শ্রীজানকি সিংহ রায় মহাশয়কে, ধিনি প্রকাশনার সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে বইটি সাধারণের কাছে উপস্থাপিত করেছেন । শাস্তিনকেতন জতিকা চট্টোপাধ্যায় ৫161৫২ আদবের তবনুংল্-কে ছ আচীপত্র প্রথম অধ্যাঞ় ভূমিকা £ চাবাক দর্শন ও বৃহস্পতি নান্তিকবাদ চারাক দর্শনের আদদিবপ চাবাঁক বাহস্পতা লোকায়ত__আম্বীক্ষিকী, বিভগু1 ও হেতুবাদ লোকায়ত ও চাধাক চার্াক সাহিতা ও চাক দর্শনে শ্রেণীগত ভেদ দ্বিতীক্স অধ্যায় পটভূমি প্রসঙ্গে ঃ ভারতীয় দর্শনের পটভূমি বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ঈশ্বরবাদ চার্বাক সিদ্ধান্ত-_-আলোচন। ও সমালোচনা চাবাক ও বেদ চাবাক সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন ১৬ ২৪ ৩৪ £্রথম অধ্যায় ভুমিকা ১। চাবাক দশন ও বৃহস্পতি ভারতীয় অধ্যাত্ববাদের একক প্রতিদ্বন্দিতাঁগ স্থত্্র ধরে ভারতের দর্শননীতির আসরে চারবাক দর্শন প্রাচীনকাল থেকে তার নিজন্ব আসন স্থপ্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে। ভারতীয় দর্শনের বস্তৃতান্ত্রিক বা! জড়বাদ ধারার সঙ্গে অভিন্ন সভা চারাক ঈতবাদ সাধারণতঃ আমাদের কাছে প্রতিভাত; কিন্ত কেবল এই পরিচয়েই চার্বাকী চিন্তা পূর্ণরূপে প্রকাশমান কিন! তা বিচারের অপেক্ষা রাখে । ভারতের আধ্যাত্মিক সংস্কৃতিব সঙ্গে গায়ে গা মিলিয়ে ভারতেরই মাটিতে এই মতবাদ স্বীয় বৈশিষ্টা অঙ্ষুঞ্ণ রেখে বহুদিন ধরে প্রবহমান । ভারতীয় দার্শনিকরা নিজ নিজ মতবাদের বূপায়ণে এই প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অনেক ক্ষেত্রেই আপতির সম্ভাবন। অন্মান করে যুক্তি তর্কের সাহাযো সেই আপত্তি খগডনের ধথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন । এ-ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ছন্দের স্বরূপ প্রধানত: এক পক্ষের আয়োজন থেকে অঙ্গযান কর] ছাড়! আমাদের অন্য উপায় নেই, কারণ, অপর পক্ষের অবস্থানের জারগাট। অন্ধকারে ঢাকা । কিন্তু "চার্যাক' সংজ্ঞায় বিশেষিত এই অপর পক্ষ ষে প্রতিদ্বন্দিতায় দ্াড়াবার যোগাতা রাখে, সমরায়ো- জনের প্রস্ততি থেকে তা সহজেই বোঝা যায়! ভারতের দর্শন জগতে চাঁবাক একটি স্থপবিচিত নাম । এই দর্শনসন্বন্ধীয় ধারণার জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় পপ্রধানতঃ অন্যের রচনার উপর; কারণ চার্বাক গোষ্ঠীব নিজন্ব রচনা হিসাবে “তত্বোপপ্লবসিংহ'১ নামে একটিমাত্র পুস্তক বর্তমানে আমাদের সম্মুখে রয়েছে । এই পুস্তকের মধোও চাবাক দশনের ফে প্রতিফলন, তা৷ সম্ভবতঃ চাবাকের বিশেষ এক শাখার সিদ্ধীস্ত । কারণ চাবাক দর্শনের যে ছবি অন্থত্র পাওয়া যায় ত| একটু ভিন্ন। অবশ্ঠ সংখ্যায় একক এবং চাব1ক দশনের অংশমাত্রের পরিচায়ক হলেও চাবণকী বৈশিষ্ট্যের বিচারের ক্ষেত্রে চারাক পক্ষের একমাত্র নিজন্ব দলিল হিপাবে এই পুস্তকের গুরুত্ উপেক্ষণীয় নয় । চাবাঁক দর্শন সম্বন্ধে আমাদের ধারণার উৎস প্রধানতঃ ১। জয়রাশি ভট্রের তত্বোপপ্লবসিংহ আহুমানিক অষ্টম শতাব্দীর রচনা বলে মনে করা হয় 70806009101 2321001)9১ [1000১ 0, ১ ভূমিকা চাবাকেতর ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থে অন্তভূক্তি চাবাঁকী মতবাদের স্দাীলোচন।!--যেখানে চাবাক সব সময়েই পৃবপক্ষ হিসাবে উপস্থিত £ অর্থাৎ 5াণকী বক্তব্যের কেবলমাত্র সেই অংশগুলি প্রচারিত হয়েছে অন্তের মারফত, যেগুলিব বিরোধিতার জন্য অপব পক্ষ যুক্তির তৃণে বাণ নিয়ে প্রস্তুত । ভানতীয় দর্শনের সন বিভাগেই চাবাক মত এভাবেই উপস্থাপিত । কিন্ত চাঁবাকী মতের নমালোচন। প্রধানত ভুমিকায় অবতীর্ণ বোধ হয় ন্থায় দার্শনিক জয়ন্ত টু এবং বৌদ্ধ পণ্ডিতদ্বয় *শন্তরক্ষিত ও কমলশীল | ন্যায় দার্শনিকের "লথা গ্রন্থ : “ম্যায়মঞ্জবী” এসং -নীদ্ধ মাচাযদ্বয় রচিত “তত্বসং গ্রহ” ৪ “ততন্বসংগ্রহ পঞ্চিকা" থেকে চাবাক মতপাঁদ স্গন্ধে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথা সংগ্রহ করা যায ব্যাথা, লমেত “তিতুস” গহেব"* সচনাকাল অষ্টম শতাব্দী বলে ধাবণ। করা হয় । "প্যায়- মঞ্জবাঁর ₹চনাকাল সন্ত" ২৫ শবম শতাব্দী |" কাজে অন্টমান ক যেতে পারেষে অপ্িদনবদ শাহন্জা চাবণক দর্শনেবও পৃ বিকাশের যুগ এল কল হুগেব দাশশিকেণ চাবাকাকে এক শাক্তশালা প্রতি্বন্দ ।ত অহা) করেছিলেন । ভ]বতীয় দশননতের মে আঙ্ষলন গ্রন্তগুলি চাবীক মত অন্থভুত্তি এস্দকে 'বশছে পায়! ফাল হার পে প্রাচীনতম হলে। অষ্টম শভাশীতে তির জৈন দরশশনিক ভলিভত কব “ষিডদর্শনসমুচ্চয়” 18. তবে টাল ।শীলেত নিয় গিক সম্বন্ধে তা ৯ বশ শু তে শাঁপবাচাষে ক লেখ পিৰ দর্শলতা গভত ফেলি পপি যায়! আখবাচাি তা বলে প্রচলিত সবদরশশলসিদ্ধা ২স দহ এবং অজ্ঞাতনামা লেঃক্ষেল বচন। "সব মতসং গ্রহ স্তুতি গ্রন্থি চালাকি সকন্বের সামানা স্শনা সাত এ৯৬ সঙ্কলন্গ্রন্থগুলি ছাডাণ্ চাবণন মত সম্ন্থ আমর! কিছুটা পরিচিত হই কৃষ্ণ মিশ্র রচিত একাদশ শতাব্দ।য “গান, চন্দ্রোদয়”ত নাম জপ £ কেও তার চাবাক চরিতের নাদাছে 1 এড পুস্তক- ১1 বিনয়তেৰ 5 তঈচাখে বপন মতে শাম্তবক্ষিত এবং কখপশ্ালের আর ক্ুনানিক সময ৭০৫ -৭৩২ ও ৭১০--৭১৬৩ খ্রীষ্টাব্দ (7080৮59520781218) 2১. ৬] 9১0৮1) ঠ্যায়মঞ্জরীর রচনাকাল সম্বন্ধে 610) 4৯: ০ ৯ 2গটগোচ 91 98175101018 06 2. এনকু 81 [010. 2. 409 ৫. [1010, 7. 509 ৬! প্রবোধচন্দ্রোদয়ের রচনাকাল সম্বন্ধে চাবাক দর্শন, পৃঃ ২৭ চাঁবাক দর্শন ও বৃহস্পতি ১ গুলিতে চাবাক দর্শনেক যে বিশিষ্ট কূপের প্রকাশ, সেই রূপেরহই প্রতিফলন দেখা যায় ভারতীয় সাহিত্তোর অন্যান বিভিন্ন স্তানে চাবাক মতের বর্ণনায় | এই জব বর্ণনা কোন 'কান “ক্ষত্তরে চাবাক' বিশেষণে চিত্তিত। আবার কোথায় ও বা “লাকায়ত' বা বাহম্পতা' সংজ্ঞায় পরিচিত। অনেক ক্ষনে বিশিষ্ট “কান নামেব স্বাক্ষর বহন না করেও বণনাগুলি চাবাকী মতের প্রতিফলন । ভাতের দশনজগতে এই বিশেষ মতবাদ “চাবাক' আঃজ্ঞার মাধমে হ্পরিচিত এবং চাবাক দর্শন হিসাবে পরিজ্ঞাত | চাবাক দর্শন সম্বন্ধে ঘেটকু নিভরযোগা তথা মামবা পাই তা "থকে এই নতবাদের সুচন্ার কাল বাঁ 'জগাবাক' এই নামের সঙ্গে ইহার যোগাধোগের কাকিণ”, কিছুই নঠিকভাবে নির্ণর কবা এখনও সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে এই চিস্তাধাব! চাবাক দর্শন নাছে পরিচিতি লাভ করলেও চাবাক নাষে কোন বান্তিকে এব প্রধর্তক বলে স্বাকাব কব, হয়নি । “প্রবোধচক্মোদয়”, “সবদর্শন- নংগ্র উতাাপি গ্রন্থে এই মৃতবাদের আদি প্রচাখক হিসাবে নুহ্পরতিব শাম করহ। হয়ছে ! বাক্িকপা চাব।ব এহ পুষ্ধ গুলিতে স্বাকৃতি “পলেও বুহম্পতিশিষ হিসাবে এই চাবাকের থে গৌণ অফাপাও ত। থেকে এই নিশিষ্ট মতবাদের চাবাক নাষচমাবা হওর়াৰ পক্ষে কোন যুক্ত পাতি পাবে ন।। পুহম্পতিশিখ চাৰাক অবশ্য আলোচা নি ব্ণন। অক্রসারে এই মতের একজন এ্চশালী গ্রচাবক £ কারণ শিষ্য গশিস্কের বাধামে তিনিই হতটিকে টতুদিকে প্রচার রেন। তবে এ নঙ্বন্ধে প্রাচীণ ইঢৃতহাস মগ্ধকাবেব ঘন প্রলেপে গাকি।। স্বদশনসংগ্রভ', 'শ্রকোধচন্দ্রোদয় তারি অপেক্ষাকৃত আধুশিক প্রস্থ প্রাচান এই দর্শনের প্রবচন সঙ্গন্ধে থেখাটি এপ্রাঙহাসিক কোন তথা সববরাহ ক€তে সক্ষম নয়, সেট; নিশ্চিতভাবে বলা চলে । ভাবতীয় এতিহো চাবাকধমাী মতের সঙ্গে বহস্পাত নাষে কোন এক বাক্তির যোগ হয়ত প্রাচীন কাল থেকে আছে । এই সব গন্থে ভাবতের এই এতিহাসম্মত ধারণাবই মনুকথন লক্ষা করা ষেতে পাবে । মনে করা অন্বাভাবিক শয়, যে চাবাক' নামের সঙ্গে এই মতবাদের যোগের কারণ অনুসন্ধানীর। চারাক নামধারী ব্যক্তিবিশেষের কল্পন। করেছেন এবং এই ব্যক্তিবিশেষেবই পরিচিতি চাৰণকবাদের একজন শক্তিশালী প্রচারক এবং বৃহস্পতিশিশ্য হিসাবেই । ৭। বৃহম্পতিমতান্থ্পারিণ নাস্তিক শিরোমণিনা চাধাকেন ''সমং পূ ২, লে।কায়েতমেব শান্ত্রং----"বাচস্পতিন। প্রণীয় চাবণকায় সমপিতম্‌। তেন চ শিষ্বপ্রশিত্দ্ধারেনান্মিল্লোকে বছুলীককতং তন্ত্রমূ, প্রচ, পৃপৃঃ৬৪-৫ ৪ ভূমিকা চাবাক গ্রন্থ “তত্বোপপ্রবসিংহের” রচয়িতা জয়রাশি ভট্ট বৃহস্পতিকে যথেষ্ট শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে স্বমতান্ুসারী ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কিছু সুত্র উদ্ধৃত করেছেন। এগুলি তার মতে বৃহস্পতি কর্তৃক রচিত।” এছাড়াও তার গ্রন্থে আর কয়েকটি স্থত্রের উল্লেখ পাওয়। যায় । স্থত্রগুলি তার মতে আক্ষরিক অর্থ ছাড়াও অন্য অর্থছ্যোতক এবং তিনি মনে করেন ষে সেই ভিন্ন অর্থ "্মরণে রেখেই স্থত্রকাঁর সুত্র রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন ।৯ স্বত্রগুলির রচয়্িতার নাম তিনি উল্লেখ না করলেও অন্ত গ্রন্থে এগুলিকে বাচস্পতি ব! বুহস্পতির রচন। বল! হয়েছে !-* স্বল্পতম অক্ষরবিশিষ্ঠ কিছু স্ত্রের মাধামে প্রথম আত্ম- গ্রকাশ 'ারতীয় দর্শনের প্রচলিত ধারা এবং ভারতীয় দর্শনের অধিকাংশ শাখারই আদি রচনা! এই জাতীয় কিছু শ্ুত্রের সমষ্টি বলে মনে কর! হয়। স্ত্রগ্তলিতে অক্ষরসংখ্য। নিয়মনের দিকে খুব জোর দেওয়া হয়েছে । এব ফলে সংক্ষিধতম অবয়বে ব্যাপকতম অর্থ ব্াঞ্জনার প্রৰণতা প্রত্যেক স্থত্রে দেখা যায়।১১ এইভাবে ভারতীয় দরশনসাহিত্যে আঘদিগুরুদেরু যে বচনার মাধ্যমে তাদের শিজ নিজ দার্শনিক মতবাদের উদ্বোধন তা! অধিকাংশ শপ পাশাপাশি? ০ শশা পাপ অপ ৮। ইদমেব চেতসি সমরোপ্যাহ ভগবান্‌ বৃহস্পতিঃ “পরলো কিনোই ভাবৎ পরলোকাভাব£' পৃঃ ৪৫, ইদমেব চেতসি সমগ্ডোপ্য উক্ত “শরীরাদেব' ইতি বৃহস্পতি, পৃঃ ৮৮, পিরমার্থবিস্তঃ (পৃঃ ১) এবং “্থরগুরো5 (পঃ ১২৫) শব্ধ ছুটি বুহস্পতির উর্দেশ্টেই নির্দেশিত বলে মনে হয় । *। অথাতত্তত্বং ব্যাথ্যাস্যামঃ; পৃথিব্যাপস্ভেজোবাধুরিতি তত্বাশি ; তৎ- সমুদায়ে শ্নীরেন্দ্িয়নংজ্ঞা, পুঃ ১ ১০। ষড়দর্শনসমুচ্চয়: গ্রন্থের ব্যাথা! তককরহম্তদীপিকাতে অধাতস্তত্বং*-. পৃথিব্যাপ'-এবং তত্সমুদায়ে-" এই তিনটি সুত্র বাচস্পতি বা বৃহ স্পতির উক্তি হিসাবে উল্লিখিত হয়েছে ( যদুবাচ বাচস্পতিঃ পুাথব্যাপঃ ***), তত্বোপগ্রবসিংহ, পৃঃ», কমলশীলের তত্বসংগ্রহপঞ্জিকাতে (১৮৫৭ ও ১৮৬০ ) ল্োকায়ত্থত্র হিসাবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্যত্রের উদ্ধাতি আছে । স্থত্র ছুটি কমলশীলের উদ্ধাতিতে সামান্য পরিবতিত আকারে দেখা যায়, যথা-পৃথিব্যাপন্তেজোবাধুরিতি চত্বারি তত্বানি তেভ্যশ্চৈতন্যম এবং ততৎ্সমুদায়ে ১১। স্তরের সংজ্ঞ। এইভাবে (দওয়া হয়েছে অল্পাক্ষরম্‌ অসংদিগ্ধং সারবধ বিশ্বতোমুখম্‌। অন্ঠোভম্‌ অনবদ্ং চ স্থত্রং স্থত্রবিদে। বিছুঃ ॥ (ব্রহ্ষস্থাত্র, ১1১।১-এর ভাম্‌তী টাকায় উদ্ধত ) চাবাক দর্শন ও বৃহস্পতি ৫ ক্ষেত্রেই একাধিক অর্থের গ্যোতনা করেছে । এবং পব্বতী যুগের ভাষ্ুকারের! নিজ নিজ অভিপ্রায় অনুযায়ী স্থত্রগ্তলির বাখায় প্রবৃত্ত হওয়ায়, এগুলিব মাঁধামে বহু স্থলে পবস্পববিরোধী সম্পূর্ণ ভিন্ন অথের প্রকাশ লক্ষা কৰা ষায়। কুল একই দর্শনে ভিন্মতাবলগী ৰহু শাখাগোচার উদ্ভব লক্ষণীয় । “তত্বোপক্পব- সিংহ”-তে উদ্ধত স্ুত্রগুলি থেকে মনে হওয়। অন্বাভাবিক নয় যে স্ত্রকে প্রাথমিক স্থান দিয়ে দার্শনিক সাহিতাস্থষ্টির বাপারে চাবণক দর্শন ভারতীয় সাধারণ ধারারই অন্তবর্তন করেছে এবং যে গত্রসমট্টির মাধামে চাবাক সাহিভোর স্থচন! তার রচয়িতা হিসাবে বৃহম্পতিব পরিচিতি চাবণক দর্শনেব আদি গুরু রূপে । “তত্বোপন্পবসিংহ”-তে উদ্ধত স্যত্রগুলির একটি ( অথাতত্তত্বং বাখ্যান্তামঃ ) কে ন্তায়মগ্জরীতে চাবণক দর্শনের আদি স্থত্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।১২ এ প্রসঙ্গে জমুন্ত ভটেব উক্তি থেকে মনে হয় যে চাবাক গ্রন্থকারব| প্রত্যেকে ভাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীব অন্তকরণে এই আদি স্ত্রে অন্ততুক্তি তত্বের বাখায় প্রত হন দিও এক্ষেত্রে প্রতোকেরই ধারণায় বাখ্াটি প্রকৃত স্থত্জকারেরই অনুমোদন সাপেক্ষ । “তন্বোপন্নবসিংহ"তে উদ্ধত অন্য ছুটি কুত্র কমলশীল রচিত “তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা”-তে স্থান পেয়েছে লোকায়ত স্থত্র হিসাবে 125 মোট কথা সপ্তম থেকে চতুর্ঘশ শতাব্দীর মধো বিভিন্ন দার্শনিক গ্রন্থের ভাম্তকারদের রচনায় প্রচুর গুত্রের উদ্ধতি আছে । এগুলি কথণও চাবাক, কখনও লোকায়ত, আবার কখনও বা বাহস্পতা বিশেষণে বিশেষিত 1১৭ “সব দর্শনসংগ্রহে” চাবণক দর্শনের বর্ণনায় কিছু শ্লোকের অন্ততূক্তি আছে । এগ্ডলি মাধবাচার্যের মতে চাৰণাক পিদ্ধান্তের প্রবর্তক বুহস্পতিব উক্তি ।১" এই ক্লোকেবই অন্থরূপ কিছু শ্লোক দেখা যায় ভারতীয় সাহিত্যের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ পাতায়, কোথায়ও চাবণক দর্শনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে, কোথায়ও ব। অন্যভাবে | এই ক্সোকগুলির রচয়িতা প্রকৃতই বৃহস্পতি নামে কোন ব্যক্তি কিনা তা বলা কঠিন। চাবণক মতবাদের সঙ্গে নুহস্পতির নামের যোগ বহন করে কয়েকটি উপাখ্যান ১২। ন্যায়মঞ্জরী ১, পৃঃ ৫৯ ১৩। তত্বমংগ্রহপঞ্জিকা, ১৮৫৮ ও ১৮৬৪ । “শবীরাদের' সুত্রটির পরিবর্তে তত্বসংগ্রহপঞ্চিকাতে উদ্ধত হয়েছে “কায়াদেব' এই স্ত্র | ১৪1 771, 111, 0. 516 ১৫। সমং, পৃপৃঃ, ১৩১৫ ৬ ভূমিকা প্রচলিত । কিন্তু ষথাথ ইতিহাসের পর্যায়ে এগুলিকে কোনক্রমেই ফেলা যায় না। দেবতাদের গুরুর নাম বৃহস্পতি । চাবণাক আচার্য বৃহস্পতির প্রক * পরিচয় যাই হোক ন। কেন, তিনি ক্রমে এই দেবগুরু বৃহস্পতির সঙ্গে একাত্মত। লাভ কবেছেন। “প্রবোধচন্দবোদর” নাটকে চাবাক মতের প্রচারক বৃহস্পতি এই দেবগুরুর সঙ্গে অভিন্ন এবং বাচস্পতি আধ্যায় অভিহিত 1১৬ বাচস্পতি শবেব অর্থ বাক্যের অধিপতি । দেবগুরু বৃহস্পতি সাধারণতঃ এই নামের সঙ্গে যুক্ত । প্রচলিত সংস্কৃতি বিরুদ্ধে যে ধারণ। এই চাবাক মতবাদের মাধামে শ্রচারিত, দেবতাদের গুরুর সঙ্গে সে ধারণার যোগের কোনে সঙ্গতি খুজে পাওয়। কঠিন । এ ক্ষেত্রে উভয়ের যোগের সামপ্রশ্ত বজার রাখার চেষ্টা হয়েছে কিছু ক+ক্পনার সাহাযো । মার এই কল্পনা বিভ্রান্তি ব। মায়ামোহের রূপ নিয়ে বিভিন্ন উপাখানে অন্তভূক্তি। মৈত্রায়ণীয় উপনিষদের বণনা অন্যায়া দেবগুর বৃহস্পতিপ বিষয়সথথে প্ররোচনাত্মক বিভ্রান্তিকর শাস্ত্র প্রণয়নের উদ্গেস্টে অস্থরদের ভূলপখে চালিত কর। এবং অস্থ্রপুরু শুক্রের ছদ্মবেশ ধারণ করে তিনি অস্বর- কুকে বিভ্রান্ণ করাব জন্ত এই কাজে ব্রতা হন।-" বিষুপুরাণে বল। হয়েছে ঘে অস্ুএদেব মোহগ্রন্ড করার জন্য “মায়ামোহ' নামধারী ব্যক্তি কতৃক তাদের মধো বিভিন্ধ বেদবিরৌধী অতবাঁদ প্রচারিত হয এবং এই মতগুলির প্রভাকে অন্ুরব। বৈদিক জ্ঞানকে উপহাস করার “প্ররণ। পান '১৮ বেদবিরোধী এই মতগ্তলির মধো চাবাক দর্শনের অন্ততুক্তি মাছে; এবং বৃহস্পতির বচন হিসাবে অন্যত্র প্রচলিত গ্লোকের কয়েকটি এখানে দৃষ্ট হয় । “প্রবোধটন্ত্রোদয় শাটকের মধ্যে চাবাক পিছত প্রণুরণে সান বাচস্পডি বা দেবগুর নুহুস্পত্ির প্রচেষ্টার মূলে 'মহামোহেব' প্রভাবের কাণকারিতাদ উল্লেখ আছে ।১৮ চাবাক মতবান্নে গ্রাথমিক রূশ সন্ধে নান। রকম ধাবণা করা হয়েছে। কিন্ত প্রয়োজনীয় আগলোকপাতের অভ্ভাবে এর সব্ুলিই অপরিস্ফুট । পরিণত রূপের এক বিশেষ চিন্তাধারার সৃর্দে যুক্ত ইয়ে 'চার্বাক' বিশেষণটি ভারতীয় সাহিতা এবং দর্শনের পৃষ্ঠায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করে প্রধানতঃ সপ্তিম-অষ্টদ শতাব্দ! থকে । “লোকায়ত' এবং বুহম্পতি বচিত শান্তর হিসাবে “বাহঠস্পত্য' ১৬ | 'গ্রঢট, প্‌ ৬৪ ১৭। মৈজ্ঞায়নীয় উপনিষৎ্, ৭1৮,৯ ১৮। বিষুপুরাঁণ, ৩১৮১৪ --২৬ ১৯ | প্রচ, পুপৃত ৬৪ চার্বাক দর্শন ও বুহস্পাতি ৭ এই ছুটি সংজঞারও প্রয়োগ লক্ষ্য কর! যায় এই একই মতের ক্ষেত্রে “চার্বাক' নামের সঙ্গেই একত্রে । হুরিভদ্র স্থবীর “ষড় দর্শনসমুচ্চর” গ্রন্থে চাবাক এবং লোকায়ত অভিন্ন।১* এই গ্রন্থের চতুর্দশ শতকের টীকাকার গুণরত্ব চার্বাক ও লোকায়তকে একই দর্শনের নামান্তর বলেন ।২১ অষ্টঘ শতাব্দীর কমল- শীলের রচন। অনুসারে চার্বাক' এবং “লোকাষত'--একই দার্শনিক গোষ্ঠী” ছুটি বিভিন্ন নাম 1২২ “সবমতসংগ্রহে” চাবাককে লোকায়ত শাস্ত্রের প্রবর্তক বল! হয়েছে "৩ এই গ্রস্থেরই অন্যত্র লোকায়ত বুহম্পত্তির রচণা হিসাবে বণিত 1 প্রবোপচন্দ্রোদয়' এবং “সবদর্শনসংগ্রহেও লোকায়ত চাবাক দশ্নেরই নামান্তব 1২ অমরসিংহ রচিত অভিধান “অমরকোষে”" চাবাক এবং [লীকা- য়ৃতিক সমাথ্কক শব্দ হিসাবে শির্দেশিত।৬ ভারতীয় সাহিতা এবং দরশশনে “চাবাক' নামের যাধামে বুহস্পতি প্রবতিত যে মতের গ্রকাশ ত! সব সময়েই “লোকায়ত নামের সঙ্গে যুক্ত । সেইজন্য ভারতদশনের ইতিহাস লেখায় ধারা ব্রতী, ভাদের কাছেও "লোকায়ত সংজ্ঞ। সাধারণতঃ চাবাক দশন অথেষ্ট প্রযোজা । শ্রেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত বলেনঃ 1:088592 (110,102 71101) 15 00113 '110006 0৩07915 ) 960105 00108৬6 02610 00 109006 105 ড৮1)101) 211 097559, 009001069 6১ 0061211510০ আআ. গা] মতে বুহস্পতি, চাবাক ও লোকায়ত এই তিনটি নাম একই বাক্তির । এবং এই বাক্রিই চাবাক দর্শনের আদি গুরু । এব প্রকৃত নাম সম্ভবতঃ বৃহস্পতি । 'লোকায়ত' এব “চাবাক', এ ছুটি তার বিশেষ উপাধি-_ প্রথমটি, তার প্রবতিত ১০ | বড়দর্শনসমৃচ্চয়, ৭৯ ও ৮৫ ২১। তত্নামানি চাবণীকা লোকারত। ইতাদীনি, তর্করহন্তদার্পকা, পুঃ ৩%৩ ২২। কমলশীল লোকায়তদের মতবাদের আলে।চন। প্রসঙ্গে লোকায়ত ॥ পৃ পৃঃ ৫১০, ৫৪৯) এবং চাবাক ( পৃপৃঃ ৫২৫, ৫৩৮১ ৫৪৪, ৫৪৬ ) ছুটি শব একই গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বাবহার করেছেন, ২৩। লোকায়তশাস্ত্রপ্রবর্তকম্ত চাবাকস্তয, পৃঃ, ১৫ ৪ | প্‌ ১৪---৫ ২৫। অতএব তশ্ত চাবণকমতন্ত লোকায়তমিতান্বর্থমপরং নামধেয্ুম, সমং, পূ ২ প্রচ? পৃপৃত ৬৪--৬ ২৬। চাঁব্ণকলৌকায্মতিকৌ, পৃঃ ৬৬৮ ২৭ | 171, 1 0. 781 ৮ তুমিক। মতবাদের বৈষয়িক দৃষ্টিভজিত্বের এবং দ্বিতীয়টি এ মতবাদে অন্ততৃক্তি আপাত: রমণীয় ৰচনের জন্য 1২৮ চাৰাক দর্শন প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে আমাদের কৌতূহলের স্থষ্টি করে । প্রথমতঃ, যে চিন্তাধারার সঙ্গে একাত্মভাবে শ্রীষ্টিয় সপ্তম-অষ্টম শতকে ভারতীয় সাহিত্য এবং দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থে "চাবাঁক' নামের প্রথম আবিভাব অনুমিত হয় তার উদ্ভব কোন সময়ে এবং আদিপবের এই মতের সঙ্গে পরবর্তী যুগের চাবণক মতের সম্বন্ধ কি? দ্বিতীয়ত, 'বাহস্পত্য? এবং লোকায়ত" চাবাক' নামের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত সংজ্ঞ। ছুটির প্রয়োগ প্রাচীন যুগেও কি অনুরূপ অর্থেই ছিল? ভিন্ন অর্থে হলে এই সংজ্ঞা- গুলির দ্বার স্থচিত আদি মতবাদের ম্বদূপ কি? প্রশ্ন গুলির সমাধানের আশায় ইতিহাসের পথ ধরে আমাদের অতীতের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। ২। নাস্তিকবাদ বিভিন্ন গ্রন্থের বর্ণনার মাধামে পরিচিত চাবাক দর্শন “নাস্তিক এই বিশিষ্ট অভিধায় ভূষিত-_কোথায়ও বা প্রচ্ছন্গভাবে, যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকাশ্য বিশেষণের সাহায্যে । জৈন দার্শনিক হরিভদ্র স্রী নাস্তিক পংক্তিতে চাবণকের স্থান রেখেছেন। সবদশনসংগ্রহ্ৃকার মাধবাচার্ষের সমীক্ষায় চাবাক নান্তিকদের শিরোমণি । আদি চাবাঁক কূপের চিত্রণে চার্বাক দর্শনের এই নান্তিকী বৈশিষ্ট্যের ভূমিকা উপেক্ষণীয় নয় । কারণ প্রাচীন ভারতে নান্তিকবাদের অস্তিত্বের সপক্ষে বিভিন্ন তথ্যের সাক্ষা আছে। নাস্তিকবাদ সম্বন্ধীয় আলোচনার স্চনায় ভারতীর সাহিতো “নাস্তিক শব্দের অথথ সন্বন্ধে সববাগ্রে আমাদের ধারণ। পরিক্ষুট হওয়া প্রয়োজন । পাণিনি স্বত্রের ব্যাখ্য] প্রসঙ্গে ব্াকরণকার পতগ্রলি২» তার “মহাভাম্ত” গ্রন্থে নাস্তিক" এবং তার প্রতিদ্ন্দী “আস্তিক' শব্দের সংজ্ঞা সম্বন্ধে কিছুটা আলোক- রঞ্জন শান্ত্রীর মতে “ গার” শব্দের একটি অর্থ “বৃহস্পতি”, চারুব অর্থাৎ বৃহস্পতির বাক্য বা উপদেশ যাহারা অনুসরণ করে তাহাদিগকে চাবণক বলা যায়-_” চাবাক দর্শন, পৃঃ খ ২৯ মহাভাম্কঃ ৪181১ নাস্তিকবাদ ৯ পাত করেছেন। পতঞ্জলির মতে “অস্তি' বা 'আছে' এই ধারণার বশবতী লোকেরা আস্তিক এবং এর বিপরীত, “ন অস্তি এই ধারণার দ্বাষা প্রভাবিত সকলে 'নাস্তিক' পদের দ্বারা অভিধেয় । আস্তিকেরা যে বিশেষ বস্ত বা ধারণার অস্তিত্ব স্বীকার করে নেন, সেগুলিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য নাস্তিকের স্বতন্ত্র এক গোষ্ঠীর অন্তভূক্তি হয়েছেন । পতগঞ্রলির “মহাভাষ্যে” অবশ্য এসবেব কোন বিস্ত ত বিবরণ নেই । কিন্তু নাস্তিক শবের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে অন্যান্য গ্রন্থে ষে সব উক্তি দেখ! যায়, তা থেকে এ বিষয়ে কিছু আভাস পাওয়। খায় । মহাভারতের বিভিন্ন স্থানে নাস্তিকদের দ্বারা অস্বীকৃত বিভিন্ন ধারণার সঙ্গে ট্বদিক সমর্থনকে যুক্ত কর! হয়েছে।৩০ “মন্তুসংহিতা” গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে নাস্তিক" শব্দের উল্লেখ আছে । মন্ুর মতে বেদনিন্দুকেরা “নাস্তিক আখ্যাক় অভিহিত হওয়ার যোগ্য ।৩১ বেদবিরোধী নাস্তিকদের কার্ধকলাপে বৈদিক এতিহোর ধারক মন্তুর সমর্থন ন! থাকাই স্বাভাবিক । “মনুসংহিতা গ্রন্থের নান! স্থানে নাস্তিকদের নানাভাবে নিন্দ। করা হয়েছে । “মন্গনংহিতার বি হন্গ স্থানে ব্যবহৃত নাস্তিক শব্দের ব্যাখ্যাপ্রসঙ্গে টীকাকার মেধাতিথি ঘষে উক্তি করেছেন, তা থেকে নাস্তিকদের অবিশ্বাসের পরিধির বিপ্তার সম্বন্ধে আরও কিছু তথ্যের সন্ধান পাওয়। যায় । নাস্তিকদের অন্বীকৃতির ক্ষেত্র বৈদিক যাগযজ্ঞেই সীমাবদ্ধ নয়, পরলোক ইত্যাদির অন্তিত্বেও তাবিস্তুত। মেধাতিথির রচনায় এই ইঙ্নিত আছে 1৩২ পাণিনিরই অপর একটি স্তরের ব্যাখাপ্রসঙ্গে ভটোজি দীক্ষিত নাস্তিকদের অস্বীকৃতির এই বিস্তৃততর পরিধির উল্লেখ করেন 1৯5 প্রকৃতপক্ষে বৈদিক এতিহোর প্রভাবপুষ্ট সকলের কাছে “নাস্তিক' সংজ্ঞা বৈদিক প্রাধানোর বিরোধীদের অর্থে ব্যবহার্য । ভারতের দর্শনগুলিকে “আস্তিক' এৰং “নান্তিক' এই ছুই স্নিদিষ্ট বিভাগে চিহ্নিত করার যূলেও আছে এই পপ পাপ প্র ৩০1 মহাভারত ১২১২৫; ১২।২৭*।৬৭7 নাস্তিক্যমন্তথা চ বেদানাং পৃষ্ঠতঃ ক্রিয়া', মহাভারত, ১২২৬৯।৬৭ ৩১1 নান্তিকো বেদনিন্দকঃ, মনু, ২১১ ৩২। 'নাস্মতিকা লৌকায়তিকাদয়ঃ, নাস্তি দতং নাস্তি হুতং নাস্তি পরলোক ইতি ষে স্থিতপ্রজ্ঞা, ৩৫০; "নাস্তিকৈঃ পরলোকাপবাদিন্ডির্লোকায়- ভিকাছ্ৈ:-**১৮1২২; নাস্তি পরলোক। নাস্তি দতং নান্তি ছুতমিতি নাস্তিকঃ১ ৮।৩০৯ ৩৩। অস্তি পরলোক ইত্যেবং মতির্বস্ স আস্তিক: । নাস্তীতি মতির্ষশ্ত স নাস্তিকঃ, সিদ্ধান্তকৌমুদী, ৪1৫1৬০ ১৪ তমিকা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গীরই (প্রেরণা । বেদ এবং উপনিষদসারী দর্শনসমূহ এই বিভাগ অন্থসারে আন্তিক, অপর পক্ষে চাব্ণকদের সঙ্গে একযোগে বৌদ্ধ ও জন দর্শন, কেবলমান্স বেদবিরোধিতার অপরাধে ত্রাহ্ণা সংস্কৃতির ধারকদের কাছে নাস্তিক আখ্যায় অভিহিত ।১, ভাষ্যকার মেধাতিথি যখন নাস্তিক শব্দের অর্থ বর্ণনা প্রসঙ্গে পরলোকের অন্ভিতে অবিশ্বাধাদের উল্লেখ কবেন, তখন এ বাপারে বাপকৃতর অনা মতের প্রতিফলন তার ব্যাথায় দেখা যায় । “অপ্তি' পদের এই ব্যাপক অর্থ বৈদিক প্রাধান্যের অন্ুমোদনে সীমাবদ্ধ না থেকে ভারতীয় সংস্কৃতির সাধারণ মূল্যবোধের ক্বাকৃতিকে আপন গণ্ীর অন্তভূত্ত করেছে । এই পরিবতিত দৃষ্টিভঙ্গী পটভূমিতে বৌদ্ধ ও জৈন দর্শন ভারতের আন্তিক অন্যানা দর্শনসমূহের সঙ্গেই এক আসনে বসাব অর্ধিকারী । আমাদের পরবর্তী আলোচনায় বৌদ্ধ ও জৈন দর্শনের অন্তনিহিত ভাবধারার বিচারে বিষয়টি আরও পরিস্ফুট হবে জৈন দর্শনকার হরিভপ্র তার “যভ এর্শনসমুচ্চয়” গ্রন্থে” আন্তিকবাদ হিসাবে যখন বৌদ্ধ ও জৈন মতের উল্লেথ করেন, আব্তিক সংজ্ঞা তখনই এই পরিবতিত অর্থেই বাবহৃত । গ্রন্থের মস্তর্গত “আগুকবাদিনাম পদ্টির অর্থ টাকাকার সোমতিলক হবার মতে পরলোকগতিপুণাপাপাস্তিকাবাপিনাম্‌ , অথাৎ আস্তিকবাধী বলছে তাদেরই “বাঝায়, পরলোক, পুণা, পাপ ইতাদিতে ধাঁদের আম্মা আছে। চারাঁকরা কিন্তু এই প্রিবতিত* পটভভূমিকাতেণ্ড নাস্তিক এবং হরিভদ্র সুধীর গ্রন্থে এদের নাস্তিকশোঠীর অন্ততৃক্তি করা হয়েছে । “তত্ব সংগহে' লোকায়ত মতে পরানাস্তিকতা' আখ্যায় শভিহিত করার কারণ পর- লোকের অন্ডিত্ব অস্বীকার করারজনাই। নাপ্ডিক হিসাবে চাবাকদের এই বিস্্ট ভূমিকারই প্রকাশ সাধবাচাধের 'নান্ডতিকশিরোমণি' সংজ্ঞার মধ্যে । প্রকৃত- পক্ষে 'ন অন্ত এই ভাবনায় প্রভাবিত অথব! অবিশ্বাসী অথে নাস্তিক" সংজ্ঞায় কেবল চার্বাকদেরই বোঝায়। ভারতেব এঁতিহাগত সাধারণ মূল্যবোধ বিশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বৌদ্ধ এবং জৈনরা স্বাভাবিকভাবেই এই নান্তিকযভাবের প্রভাবের নে ৯ শা আশ পা পপ সি পে সাত আসা পাপী ৭ শীশি্ি সি পাত - আপা পাপ ৩৪। [,?, 9. 207 সাংখ্য প্রবচনভাস্য, ৫1৭৭-তে বৌদ্ধ মতকে নাস্তিক মত বল। হয়েছে । ৩৫1 এবমাস্তিকবাদানাং কৃতং সংক্ষেপকীর্তনম”, ষস, ৭৭ ৩৬। তত্বসংগ্রহ, ১৮৭০ নাস্তিকবাদ ১১ বাইরে । যদিও বেদের প্রাধান্যকে স্বীকার না করার জন্য ব্রাহ্মণা-সংস্কাতির সমর্থকেরা এদের আস্তিকের মধাদ। দিতে চাননি । মোট কথা “নান্তিক' এই সংজ্ঞার মধ্য দিয়ে গুচলিত ধারণার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইজিত পাওয়| যায় । এই বিদ্রোহী মনোভাবের যূর্ত প্রতীক চাবাক। সেইজন্য ভারতের প্রাচীন সাহিজ্মে নাস্তিকবাদের বিভিন্ন বর্ণনায় চাবাকী চিন্তার আদি রূপের অনুসন্ধান করা বোধ হয় অসমীচীন হবে না। রামায়ণের অষোধ্যাঁকাণ্ডে ব্রাঙ্গণ জাবালির উক্তির মধো নান্তিকবাদের এক বিবরণ আছে 1৩ পিতার মৃতার পর ভরুত বনবামী রামকে অযোধ্যায় প্রতাব্তন করে পিতৃসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবার জন্য অনরোধ জানালে পিতুসতা পালনে কৃতসঙ্কল্প রাম তীর সেই অন্থুবোধ প্রতাখ্যান করেন এবং বণাজীবনেব কঠোরতা বরণের সমর্থনে অভিমত জ্ঞাপন করেন ৷ রামকে রুচ্ছ,সাধনের দৃঢ় সঙ্কপ্প গেকে প্রতিনিবৃত্ত করার প্রচেষ্টায় ব্রাঙ্মণ জাবলি উপদেশাত্মক এক বিবৃতি দেন এবং বামায়ণে অন্তভুত্তি নান্তিকবাদ এই প্রচেষ্টারই সাক্ষা বহন করে। জাবালি বলেন যে পারলৌকিক ধর্মের মোহে বৈষয়িক স্থুখকে বিসর্জন দেওয়ার পক্ষে কোন যুক্তি নেই । এর ফলে বর্তমান জীবন ছুঃখময় হয়, কিন্তু পরিণামে দেহতাগের পর স্ুখেব কোন সম্ভাবন। থাকে না। কারণ ফলভোক্তার দেহা- তিরিক্ত কোন পৃথক সত্ত। নেই | শন্গ প্রভৃতি “ভাজা বস্তুর সাহাযো প্রতাক্ষগ্রাহ থে ভোগ সম্ভব, শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমব1 সেটাকেই কেবল নষ্ট করি, নৃতন কোন কল পাহ শ।। জাবালি বলেন যে মৃত্যুর পর প্রাণার কোন অস্তিত থাকে না। কাজেই মুতেব উদ্দেশ্তে আমরা যে ভোজনের আয়োজন করি তা নিরথক হর। আপাতঃ রমণীয় হলেও জাবালির উপদেশকে রাম প্রততিপালনের অযোগ্য বলে বণন; করেছেন এবং এর প্রভাবে প্রভাবাদ্থিত হয়ে নিজ সঙ্কল্প পরবিতাগ করেননি । এখানে উল্লেখ কর। যেতে পারে ষে রামায়ণকারের বর্ণনায় জাবালির মতবাদ বৌদ্ধ নাস্তিকবাদের সমগোতয়। এই প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব সন্ধে কিনতু বক্রোক্তিও রামায়ণে দেখা যায় ।৩ জাবালির নান্তিক মতের মধ্যে পরবর্তী যুগে “চার্বাক' নামের সঙ্গে যুক্ত দর্শনের রূপ ০৭1 রামায়ণ, ২1১০৮ ৩৮। ঘিথ! হি চোরঃ স তথ হি বুদ্ধস্তথাগতং নান্তিকমত্র বিদ্ধি', রামায়ণ, ২।১০৯1৩৪ ১২ ভূমিকা স্থপরিষ্ফুট । যদিও “চাবাঁক' বিশেষণটি এই মতের প্রসঙ্গে রামার়ণে উল্লিখিত হয়নি । মহাভারতের মধ্যেও আমরা নাস্তিকবাদের এক বর্ণনা পাই ।৩৯ দুযুত- ক্রীড়ায় পরাক্তিত পঞ্চপাণ্ডব যখন বন থেকে বনান্তরে ঘুরে অশেষ ছূর্দশায় কালাতিপাত করছিলেন, সেই সময় যুধিষ্ঠিরের উদ্দেশ্টে প্রযুক্ত দ্রৌপদীর উক্তির মাধ্যমে এই নাস্তিকা” মতের প্রকাশ ! ভ্রৌপদী এখানে বৈষয়িক স্বাচ্ছন্দ্যের অনুকূলে নানা ধরণের যুক্তি দেখিয়েছেন ৷ যে ম্বাচ্ছন্দা নিজ শক্তিতে অর্জন করে নেবার জন্য যুধিষ্টিরকে কর্মে উদ্বদ্ধ করার প্রয়াস তার বক্তবো লক্ষণীয় । ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রাক্তন কর্মেক সংস্কার, অনৃষ্ট ইত্যাদি কয়েকটি ধারণা প্রচলিত। এ গুলির দ্বার! পূর্ণ প্রভাবিত ম্বাহুষ গভীরতম ছুঃখেও বিচলিত ন। হয়ে নিজের দুর্দশাকে অতীতেরই স্বকৃত কর্মফল হিসাবে বিচার করেন এবং ধীরভাবে তা স্বীকার করে নিতে প্রস্তৃত থাকেন। মোক্ষকে চরম লক্ষা স্থির করে তারই প্রস্ততি হিমাবে প্রাত্যহিক জীবনের ক্রিয়াকলাপকে এই অেণীর লোকের! নিয়ন্ত্রিত করেন । পরবর্তী অধ্যায়ে ভারতীয় সংস্কৃতির এই অন্তনিহিত ভাব সম্বন্ধে আমর আলোচনা করব । ঈশ্বরে যাঁরা বিশ্বাসী তার। ঈশ্বরের স্ায়- বিচার এবং ধর্ম ও শান্ত্রবিহিত ক্রিয়ানুষ্ঠানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভ্বৌপদীর ভাষণে এই ধরনের লব কিছু মূল্যবোধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের প্রকাশ দেখা যায় । তার মতে ভাগ্যের কবলে আত্মসমর্পণ না করে মাচ্ছষকে তার ভবিষ্যৎ সখের ক্ষেত্র শ্বীয় কর্মের দ্বারা প্রস্তত করে নেওয়া উচিত । উত্তম মধ্যম ইত্যার্দি বিভিন্ন ধরনের ৬বিখত জীবণের গতির উপায় একমাত্র কর্মের মাধামে হতে পারে এবং কর্মের ফল অপরিহার্য । মানুষের মোক্ষলাভ অভি- লাষের মূলে রয়েছে তার বুদ্ধির মোহগ্রস্ততা | দ্রৌপদীর “কর্ম' এখানে সনাতন ধর্মের প্রতিছন্দরী । ধর্মের সংজ্ঞ। হিসাবে এ প্রসঙ্গে বৈদিক এবং ষুগানমোদিত অন্যান্ত আচার এবং কর্তব্যের সঙ্গে সত্যবাঁদিতা, নম্রতা, বদাগ্যত! ইত্যাদি চরিত্রগত নানা গুণেরও উল্লেখ আছে। ভ্রৌপদীর মতে ধর্মকে একাস্তভাবে অবলম্বন করেও যে এঁহিক উন্নতি লাভে যুধিষ্ঠির অসমর্থ, ধর্মকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে কেবলমাত্র নিজ শক্তিতে কর্মের অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ছুর্ষোধন তা অর্জন করেছেন । ৩৯ | মহাভারত, ৩।৩*-৩১ নান্তিকবাদ ১৩ ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও ভ্রৌপদীর অভিযোগ আছে। ষুধিষ্টিরকে বিপদ এবং দুর্ধোধনকে সম্পদ প্রদান করার মধ্যে তার যে পক্ষপাতিত্তের প্রকাশ তার জন্ত জ্রৌপদী ঈশ্বরকে দোষারোপ করেন । কর্মফলবাদের নীতি অনুসারে স্বকৃত কর্মের ফল প্রত্যেককে ভোগ করতে হয় । এই নীতি স্বীকৃতি পেলে ঈশ্বরও তার কৃত কর্মের জন্ত পাপে লিপ্ত হতে এবং তদনুষায়ী ফল ভোগ করতে বাধ্য । কিন্তু এতৎ সত্বেও তিনি ষে স্বৃত পাপের ফল ভোগের ব্যাপারে অব্যাহতি লাভ করেন, তার মূলে ঈশ্বরের শক্তি এবং প্রতাপ কার্ধকরী। মোট কথ! হল, নিজ শক্তির পূর্ণ অভিবাক্তিযুক্ত কর্মের মাধ্যমেই কেবল জাগতিক স্থথ ও সমৃদ্ধি লাভ সম্ভব, ধর্ম, কর্মফল বা ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে নয়। ভ্রৌপদী তার বক্তবো এটাই পরিস্ফুট করতে চেয়েছেন । প্রচলিত আচার এবং ধর্মবোধের বিরোধিতায় ভ্রৌপদীবণিত নাস্তিকবাদ আমাদের পরিচিত চাবণক মতের মূল নীতিগুলির অনুগামী হলেও দৃষ্টিভঙ্গীর এখানে কিছু পার্থক্য দেখ! যায় । যে নেতিবাচক সুর চাবণক দর্শনের বৈশিষ্ট্য সেই স্থরের পটভূমিতে ইতিবাচক কতব্যেরও এখানে কিছু উপদেশ আছে। সেইজন্য ভ্রৌপদীর এই বক্তব্যে পরবর্তাকালে রূপায়িত চাবণক দর্শনের চেহার' অপেক্ষাকৃত অস্পষ্ট, ষদিও চাক চরিজ্রের সাধারণ ভাব এর মধ্যে খুঁজে নিতে আমাদের অস্থবিধ! হয় না। এই প্রসঙ্গে উল্লেখষোগায, কর্মের ষে অনুষ্ঠান এখানে প্রাধান্ত পেয়েছে, ত। ভারতের এঁতিহসম্মত কর্মফলবাদের নীতি অনুসারী নয় । কর্মফলবাদ সম্বন্ধে আমরা পরের অধ্যায়ে আলোচনা করব । মহাভারতের অন্যত্র নাস্তিক মতাবলম্বীদের আরও কিছু উল্লেখ দেখা ষায়। শাস্তিপর্বে এই নাস্তিক পণ্ডিতদের 'নৈতদস্তীতিবাঁদিন: আখ্যায় অভিহিত করা হয়েছে । এ'রা “অমৃতগ্াবমন্তারঃ', ৪ + অর্থাৎ অমরত্বে এদের ন্বীককৃতির অভাব । যজ্ঞাদি ক্রিয়াকলাপে অন্ুরক্ত এবং পৃৰশান্ত্রবিদ জনগণের বিরোধিতার ক্ষেত্রে এদের ভূমিকার ষে পরিচয় পাওয়া ঘায় তা থেকে এ'দের মধ্যে পরবর্তী যুগের চাব্ণাকদের আদি বূপ আবিষ্কার করা খুব স্বাভাবিক । মহাভারতের এই -_ শি শিশশাপা 2 ৪০। মহাভারত, ১২১৯২৩7 মুল গ্রস্থের “অনৃতন্তাবমন্তার* বাক্যাংশটির পাঠ [70141১এর মতে 'অমৃতশ্ত।বমস্তারঃ হওয়া উচিত । গ্রন্থস্থিত 'পৃৰশান্ত্র নম্তবতঃ বেদানুসারী “পূব মীমাংসাশান্ত্ | (05 ৩৪ [010 01 10019) 0. 87 ) ১৪ ভূমিকা ংশের বর্ণনা থেকে এই নাস্তিকের ষে সেই যুগে স্থপ্রতিষ্ঠিত মতগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিলেন তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়। যায় । ৩। চাবাক দশনের আদি দপ রামায়ণ এবং মহাভারতে অন্ততুক্ত নাস্তিক মতগুলি “চাবাক' নামের দ্বারা চিহ্নিত না হলেও চাঁবাকী মতেৰ গ্রতিকলন সেগুলির মধ্যে স্থপরিস্ফুট এবং চাবাক দর্শনের আদি রূপ হিসাবে সেগুলিকে বর্ণনা করা বোধহয় অসঙ্গত হবে না। মহাভারতের শান্তিপর্বে সাংখাচাষ পঞ্চশিখকে নিজ মতবাদ প্রচারের সময় সমসাময়িক যে সব মতগোগির বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সেগুলি উল্লেখ আছে । এগুলির মধ্যে চাবাক মত অন্ততূক্তি, যদিও চাব'ক' বিশেষণের প্রয়োগ এখানেও দেখা যায় না»: মহাভারতকে আমরা বর্তমানে যে আকারে পাই তার রচণাকালেব পৃব সীম! শ্রীষটপূর্ব চতুর্থ এবং শেষ সীঘ। খ্রীষ্টির টতুর্থ শতক বলে সাধারণত্তঃ খরে নেওয়া হয়। পণ্ডিতদের অভিমত অস্ুসাবে রামায়ণ রচনা সম্পূর্ণ হওয়ার সময় আরও আগে -খ্রীষ্টিয় দ্বিতীয় শতকের শখের দিকে | বামারণ এবং মহা- ভারতের পূর্ণ রূপায়ণের বহু পূর্বেই যে ভাবতের দর্শনজগতে চাক মতের আবিরাব স্ুচিত হয়েছিল, উপবের আলোচনা থেকে তা বোঝা যায় । ভারতীয় উপাধ্যান অন্গসাবে দেবগুঞ্ বৃহস্প।ত বেদবিরোধা মতবাদে অস্থরদের শীক্ষিত করেন । দেবগুরুব মধ্যে চাঁবাক মতের প্রবর্তক বুহস্পতিকে অনুসন্ধান কর। হয়েছে! কিন্তু 'অন্থুর' আখায় নাণ্ডিকগোষ্ঠীর বিশেষ কোন শাগ| চিহ্নিত কিনা বলা যায় ন।। ছান্দোগ্য উপনিষদ্দে 'অস্থর' শব্দটি এক শ্রেণীর অবিশ্বাসীর অর্থে ব্বহ্ৃত। এদের কাছে জাগতিক স্ুখভোগই জীবনেব চরম লক্ষ্য এবং আত্মা দেহের সঙ্গে অভিন্ন (৮১ অভগবদ্গীতার মধ্যে অসুর ধজ্ঞায় অভিহিত এক শ্রেণীর লোকের উল্লেখ আছে, ধার। এই জগতকে অনীশ্বর বলে মনে করেন 1১৪ গীতার মতে সঙ্ধীর্ণবুদ্ধি এবং উগ্রকর্না এই স্ব ৪১ | মহাভারত, ১২।২১৮1২৩-৯ ৪২ | ৬৬10 তাতে, 12171 0,475 ৪৩। ছান্দোগা উপনিষদ, ৮1৭-৮ ৪৪1 ভগবদ্গীতা, ১৬।৬-২০, ভগবদ্গীতা 81৪১তে পরলোকে অবিশ্বাস- কারীদের উল্লেখ দেখা ঘায়। চাধাক দর্শনের আদি রূপ ১৫ ব্যক্তি জগতকে বিনষ্ট করার জন্যই জন্মগ্রহণ করেন । এদের পরম লক্ষ্য হল বিষয়নথথ । এই লক্ষ্যে উপনীত হবার জন্য যে কোন উপায়ের আশ্রয় নিতেও এদের দ্বিধা নেই । মোহের বশে শ্রঁরা অসৎ কর্মেব অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হন এবং এদের চিন্তা মৃত্যুকে অতিক্রম করে অগ্রসর হয় না। গীতার ভাঙ্বকার শ্রীধরস্বামীর মতে লোকায়ত ব! চাবণকপন্থীদের উদ্দেশ করেই গীতার এই অংশ রচিত । “অস্থুর সংজ্ঞা যদি চাবাক মতে বিশ্বাপী কোন গোষ্টীকে বোঝাতে বাব্হৃত হয়, তাহলে ছান্দোগা ও মৈভ্রীয়নীয় উপনিষদের বণনায় অজ্ঞভূ্ত “অক্ুর' শব্দ থেকে উপনিষদের যুগেও এই মতবাদের ন্স্তিত্বের মনঘাঁন সঙ্গত চার্বাক দর্শনের আদি রূপায়ণের কালকে তাহলে আমরা র।মায়ণ এবং মহাভারতের যুগ থেকে আরও পিছনের দিকে নিয়ে যেতে পাবি । সম্ভবতঃ এই উপ1নষদ্দের যুগেই চাবাক ইতিহাসের গাভাপত্তন হয়েছিল । আমাদের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে বিভিন্ন উপনিষদে »স্তভূক্তি অধ্যাত্ম পারণার বিরোধী পক্ষের কিছু মতবাদের উল্লেখ কর। যেতে পারে । এগ্তলিব মধো পরবর্তী যুগেব পরিণত চাবাকী দেহাত্মবাদের প্রাথমিক রূপের ইঙ্গিত শপরিন্টুট । এতরেয় উপশিষদে বল! হ.এছে--আত্মোকৃথৎ পঞ্চবিধং পৃথিবী বানুবাক।শ আপোজ্োতীংষি, অর্থাৎ এই পঞ্চ উক্‌থ বা মহাভৃত আত্মার সঙ্গে অভিঙ্গ|57 সুহশারণাক উপ- নিষদের্»৬ একুটি অনুচ্ছেদে মরণোত্তর চৈতন্যের অস্তিত্বের অস্বীকৃতি দেখা ঘায় । ভূতাশ্গক দেহ “একে ৫তন্যের উৎ্প এবং দেহনাশের সমকালীন চতগ্ভে বিনাশসন্বদ্ধীয় 2য ধারণ! পববতাঁ চাবাক মতের এঙ্গীভূত তাব প্রতিচ্ছবি উপনিষদীয় এই অন্চ্ছেদে ভালভাবে লক্ষণীয় । স্মসুব আখ অভিহিত অবিশ্বাসীদের প্রসঙ্গে ছান্দোগ্য উপানষদের যে অংশের উল্লেখ আমরা আগে করেছি চাবাকা দেহাত্সবাদের ণদর্শন সেখানে সুম্পষ্ট। 'অসুরকুলের প্রতিনিধি হিসারে বিরে।চন ইন্দ্রের সঙ্গে প্রজাপতির কাছে আত্মসম্বদ্ধীয় উপদেশ- লাভের জন্য সমবেত হলে প্রজাপতি একটি পাত্রস্থিত জলে তাদের শিজ নিজ প্রতিবিষ্ব দর্শন করতে বলেন । এবং এই প্রতিবিহ্বে বূপায়িত উভয়ের সুসজ্জিত দেহকেই তাদের আত্ম! হিসাবে নির্দেশ দেন। এইভাবে দেহকেই আত্ম জ্ঞান করে বিরোচন শন্ত্চিত্তে প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু ইন্দ্র এতে শেষ পযস্ত 8৫ | চাবাক দর্শন, পৃঃ ১২১ ৪৬। বিজ্ঞানঘন এব এতেভ্যো। ভূৃতেভ্যঃ সমুখায় তান্তেবাহ্ুবিনশ্থাতি, ন প্রেত্য সংজ্ঞান্তীত্যরে ব্রবীমি” ২।৪।১২ ১৬ ভূমিকা পরিতৃপ্ত থাকতে পারেন নি। কঠোপানিষদের*" মধ্যে পরলোকগামী আত্মার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় বিশেষের উন্নেখ আমাদের চার্বাক মতের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিভিন্ধর্মী এই সব নিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে উপনিষদীয় যুগে চার্বাক দর্শনের আদিরূপের অন্থিত্বের সম্ভাবনাকে কিছুতেই অগ্রাহ কর! চলে না। উপনিষদ হল বেদের অন্তিম অংশ । সংহিতার মাধ্যমে যে বৈদিক যুগের আরম্ভ এবং বৈদিক 'ত্রাঙ্মণে' যার পূর্ণ বিকাশ, সেই বৈদিক যুগের পরিসমাণ্তি এই উপনিষদের যুগে । এই যুগের পরিধিকে কোন বিশেষ সীমারেখায় বাধা যায় না। শ্রীষটপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বুদ্ধদেবের আবিভাবের কালকে ইতিহাসের এক বিশেষ সীমা হিসাবে চিহ্নিত কর। হয়েছে । “ছান্দোগ্য”, “বৃহদারণ্যক' প্রভৃতি কয়েকটি প্রধান উপনিষদের রচনাকালকে বনু প্রাচীন এবং বুদ্ধদেবের আবি- ভাবের পূর্ববর্তী বলে মনে কর] হলেও “মৈত্রায়ণীয়' এবং অন্যান্য বহু উপনিষদ বুদ্ধোতবর বলে অনেকের ধারণ11১৮ চাবাক দর্শনের ষে অংশের সঙ্গে আমর। পরিচিত, বৈদ্দিক সংস্কৃতি এবং বেদবিহিত ক্রিয়াহুষ্টানের মধ্যে তার মূল সবরের ইঙ্গিত পাওয়া যায় । চার্বাক মতবাদকে সেইজন্য বৈদিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বল! চলে। বৌদ্ধ ও জৈন দর্শনের মত উপনিষদীয় যুগের বিস্তীর্ণ পরিধির মধ্যেই এই বিদ্রোহ চাবাক দর্শনের বূপ নিয়েছিল ৰলে অনেকে মনে করেন ।*৯ বিভিন্ধ স্থানে বিক্ষিপ্তভাৰে উদ্ধত চার্বাকী মতের বিবরণ এই চিন্তাধারার আবির্ভাবের সঠিক কাল সম্বন্ধে সামান্যই আলোকপাত করতে লক্ষম । তৰে মোটামুটিভাবে উপনিষদীয় যুগের বৃহৎ পরিসরে এই কালকে আমর? অস্তভূক্ত করতে পারি । বুদ্ধের প্রায় সমকালবর্তাঁ অজিত কেশকম্বলীর উক্তিতে চার্বাকী চিন্তার কিছুটা, প্রতিচ্ছবি আছে ।*" বৈদিক ষজ্ঞ ও পুরোহিত সম্প্রদায়ের বিশেষ ৪৭ | *_-ষেয়ং প্রেতে বিচিকিৎসা মন্ত্রে অস্তীতোকে নায়মন্তীতি চৈকে . ১১1২০ , অয়ং লোকো নাস্তি পর ইতি মানী, ১২।৬ ৪৮ | বু], 10. 236-8 ৪৯ | 17১, 1, 0* 210 ৫০ | দীধনিকায়, ২২২-৪ $ মজঝিমনিকায়, ১; অজিত কেশকম্বলিনের মত সম্বন্ধে বেণীমাধব বড়ুয়ার চ75-70001719012 1100191) 1017110950191)5, 07. 290-6 জুষ্টবা ; বেণশীমাধব বড়ুয়া বৌদ্ধ ধর্মগ্রস্থে বলিত আজতের সঙ্গে মহাভারত বণিত পরিব্রাজক চার্বাকের যথেষ্ট সাদৃশ্ত খুঁজে পান, 6-0090101500 [00191) 51110950791)5, 2. 288 চার্বাক দর্শনের আদি রূপ ১৭ স্থব্ধাভোগের বিরোধিতা এবং বেদবিহিত শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠানের সমালোচনার মাধ্যমে অজিতের চিন্তাধারা চার্বাক দর্শনের সঙ্গে একই আসনে নিজের স্থান করে নিয়েছে। চার্বাকের মত অজিতও মৃত্যুর পর আত্মার অন্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। আর পাপ-পুণ্/, ত্বর্গ-নরক, কর্মফল ইত্যাদি ধারণাও অস্বীকার করেন। জাগতিক বস্তনিচয়ের উপাদান হিসাবে পঞ্চ মহাভূতের পরিবর্তে চার মহাভূতের স্বীকৃতিতে ভারতীয় সাধারণ ধারণার যে ব্যতিক্রম চার্বাক মতবাদে পরিস্ফুট, অজিতের মধ্যে আমর তার স্চন। লক্ষ্য করি | চার্বাক দর্শনের এই বিশেষত্ব সম্বন্ধে আমরা পরে আলোচনা করব। কেশকন্বলী সম্প্রদায়ের প্রতি- ষ্ঠাতারূপে অজিত পরিচিত। অজানিত ভবিষ্যতে স্থখের আশায় জীবনের প্রতিদিনের সাধারণ আনন্দের প্রতি ধারা উদাসীন--তাদেষ আদর্শবাদী চিস্তা- ধারার সম্পূর্ণ বিপরীত হুল এই সম্প্রদায়ের মনোভাব । এই দ্ৃষ্টিভীর পরি- প্রেক্ষিতে বিচার করলে চার্বাকদের সঙ্গে কেশকম্বলীদ্দের অনেক সাদৃষ্ঠ খু'জে পাওয়া যায়। চার্বাক মতবাদ প্রসঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মগ্রস্থগুলিতে বণিত রাজা পায়াসিক্ষ নাম উল্লেখযোগ্য 1৫১ বস্তবাদের সমর্থক হিসাবে পায়াসি বাতীত অন্ত কোন নৃপতি বোধ হয় ভারতীয় সাহিত্যের পৃষ্ঠায় নিঞ্জ নাম অঙ্কিত রাখেন নি। সাধু কেসীর দঙ্গে আলোচিত এই রাজার মতবাদে চার্বাক দর্শনের প্রতিফলন লক্ষণীয় যদিও পরবর্তাকালে সাধুরই প্রভাবে পায়াসির এই মনোভাবের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছিল । এই নৃপতির বস্তবাদী মত অনুসারে আত্মা দেহের সঙ্গে অভিন্ন এবং জন্মান্তরবাদ অস্বীকৃত। জৈন “সুত্ররৃতাক্ষে”র এক অন্চ্ছেদে পায়ামি এবং অজিতের সংমিশ্রিত ঘতবাদের এক বিবরণ পাওয়া ষায় ৫২ “স্ত্রকৃতাঙ্গে” “অগ্লাণীয়-দের' মতের যে বিবরণ আছে তা৷ থেকে এই অগ্লানীয়দের সঙ্গে চাৰণাক- দের সম্পর্কের যোগস্ুত্র রয়েছে ৰলে অনেকে মনে করেন ।৫৩ ৪। চার্বাক চাবণক' শব্ধটি পরবর্তী ভারতীয় সাহিত্য এবং দর্শনে এক বিশেষ মত- ৫€১। পায়াসি সুততস্ত, দীঘনিকায়, ২; দেহাত্ববাদের সমর্থনে পায়াসি বলেন যে কোষ থেকে তরবারীকে ধেভাবে পৃথক করা যায়, আত্মাকে সে ভাবে দেহ থেকে কোন ক্রমেই পৃথক করা যায় না। €২। জন সুত্রকৃতাঙ্গ, ২।১।১০-২৪ ৫€৩। চাবাক দর্শন, পৃঃ ৩৬ ৫ ৫ ভূমিকা বাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্থপরিচিতি লাভ করলেও প্রাচীন সাহিত্য এ শবটি সম্বন্ধে বিশেষ সরব নয় । আগেই বল| হয়েছে যে রামায়ণ এবং মহাভারতে বন্নিত নান্তিক মত “চাবাঁক' বিশেষণে বিশেষিত হয নি । বিশিষ্ট এক চিন্তাধারাঁকে ্বনামে পরিচিত করার উপযোগী বাক্তিত্বসম্পন্ন “কান চাব্ণকের অস্থিত্বের সমর্থনেও তথোর একান্তই অভাব। প্রচলিত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী এই নাস্তিক মতের “চাবাক' আথ্যায় চিহ্নিত হবার মূলে চাবণক নামে বাক্কির প্রভাব ছাড়াও অন্য কোন কারণ হয়ত থাকতে পাবে । আর সেই কারণের সম্ভাবনাকে একেবারে অগ্রাহা করাও যায় না। মহাভারতের শান্তিপর্বে পরিব্রাজকরূপী এক চাবণকের বর্ণনা আছে 18 বাহ্‌ রূপে সাক্ষ্য, শিবী এবং ত্রিদণ্ডী” ব্রাঙ্গণ হলেও মহাভারতে এই চাবণক রাক্ষল আখ্যায় ভূষিত এবং ছুর্ধোধনের সখ! হিসাৰে বণিত হয়েছেন। চাবণক দর্শনের ইতিহাসের আবরণ উন্মোচনে আগ্রহী সকলের দৃষ্টি স্বভাবতই এ'র উপর পড়ে__বৃহস্পতিশিষ্য নান্তিকবাঙ্গের প্রচারকের ছবি প্রা্টীন সাহিত্যের পৃষ্ঠায় দেখার আশায় । এই চাবাঁকের মুখে কিন্তু নাস্তিকবাদ সম্বন্ধে কোন কথা শোনা ষায় না। যুধিষ্টিরের রাজসভায় এ'র স্বল্পস্থায়ী উপস্থিতি রাজ। যুখিষ্টিরকে অপমান করতেই ব্যয়িত হয়েছে, যার পরিণামে সভায় ক্রমাগত ব্রাঙ্গণদের রোষবহ্িতে দগ্ধ এই ত্রাহ্মণবেশী চার্বাকের জীবনে অবশেষে যবনিকাপাঁত হতে দেখা যায় । চার্বাককে ব্রাহ্ধণদের ক্রোধের বলি করে কাহিনীটি এই ব্রাহ্ষণবেশী দুর্যোধনসখার মধ্যে শ্রাক্মণবিরোধী এক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয় । ইঙ্গিতটিকে স্পুষ্টতর করে ভোলে এই মহাভারতেরই অন্তর্গত অন্য এক উপাখ্যান, ঘার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মার প্রসাদপুষ্ট অপর এক চার্বাকের সঙ্গে যুধিষ্টিরের রাজসভায় উপাগত এই চার্বাকের অভিন্নতা প্রদর্শন করেন ।৫৫ প্রাচীন কালে কঠোর তপশ্যাবলে চার্বাক ব্রন্মার কাছ থেকে এই মর্মে বর লাভ করেন যে তাঁকে বধ করার ক্ষমতা কোন প্রাণীর থাকবে নী । কিন্তু লেই সঙ্গে তাকে পাবধান করে দেওয়। হয় তাঁর কার্কলাপ যেন কোন ব্রাঙ্ষণের অসন্তোষের হেতু না হয়। ব্রহ্মার বলে বলীয়ান চার্বাক পরে দেবতাদের উপর উৎপীড়নে প্রবৃত্ত হলে দেবগণ ব্রন্ধার কাছে তাদের দুরধস্থার কাছিনী নিবেদন করেন। ক্রন্ধা তাদের আশ্বাস- শশী শী পট পি আসীন এসপি নি পাশ পক শপ পি ৫৪1 . মহাভারত; ১২।৩৮।২২-৩৬ ৫৫1 মহাভারত, ১২।৩৯।৩-১১ চাবীক ১৯ বাণী দেন এবং বলেন যে ত্রাঙ্ধণদের অপমান করে চাবাক হ্বহস্তে নিজের ধ্বংসের পথ প্রস্তত করৰেন। যুধিষ্টিরের সভায় সমাগত চাব্ণকের বিনাশের মূলে কার্ধকর ব্রহ্মার অভিশাপ এবং ব্রাহ্মণদের ৰিরোধিতার মাধ্যমে অভিশাপটিকে ফলপ্রন্থ করার দায়িত্ব স্বয়ং চাবকেরই--উপাখ্যানের সাহায্যে এই সিদ্ধাস্তকে ৃষ্টিপটে তুলে ধবার প্রপ্নাস এখানে ম্পষ্ট। চাঁবাক নামে কোন ব্যক্তির কাহিনী মহাভারতের অন্যত্র বা সম্ভবত: অন্য কোন গ্রন্থেও দেখ। যাঁয় না। মহাভারতে 'চাবাক' নামের এই সামান্ত উল্লেখ থেকে চাবাক মতবাদের সঙ্গে এই নামের যোগ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য কর! সমীচীন নয় । তবে এটা মনে হওয়! অস্বাভাবিক নয় যে চাবণক এখানে বৈদিক সংস্কৃতির বিরোধী দর্শনের একটা মূর্ত রূপ । মহাভারত রচন৷ সম্পূর্ণ হবার আগেই চাঁবাক নামের সঙ্গে এই দর্শন যুক্ত হয়েছিল । €| বাহুস্পত্য চাবাঁক দর্শনের আদি গুরু হিসাবে বৃহস্পতির পরিচিতির উল্লেখ আমর! আগেই করেছি। বৃহস্পতি কর্তৃক প্রবতিত শাস্ত্র হিসাবে চাবক দর্শন বাহ্‌ম্পতা আখায় অভিহিত হবার যোগা। বৃহস্পতির মতের অনুগামী বাহ্‌ম্পত্যদের উল্লেখ ভারতীয় সাহিত্যের বিভিন্ন স্থানে দেখা! ষায়। কিন্তু বিভিন্ন ভাবে বণিত এই সব বাহস্পত্যদের সঙ্গে চাবঁক দর্শনের স্থপতি বৃহস্পতির কোন যোগ ছিল কিন! বিস্তারিত তোর অভাবে সঠিকভাবে তা নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব নয় । 'বাহস্পতাস্থত্র' নামে চু. ৬৬. 71050285-কৃত অন্থবাদের সঙ্গে প্রকাশিত পুস্তিকার সঙ্গেও চাবাঁকবাদের যোগ আবিষ্কার কর! কঠিন। মহাভারতের বনপর্বে স্্রৌপদীর উক্তির মধ্যে আমর! এক বাহ্‌স্পত্য মতের উল্লেখ দেখি ।৫৬ পাঞ্চালী বনবামের কঠোরতার যে পটভূমিতে নাস্তিকবাদের সমর্থনে যুক্তির অবতারণা করেছিলেন, যার উল্লেখ আমর! আগেই করেছি _- সেই একই পটভূমিতে এই ্বার্থস্পত্য মতেরও প্রকাশ যুধিিরকে কর্মে উদ্দ্ করার জন্য বৃহস্পতি মতের অন্গনরণে জ্রৌপদী কর্মযোগের পক্ষে বিতর্কের সুচনা ৫৬। মহাভারত, ৩।৩২; ম্হাভারতেরই অন্তত ( ১৩1৩৯।৬-১০ ) শুক্রা- চার্ষের সজে একযোগে বৃহস্পতির নামের উল্লেখ দেখা যায়। প্রতারণা- মূলক শাস্ত্রের প্রবক্তা হিসাবে বর্ণিত এই বৃহস্পতিকে নাস্তিকবাদের প্রবর্তক বৃহস্পতির সঙ্গে অভিন্ন মনে কর! অসঙ্গত নয় । ২ ভূমিক' করেন। জ্পন্দীর এই বিশেষ উক্তি নাস্মিকবাদের ভাবে অনুপ্রাণিত না হলেও পটভূমির অভিন্নতার বিচারে এর সঙ্গে নাস্তিকবাদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা যায় না। আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি যে নান্তিকবাদের আলোচনাতেও জৌপদী কর্মযোগকে উচ্চ আলনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন । কাজেই তার উক্তির মাধামে গ্রকাশিত ৰহ»পতা মতে বৃহস্পতি প্রবন্তিত নাস্তিকবাদ্দের রূপরেখার অস্পষ্ট পরিচয় থাক! অস্বাভাবিক নয় । আম্ুমাঁনিক খ্রীষ্পূর্ব চতুর্থ শতকে রচিত” কৌটিল্যের “অর্থশান্ত্রের” সাক্ষা থেকে বাহ্‌স্পত্য সহ্বদ্ধে আমরা আক়ও কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। বিস্া বা জ্ঞানের বিষয়ের প্রকারভেদ করার সময়ে বিভিন্ন মতের উল্লেখ প্রলঙে কৌটিল্য বাহ্‌স্পত্য মতের আলোচনা করেছেন। বিষ্তার সংখ্য। কৌটিল্যের মতে চার__আহ্বীক্ষিকী, অস্মী বা বেদ, দগ্ডনীতি এবং বার্তা অর্থাৎ কৃষি ইতাদি অর্থনীতিনংক্রান্ত বিষ্ভা।৮ আন্বীক্ষিকী প্রসঙ্গে কৌটিল্য বলেন ঘে এই বিস্তা হেতু বা যুক্তির মাধ্যমে জপর তিনটি বিদ্যার ধর্ম-অধর্ম, অর্থ-অনর্থ, বলাবল ইত্যা্ির বিচায়ের দ্বার] জনসাধারণের উপকার করে এবং এই বিদ্যার সাহায্যে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থাতেও মান্য বুদ্ধির সমতা অব্যাহত রাখতে পারে । প্রজ্ঞা, বাফ্য এবং ক্রিয়ার কুশলতা বৃদ্ধির কাজেও এই বিদ্যা মানুষকে সহায়ত! করে ।৫৯ ৫৭। “অর্থশাস্ত্রের” রচয়িতা কৌটিল্যকে খ্রীষটপূর্ব চতুথ শতাব্দীতে মৌর্য সম্রাট চন্দগ্রপ্জের সমসাময়িক বলে মনে করা হয়। অবস্থা অনেকের মতে “অর্থশান্ত্র” পুস্তকটি বর্তমান আকারে রচিত পরবর্তী যুগে আনুমানিক ৩০* ত্রীষ্টাব্ে (7610) 71560£5 0£ 9810510:861366- 80016) 0. 461.) | “আম্বীক্ষিকী ত্রয়ী বার্ত। দণডুনীতিশ্চেতি বিদ্যা, অর্থশান্ত্র, ১২১) বিষ্তার সংখ্য। ও প্রকার লম্বন্ধে স্তায়ভাস্তেও অন্তব্ধপ ধারণাত্র প্রতি- ফলন দেখা বায়, যদিও সেখানে ন্ায়শান্ত্র আম্বীক্ষিকীর সঙ্গে অভিন্ন (“ইমাস্ত চতআ্রো বিষ্ভাঃ.*.) ্যায়ম্রী ১1১1১) 0£ “ইয়মেবান্বীক্ষিকী চতস্থণাং বিষ্ভানাং মধ্যে স্তায়বিষ্ভা গণ্যতে, আম্বীক্ষিকী ত্রয়ী বার্তা দণ্ডনীতিশ্চ শাশ্বতীতি” ন্যায় মঞ্জরী ১, পৃঃ ৪ | ৫৯ ধর্মাধর্ষৌ ত্রধ্যমর্থানথে বার্তায়াং নয়াপনয়ৌ দগ্ুনীত্যাং বলাবলে চৈতাসাং হেতুভির্বীক্ষমাণা লোকন্তোপকরোতিব্যসনেইভ্যুদ্দয়ে চ বুদ্ধিমবস্থাপয়তি প্রজাবাক্য বৈশারস্কং চ করোতি, অর্থশান্ত্র, ১২1১১ ৫৮" আপতাশী বাহ্‌স্পত্য ২১ “অর্থশাস্ত্রের' বর্ণনা অঙ্থসারে আন্বীক্ষিকী সব রকম বিদ্ভার প্রদীপ, সব কাজের উপায় এবং ধর্মের আশ্রয় ।৬০ , কৌটিল্যবর্ণিত বাহ্‌ম্পতাদের মতে কিন্তু বিগ্তার সংখ্যা ছই-_দপ্ডনীতি এৰং বার্ডা ।৬১ বেদ অথব। আন্বীক্ষিকীকে বিদ্য। হিসাবে বার্হস্পত্যরা স্বীকৃতি দেন না। “লোকযাত্রাবিদ্‌* বা লৌকিক ব্যবহারে অভিজ্ঞ বাক্তিদের “দংবরণ' বা পোষাক বলে বাহৃম্পতার৷ বেদে অভিহিত করেছেন 1৬২ বাহস্পতা সম্বন্ধে অর্থশাস্ত্রের উক্তি অনুধাবন করলে মনে হয় যে এদের অভিমত অন্থসারে বেদজ বলে সেই সময়ে ধারা নিজেদের প্রচার করতেন তাজ্দর ওকত স্বরূপ সব সময়ে বেদজ্ঞানের আবরণের অন্তরালে গোপন থাকত । “অর্থশান্ত্রের। অনুসরণে তাৎকালিক বারৃস্পতা মতবাদকে আমর] বৈদিক সংস্কৃতির বিরোধী বলেই ধবে নিতে পারি। কৌটিল্যের এই বর্ণনার পটভূমিকায় পরবর্তা যুগের কোন কোন গ্রন্থের চাবণক দর্শন লন্বদ্ধীয় আলোচনার আমর। বিচার করতে পাৰি । “গ্রবোধ- চজ্দোদয়” নাটকে বর্ণিত চাবক সিদ্ধাস্ত অন্থসারে বার্ড! দণ্ডনীতির অস্ত তৃক্ত এবং এই বার্ভাসংযুক্ত দণ্ডনীতি “বস্তা” সংজ্ঞায় অভিহিত ত্রয়ী অর্থাৎ বেদ এই মতে ধূর্ত প্রলাপ” 1৬০ “সব দিদ্ধান্তসংগ্রের” বর্ণনা অছুসারে লোকায়তরা কৃষি, গোরক্ষা, বাণিজা, দণ্ডনীতি ইত্যাদি দৃষ্ট উপায়ের মাধামে জাগতিক বস্ত উপ- ভোগের পরামর্শ দেন ।*৪ এই গ্রস্থ ছুটিতে আলোচিত বাহম্পত্য চাবাঁক বা বাহস্পত্য লোকায়তের আদি রূপ হিসাবে কৌটিল্যবর্নিত বার্হম্পত্যের কল্পনা খুহ অসঙ্গত নয় । বার্থ্পত্য মত হিপাবে স্বুপরিচিত চাবণকবাদের জাদিগুরু বৃহস্পতি লশ্বদ্ধে ৬০। প্রদ্দীপঃ সর্ববিদ্যানামুপায়ঃ সবকর্মনাম্‌, আশ্রয়ঃ সবধর্মানাং শশ্বদা- ্বীক্ষিকী মতা | অর্থশান্ত্র ১২।১২ ; স্তায়ভাষ্যেও অনুরূপ উক্তি দেখা যায়, 'প্রদ্দীপ সববিদ্ানামুপায়ঃ সর্বকর্ষনাম্‌, আশ্রয়: সবধর্মানাং বিদ্োন্দেশে প্রকীতিতা' ১১।১ ৬১। বার্তা দণ্ডনীতিশ্চেতি বাহম্পত্যা* অর্থশান্ত্র, ১২৪ ৬২। সংবরণমাত্রং হি ত্রশ্নী লোকষাত্রাবিদ ইতি ৬৩। দগুনীতিরেব বিদ্যা । অন্ৈব বার্তীস্তর্তবিষ্যতি ধূর্ত প্রলাপন্থস্নী। প্রচঃ পৃঃ ৬৫ ৬৪ । কৃষিগোরক্ষবাণিজ্যদগুনীত্যাদিভিবূধঃ | দৃষ্টেরেব সদোপায়ৈ- ভোগানম্গভবেদ তুবি। ২1১৫ ২২ ভূমিকা দক্ষিণারঞজন শাস্ত্রী তার “চাবণক দর্শন” গ্রন্থে কিছু আলোচনা করেছেন ।৬ৎ বিভিন্ন গ্রশ্থে বণিত “বুহস্পতি" নামকে কেন্দ্র করে তার আলোচন। রূপায়িত এবং নান্তিক চাবণকবাদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে বণিত এই সব নামগ্ুলিকেই তিনি যুক্ত করতে প্রয়াসী । শাস্ত্রী মহাশয়ের ধারণা,__বৃহস্পতি ব্যক্তিবিশেষের নাম নয়; ব্যাস, শঙ্করাচার্য ইত্যাদি উপাধির মত বৃহস্পতিকেও উপাধিবিশেষ বলা চলে । চাবশক মতের প্রচারে ধারা সহায়তা করেছেন এই উপাধি তারাই লাভ করেছেন । শাস্ত্রী মহাশয় নিজ সিদ্ধান্তের সমর্থনে বিশিষ্ট, বিদ্বান, বাগ্ী পণ্ডিত- দের প্রসঙ্গে 'বাচস্পতি' উপাধির প্রয়োগের বিষয় উল্লেখ করেছেন। “ৰাচস্পতি, শব্টি “বৃহস্পতি' শব্দেরই অর্থে ব্যবহৃত হয়। কাজেই পাগ্ডিতোর স্বীকৃতি হিসাবে “বাচস্পতি শব্দের মত “বৃহস্পতি শব্দেরও উপাধি হিসাবে প্রয়োগের পথে তার মতে কোন বাধা থাকতে পারে না। শাস্ত্রী শহাশয় মনে করেন ষে “দুর অতীতে কোনও সময়ে এই বৃহস্পতিগণ মিলিত হইয়া বাহস্পত্য মত প্রবর্তন.-..*..করেন 1৬৬ “বৃহস্পতি উপাধিপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের বর্ণন৷ বিভিন্ন যুগের গ্রন্থে লিপিবদ্ধ এবং একই সময়ে একই স্থানে তাঁদের মিলিত হবার সপক্ষে প্রমাণের একান্তই অভাব। কাঁজেই শাস্ত্রী মহাশয়ের এই উক্তি সমর্থন ধোগ্য নয়। অবশ্য বিশেষ কোন বৃহস্পতিকে চাবণক মতের প্রবর্তক বলে স্বীকার করতে তার আপত্তি নেই এবং খণ্থেদের দশম মগ্ডলে উল্লিখিত লৌক্য বৃহস্পতি তার মতে চাবণীকবাদের প্রবক্তা এই বৃহস্পতির সঙ্গে অভিনন। “চাবাঁক দর্শন” গ্রস্থেরই অন্যত্র শাস্ত্রী মহাশয় বলেছেন যে, “মস্ত্রযুগের খষি বৃহস্পতি এই মত প্রবর্তন করিলেন” 1৬৭ চাবাঁক মতের প্রবর্তক সম্বন্ধে তার এই স্থনির্রিষ্ সিদ্ধান্তের সপক্ষে যুক্তির দৃঢ় কোন সমর্থন নেই । মনে হয় ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লিখিত যতগুলি “বৃহস্পতি” নামের সঙ্গে তিনি চাবণক মতকে যে কোন ভাৰে যুক্ত করতে চাঁন সেগুলির মধ্যে কালের বিচারে খণ্থেদোক্ত বৃহ- স্পতিই প্রাচীনতম । কাজেই শান্ী মহাশয়ের বিচারে বোধ হয় চাবক মতের গ্রবর্তনা তার পক্ষেই সম্ভব । ৬।” লোকায়ত- আব্বীক্ষিকী, বিতও। ও হেতুবাদ যে “লোকায়ত” সংজ্ঞা চাৰ্াক দর্শনের অর্থে ব্যবহৃত, সেই সংজ্ঞার প্রাচীন চপ ৬৫1 চাঁবাক দর্শন, পৃপৃঃ ১৫৩৮ ৬৬ ।' চাবণক দর্শন পৃঃ ১৫৭ ৬৭। চাব্ণক দর্শন পৃঃ ১৭১ এ ৩ শচ৯ং লোকায়ত--আবন্বীক্ষিকী, বিতগ্ডা ও হেতুব1দ ২৩ উল্লেখের অন্সন্ধানে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের আলোচনাতেই প্রত্যাবর্তন করতে হয়। কারণ, লোকায়তকে কোৌটিলা তার অনুমোদিত বিদ্যাচতুষ্টয়ের অন্যতম আম্বীক্ষিকীর অন্তর্গত শান্তর হিসাবে বর্ণনা করেছেন ।৬৮ “অর্থশাস্ত্রের” বর্ণনা অনুসারে আম্বীক্ষিকী বিগ্ভাগুলির মধো অরেষ্টত্বের দাবী রাখে । কারণ একমাত্র এই বিষ্যার সহায়তার ভিত্তিতেই অপর বিছ্যাগুলি সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিৰেচিত। এই অপর বিদ্যাগুলির মধ্যে বেদ অন্তর্গত । কাজেই অর্থ- শান্ত্রাহ্সসারী যুক্তি থেকে ধারণা কর] অস্বাভাবিক নয় ষে ক্ষেত্রবিশেষে বেদের সমালোচন। করলেও১৯ আন্বীক্ষিকী বৈদিক সংস্কৃতির পরিপন্থী ছিল না, বরং বেদের পরিপূরক শাস্ত্র হিসাবেই পরিগণিত হত । তৎকালীন চিস্তাজগতে আন্বীক্ষিকীর যে যথেষ্ট সন্মান ছিল, কৌটিল্যের ৰর্ণনা- ভঙ্গীতে তারও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়] যাঁয়। সাংখ্য, যোগ এবং লোকায়ত এই তিনটি শান্ত্রকে অর্থশান্ত্রে আন্বীক্ষিকীর মর্ধাদ! দেওয়! হয়েছে । ভারতের চিস্তা- জগতে সাংখ্য ও যোগের স্থান সুপরিচিত এবং উপনিষদীয় চিস্তাধারা-প্রভাবিত এই দর্শন ছুটি যে ত্রাঙ্গণ্য সংস্কৃতির সমর্থনপুষ্ট লে বিষয়ে সন্দেহ নেই। শাস্ত্র হিসাবে লোকাঁয়তও যে সমসাময়িক সাংখ্য ও যোগের সঙ্গে এ বিষয়ে সমান ছিল, “অর্থশান্ত্রে”র বিবরণী থেকে তা! জানা যায় । কৌটিল্যবর্িত বারহৃম্পত্যের ছবি আমরা আগেই একেছি এবং এই মতের অনুগামীরা যে বিদ্যার ক্ষেত্রে আব্বীক্ষিক'কে প্রবেশাধিকার দেন নি তাও আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অর্থশাস্ত্রো্ত লোকায়ত যে তৎকালীন বাহ্‌- স্পত্য থেকে পৃথক ছিল, এ থেকে তা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। পরবর্তাঁ যুগের নাস্ভিকধর্মী চার্বাক দর্শনের সঙ্গে যে প্রাচীন এই লোকায়ত শান্তর অভিন্ন ছিল না, তা সহজেই অনুমেয় । যে আম্বীক্ষিকীর অন্তর্গত শাস্ত্র হিসাবে লোকায়তের পরিচিতি, সেই আন্বীক্ষিকীকে কৌটিল্য সর্ব ধর্মের আশ্রয় বলে বর্ণনা করেছেন । চার্বাক দর্শনের আলোচনায় পরে আমর দেখব যে এই দর্শনের পরিধি থেকে ধর্ম সম্পূর্ণ বহিষ্কৃত। কাজেই 'লোকায়ত' সংজ্ঞার দ্বারা বিশেষিত হুওয়া সত্বেও পরবতাঁ চাব্ণক মতবাদ দৃষ্টিতঙ্গীর বিচারে প্রাচীন ৬৮। সাংখ্যং যোগে লোকায়তং চেত্যান্বীক্ষিকী, অর্থশান্ত্র, ১।২।১১ ৬৯। *ধর্মাধন্মৌ' অ্রয্যামূ..'হেতুভিরন্বীক্ষমণা” অর্থশান্ত্রের অন্তর্গত. এই বাক্যাংশ থেকে মনে হয় যে আম্ীক্ষিকীর বিচারে ত্রয়ী অর্থাৎ বেদ সব সময়ে ধর্মান্ছসারী হত না। ২৪ ভূমিকা লোকায়ত শাস্ত্রের বিপরীত । বিভিন্ন যুগের বিপরীতমুখী এই শাস্ত্র ছুটির সাধারণ একটি সংজ্ঞায় অভিহিত হওয়ার মূলে উভয়ের অন্তর্নিহিত সাদৃশ্ত কোন বৈশিষ্ট্যের প্রভাব হয়ত কার্ধকরী। প্রাচীন এই লোকায়তের আলোচনায় অগ্রসর হলে উভয় দর্শনের মধ্যে যোগস্যত্র আবিষ্কার করা সম্ভব হতে পারে । ভারতের চিন্তাজগতে লোকায়তের আবির্ভাবের সঠিক সময় নির্ধারিত হয় নি। 'দিব্যাবদানে লোকায়ত শাস্ত্রের মূল গ্রহ্থের উপর লেখা ভাষ্য ও প্রবচনের উল্লেখ আছে"” এবং এ থেকে প্রাচীন এই শাস্ত্র যে গ্রস্থপরম্পরায় সমৃদ্ধ ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যাঁয়। ব্যাকরণকার পতঞ্চলি তার “মহাভাস্তে “ভাগুরি' নামে লোকায়তের এক 'বন্তিক” ব! ভাস্কের উল্লেখ করেছেন ।”৭১ এঁতিহাসিক- দের মতে “মহাভাস্তের রচনাকাল আহুমানিক' ১৫০ শ্রীষ্টপৃবাঁৰ ।২ এ থেকে ্রীষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের পূর্বেই 'ভাগুরি' ভাষ্যনম্বলিত “লোকায়ত' নামে এক পুত্তকের অস্তিত্বের সপক্ষে প্রমাণের পরিচয় মেলে । লোকায়ত সম্বন্ধীয় আর কোন গ্রন্থের নাম অন্ত কোথাও পাওয়] যায় না। এই লোকায়ত শাস্ত্রের বিষয় সম্বদ্ধে বিভিন্ন মত দেখ) যায় | [31359 [08105 এ ব্যাপারে "লোকায়ত" শব্দের বুংপত্তিগত অর্থের উপর নির্ভর করেছেন ।৭৩ “লোকেযু আয়ত” অর্থাৎ 'লোক' বা জনসাধারণের মধ্যে ঘা বিস্তৃত, লোকায়ত শব্ের ঘার। সাধাক়ণতঃ তাকেই বোঝায় । 0০০/৫]1 “সবদর্শনসংগ্রহের' অনুবাদ প্রসঙ্গে 'লোকায়ত'কে এই অর্থে ব্যবহার করেছেন । লোকায়ত' শব্দের এই অর্থের অন্থসরণে [২1১8৪ [08108 লোকাপ্পতকে সাধারণ লোকের মধ্ো প্রচলিত বিভিন্ন বিষয়ের অবলম্বনে বূপায়িত শাস্ত্র হিসাবে নির্দেশ কষ্েন এবং এই বিশেষ শান্্রটি তাঁর মতে ব্রাহ্মণ বিষ্ভারই একটি শাখা । সুষ়েজ্রনাথ দাসগুণ্ডের অভিমত কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভিন্ন। তিনি মনে করেন যে 'লোকায়ত' সংজ্ঞায় তর্ক ব৷ যুক্তিভিত্তিক এক বিশেষ শান্ত্রকে বোঝায়, যার উল্লেখ বৌদ্ধ সাহিত্যের বহু স্থানে আছে। পালি গ্রন্থের বিভিন্ন অংশে প্রাপ্ত লোকায়তসন্বত্বীক্ম মন্তব্য থেকে দাসগুপ্ত মহাশয় সিদ্ধান্ত করেন যে 'লোফায়ত, ৭০। “লোকায়তং ভাষ্যপ্রবচনম্‌?, দিব্যাবদান, পৃঃ ৬৩০ খ১। মহাভাষা, ৭।৩।১ ৭২। [6100১ 4৯, 8০ 4৯ 70500 06 32510061165) ০. 488 দ৩। [01910896506 017৩ 8000178১219. 171]. লোকায়ত--আব্বীক্ষিকী, বিতণ্ডা ও হেতুবাঁদ ২৫ শাস্ত্রের আশ্রয় এক বিশেষ ধরণের তর্ক, যে তর্কের উদ্গেশ্ত প্রতিপক্ষকে যে কোন উপায়ে নির্ত কর, আত্মপক্ষ উপস্থাপন! নয় । এই জাতীয় তর্কের পারিভাষিক নাম “বিতপ্ডা' এবং পালি লেখক বুদ্ধঘোষ লোকাক্তকে বিতগ্ডাত্মক শান্তর হিসাবে বর্ণনা করেছেন ।৭৪ এখানে “বিতগ্ডা' শব্দের পারিভাষিক অর্থ সম্বন্ধে আমাদের ক্ষিছু আলোচন। গ্রয়োজন । ন্ায়নত্রে বিতণড প্রসঙ্গে বল! হয়েছে “স (জল্প:) প্রতিপক্ষস্থাপনা- হীনে! বিতণ্ডা, "৫ অর্থাৎ প্রতিপক্ষম্থাপনাহীন জল্পকে বিতও। ৰলে। “বিতপ্ডা" সহ্বদ্দে আমাদের ধারণ! পরিষ্কার করতে হলে 'জল্প' ব্ষষে জ্ঞানের প্রয়োজন এবং অল্প ও “বিতণ্ডা' এই উত্তয় শবেরই অভিধেয় সম্বন্ধে ধারণা একমাত্র "বাদ" শের অর্থ নিরূপণের মাধামে হতে পানে । কোন বিষয় নিয়ে সাধারণভাবে কিছু বলার নাম “বাদ । এই ৰলার ব্যাপারে বক্তব্যটির দ্বিষয়বস্ততে বিভিন্ন ধর্মের আলোচনার প্রষ্বোজন হতে পারে এবং ধর্মগুলি পরস্পরবিরুদ্ধ হলে বাদী হ্বভাবত:ই একটিকে সমর্থন এবং অপর- টিকে প্রত্যাখ্যান করেন। ভ্তায়ের ভাষাক্গ একই বিষয়ে বিপরীত এই ধরনের ধর্মের একটিকে পক্ষ এবং অপরটিকে প্রতিপক্ষ বলে। এই পক্ষ এবং প্রতিপক্ষের মধ্যে একটির সাধন ব] স্থাপনা এবং অপরটির উপালত্ত ব। প্রত্যাখ্যান যাদের আবন্তিক অঙ্গ ।৬ এই পক্ষ এবং গ্রতিপক্ষযুস্ক বিষয় জল্পেরও অঙ্গ, কিন্তু কেৰল সাধারণ আলোচনা জল্লের গ্রতিপান্ত নম্ন। জলের প্রধান উদ্দেশ্ত অপরের গ্রতিযিদ্ধ স্বপক্ষে স্থাপন। ৭৭ এবং জলে প্রবৃত্ত ব্যক্তির মধ্যে বিজিগীষার এক মনোভাৰ থাকে, যে মনোভাব বাদে অদৃষ্ঠ | ন্তায়মঞ্জয়ীতে বাদ প্রলজে বলা হয়েছে “ৰীভ- রাগবন্তনির্ণয়ফলো! বাদঃ 1৭৮ যে বিজিগীষু মনোভাব জল্লের পটভূমি রচন! করে, জল্লের বিশেষ রূপ বিতপ্ডাতে ভারই চর গ্রকাঁশ কেবল পরপক্ষের দূষণকে কেন্জ্র করে। বৈতত্তিকের কাজ পর়পক্ষের সমালোচন। এবং এই সমালোচনাতেই ৭9 1 ]7, 111) 00. 514-516 ৭৫। স প্রতিপক্ষস্থাপনাহীনো বিতও্া, স্তায়কুত্র, ১২1৪৪ ন৬। প্রমাণতর্ক "-পক্ষপ্রতিপক্ষপরিগ্রহে। বাদঃ, স্তাক্ননুত্রঃ ১।২।৪২ ৭৭। ষ্থোক্তপপক্গছলজাতিনিগ্রহস্থানসাধনো। পালস্ো জয্ল:, এ ১২1৪৩ ৭৮ ন্যাম? ১১ পৃঃ 8 ২৬ ভূমিক। বৈতগ্ডিক তাঁর সমগ্র প্রয়াস কেন্দ্রীভূত্ত করেন এবং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পরপক্ষের প্রতিপক্ষ যে স্বপক্ষ, সেই ন্বপক্ষের মতামত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নীরব থাকেন। বিতগ্ডাত্মক শাস্ত্র হিসাবে বর্ণিত প্রাচীন লোকায়তের মধো অপরের সমা-. লোচনার প্রবণতা যে মুখা ভূমিক1 গ্রহণ করেছিল তা! সহজে অনুমেয় । বৌছ সম্প্রদায়ের বিরাগভাজন এই লোকায়ত শাস্ত্রে অঙ্কিত ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির অন্গু- মোদনের নিদর্শন দেখে ধারণ। করা বিচিত্র নয় যেবৌদ্ধরাই এক্ষেত্রে লোকায়তের প্রতিছবন্দী এবং বৌদ্ধদের সমালোচনাই এই শাস্ত্রে বিতগ্তাত্বক আত্মপ্রকাশের মাধ্যম ছিল। বিতগার প্রচলন যে ধরনের তর্ককে কেন্দ্র করে সেই ধরনের তর্কের নিদর্শন প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে প্রচুর পাওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে 'হেতুবিদ্যা, নামে প্রাচীন ভারতে প্রচলিত এক বিশেষ বিদ্যার আমরা উল্লেখ করতে পারি, ঘা সাধারণতঃ তর্ককেন্সিক এবং প্রতিপক্ষকে নিরস্ত করার প্রয়াসেই যার ব্যবহার দেখা যেত। প্রাচীন লোকাম্নত শাস্ত্রের উপর হেতুবাদের প্রভাব খুব বেশী। স্থরেন্্রনাথ দাঁসগুপ্ঠের মতে বৌদ্ধদের সমালোচনায় তৎপর হেতুবাদমূলক লোকায়ত প্রাচীন যুগে কেবলমাত্র বৌদ্ধ সম্প্রদায়েরই বিরাগের পাত্র ছিল; অপর পক্ষে ব্রাপ্ষণরা বিদ্যার এক বিশেষ শাখা হিসাবে এই শাস্ত্রের অন্থশীলনে রত ছিলেন 1৭৯ “অর্থশাস্ত্রের' অন্তর্গত আম্বীক্ষিকীর আলোচনায় ব্যবহৃত “হেতু' শব্দটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আরু্ট হওয়া প্রয়োজন। কোৌটিলা তার আলোচনায় অপর বিদ্যাগুলির গুণাগুণ, বলাবল ইত্যাদি বিচারের ব্যাপারে এই হেতুকেই প্রধান অবলম্বন হিসাবে বর্ণনা করেছেন ( হেতুভিরম্বীক্ষমাণাঃ )| প্রাচীন ভারতে হেতু" শব্দ সাধারণতঃ তর্ক অথে ব্যবহৃত এবং পূর্বে উল্লিখিত তর্ককেন্দ্রিক বিদ্যাবিশেষের হেতুবিদ্যা' সংজ্ঞার পিচ্ছনে “হেতু” শব্দের এই অর্থেরই প্রয়োগ স্থচিত হয়। প্রতিদ্বন্দীর আক্রমণ প্রতিহত করে নিজ মতকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্থনিরদিষ্ট উপায়ে তর্কের প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা প্রাচীন যুগে ভারতে ভালভাবেই অনুভূত হয়েছিল, যার ফলে একটি বিশেষ শাস্ত্র হিসাবে ভারতের চিন্তাজগতে হেতুবিদ্যার আত্মঞ্ককাশ। মহাভারতের”* মধ্যে হেতুবাদের আমরা ৭৯ ছা, 5 9. 514. ৮*| মহাভারত, ১২। ৯২৩-৪ (« *হেতুমস্তোহপি পত্ডিতাঃ-” বক্তারো জনসংসদি চরস্তি বহুধাং কৃতক্নাং' ); এ, ১২1১৮০।৪৮ ( “হেতুবাদান্‌ প্রবদদিতা বক্তা সংসতস্থু'**) ) লোকায়ত্-_আহ্বীক্ষিকী, বিতণ্ড ও হেতুবাদ ২৭ উল্লেখ পাই। মহাভারতের বর্ণনা থেকে বোঝ! যায় যে হেতুবাদী পণ্ডিতের! দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে জনসভায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতেন। মহাভারতের অশ্বমেধপর্বে তর্কযুদ্ধে পরস্পূর প্রতিদ্বন্দী-কিছু হেতুবাদীর উল্লেখ থেকে হেতু বা তর্কের সাহায্যে প্রতিদ্বন্দীর মতকে খণ্ডন করে শ্বমতের প্রতিষ্ঠাই যে হেতুবাদী এই বাগ্দীদের উপজীব্য তা বোঝা যায়।”১ কোৌটিল্যের বর্ণনায় এই হেতু বা তর্কবিদ্যারই অঙ্গ হিসাবে আশ্বীক্ষিকীর পরিচিতির প্রকাশ। কৌটিল্যের সমকালীন হেতুবিদ্যা আহ্বীক্ষিকী ত্রা্ষণ্য সংস্কৃতি অবিরোধী ছিল এবং আন্বীক্ষিকীর অন্যতম লোকায়ত ব্রাঙ্মণ্য সংস্কৃতির দ্বারা অনুমোদিত বিদ্যার এক শাখা হিসাবেই পরিগণিত হত। প্রাথমিক পর্যায়ে বেদের অবিরোধী হিসাবে আবিভূতি হলেও এই হেতুশাস্ত্র ক্রমে বৈদিক প্রামাণ্যের বিচারকে তার অন্ত্রপরীক্ষার ক্ষেত্রে পরিণত করল। বৈদিক প্রভাবের অপপ্রয়োগের প্রতিক্রিয়া হিসাবে বৈদিক যাগঘজ্ঞ এবং ক্রিয়া- কলাপে ক্রমশঃ বহু লোকের বিশ্বাসের মূলে আঘাত করে । ফলে যুক্তির মাধ্যমে বৈদিক সব ধারণাকে যাচাই করে দেখার প্রচেষ্টার সুচনা হয়। এর অবশ্থাস্তাবী ফল হেতুবাদই হুল এই প্রচেষ্টার মাধ্যম । এই বেদবিরোধী নাস্তিকদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে কালক্রমে হেতুবাদের প্রতি সনাতনপন্থীদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই লক্ষণীয় । হেতুবাদের সংজ্ঞাতেও এর পরিণামে সাহচর্ধজনিত কিছু পরিবর্তন হওয় বিচিত্র নয়, ফলে পরবর্তাঁ যুগের 'আম্বীক্ষিকী” শব্দও ভিন্ন সংজ্ঞার দ্বারা! চিহ্িত। ব্রাহ্ষণ্য সমাজে স্বীয় স্থান অক্ষুপ্ন রাখার জন্য উত্তর যুগের আন্বীক্ষিকী তর্ক বা অনুদান শব্কে আপন সংজ্ঞায় “হেতু” শবে স্থলাভিষিক্ত করেছে । অমরকোষে আন্বীক্ষিকী তর্কশান্ত্র বলে অভিহিত ।৮২ স্যায়ভাষ্যকার বাহস্তায়নের মতে শ্রুতি বা বেদের অবিরোধী অন্বীক্ষা। বা অন্থমান আহ্বীক্ষিকীর প্রধান কাজ এবং একমাত্র স্তায়শান্ত্রই প্রকৃত বিচারে আম্বীক্ষিকীর মর্যাদা লাভের অধিকারী ।৮* অপর পক্ষে হেতুবাদকে যার! অবলম্বন করে থাকেন সেই হৈতুকর1 সনাতনপন্থীদের নিন্দার পাত্র হলেন। মন্ুসংহিতায় এই ৮১। “তন্মিন্‌ যজ্ঞ প্রবৃত্তে তু বাখ্িনো হেতুবাদিনঃ | হেতুবাদান্‌ বহছুনাহঃ পরস্পরজিগীষবঃ ॥, মহাভারত, ১৪1৮৫।২৭ ৮২1 “আম্বীক্ষিকী দণনীতিন্তর্কবিদ্যার্থশান্ত্য়ো, অমরকোষ, পৃঃ ১৩ ৮৩ । 'প্রত্যক্ষাগমাশ্রিতমন্ছমানং লা অস্থীক্ষা প্রত্যক্ষাগমাভ্যামীক্ষিতস্যা- ্বীক্ষণমন্থীক্ষা', তয় প্রবর্তত ইতাান্ীক্ষিকী', ন্যায়ভাষ্য, ১।১।১ ২৮ ভূমিকা হেতুবাদ্দে অন্রক্ত নান্তিক ব্রাহ্মণদের নিন্দা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে ষে এদের সাধুসমাজ থেকে বহিষ্কার করা উচিত ।”৪ এই গ্রন্থেরই অন্যজ হৈত্ৃকা বাক্যালাপেরও অযোগ্য বলে বর্ণিত ।৮* ভাস্তকার মেধাতিখ্র মতে হৈতুক শব্ের অর্থ এখানে নান্তিক, অথব! পরলোক এবং বৈদিক হাগঙ্ষজে অবিশ্বাসী ৰাক্তি।৮৬ মহুসংছিতার অপর ভাষ্যকার কুঙ্গুক ভট্ট মনে করেন থে হেদবিয়োধী তকের ব্যবহারকারীর হৈতৃক অর্থে পরিচিত ।৮* ভাগবত পুরাণে এই হৈতৃক- দের “বেদবাদরত” বা বেদবিশ্বাসীদের সঙ্গে পৃথক এক শ্রেণীতুক্ত করা হয়েছে ।”্৮ মহাভারতেরও বিভিন্ন স্থানে হেতুবাদরত পঞ্ডিতদের নিন্দা দেখা যায় ।৮৯ লোকায়তের আলোচনাগ্রলঙ্গে কৌটিলোর বর্ণনায় ঘে আহ্বীক্ষিকীর অস্ততুক্তি এই শাস্ত্র, সেই আম্বীক্ষিকীর পরিচয়ে আবার আমাদের ফিরে আসা ঘাক। কোৌটিল্যের “অর্থশান্ত্রে” এবং পরবর্তীযুগে ন্যায়ভাষো বণিত আহ্বীক্ষিকীর সংজ্ঞা থেকে শ্বভাবতঃই অনুমেয় ষে মাহীক্ষিকী প্রধানতঃ বিশ্লেবণমূলক শান্ত্র। বেদকে অবিসংবাদী সত্য হিসাবে নিবিচার স্বীক্কৃতি ন। দেবার ষে প্রবণতা কোন কোন ক্ষেত্জ্ে দেখ দিয়েছিল, আহ্বীক্ষিকীর প্রথম আবির্ভাবের মূল সেই প্রবণভাতেই । আহ্বীক্ষিকী অৰশ্ত বেদলসমালোচকদ্ধের় পরিবর্তে বেঈসমর্থকদের শাস্ত্র হিসাবেই পরিগণিত হয়েছে_ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বৈদিক বচনকে যুক্তির সমর্থন দিযে প্রতিপক্ষকে নীরৰ করাই ছিল বোধ হয় এর উদ্দোশ্ত। জান্বীক্ষিকীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যুক্তি ৰা বিচার | প্রাথমিক পর্যায়ে বেদের পরিপূযক হিলাবে অপর ষে বৈশিষ্ট্য আহ্বীক্ষিকী অর্জন করেছিল, ভবিষ্যত জগ্রগতির ইতিহাসেও সে তাহা অব্যাহত রাখায় চেষ্টা করেছে । গ্ায়ভাষ্যে অঙ্থীক্ষ1! বা বিচায়ের সঙ্গে শ্রুতি বা আগমের অবিয়োধিতাকেও আত্বীক্ষিকীয় প্রধান লক্ষণ হিসাবে ধয়া হয়েছে ।৯০ ন্যায়মঞ্জরীর ৰর্ণনাতেও আগমানুসারী অনুমান বা তর্ক আম্বীক্ষিকীর শা সপ ০৯ সপ শা শালী পপ এ ৮৮৪6 1 মন্গুঃ ২1১১ ৮৫। “পাষগ্ডিনো বিকর্মস্থান্‌ বৈড়ালব্রতিকান্‌, শঠান্‌। হৈতুকান্বকবৃত্তীংশ্চ বাজ্মাত্ে পাপি নার্চয়েৎ ॥? এ, 81৩০ ৮৬। “হৈতুকা নাস্তিক! নান্তি পরলোকো', নাস্তি দত্বমূ, নাস্তি হুতমিত্যেবং স্থিতগ্রজ্ঞাঃ” ৷ ৮৭। “হৈতৃকা বেদবিরোধিতর্ক ব্যবহারিণ: | ৮৮ । ভাগব্তপুরাশ, ১১।১৮।৩০ ৮৯। “* হেতুষস্তোইপি পণ্ডিতাঃ। দৃঢপূর্বে স্বতা মৃঢ়া নৈতদত্ডীতি বাদিনঃ”, মহাভারত, ১২।১৯1২৩-৪ ৯*। “*"আগমাভ্যামীক্ষিতত্ান্ীক্ষণমন্ীক্ষা? লোকায়ত- আহ্বীক্ষিকী, বিতগ্ডা ও হেতৃবাদ ২৯ বিশেষ লক্ষণের অস্তভূক্ত ।৯১ মহ্ুসংহিতা, গৌতম ধর্মস্ত্র ইত্যাদি ত্রাহ্মণ্য শান্ত্গুলিতে আম্বীক্ষিকী চর্চার অনুমোদনের ৯২ মূল বোধহয় এই বিশেষ শাস্ত্রটির বৈদিক প্রভাৰ সমর্থনের মধ্যে নিহিত । আহ্বীক্ষিকী এবং হেতুবিদ্যার পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয় আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি। কালের অগ্রগতির সঙ্গে হেতুবাদের এক শাখা আশ্বীক্ষিকী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেদবিরোধী নাস্তিকদের সঙ্গে একাত্ম হল-_বেদবিরোধী বৌদ্ধদের সষালোচনীয় সীমাবদ্ধ না রেখে তর্কের অস্ত্রকে বেদের বিরোধিতার ক্ষেত্রেও সে প্রসারিত করল। আব্ীক্ষিকীর সঙ্গে হেতুবাদের সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ সময়ের কোন নিদিষ্ট গণ্ডিতে চিহ্নিত কর! সম্ভব নয়। কেননা হেতুবাদ ষখুন ব্রাহ্মণ্য গোষ্ঠীর বিরাগভাজন, তখনও কোন কোন ক্ষেত্রে হেতুবাদের সঙ্গে আব্বীক্ষিকীর ঘনিষ্টতাপ্ ছাপ সাধারণের চিত্তে অবিচল । যার ফলে আম্বীক্ষিকীও ব্রাহ্মণ্য সমাজে কোন কোন ক্ষেত্রে সমালোচিত হয়েছে ।৯৩ আবার ব্রাহ্ষণা সমাজে সাধারণভাবে নিন্দনীয় হৈতুকদেরও স্থানবিশেষে সম্মানের ক্বীকৃতি অর্জন করতে দেখা যায়। অনায়াত বিষয়ের মীমাংসার জন্য ঘে দশাবরা পরিবৎ গঠনের বিধান “মন্থু- সংহিতা”তে আছে, লেই পরিষদের দশ জনের মিলিত সদন্তগোঠীতে হৈতুকও অস্ততৃক্তি ।৯৪ ৭। লোকায়ত ও চাবাক প্রাচীন লোকায়ত এবং চার্বাক দর্শনের মধ্যে মিলনের সেতু রচিত হয়েছে বোধহয় এই হেতু বা তর্কীশ্রয়ী যুক্তির সাহায্যে । নাস্থিক যে গোঠী হেতুবাদের আশ্রয় নিয়ে বেদের প্রামাণ্য প্রাতি পদে ষাচাই করতে আগ্রহী ছিল, লোকায়ত ক্রমে তার সঙ্গে যুক্ত হল। ইতিহাসের অগ্রগতির কোন পর্যায়ে বা কিভাবে উভযয়েক়্ এই মিতালি সম্ভব হয়েছিল, তা বল! বড় শক্ত । স্রেন্দ্রনাথ দাস- গুঞ্টের তে 46 19 01950010 006৮615 00 595 100 9150 10617 01519 ৯১। ম্যাস, ১১ পৃঃ 6 ৯২। গৌতম ধর্মস্ত্র, ১১ এবং মন্থসংহিতা ৭1৪৩তে নৃপতিদের আম্বীক্ষিকী চর্চা অনুমোদিত হয়েছে । ৯৩। রাঙায়ণ, ২১০০।৩৬-৩৯ | রামায়ণের এই বর্ণনায় হেতুবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েও লোকায়ত আম্বীক্ষিকী সংজ্ঞার সঙ্গে পূর্ব সম্পর্ক অঙ্ষু্ন রেখেছে । মহাভারত, ১২১৮০।৪৭, “অহর্মাসং পপ্ডিতকে। হৈতুকো। বেদনিম্দকঃ, আহ্থীক্ষিকীং তর্কবিদ্যামস্থরক্তো নিয়ধিকাম্‌' । ৯৪ | মন্ছসংছিত', ১২১১১ ৬, ভূমিকা 01067 5016702 0% 50701150108] 19510 0: 01 076 210 06 01904061012 52০2176 2550019650 ৮510 07561019115010 02011655220 15৮০1061012- 2 0000010650৫ 10019110/) 200. ০8102 00 102 189060 0% 03000101510, [8190 800 50019008110. পরবতী যুগের চার্ধাক দর্শনের লোকায়ত" সংজ্ঞার মধো এই মিতালির ছাপ স্তপরিস্ফুট । প্রাচীন লোকায়তের হেতু বা যুক্তিভিত্তিক তর্কের উত্তরাধিকার সঞ্চারিত হতে দেখা যায় পরবতাঁ লোকায়ত ব৷ চার্বাক সিদ্ধান্তে । চার্বাক দর্শন তাই প্রাচীন লোকায়তের অস্ুসরণে যুক্তিতর্কের জাল বিস্তার করে বিপক্ষের ত্রুটির অনুসন্ধানে নিজন্ব বৈশিষ্টোর সন্ধান করেছে | তবে বিপক্ষ এখানে কেবল বৌদ্ধ নয়, জৈন এবং হিন্দু দর্শনের প্রতিটি শাখা এখানে বৌদ্ধদের সঙ্গে যুক্ত । বৌদ্ধ সাহিত্যে “বিতগ্াবাদসখম্‌' হিসাবে যে লোকায়ত নিন্দাহ সেই লোকায়তের উত্তরাধিকারী চার্বাক দর্শনের সঙ্গে একাত্মীভূত লোকায়ত ন্যায়মঞ্জরীতে তার বিতগ্ডাত্মক প্রকৃতির জন্য সমালোচনার বিষয়বস্ত ।৯৬ ন্যায়ম্ঞ্জরীর মতে চার্বাক দর্শনে কর্তব্যের কোন উপদেশ নেই, বিতগ্াই এই দর্শনের প্রধান উপজীব্য । বিতণ্ড সম্বন্ধে আমর! আগেই আলোচন! করেছি। প্রাচীন লোকায়ত বিতগ্ার প্রকাশ “হেতু” বা তর্কের মাধ্যমে এবং এই তর্কে অন্রক্তির পরিচয় পরবর্তী লোকায়ত ব! চার্বাক দর্শনের মধ্যেও ভালভাবেই পাওয়া যায় । তর্কবিদ্যা হিসাবে চার্বাকের উল্লেখ আছে মেধাতিথি এবং কুল্গুক ভট্ট কৃত মন্থমংহিতাভাঁষ্যে ।৯৭ চার্বাক গোষ্ঠীর একমাত্র যে রচনা আমাদের কাছে এসেছে, সেই “তত্বোপপ্লবসিংহে” প্রতিদ্বন্দীর বিরুদ্ধে ত্কই প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত । ৯৫ চন, 111) 0. 516 ৯৬। “ন হি লোকায়তে কিঞ্চিৎ কর্তবামৃপদিস্তাতে, বৈতগ্ডিককখৈবাসৌ ন পুনঃ কশ্চিদাগম+, ন্যাম ১, পৃঃ ২৪৭। সম্মস্তিতর্কপ্রকরণের ব্যাখ্যাঁতা অভয়দেব সুরির উদ্ধৃত এক উক্তি অনুসারে “চার্াক শাস্ত্র- কার বৃহস্পতির সকল উক্তিই পধন্যৌগপর অর্থাৎ পরমত দূষণের জন্য প্রশ্নাত্বক' ( চার্বাক দর্শন, পৃঃ ৩১) ৯৭। “তর্কপ্রধান। গ্রস্থা লৌকিক প্রমাঁণদ্বরূপেণ পরা গ্থায়বৈশেষিক- লোকায়তিকা' মেধাতিথি টাকা, মন্তু, ১২১০৬, কুন্তুক ভট্টরের টাকা অন্থসারে (মু, ১২৯৫) চাবাকী তর্ক, “কুতর্' । হ্যা়ম্ঞজরীর মতে চার্বাকী তর্ক “ক্ষুত্রতর্ক'। (চার্বাকাস্ত বরাকা: প্রতিক্ষেপ্তবয। এবেতি কঃ ক্ষুত্রতর্কস্ত তদীয়স্থেহ গণনাবলরঃ৮ ১, পৃঃ ৪) লোকায়ত ও চাবাক ৬১ চার্বাক দর্শনের যে বিতগাত্বক প্রকৃতি ন্যায়মঞ্জরীতে সমালোচনার বিষয়, সেই বিতগ্ডার স্থৃম্পষ্ট প্রকাশ চার্বাক দর্শনের এই মৌলিক রচনায়। প্ররুতপক্ষে তর্কবিদ্যার পরাকাষ্ঠা। এই গ্রন্থে দেখা গেলেও চার্ধাক দর্শনের নিজস্ব বক্তবোর কোন স্ত্র এর মধ্য থেকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এই গ্রস্থের বিষয়বস্ত সম্বন্ধে আমর পরে আলোচন। করব । নাস্তিকধর্মী চাবাক দর্শনের সঙ্গে প্রাচীন লোকায়তের মিতালি প্রসঙ্গে একটা বিষয় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । যে ব্রাঙ্গণ ব! দ্বিজ বৈদিক সংস্কৃতির সমুদ্র- মন্থনে বরাবর অমৃতের অধিকারী, নাস্তিকতা বণ্টনেও তাঁরাই বোধহয় অগ্রণীর ভূমিকা গ্রহণ করেছেন । মনুকথিত নান্তিক দ্বিজ, রাঁমায়ণের ত্রাহ্গণ জাবালি অথবা মহাভারতের ব্রাঙ্ষণবেশী চাবাকের উপাখ্যানের মাধ্যমে তার আভাস পাওয়া যায়। আর দেবগুরু বৃহস্পতিকে নাস্তিকবাদের গুরু বলে বর্ণনা করার মধ্যেও এর কিছু ইঙ্গিত মেলে । ব্রান্মণ্যধর্মী লোকায়তের নাস্তিক মতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সমর্থনেও হয়ত এই সব কাহিনী কোন তথা সরবরাহ করতে পাবে। লোকায়ত এবং চার্বাক্র পারস্পরিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে আমর। ছু-একটি মত- বাদের উল্লেখ করতে পাবি । ভারততত্ববিদ [0019 ৫০ 19 ৬৪116 701195178- এর এ বিষয়ে নিজন্ব অভিমত আছে ।৯৮ ভারতের জড়বাদীর। ০০ 1৪ ৪1166 045510-এর মতে নাস্তিক সংজ্ঞায় সাধারণভাবে অভিহিত। কারণ ভারতীয় এঁতিহা যে ভিত্তির উপর প্রতিষ্টিত, “ন অস্তি” বা "নেই" এই বাকো এরা তার উচ্ছেদে ব্রতী। এই বস্তবাদী দাশনিকদের তিনি প্রধানতঃ তিন শ্রেণীতে ভাগ করেছেন £ (১) চার্বাকপস্থী (২) লোকায়ত এবং (৩) বাহম্পত্য অথব! বুহুস্পতিশি্য । তিনি মনে করেন যে চার্বাক নামে ব্যক্তিবিশেষের প্রচারিত মতবাদের নাম চার্বাক দর্শন এবং এই মতবাদের সমর্থকরাই চাবণক নামে ব্যাত। 'নাস্তিক' প্রসঙ্গ নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা! করেছি এবং ভারতীয় বন্তবাদের প্রতিনিধি হিলাবে পরিচিত চার্বাকগোঠীর ক্ষেত্রে এই সংজ্ঞার ব্যবহার সম্বন্ধে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । কিন্তু 'নান্তিক' মংজ্ঞার বৃহৎ পরিধিতে তিনটি স্বসম্পূর্ণ পৃথক গোষ্ঠীর অস্তভূক্কির পক্ষে 06 19 ৪1165 7900351-এর সিদ্ধাত্ত উপযুক্ত তথ্যের সমর্থনপুষ্ট নয়। প্রাচীন ভারতে “বাহ্স্পত্য' মতের উল্লেখ থাকলেও “চার্বাক' এই সংজ্ঞা বিশেষিত মত সম্বন্ধে এ যুগের সাহিত্যের নিত | 205 ৮121) 0,498 ৩২ নীরব আমর1 আগেই লক্ষ্য করেছি। কাজেই প্রাচীন যুগে 'বাহ্‌স্পত্য' এবং চার্বাক' এ দুটিকে পৃথক নাস্তিক গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা! করার সমর্থনে উপযুক্ত তথ্যের একান্ত অভাব। লোকায়তের আলোচনাতেও দেখা গেছে ষে প্রাচীন লোকায়ত প্রসঙ্গে নাস্তিক" সংজ্ঞা কেবলমাত্র বৌদ্ধ জন্প্রদায়কে বিরোধিতা করার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । স্থপ্রাচীন যুগের এই তিনটি শাস্ত্রের স্বনির্ভর নাস্তিকতা স্বদ্ধে আর কিছু বলা চলে না। অপর পক্ষে, পরবর্তী যুগের সাক্ষ্য চার্বাক, বাৃস্পত্য ও লোকায়ত, এই তিনটি নিঃসন্দেহে একই বৃহৎ নাস্তিক গোষ্ঠীর অস্ততৃক্তি বিভিন্ন নামে পরিচিত । চার্বাক মতবাদের জনক হিসাবে চার্ধাক নামে ব্যক্তিবিশেষের অস্তিত্বের সমর্থনেও কোন এভিহাসিক প্রমাণ নেই। স্থতরাং আরও কোন নৃতন তথ্যের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত বস্তবাদী নাস্তিক দর্শনের আদিগুরু হিসাবে চার্বাকের কল্পন। মমীচীন নয় । দক্ষিণারঞ্ন শান্ী €লোকায়ত' এবং “চার্বাক'কে ভারতীয় বস্তবাদের স্থদীর্ঘ ইতিহাসে যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পধায় হিসাবে অভিছিত করেছেন ।৯৯ তার মনে ভারতীয় বস্তবাদী ধারার স্থচন। বাহস্পত্য দর্শনের মধ্যে এবং বৃহস্পতি নামে এতিহাসিক ব্যক্তিবিশেষ এই দর্শনের আদিগুরু। চতুর্থ এবং অস্ভিম পর্যায়ে এই ধারা “নাস্তিক' বূপ পরিগ্রহ করেছে এবং কাপালিকাদ্দি অধঃপতিত কিছু সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে । খণ্েদোক্ত ঝষি বৃহস্পতি আদি পর্যায়ের এই দর্শনের গুরু বলে অভিহিত করে তিনি যে মস্তব্য করেছেন সে অঙ্বন্ধে আমর আগেই আলোচনা করেছি। চার্বাক দর্শনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় দর্শনের যে রূপের প্রকাশ তার আদি প্রচারক হিসাবে বুহস্পতিকে সকলেই স্বীকার করে থাকেন। সেই হিলাবে চার্বাক দশনের প্রাথমিক পধীয়কে বাহস্পত্য বলা চলে । যদিও এই বাহস্পত্য পর্যায়ের ভাবধারার প্রকৃত ব্ধপ খুব স্পুষ্ট নয় । শাস্ত্রী মহাশয় এই পর্যায়ের বর্মনা- গ্রসঙে বলেছেন : 0 085 ৪. 00616 62100600500 09000510101), 16 ০8116৫ 1) 00650102211 01705 0: 12016086) 11010608906 200. 10601866, ৪110 81] 65106106) 06156500100 25 561] 25 10661:61906.১০* বিরো- ধিতার যে প্রবপতাকে শান্ী মহাশয়, প্রথম পর্যায়ের রচনার বৈশিষ্টা বলে ডি ১ পি আস শি শাহ পল 47 নাচ *াটিকিপস্দ পপ শি ৯৯ | হাত [0. 2৪০ 4৬ 91016 15005 01 [1501917 10906118- 11510) 961559:6101721151) 8180. 17600131500) [0, 1-3 ১০০ | 1010, 7. 1 লোকায়ত ও চাবণক ৩৩ অভিহিত করেছেন, সামগ্রিক ৰিচারে সেই প্রবণতার মধ্যে চার্বাকী ধারার সব পর্যায়ের প্ররুত স্বরূপ নিহিত । প্রতাক্ষ, অনুমান ইতাদি সব ষকম প্রমাণ এবং এই প্রমাণগুলির যাধামে লভ্য জ্ঞানের যাবতীয় বিষয়বস্তকে অন্বীকৃতির প্রচেষ্টাকেও চার্বাক দর্শনের কেবলমাত্র আদি পর্যায়ের রূপ বলে মন্তৰা করা চলে না, কারণ ঠিক এই ধরনের প্রয়াসেরই পরিচয় বহন করে আনুমানিক অষ্টম শতাব্দীতে লেখা “ভত্বোপপ্রবমিংহ” নামে চাবাকী গ্রন্থ। বস্তবাদী দর্শনের যে পধায়ের গুরুরূপে দক্ষিপারঞ্রন শাস্ত্রী খথেদের অন্তর্গত বৃহস্পতির ভল্পেখ করেছেন, “তত্বোপপ্রবসিংহ”কে কোন ক্রমেই সেই পধায়ে অস্তভূক্ত করা চলে না। বেদবিরোধিতার মাধ্যমে বৈদিক যুগেরই কোন এক পর্যায়ে চারাক দর্শনের স্থত্রপাত-_-এট1 অনেকেরই ধারণ।। এ প্রসঙ্গ নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করেছি । এই মতবাদের আদি প্রচারক হিসাবে বৃহস্পতির নামও এই দর্শনটির সঙে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত হয়ে ভারতীয় মনে এমনভাবে তার প্রভাব বিস্তার করেছে যে চাধাকগুরু বৃহস্পতিকে বৈদিক যুগের অস্তিমভাগে এই মতৰাদের স্চনার সমকালীন হিসাবে গণা করার প্রয়াসকে অসঙ্গত বলা চলে না। তবে চার্বাকগুরু বুহুম্পর্তির এঁতিহাসিক ব্যক্তিত্বের সমর্থনে এখনও উপযুক্ত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এৰং শাস্ত্রী মহাঁশয়ও এ বিষয়ে তারা মতের সমথনে কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি । বেদবিরোধা দলের নেতৃত্বের পুরো" ভাগে খণ্থেদোক্ত বুহম্পতিকে স্থান দেওয়ার ব্যাপারেও অন্ধরূপ মন্তব্য কর! যেতে পারে । অবশ্ঠ “বৃহস্পতি' শব্দকে চার্বাক মতাঙ্ছসারীদের উপাধি হিসাবে বর্ণনার মাধামে অগ্ঠাত্র শাস্ত্রী মহাশয়ের যে ভিন্নমতের প্রকাশ তা থেকে মনে হয় নিজন্ব মতে শান্রী মহাশয়ের নিজেরই ছন্দ আছে এবং সেইজন্য ছুটি ভিন্নধমী মতের প্রতোকটিকেই তিনি সমান গুরুত্ব দিতে চান; লোকায়তকে চার্বাক দর্শনের পূর্ববর্তী পর্যায় হিসাৰে অভিহিত করে শাস্ত্রী মহাশয় বোধ হয় যথার্থ এতিহাসিক ক্রমের অনুসরণ করেছেন । লোকায়ত সম্বন্ধে আলোচন। প্রসঙ্গে আমর লক্ষ্য করেছি ষে “চার্বাক' এই সংজ্ঞার মাধাষে যে চিন্তাধারার প্রকাশ, প্রাচীন লোকায়তের অন্তনিহিত ভাবধারার পরিবতিত দৃষ্টিভঙ্গীর রূপায়ণ তার মধো স্থুপরিস্ফুট । দক্ষিণারগুন শাস্ত্রীর 'নান্তিক' সংজ। নেতিবাচক অর্থের পরিবর্তে প্রচলিত আচারের বিপরীত সাধারণত বর্জনীস্ব বিশেষ কিছু আচরণের পরিচায়ক,_যে আচরণের অনুসরণের মাধ্যমে বিশেষ ৩৪ ভূমিকা কয়েকটি গোষঠী চার্বাকী ধঁতিহ্যের ধারক হিসাবে শাস্ত্রী মহাশয়ের কাছে বিবেচিত হয়েছে। “নান্তিক' সংজ্ঞাকে এভাবে ব্যাখ্যা করলে নাক্তিকবাদকে প্রকৃতই চার্বাকী ধারার অন্তিম পর্যায় বল চলে এবং উত্তর যুগের বিভিন্ন গ্রন্থে এই পর্ধায়ভৃক্ত চাবণকদের আচরণের নান! বিরূপ সমালোচন। দেখা যায় । ৮। চাবাক সাহিত্য ও চাবণক দশ নে শভ্রেণীগত ভেদ ্রস্থপরম্পরায় চাবণক বা লোকায়ত যে বেশ সমুদ্ধ এবং পরিণত দর্শন হিসাবে পরিগণিত হত সমসাময়িক দার্শনিকদের আলোচন] থেকে তা প্রকাশ পায় । কিন্ত চাব্ণাক দর্শনের মৌলিক রচনা হিসাবে জয়রাশি ভট্টের “তত্বোপপ্রবসিংহ' ব্যতীত অগ্ঠ কেনও গ্রন্থ আমাদের হস্তগত হয়নি । অন্ঠান্ত গ্রস্থে উদ্ধত কিছু লোকায়ত বা চাবকস্ুত্র এবং বৃহম্পতির নামে আরোপিত কয়েকটি শ্লোক সম্বন্ধে আমর! আগেই আলোচন। করেছি । চাবণক দশন সম্বদ্ধীয় একটি সুত্র গ্রন্থ এবং শ্লোকপুস্তকের অস্তিত্বের সপক্ষে এগুলি সাক্ষা দেয়। এ সম্বন্ধে অবশ্য অন্য কোন তথ্য এখনও পরধস্ত সংগৃহীত হয়নি । জয়রাশি ভট্টের “তত্বোপপ্লবমিংহের' উল্লেখ আমর! আগেই করেছি। প্রচলিত যে চাবণক মতের পঙ্গে আমরা পরিচিত এই গ্রন্থের মতবাদের চেহারা তা থেকে পৃথক । ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন পুস্তকের মাধ্যমে তথোর ভিত্তিতে এটাই জানা যায় ষে তত্ব চতুষ্টয় এবং প্রমাণ হিসাবে একমাত্র প্রতাক্ষ চাব্ণকী সিদ্ধান্তে স্বীকৃতির যোগ্য । উল্লিখিত গ্রন্থে কিন্ত এই তত্বচতুষ্ট় এবং প্রত্যক্ষ প্রমাণও অগ্নাহ। গ্রন্থের স্ুচনায় জয়রাশি বুহস্পতিস্থত্র উদ্ধৃত করে বুহস্পতির চারি তত্বের পটভূমিকায় তার “তত্বোপপ্রব' বা সমপ্ত তত্বের অস্বীকৃতি কিভাৰে খাপ খায় তার ঝাখ্যাপ্রসঙক্গে বলেন ষে বৃহম্পতিহ্ত্রে প্রসিদ্ধ তত্ব গুলির উল্লেখ আছে মাত্র, কিন্ত প্রকৃত বিচারে এই তত্বগুলিও গ্রহণযোগ্য হয় ন?, অন্ত তত্বের ত কথাই নেই ।১*১ শ্রীহর্ষের থগুনখগুখাদ্যম্‌" গ্রন্থের প্রথম পরিচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ষে চাবণকরা কোন প্রমাণকে স্বীকার করেন না।১*২ প্রচলিত মত অন্থযায়ী ১*১। “নগু যছাপপ্রবস্তত্বানাং কিম্‌.**-**পৃথিবাদীনি তত্বানি লোকে প্রলিদ্ধানি, তান্তাশি, বিচার্ষমানানি ন ব্যবতিষ্ঠস্তে কিং পুন- রন্যানি? পৃঃ ১ ১*২। “লোহক্বমপৃব£ প্রমাণাদিসত্তানভ্যাপগমাত্মা '***, থঞ্জনখগখাদ্থম্‌, পৃঃ ২৬ চার্বাক সাহিত্য ও চাব্ণক দর্শনে শ্রেণীগত ভেদ ৩৫ চাবাক মতে প্রত্যক্ষ গ্রমাণের ত্বীকৃতি আছে এবং এই প্রচলিত ধারণারই পট- ভূমিতে বিভিন্ন ভাষ্যকার শ্রীহর্যকৃত গ্রন্থের এই অংশের ব্যাখ্যা করেন । তাদের মতে প্রমাণগুলির মধ্যে প্রধানতম অন্থমান “চাবণকী' মতবাদে অস্ততূক্তি না পাওয়াতেই এই জাতীয় সাধারণ সিদ্ধান্তের ভিত্তি। কিন্তু শ্রীহর্ষের উক্কিতে চাবণকের প্রচলিত শাখা ছাড়া অন্য এক শাখার উল্লেখের সম্ভাবনাও অস্বীকার্ধ নয় । শ্রীহর্ষের এই গ্রন্থের শক্করকৃত বাখ্যার মধ্যে এই ধরণের এক ইঙ্গিত পাওয়া যায়। গ্রন্থে উল্লিখিত “চাবণক£ শব্দের অর্থ এই ব্যাখ্যামতে “চাবণকৈকদেশী' এবং এই “চাবণকৈকধ্েশী” বলতে বোঝায় চার্বাকের এক বিশেষ শাখা খাঁর! প্রত্াক্ষাদি কোন প্রমাণ মানেন না। সম্ভবতঃ জয়রাশি এই শাখারই অন্ততৃক্ত এক চাবণাক। “তত্বোপপ্লবসিংহের” মধোই আমরা চাবণক দর্শনের অপর একটি পুস্তকের উচলপখ দেখি, নাম “লক্ষণসার” ।১০৩ পুস্তকটি সম্বন্ধে অন্য কোন বিবরণ পাওয়া যায়না । তবে তত্বোৌপপ্রবসি'হের বর্ণনা থেকে অন্থমান করা "সঙ্গত নয় ষে গ্রস্থটির রচক্সিতা। জয়রাশি শ্বয়ং, অথব1তারই মতের সমর্থক অপর কোন চাবণক। কারণ গ্রস্থকার তার লেখা “তত্বোপপ্লবলিংহের”ই অনুবৃত্তি হিসাবে “লক্ষণসারকে” নির্দেশ করে প্রথম পুস্তকে আরন্ধ নিজ আলোচনার অংশবিশেষ দ্বিতীয় পুম্তক- টিতে দেখাবার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছেন। চাব?ক দর্শনের অন্ত কোন পুস্তকের নামের উল্লেখ অন্যত্র না দেখ! গেলেও ছু একজন বিশিষ্ট চাব্ণকের নাম ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থে অস্ততু-ক্তি পেয়েছে । বৌদ্ধ দার্শনিক শাস্তরক্ষিত তার “তত্বং গ্রহে” কথ্লাশ্বতর১*৪ নামে এক লোকায়তিকের উল্লেখ করেন, ধার মতে দেই প্রাণীচৈতন্লের উৎপত্তিক্ষেত্র ! বুদ্ধদেবে৭ প্রায় সমসাময়িক নান্তিক প্রচারক অজিত কেশ- কম্বলীর সম্বন্ধে আমরা আগে আলোচনা করেছি । শ্ন্তরক্ষিত বণিত কম্বলাশ্ব- তরের মধ্যে অনেকেই এই অজিতের লন্ধান পান। এ প্রসঙ্গে বিনয়তোষ ভট্টাচার্যের অঠিমত আমরা উদ্ধত করতে পারি১০৭ : 10. [7215015590 91)25001 10 2 ৮515 1500180 21:001০ 29৮০ ৮2 00 1015 021161 01086 ১০৩। “অব্যপদেশ্পদং চ যখা ন সাধীয়ঃ তথ! লক্ষণসারে ত্রষ্টব্যম্‌ণ, তত্বোপপ্লবসিংহ, পৃঃ ২০ ১০৪ । তত্বসংগ্রহঃ, ১৮৬৪ ১০৫। ৮0980698,52106519১ ঢ০:6৬010, 00. 115-15 ৩৬ ভূমিকা 4৯1105105591870155811 85 08০01 056 01516 68000100615 0৫ & [0185868. 0080085 2200 281. 62100006960 10620065000 1290৫ 125525128. ড101 01015 £৯110516591700211১ 0152 0: 072 15616610 069.011619) 7100 00011519011) 30001795 116261775. 7026 102170611 ০৪0101 15 5016107801161)60 105 0০ 2০ 0086 48110915599 10170709]1 ড16ড৮3 561: 00০ 52106 25 00956 10910 105 79100195520518 2 00196] 101559595 10617010756 1) 00061008665 8521076151)9) 20010] 076 1369) 61080 001250108517255 15 218 0000010)9 01 0106 000১ ৪1 01080 16 ৫159100625 1010 006 01550106101) 0 1106 0005...... [0 01161660165 701010816 0596 0000 £১1108106559100702]1 2150 791021 5ড210919. 912 10079506016 2750 0102 591006 7921:5013.) কমলশীলের “তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা”তে পুরন্দর নামে অপর এক চাবণে উল্লেখ আছে ।১*৬ চাব্ণকী সাধারণ ধারণার ব্যতিক্রম হিসাবে এই পুর, লৌক্ষিক অনুমানকে প্রমাণের অস্ততূক্তি করেছেন যদিও অলৌকিক কে ধারণাকে এই অনুমানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিতে তাঁর অসম্মতির পরিচয় পাং যায়। পুরন্দর অথব! পূর্বে উল্লিখিত কমলাশ্বতরের সম্বন্ধে অন্য বিবরণ পা যায় না এবং এদের রচিত কোন গ্রন্থের অস্তিত্বের পরিচয়ও আমাদের অবগা সীমানার বহির্দেশে | চাঁব্ণকী সাহিত্যের বিরাট অবয়ব যে এক ছ্টাচে গঠিত ছিল না এবং তা! শ্রেণীভেদের প্রচুর অবকাশ ছিল, উপরের সামান্য আলোচন! থেকে তার কি! আভাস মেলে । জয়রাশি ৩টু এবং তাঁর সমর্থক গোঠীর দৃষ্টিতে দার্শনিক কিছু তত্ব এবং বিভিষ্ন তত্বের ধারণার মাধ্যম প্রমাণগুলির কোনটিরই অ্ি নেই। বস্তবাদী ভারতীয় দর্শনের সঙ্গে অভিন্ন সত্তায় চাব্ণকী চিন্তাকে যে সময়ে দেখা যায় না, চাবণক গোষ্ঠীর এই শাখার অস্তিত্ব তারই স্বপক্ষে স দেয়। বিরোধীপক্ষের সমালোচনায় চাবীকের এই শাখার স্থান বস্তুবা। পম ১০৬। [010১ 0. 4392 চাবক সাছিতা ও চাবণক দর্শনে শ্রেণীগত ভেদ ৩৭ মম্পূর্ণ বিপরীত দৃষ্টিকোণযুক্ত অদ্বৈত বেদাস্ত ও বৌদ্ধ শৃন্যবাদের সঙ্গে এক পংক্তিতে 1১*৭ চাবণকের যে ধার? প্রত্যক্ষেত্বর গ্রমাণগুলির ৰিরুদ্ধে যুক্তিজালের অবতারণা করে প্রত্যক্ষকে মৌন সমর্থন জানিয়েছে, তাই বোধ করি চাবণক দর্শনের বিশেষত্বের ছাপ যুক্ত হতে সাধারণের নিকট প্রধানত: পরিচিত । প্রত্যক্ষের লমর্থনে চাবণকী কোন যুক্তি আমাদের গোচরীভূত হয়নি, দিও অন্থ গ্রমাণ- খলির বিরোধিতার ক্ষেত্রে চাঁবাঁকী তৎপরতার সাক্ষ্য ভারতীয় সাহিত্যের 'বভিন্ন বিভাগে স্থপরিস্ফুট। যাই হোক, চাব্ণক দর্শনের যে রচনার ভিন্তিতে১*৮, প্রত্যক্ষপ্রমাণবাদী হিসাবে চাবণকী চিস্তা সাধারণের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে এবং বস্তবার্দের সঙ্গে একাত্মভাবে এই দর্শনের প্রচারের মূলে প্রমাণ ্বন্ধীয় ষে ধারণা আছে এটাই দর্শনটির নিজন্ব বৈশিষ্ট্য । প্রত্যক্ষের প্রবেশপথ য়ে একমাত্র ব্স্তজগতই বূপায়িত হতে পারে এবং প্রতাক্ষের অতিরিক্ত অন্ত প্রমাণে যখন চাবণীকপক্ষের স্বীকৃতি নেই, তখন স্বাভাবিকভাবেই সিদ্ধান্ত হয় থে একমাজ বস্তজগতেই চাঁবণীকী চিন্তা কেন্দ্রীভূত এবং চার্বাক দর্শন এই আলোকেই নাধারণের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে । এ সম্বন্ধে চাঁবাকী চিন্তার বিশদ মীলোচনা আমরা পরে করব । জৈন দার্শনিক বিদ্যানন্দী তাথঙ্সোকবাতিক গ্রন্থে বৌদ্ধ শৃক্তবাদী এবং ত্রহ্মবাদীদের সঙ্গে একধোগে তত্বোপপ্লৰবাদীদের উল্লেখ করেছেন ( সবধা শৃন্তবাঁদিনন্তত্বোপপ্লববাদিনো ব্রঙ্গবাদিনো বা জাগ্রহুপলব্বার্থক্রিয়ায়াং কিং ন বাধকপ্রতায়ঃ, পৃঃ ১৯৫ )। শ্রহর্ষের খগ্ডনথণ্ডখাদ্য গ্রস্থেও এই তিনটি মতবাদের অনুরূপ একত্র উল্লেখ দেখা! যায়, পৃঃ ২৬। চতুভূতাত্মক স্থল জগতকে একমাত্র স্বীক্কৃতি দিয়ে এবং চৈতন্যকে এর বিকার হিসাবে ব্যাখ্য! করে যে কয়েকটি বাহৃষ্পত্য স্জজ বিভিমন গ্রন্থের মাধামে আমাদের কাছে প্রকাশিত, চাব্ণকী প্রতাক্ষপ্রমাণ- বাদিতার সমর্থনে চাবণক পক্ষের নিজন্ব বক্তব্য হিসাবে বোধ হয় একমাত্র সেগুলিকেই উপস্থাপিত কর চলে । প্রত্যক্ষ প্রমাণের স্বপক্ষে এগুলিতে কোন যুক্তি না থাকলেও বোঝা যায় যে এগুলির রচয়িতা প্রত্যক্ষের সাহায্যে লভ্/; তত্বের অতিরিক্ত অপর কোন তত্বকে গ্রাহ্া করতে অসম্মত। প্রত্যক্ষ গ্রমাণের সমর্থনে সরাসরি কোন যুক্তি ঘি চাব্ণকী কোন গ্রন্থের প্রকৃতই বিষয়বস্ত হয় তা হলেও বর্তমানে আমাদের কাছে তা লুপ্ত । ৩৮ ভূমিকা পুরন্দর নামে ঘষে চার্বাকের উল্লেখ “তত্বসংগ্রহপঞ্জিকাতে” পাওয়া যায় অন্থমান প্রমাণে তার সমর্থন থেকে চার্বাকগোঠীর মধ্যে তার মতাঁবলম্বী অন্য এক শ্রেণীর অস্তিত্বের সিদ্ধান্তে আসা অস্বাভাবিক নক্ন । চাবণক দর্শন সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যের স্বল্পতা অবস্ট অন্য বিষয়ের মতই এ বিষয়েও আমাদের কোন সঠিক ধারণার পথে প্রধান বাধা। আত্ম সম্বন্ধীয় মতের ভিত্তিতে চাঁবাঁক মহলে চারটি শ্রেণীর অস্তিত্বের নিদর্শন আছে সদানন্দের “বেদাস্তসার” গ্রন্থে 1১০৯ প্রথম শ্রেণী সম্ভবতঃ সাধারণভাবে পরিচিত চাবণকের বুহতৎ গোঠী এবং এই শ্রেণীর চাবাকদের অভিমত অন্ুষায়ী আত্মা দেহের সঙ্গে অভিন্ন । অপর তিন শ্রেণীর চাবণকদের মতে আত্মা যথাক্রমে প্রাণ, ইন্দ্রিয় এবং বুদ্ধির সঙ্গে তাদাত্ব্য সম্বন্ধে যুক্ত 1১১, এই চার শ্রেণীর মধ্যে দেহাত্সবাদীদের ধারণা স্পষ্টতঃ স্থুল বন্তজগতে কেন্দ্রীভূত । অপর তিন শ্রেণীর চাবণকর। বস্তজগতের পরিধি ক্রমশঃ অতিক্রম করতে উদ্যোগী যদিও বৈদাস্তিক শুল্ক্প বিচারের পরিপ্রেক্ষিতে এদের ধারণা স্থলতার পর্যায়েই অস্ততূক্ত। বিভিন্ন গ্রস্থে নানাভাবে উদ্ধত লোকায়ত ব। চাবণক সুত্র সম্বন্ধে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। “তত্বসংগ্রহপঞ্জিকাতে” একটি লোকায়তশ্ুত্র দেখা ঘায়__পৃথিব্যাপন্তেজোবাযুরিতি চত্বারি তত্বানি তেভ্যশ্চৈতন্ম্‌*, অর্থাৎ তত্বের সংখ্যা চার__পৃথিবী, জল, অগ্নি ও বায়ু; এবং এই পদার্থচতুষ্টয়কেই চৈতন্তের কারণ হিসাবে গণ্য কর যেতে পারে । এই শ্বত্রের আলোচনাপ্রসঙ্গে কমলশীল চাবাণক দর্শনে ছু" শ্রেণীর মতবাদের উল্লেখ করেছেন ।১১১ মতবাদ দুটির অনুসরণে লোকায়ত স্ত্রটি ছুটি বিভিন্ন অর্থের ইজ্জিত বহন করে - ভৌতিক পদার্থ অর্থাৎ দেহ ঠচতন্যের উৎপত্তির ক্ষেত্র; অথবা! ঠচতন্তের উদ্ভব অন্টত্র হলেও ভৌতিক পদার্থ বা দেহের মধা দিয়ে তা প্রকাশিত হয়। “বেদাস্তসারে” উল্লিখিত চারটির পরিবর্তে চৈতন্য বা আত্মা সম্বন্ধীয় ধারণার ভিত্তিতে চাঁবণক দর্শনে ছুটি বিভিন্ন মতবাদের অস্তিত্ব কমলশীলের রচনার মাধ্যমে আমরা জ্ঞাত হ্ই | ১০৯। বেদাস্তসার, পৃঃ ৩ ১১০। বেদান্তসার পৃপৃং ৩৪-৬ ১১১। “তত্র ক্েচিথ্ব-ত্তিকার! ব্যাচক্ষতে - সিনিিান ০০ তত্ব- সংগ্রহপন্ধিকা, পৃঃ ৫২ চাব।ক পাহ৩) ও ঢাবাক দশলে জেণাগত তেদ ৬৫২ স্রেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ধের অভিমত এ প্রসঙ্গে আমর! উদ্ধত করতে পারি । তিনি বলেন £ 4[281009185119 5065105 0৫ (০ ৫1616)6 00101961069119 010 0252 90:83 010 ৮0 01561056705 17355 ৮517101) ০০:5900 €০0 006 0115107০0৫6 01002, 08:0%809 2180. 505115515, 08105919 ঠা) 006 1ব5952,002181211.”১১২ দাসপ্চপ্ত মহাশয়ের উক্তি অনুধাবন করতে হলে চাঁবাক প্রসঙ্গ নিয়ে হ্যায় মঞ্জরীর বর্ণনার আলোচন! প্রয়োজন । জয়স্ত ভট স্তায়দর্শনের বিভিন্ন খুঁটি- নাটির বিস্তার প্রসঙ্গে চার্বাক মতের সমালোচনা করেছেন । চার্বাক গোষ্ঠীর কয়েকটি শ্রেণীর চিন্তাধারার কিছু আলোচন। এইভাবেই তীর ন্তায় নিবন্ধের অঙ্গীভূত হয়েছে । চার্বাক সম্প্রদায় তার লেখনীর মাধামে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশেষ কোন বিশেষ্ণে চিহ্িত; কোথায়ও ধূর্ত আবার কোথাও বা “স্থশিক্ষিত' । কাজেই মনে করা অস্বাভাবিক পয় যে এছুটি সংজ্ঞা চার্বাক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপরীতধর্মী বিশেষ ছুটি বিভাগের অস্তিত্বের দ্যোতক, অর্থাৎ ধূর্ত' চার্বাকগোর্ঠীর প্রচারিত মতবাদ “স্থশিক্ষিত” গোষ্ঠীর মতের থেকে পৃথক এবং স্তায়মঞ্জরীতে “ধূর্ত এবং “সুশিক্ষিত এই ছুটি চাবণক শাখার উল্লেখ আছে। জয়ন্ত ভট্টরের মালোচিত বিবরণের অনুশীলনে কিন্তু আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে পারি না। ধূর্ত এই সংজ্ঞায় তিনি যে শ্রেণীর চাবাকদের বিশেষিত করেছেন ষ্ভাদের মতে প্রমাণ বা প্রমেয়ের সংখ্যা ব। লক্ষণের নিরূপণ করা অসম্ভব, ১১৩ চাঁব্ণকেরা সাধারণতঃ প্রত্যক্ষ প্রমাণবাদী হিসাবে পরিচিত এবং ন্যায়মঞ্ুরী'রই অন্যত্র প্রত্যক্ষ প্রমাণের সমর্থক হিসাবে চাবীকদের বর্ণন। আছে, ১১৪ বিভিন্ন প্রমাণের মধা থেকে কেবলমাত্র প্রত্যক্ষকে বেছে নিয়ে ১১২ | [লা 10, 0, 5167 দক্ষিণারঞরন শাস্ত্রী তার চাবণক দর্শন, গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে চাবণক সম্প্রদায়ের মধ্যে “ধূর্ত এবং “স্থশিক্ষিত' এই ছুটি গোষ্ঠীর অস্তিত্বের উল্লেখ করেছেন ( পৃঃ ২৪, ৩৩, ১৩৪) | তার এই ধারণার সপক্ষে অবশ্ত তিনি উপযুক্ত কোন প্রমাণের সমর্থন দেখাবার চেষ্টা করেন নি। ১১৩। 'চার্বাক-ধূর্তস্ব অথাতত্তত্বম্‌ ব্যাখ্যান্তাম ইতি প্রতিজ্ঞায় প্রমাণ- প্রমেয়সংখ্যালক্ষণনিয়মাশকাকরণীয়ত্বমেব তবং ব্যাখ্যা তবান্‌”, স্তায়- ম্রী, ১ পৃঃ ৫৯ ১১৪ | 'প্রত্যক্ষমেবৈকং প্রমাণমিতি চাবাকাঃ, স্তাম, ১১ পৃঃ ২৬ ৪ ভূমিকা “এক এই বিশেষ সংখ্যায় ষারা প্রমাণকে চিহ্নিত করেন। জয়ন্ত ভট্ট কর্তৃক ধূর্ত এই বিশেষ সংজ্ঞায় বিশেষিত চাব্ণকের! মনে হয় এদের থেকে পৃথক কোন গোষ্ঠীর অন্ততৃক্তি। কিংবা হয়ত প্রত্যক্ষবাদীদের মতেরই এ'র। সমর্থক । ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষকে স্বীকৃতি দ্রিলেও সুক্ক্বিচারের মাপকাঠিতে কোন প্রমাণই শেষ পযন্ত এদের কাছে গ্রাহ্য নয়। চাবণক দর্শনে যে এই ধরণের চিন্তা অপ্রচলিত নয় তার নিদর্শন পাওয়া ধায় “তত্বোপপ্লবসিংহ” গ্রন্থের মাধ্যমে। আমর] আগেই লক্ষ্য করেছি যে প্রতাক্ষমেত সমস্ত প্রমাণই এই গ্রন্থে স্বীকৃতির অযোগ্য বলে অগ্রাহা। যাই হোক, “সথশিক্ষিত' বিশেষণের মাধামে "ন্যায়ম্জরীণতে যে ধূর্ত চার্বাকদের ভিন্ন অন্ত “কান শ্রেণীর চারাকদের বিবরণ পাওয়া যায় না, তা স্পষ্ট । কারণ জয়ন্ত ভট্ের এই “ম্থশিক্ষিত' চার্বাকদেরও মতে '্রামাণের সংখ্যা সম্বন্ধে কোন নিদিষ্ট নিয়ম কর] সম্ভব শয় ।১১৪ সাধারণ চার্বাক মত থেকে পৃথক অপর একটি মতের সমর্থক হিসাবে চারবাকদের বর্ণনা করার সময় ন্যায়াচার্য জয়ন্ত “হথশিক্ষিত' এই সংজ্ঞাটির আরও একবার প্রয়োগ করেছেন ।১১৬ এই শ্রেণীর চার্বাকদের অভিমত অনুসারে আত্মা বা “প্রমাতৃতত্ব' স্থলদেহ থেকে ভিন্ন এবং সচেতন বাবহারের সব কিছু এই 'প্রমাতৃতত্বে আরোপা। কিন্তু এই আত্মাব স্থায়িত্ব তাদের মতে শরীরের অস্তিত্বের সমকালীন এবং দেহনাশের পর আত্মার বর্তমানতা। ব। দেহাস্তর পরি- গ্রহণ “স্থশিক্ষিত' চাবাকেরা স্বীকার করেন না| দেহাত্মবাদী থে চার্বাকের। আম্মাকে দেহ থেকে উৎপন্ন মনে করেন তাদের অভিমত নিয়ে আমরা পরে আলোচন' করব । “ন্থৃশিক্ষিত' সংজ্ঞাব মাধ্যমে বিশেষিত যে চাবাকদের মতে আত্মা দেহ থেকে পৃথক, অথচ দেহের মধা দিয়ে অভিবাক্ত, তারা স্পষ্টতঃই চাবাক সম্প্রদায়ে আত্মসন্বন্ধীয় ধারণায় শ্রেণীভৈদের ইঙ্গিত দেন। লোকায়ত- সতের ব্যাখা প্রসঙ্গে কমলশীল যে ছুটি বিভিন্ন চাবণক শ্রেণীর উল্লেখ করেন সম্ভবতঃ “ন্যায়মঞ্জরীর” বর্ণনার মাধ্যমেও সেই শ্রেণীদ্বয়ের অস্তিত্বের আভাস ১১৫ । “অশকা এব প্রমাণসংখানিয়ম ইতি সুশিক্ষিত চাবাকাঃ স্তাম, ১, পৃঃ ৩৩ ১১৬। “অভ্র স্ুুশিক্ষিতাশ্চাবীকা আহন্ঃ, যাবচ্ছরীরমধাস্থিতমেকং প্রমাতৃতত্বম'*” ন্যাম) ২, পৃঃ ৩৯ চাবাঁক সাহিত্য ও চাবণক দর্শনে শ্রেণীগত ভেদ ৪১ পাওয়া যায়। স্ুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্তও তার উক্তিতে বৃহৎ চাবাঁকগোষ্ঠীর অস্তভূক্তি এ ছুটি বিভাগেরই পরিচয় দিয়েছেন । পরস্পর ভিন্ন এই চাবাঁক শাখা ছুটিকে অবশ্য ধূর্ত" এবং "স্থশিক্ষিত' এ ছুটি ধজ্ঞায় চিহ্নিত করা চলে না। এ ক্ষেত্রে দাসগুপ্ত মহাশয়ের সঙ্গে আমরা একমত হতে পারি না। আত্মসন্বদ্বীয় ধারণ। প্রসঙ্গে সশিক্ষিতদের উল্লেখ পন্যায়মঞ্জরী”তে থাকলেও বিপরীত মতাবলম্বী 'ধূর্ত' কোন চাৰণকের পরিচয় সেখানে নেই । অপর পক্ষে, প্রমাণের ক্ষেত্রে ধূর্ভা এবং “স্থশিক্ষিত' এ ছুটি বিভিন্ন সংজ্ঞার চাবণকদের আমরা একই ধরনের মত পোষণ করতে দেখেছি । কাজেই ্যায়মঞ্জরী”তে চাবণকদের বিভিন্ন শ্রেণীর মতের উল্লেখ থাকলেও আলোচ্য বিশেষণ দুটি এই শ্রেণীভেদের ইঙজিত বহন করে বলে আমাদের মনে হয় না। সম্ভবতঃ “ধূর্ত' শব্দটি এখানে নিন্দাত্মক ভঙ্গীতে ব্যবহৃত । বিরোধী মতগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এ ধরনের শবের প্রয়োগ অ€ুচলিত নয় এবং বৈদিক পুরোহিত প্রসঙ্গেও চাবীকেরা একই ধরনের শব্দ বাবহার করেছেন 1১১৭ “ম্থশিক্ষিত" সংজ্ঞাটি চাবাঁকদের পাণ্ডিতাব পরিচয় বহন করে । তর্কবিষ্ভায় ভাদের পাবদশ্রিতা এতই স্থপরিচিত যে চাবাকগোঠার সাধারণ সংজ্ঞা হিসাবে এটির ব্যবহার অশ্বাঁভবিকনয় । হয়ত পাঙ্ডত্যর বিচারে অধিকতর পারদশী চাবাকের অন্ত কোন শাখাকে উদ্দেশ্য করে ন্যায়ম্ঞ্জরী'তে “স্থশিক্ষিততর” এই শব্দটির প্রয়োগ হয়েছে 1১১৮ জয়স্ত ভট্টের বর্ণনা অনুসারে তাকিকের এই গোঠী অঙ্গমানকে তিনি দু'শ্রেণীতে ভাগ করেন : উৎপন্নপ্রতীতি ও উপাদাপ্রতীতি ৷ প্রথম বিভাগে তারা লৌকিক বিষয়ের অন্থমান, যথা ধূম থেকে অগ্নির জ্ঞান ইত্যাদিকে অন্তভূক্ত করেন। আত্মা, ঈশ্বর, সবজ্ঞ, পরলোক ইত্াদির জ্ঞান এদের মতে দ্বিতীয় অনুমানের মারফং হয় এবং এই ধরনের অলৌকিক বিষয়ের অন্থমানে স্বীকৃতি দিতে এববা রাজী নন। এই প্রসঙ্গে পূর্বে আলোচিত চাবণক পুরন্দরের কথা আমরা ম্মরণ করতে পারি । “ম্থুশিক্ষিততর' এই তাকিকগো্ঠীর মতের সঙ্গে পুরন্দরের মতের সাদৃশ্য লক্ষ্য করলে এই প্রসঙ্গে জয়ন্ত ভট্টরের আলোচনায় পুরন্দরের সমর্থক চাবণক সম্প্রদায়ের উল্লেখ অন্গমান করা অসঙ্গত হবে না। শা পা পিস পা ১১৭। ধূ্তপ্রলাপন্্য়ী', প্রচ, পৃঃ ৬৫; “ভত্ডধূর্তনিশাচরাঠ, লমং, পৃঃ ১৫ ১১৮। স্থশিক্ষিততরাঃ প্রাছঃ..যত্বাত্মেশ্বরলবজ্ঞপরলোকাদিগোঁচরম্‌। অন্থমানং ন ত্তেষ্টং প্রামাণাং তত্বদশিভিঃ ॥ স্যাম, & ১, পৃঃ ১১৩ দ্বিতীয় অধ্যায় পটভিম প্রসঙ্গে ১॥ ভারতীয় দশনের পটভূমি ভারতীয় বস্তবাদ সম্বন্ধে 50015 চাজ0%৪11961 বলেছেন ১১১৯ 16117019155 0106170521525) 2.5 2. 10016১59981 1800 0: 1%19.021015- 11510 1000 01065 0109879,060510125 105 2.01)2161005 0150911% 2.3 ৫6121619 01: 15658011505 (10950611091). 501 0102 11001015718 02719119170 0105 555217- 012. 01176 15 206 0105 061519] 0£ 0052 5০0৫] 50 0106 501051৬2125 00100101609 179006 85 006 ০2056 102 0102 520019189101018 01 006 0110. 10175 91650191৬2 01105১ 92 0155 0010800915১ 15 105 10112] 18665920156 117057250. 105 910) 15 60 0151802 2190] 0210 0106 ০0181- [8121806 06 1166 8606] 969.0১ 0106 15071000101 01 50900. 8150 10980 01] 200 0176 00019] 0০19.117)5 0০11৮50 00৮ ০0৫ 01210). 10 19 11906- 15060 11) [01011 0950191)1091 00865610155 01515 50 চি 8.5 01095 521৬6 [1015 91170. (01002711175 01706 1650) 16 15 11701001216 €0 000170. 111)6176- 1015 0106 1100191) 01029 0061159,0107) 01 0102100 23 06101617501 0659.01- ৬1505? 15 21010101190.” ভারতের দর্শনসভায় তাই বস্তবাদের একমাত্র প্রতিনিধি হয়েও চাবণাক সিদ্ধান্ত “বস্তবাদী' এই আখ্ার পরিবর্তে নাস্তিক' সংজ্ঞার মাধ্যমেই অধিকতর পরিচিত। চাবণকদের নীতি প্রধানত; নেতিবাচক | ভারত দর্শননীতির বিধানসভায় এর! অবতীর্ণ হয়েছেন বিবোধীপক্ষের ভূমিকা নিয়ে । মহামহো পাধ্যায় হবপ্রসাদ শান্জ্রীর মতে ৭15০5 1১৪৮5 ৪ ভিত 0০09০601155 60 05270 ০৩৮ & 100 09 29591].১২* বস্তবাদী মৃতকে সাধারণভাবে আশ্রয় করজেও চাৰাকপনস্থীরা বস্তবাদের খু'টিনারটিকে তাদের উপজীব। করেন নি। ভারতীয় এতিহের যে মূল ধার! ভারতের অধ্যাত্বচিস্তার বিভিন্ন খাতে প্রবহমান, তার অগ্রগতির পথে প্রতিপক্ষরূপে দাঁড়াতেই এরা নানাভাবে সচেষ্ট হয়েছেন। তাপ িসপপিস্পালপস্পা পাপা শিশির পিপি, 5 শিপ তি ৪ ১১৯। 70], চিত 081110751715005 01 11501901) 01511050118, ৬০01. 11, 0. 215 ১২০ | [5015855908১ 0১. 4 ভারতীয় দশনেয় পটক্ভাঁম ৪৩ চাবাঁক দর্শনের যে অংশ আমাদের জ্ঞানের গোচরীভূত তার মধ্যে এই প্রচেষ্টার স্পষ্ট প্রকাশ দেখা যায় । প্ত্বোপপ্রবসিংহে”র মধ্যে এই প্রচেষ্টা চরম আকার ধারণ করে চাবণক দর্শনের নেতিবাচক রূপকে স্থুস্পষ্ট প্রকাশ করেছে । চাঁবাক মত নম্বন্ধে ধারণার প্রস্ততি হিসাবে সেইজন্য ভারতের দর্শনচিন্তার মুলগত ভাব- ধারা সম্পর্কে সাধারণভাবে আলোচনার প্রয়োজন ।! এই ভাবধারার বিবো- ধিতার মধ্য দিয়েই চাবণকীয় চিন্তার অগ্রগতি । যদিও চাবণকেতর ভারতের অন্তান্ দার্শনিকগো্ঠী এই সাধারণ ভাবের দ্বারাই অন্ধপ্রাণিত ৷ ভারতের দর্শনচিস্তার মূলগত ভাব সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করতে হলে আমাদের যেতে হবে এর উতৎসমৃখে--উপনিষদীয় চিন্তাধারার মধ্যে । জগতের ছুঃখবহুলতা। উপনিষদের খষিকে ব্যাকুল করেছিল । বস্তজগতের উপকরণের সম্ভারের মাধ্যমে এই ছুঃখ দূর করার চেষ্টা তাদের অন্তরকে নাড়া! দিতে পারেনি । বস্ততাস্রিক স্থখের স্থায়িত্ব দীর্ঘকালীন য় বলেই হয়ত ছুঃখ থেকে পরিত্রাণ লাভের আশায় মানুষ এর উপর সম্পুর্ণ নির্ভর করতে পারে না। বস্তমুখী স্থখে অতৃপ্ত। মৈত্রেয়ীর মনে প্রশ্থ উঠেছিল, “ষেনাহং নামৃতা শ্তাং, কিমহৎ তেন কুষ্যাম্‌?১২১ এই জিজ্ঞাসার কুত্র ধরেই উপনিষদের খসষির অমৃতত্বের সন্ধানে অগ্রগতি এবং এই গতির পথে অঙ্কুরিত হল ভারতের মাটিতে এক নৃতন চিস্তার বীজ। জাগতিক নশ্বর স্বথে তৃপ্তি না পেয়ে বস্জগতেন 'অতীত অমতলোকের সন্ধানে ফিরেছিল উপনিষদীয় ভাবনা, এবং এরই বরসধারায় পরিপুষ্টি লাভ করেছে ভারতের দর্শন- কলেবর । মৌলিক তত্বের বূপায়ণে অবশ্য সব দর্শনের আশ্রয় নিজস্ব চিস্তা- পদ্ধতি, কিন্ত উপনিষদের এই মূল স্থর সব সময়ে তাদের বিস্তারিত পরিধির কেন্দ্রবিন্দু । ৬৬10601-এর মতে 4106 170655511701500 01 18661 1750181) [15110901915 1585 105 0065 119 0106 [021015905-১২২ চাবণকেতর ভারতের দর্শনগুলির মধ্যে ষড়,দর্শন বা বেদ ও উপনিষদন্তসারী ছটি দর্শনের উল্লেখ কর] যেতে পারে । এগুলি ছাড়াও ভারতের দর্শনজগতে বৌদ্ধ ও জন চিন্তাধারার যথেষ্ট প্রতিষ্ঠা আছে। আত্তিকতার মানদণ্ডে ভারতীয় দর্শনগুলিকে বিচার করার সনাতনী প্রচেষ্টার উল্লেখ আমরা আগেই করেছি । এই মানদণ্ডের বিচারে বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শন আত্িকতার পধায়ে সপ ১২১। বৃহুদারণ্যক উপনিষদ, ২1৪।৩ ১২২। রা, 0,264 ৪৪ পটভূমি প্রসঙ্গে উন্নীত হতে পারেনি, এবং ভারতীয় দর্শনের ইতিবৃত্তকারদের মতে এদের স্থান নান্মিক চাবাঁকদের সঙ্গে একই সাধারণ পংক্তিতে । যদিও সর্বদর্শনসংগ্রহ- কার মাধবাচার্ধ নাঁত্তিক চার্বাককে এদের মধ্যে অগ্রণীর আসন দিয়েছেন 1১২৩ ভারতীয় এতিহের সাধারণ মূল্যবোধের শ্বীকৃতির বিচারে অবশ্য অধ্যাত্বদর্শনের যে ধারা! ড় দর্শনের মধ্য দিয়ে গ্রবহমান, ূ সেই একই ধারা বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শনকেও অভিসিঞ্চিত করেছে । আমাদের পরবর্তা আলোচনা চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনসমষ্টির সাধারণ ধর্মগুলিকে কেন্দ্র করে, যেগুলির বিরোধিতার মাধ্যমে 'নাস্তিক' পংক্তিতে চাব্ণকের আমন অবিসংবাদী । ষড়দর্শনের মধ্যে উপনিষদন্রলারী দর্শন হিসাবে প্রধানতঃ পাচটি দর্শনের নাম করা যেতে পারে-বেদান্ত, সাংখ্য, যোগ, নায় এবং বৈশেষিক, যদিও গপনিষদিক ভাবধারার অবিরুত রূপায়ণ একমাত্র প্রথমটিতেই দর্শশীয়। বৈদিক সাহিতোর অন্তিম অংশ হিসাবে উপনিষদ্‌ “বেদান্ত পদবাচ্য এবং বেদান্ত দর্শনকেও এই 'বেদান্তের” অনুবৃত্তি বল। চলে । ভাম্তকারদের বিভিন্নমুখী ব্যাখ্যার মাধ্যমে বেদান্ত দর্শনও অবশ্ঠ পরস্পর বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত। অন্যাস্ত দর্শনগুলিতে ত্বাধীন চিন্তার দ্বারা গপনিষদিক ভাবধারার অন্ুকৃতি অনেকাংশে ব্যাহত। কিন্ত এই দর্শনগুলির ব্যাখ্যাকারেরা উপনিষদেরই বাণীকে নানা ভঙ্গীতে ব্যাখ্য। করে উপনিষদের বাণীর মধ্যে তাদের এই পরিবতিত মূল দৃষ্টি ভ্গীর অস্তিত্ আবিষ্কার করেছেন । কাজেই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্নধমী মতবাদকে আশ্রয় করলেও মূলতঃ এরা সকলে উপনিষদ্রের সঙ্গে অবিরুদ্ধ মতবাদের পোষক এবং এদের দ্বার গ্রচারিঘ মতবাঁদকে সাধারণভাবে উপনিষদহ্ুসারী বলা যেতে পারে। জাগতিক ভোগন্বখের একান্ত নিবৃত্তি যেখানে সেই মোক্ষকে লক্ষা হিসাবে রেখেই এরা সকলে নির্দেশ দিয়েছেন । কারণ একমাত্র এই লক্ষাতেই তাদের মতে ছুঃখেরও চরম নিবৃত্তি | ভারতের ষড় দর্শনের মধো মীমাংসা উপনিষদের দ্বার! সাক্ষাংভাবে প্রভাবিত নয়। উহা! বেদেব ব্রাঙ্ষণভাগের উপর শ্রধানতঃ নির্ভরশীল । বৈদিক কর্ম- কাণ্ডের মাধ্যমে স্বর্গলাভ এই দর্শনে চরম চবিতার্থতা--এই দর্শনের আদি পর্যায়ে অন্ততঃ স্বর্গলাভের অতিরিক্ত অন্য কিছুর প্রয়োজনীয় ত| অনুভূত হয়নি । লম- সাময়িক অন্যান্য অধ্যাত্মদর্শনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মীমাংসার অভীষ্ট লক্ষ্যকে ১২৩। সবদর্শনসংগ্রহ, পৃঃ ১ ভারতীয় দর্শনের পটভূমি ৪৫ ভিন্নরূপ দেবার প্রয়াস পরব্তাঁ ভাস্তকারদের মধ্যে অবশ্য দেখ! যায়। প্রভাকর এবং কুমারিলের রচনায় ষে মোক্ষ চরম লক্ষা হিসাবে নির্দেশিত,১২* সংসার বন্ধনের পরিসমাপ্তির রূপ নিয়ে তা এই দর্শনটিকে উপনিষদনুলারী অন্য দর্শন- গুলির সঙ্গে এক ত্যত্রে গ্রথিত করেছে । ভারতীয় দর্শনের ইতিহাসে বৌদ্ধ ও জৈন দর্শন ষড়,দর্শন থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এক গোষ্ীতে অন্তৃভূক্তি লাভ করলেও ভাবগত এঁকোোর বিচারে এ দর্শন ছুটিও উপনিষদীয় দর্শনগুলির সমপযায়তৃক্ত | কামনাধমী বৈদিক ক্রিয়াবাছুলোর ভারে ক্লিট যে প্রেরণা উপনিষদীয় দর্শনের স্ষ্টির মূলে, বৌদ্ধ এবং জৈন মতবাদের উদ্ভৰের ষূলেও লেই প্রেরণার কাধকরিতা দেখা যায়। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণার জন্য বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শনের আবির্ভাবের এতিহামিক প্রয়োজনীয়তার অন্থসন্ধানে অগ্রসর হওয়। গ্রয়োজন । ২॥ কৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ রী্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রায় সমসাময়িক মহাৰীর এবং গোঁতমবুদ্ধের মাধ্যমে জৈন এবং বৌদ্ধ মতবাদ প্রায় একই সময়ে ভারতে চিস্তাগগনে আত্মপ্রকাশ করে ।১২৫ এই দুই মহাঙ্গানবের আবিতাবের যুগকে ভারতের চিস্তারাজো একটা অস্থিরতার যুগ হিসাবে বর্ণনা কর! যায়। বৈদিক যুপের শেষ পধায়ে যাগধজ্ঞাদি যখন তার প্রাণশক্কিকে হারিয়ে ফেলেছে, নিষ্পাণ অনুষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্র করে বৈদিক প্রভাব তখনও পূর্ণমাত্রায় কাধকরী। নান। ধরনের কুসংস্কার- যুক্ত আচ্চার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ লোক তখন হখের সন্ধানে বাস্ত। বুদ্ধির বিচারে উন্নত কিছু লোক গতান্ুগতিকতার বন্ধন কাটিয়ে উপায়লাস্তরের মাধ্যমে স্থথের পরিতৃপ্থি৭ প্রয়ামা হিল। উপনিষদীয় ভাবনা তখণ চিস্তারাঞ্জে কিছুটা আত্মপ্রকাশ করেছে, কিন্তু এ ভাবনা সাধারণ মান্ষের ধরাছোয়া ও নাগালের বাইরে । ভবিষ্যৎ ঘুগের দার্শনিক গোষঠীগ্ডালর পরিণত চিন্তাবৃক্ষের বীজ এই যুগেই ভারতীয় জনমানসে ক্রমশঃ অস্কুরিত হতে থাকে । ভারতের বৃদ্ধিগগন দেই সময়ে অপরিণত দার্শনিক মতবাদের বিক্ষিপ্চ খণ্ড মেছে সমাচ্ছন্ন। বৌদ্ধ সাহিত্যে গৌতম বুদ্ধের সমকালীন বিভিন্ন ধরনের বহুসংখাক চিন্তা- গোষ্ঠীর উল্লেখ দেখা যায় 1১২৬ চ২80121511510191,এর মতে 416 ৪5 817) 886 ১২৪ । [70১ 1] 00. 122-4 ১২৫ | [১১ 29 0,291. ১২৬। 1010, 0. 353, 2 2 ৪৬ পটভূমি গ্রসঙ্গে 06 9১6০812652 ০18909১ 0011 06 115502851566156 61560105155 2150 ৮88০০ ক/1817611716৮,১২৭ অপরিতৃপ্ত মনের নান! ভাবের জিজ্ঞাসার বহিঃপ্রকাশ এই সব বিভিন্ন ধশাচের মতের ব্বপায়ণে। কিন্ত জনজীবনের আচরণের সঙ্গে এগুলির কোন ষোগ ছিল না। প্রাত্যহিক আচার জনুষ্ঠানের পরিবর্তে নীতি- সম্মস্ভ কোন কর্তব্যের বিধান এগুলি জনগণের কাছে উপস্থাপিত করেনি । এই অস্থিরতার যুগে ভারতের মাটিতে আবিভূতি হন ছুই মহামানব, মহাবীর এবং গৌতম বুদ্ধ। চিন্তাবাঁজোর বিশৃঙ্খল! থেকে মান্থষের নৈতিক জীবনে ষে নৈরাজ্যের স্থষ্টি হয়েছিল, সেই নৈরাজ্যের কবল থেকে এই ছুই মহাপুরুষ ভারতের জনগণকে মুক্তির সন্ধীন দেন। বুদ্ধদেব প্রচার করলেন ষে মানুষ তার কাজ্কিত বস্ত লাভ করতে পারে আত্মানুসন্ধানের মাধ্যমে, পুরোহিত ব। ভগবানকে কেন্ত্র করে নয়। বৈদিক বিধানের নির্দেশনায় শু আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৰিভিম্ন দেবদেবীর প্রতি যে প্রাণহীন আহ্গত্য ক্রমশঃ পল্পবিত হয়ে উঠছিল তাকে তিনি অগ্রাহ করে চিত্ত শুদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করলেন। বুদ্ধদেবের বাণীতে শুধু ষে বৈদিক আচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হল তা নয়, অস্থির দর্শনচিন্তার অলস প্রবাহ উপযুক্ত কর্তবোর পথে তার গতিকে প্রসারিত করার প্রয়াস পেল। বৈদিক অনুষ্ঠানের বিরোধী হলেও দেশ ও কালের আধ্যাত্মিক ভাবধায়ার সঙ্গে বুদ্ধদেব প্রবতিত ধর্মের পূর্ণ সঙ্গতি ছিল এবং বস্ততঃপক্ষে উপনিষদীয় চিন্তারই এক নৃতন প্রকাশ তার বাণীর মধ্যে দ্রেখা গেল । 8২801১810:1910221 এর মতে 59115 73800171510) ০ ৬2100016009 108.2810 ৪. ০01060001:6, 15 0121 8.176509,001006]1ট 06 0109 06100015100 01 06 001997)158.05 0010 &, 135৬7 50830199490. প্রকৃতপক্ষে বৈদ্বিক চিন্তাধারার সঙ্গে সঙ্গতি রাখার থে প্রয়াম উপনিষদে কাযকরী বৌদ্ধ দর্শনে তা অদৃশ্য এবং সেইজন্য ৭০ ৭৪৮৪1০০ 1815 0186015 30430109. 1094 010] €0 110 013 (00827515805 01 09611 1)- 5018915061)0 501701910101929 ড/101 ৬61০ 70101061570 2170 16115101)) 520 25106 002 0:2105021)061)091 250206 2.5 10618 11706100185021915 00 60005109150 00176065521 60 0001215, 2100. 21001895192 0186 601)1০81 01216759115100 0৫6 06 (010917158,45.১২৮ ১২৭1 1029 2১09, 353 ১২৮। 101 00. 3909-]. বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৪৭ বৌদ্ধ দর্শনের মত জৈন মতবাদও ভারতের প্রাচীনতর চিন্তাধারার আর এক নৃতন প্রকাশ । জন সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মহাৰীরকে জৈন তীর্ঘস্কর বা ধর্মপ্রচারকর্গের মধো চতুবিংশ স্থান দেওয়া হয়ে থাকে । ভার মাধ্যমে পৃৰ- সুরীদের মত গুলিই একত্র গ্রথিত হয়ে নৃতনভাবে প্রচারিত হয়েছে বলে জৈনদের বিশ্বাস। মানুষের দুঃখ অপনোদনের প্রচেষ্টায় ই্জন তীর্ঘস্করদের এই ভাবনা ষে উপনিষদীয় চিন্তার সমধর্মী নানাভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায় । ভারতীয় অধ্যাত্বদর্শনের মূলগত এঁকোর বীজের সন্ধান প্রকৃতপক্ষে উপনিষদেই করা চলে এবং “নাস্তিক সংজ্ঞায় চিহিত বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শন ছুটির মধ্যেও একই উপনিষদীয় চিন্তার প্রবাহ ছুটি পৃথক ধারায় প্রবহমান । এ সম্বন্ধে আমরা ৬/11)62101হেএর মন্তুবা উল্লেখ করতে পারি 1১২৯ ও £৪06 086 11016 0::0116 18661 19101195091 ০0£ 00০ 10019175 15170006011) 0176 070517155935.70010611 00900010765 00101706001) 10900090100 001 006 ৬281308-১০০৪5 06 38001558109 110160৮6€1, 8]11 00061 01011050- 7011০51 55502105800 16118610195 10101) 17856 211561) 1] 0106 0010156 0৫ 006 06/001165) 0176 1)6160108] 3000153570 100 18955 01921) 0176 ০0: 061/09005 018101708171081 16118101) 01 0176 00950 13004010156 1961100919৬ 31010188 10£00 010 006 5011 01 00€ 00081215290 ৫00111905. উপনিষদ্দের অনুগামী সাংখ্যদর্শনের মধ্যে জাগতিক সব রকম ছুঃখের কবল থেকে অব্যাহতির জন্য যে তীব্র ব্াকুলতার প্রকাশ,১৩* তারই ভিন্নবূপে অভি- বাক্তি দেখ। যায় বৌদ্ধ দর্শনে ৷ সাংসারিক ভোগেব মধ্যে বুদ্ধদেব স্বখের সন্ধান পাননি । তাই ধনীর ছুলাল হয়েও তিনি সংসারত্যাগী এবং সেই পথেরই অ্গ- সন্ধানে বৃতী হয়েছিলেন ঘার অনুসরণে মান্য এই ছুঃখব্ছুণ সংসারের বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম । দীর্ঘ তপস্যার পর বুদ্ধদে অভীষ্ট লাভে সফল হয়েছিলেন এবং তাঁর এই সফলতার সাক্ষ্য বহন করে আছে বৌদ্ধ দার্শনিক চিন্তাধারা । সাধারণভাবে বলা যেতে পারে €য সাংসারিক ছুঃখের তীব্র জ্ালার অব- সানকে কেন্দ্র করেই চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনগ্রলি বূপায়িত | নিবাণের ১২৯। 10101 0০. 294-5 ১৩০। অথ ত্রিবিধছুঃখাত্যস্তনিবৃতিরত্যন্ত পুরুযার্থ: সাংখ্যপ্রবচনস্থত্র, ১১7 ছুখত্রয়াভিঘাতাজ্দিজ্ঞাদা তদপঘাতকে হেতো?, সাংখ্য- কারিকা, ১ ৪৮ পটভূমি প্রসঙ্গে মধ্যে বুদ্ধদেব এই ছুঃখের অবসান দেখেছিলেন, অন্তান্ত দশ নগুলির মতে মোক্ষ ব। মুক্তিতেই এর পরিসমান্তি। মোক্ষের স্বরূপ সম্বন্ধে ভারতীয় দশ'নের বিভিন্ন শাখায় বিভিন্ন বর্ণনা আছে । জন দাশ নিক চিন্তাতেও মোক্ষের শ্বীকৃতি আছে এবং এই ষত অন্গসারে মুক্ত পুরুষ নিজের পৃথক সত্বা রক্ষা করে অনন্তকাল ধরে অসীম শান্তি ভোগ করেন ।১৩১ সাংখা, যোগ এবং বেদান্ত মুক্তিকালে চৈতন্ত- রূপী আত্মার শুদ্ধ শ্বরূপে অবস্থিতিকে স্বীকার করে 1১৩২ বেদীন্ত দর্শনের বন্ধ স্থলে এই শ্বরূপের সঙ্গে আনন্দরূপকে একাত্ম করা হয়েছে,১৩৩ কিন্তু এ ধরণের কোন উল্লেখ সাংখা এবং যোগদর্শনে নেই । ছুঃখভোগের পরিসমাপ্তি কামনায় যে মোক্ষকে সাংখ্য ও যোগ লক্ষ্য হিসাবে নির্দেশ করেছে, স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই মোক্ষের অবস্থাতে কেবল যে ছু'খই অন্ুপস্থিত তা! নয়, বাবহারিক সংজ্ঞায় চিহ্নিত স্থখেরও একান্ত অভাব । ষে যুক্তির মধো জাগতিক লব রকম ছুঃখের নিবৃত্তি রূপায়িত, সেই মুক্তি বা ধোক্ষ ভারতীয় দশনিকদের বিচারে পরম পুরুষার্থ বা মানুষের বহু-আকাঙ্থিত লক্ষ্য হিসাবে গণ্য । সাধারণ মানুষ তার কাম্য বস্তকে নেতিবাচক রূপে কখনই দেখতে চায় না। ছুঃখের উৎপীড়ন থেকে মুক্তি সে স্বাভাবিকভাবেই কামন৷ করে, এবং তার পরিবর্তে সে চায় জাগতিক ম্খের আম্বাদন। কাজেই সাংখ্য ও যোগ যখন মোক্ষকে স্থখ এবং দুঃখ উভয়েরই অভাববূপে বর্ণনা করে তখন মোক্ষকে পরম পুরুষাঁথ বলে স্বীকার করতে অনেকেরই আপত্তি থাকতে পারে । সাংখ্যাচার্য বিজ্ঞানভিক্ষু তার সাংখ্য প্রবচনভাক্তে এই ধরনের আপত্তির সম্ভাবনাকে পরিহার করার চেষ্টা করেছেন 1১০, মানুষের মধ্যে তিনি শ্রেণীভেদ দেখিয়েছেন । জাগতিক স্থখে একশ্রেণী মধ থাকতে অভিলাষী । আবাব অপর শ্রেণীর লোকেদের কাছে ছুঃখের চরম নিবৃত্তিই পরম পুক্ষাথ। মুক্তি লক্ষ্য হিসাবে নির্দেশিত কেবল এই দ্বিতীয় ণীর মাগুষের কাছে । সাধারণ বা প্রথম্ন শ্রেণীর লোকের কাছে এর কোন্‌ আকর্ষণ নেই । নৈয়ায়িকেরাও দুঃখের চরম অবসাঁনকে মুক্তির মধো বূপায়িত করতে চান । ১৩১ । ভারতবর্শনসার ; পৃ ১১৫ । ১৩২। অত্যস্তহূঃখনিবৃত্তা কৃতরুত্যতা, সাংখ্যপ্রবচণস্ত্র, ৬৫ ; যোগ- সুজ, 91৩৪ ; শাভ?, ৪5181১-৩ ১৩৩ । “অনবচ্ছিম্নানন্দ প্রাপ্তি, 10, 1১? 637-তে উদ্ধৃত চিৎসুখাচার্ষের উক্তি অনুসারে । ১৩৪ । সাংখ্যর প্রবচনভাষা ৬।৯ বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৪৯ কিন্ত সাংখ্য, যোগ বা বেদান্ত মতের সঙ্গে এদের মতের মূলগত পার্থকা আছে। মুক্ত অবস্থায় আত্মার যে চৈতন্যময় সত্তা সাংখ্য যোগ ব! বেদাস্তমতে স্বীকৃত, স্তায় মতে মোক্ষে তার অস্তিত্ব নেই, এবং এইজন্যই মৃক্তি সম্বন্ধে নৈয়ায়িকদের ধারণাকে খুব স্পষ্ট বল! চলে না। ন্যায়স্থত্র অনুসারে মুক্তি শবের অর্থ হুঃখের আত্যস্তিক উচ্ছেদ ।১৩৫ স্যত্রের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ভাস্যকার বাতস্টায়ন মোক্ষাস্থায় সখের অন্গপস্থিতির কথাও উল্লেখ করেছেন । চৈতন্যোর অভাবের পটভূমিতে ছুঃখ, স্থখ ইত্যাদি সব কিছুরই অনুপস্থিতিতে যে অবস্থার স্থষ্টি হয় যুচ্ছাবস্থার সঙ্গে তার সাৃশ্ত কল্পনীয়। এই অবস্থার অনুরূপ মুক্তি কোন ব্যক্তির কাম্য হতে পারে না।১৩৬ ন্যায়স্আাুসারী মুক্তি সম্বন্ধে এ ধরনের আশঙ্কার নিরসন- ক্লে ন্যায়ভাস্তকার মুক্তিকে পরম শান্তির অবস্থা রূপে বর্ণনা করেছেন । দুঃখের চরম অভাবের মধ্যেই এই শান্তির ব'জ নিহিত বলে তাঁর অভিমত 1১৩৭ কোন কোন “নয়ায়িকের মতে অব্ মুক্তিতে জীবের আনন্দবান্তৃতি থাকে । মাধবা- চার্ধের লেখা 'শ্রীমচ্ছঙ্করদিপ্িজয়' গ্রন্থে ন্যায়ের মুক্তি সম্বন্ধে শঙ্করাচার্ধের অভি- মতের বর্ণনা থেকে এটা জানা যায় ।১৩৮ যাই হোক, ছুঃখের আতাস্তিক অবসানকে লক্ষ্য করেই ঘে ভারতীয় দর্শনে মুক্তি বা নির্বাণের বূপায়ণ, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। মাস্ধুষ প্রাথমিক পর্যায়ে স্থখের অভিলাষী । এই স্থখের পথের প্রতিবন্ধক তার কাছে ছুঃখ, এবং এই দুঃখের প্রতিকারের সে চেষ্ট করে সর্বজনন্বীকৃত লৌকিক পথকে অবলঘন করে। কিন্ত এ ছুঃখনিবৃত্তি এবং তার পরিণতিতে পাওয়। স্থথ সাময়িক এবং সামগ্রকভাবে বিচার করলে জনিত ক্ষেত্রেই বৃহত্তর ছুঃখের প্রস্ততি হিসাবে । সপ ১৩৫ | দুঃখ...বাপায়াদপবর্গঃ ১।১।২ ; ৰাধনালক্ষণং ছুঃখমিতি । তদত্ান্ত- বিমোক্ষঃ অপবর্গঃ | ১1১/২১-২২; স্ষুপ্তন্ত ম্বপ্পাদশনে-ক্রেশা- ভাবাদপবর্গ: ৪1১৬৩ ১৩৬। “অপবর্গে ভীম্ম: খন্বয়ং সর্বকাষোঁপরমঃ, সর্ববিপ্রয়্োগেইপবর্গে বন ভদ্রকং লুপ্যত ইতি কথং বুদ্ধিমান সর্বন্থখোচ্ছেদমচৈতন্তমমুমপ- বর্গং রোচয়েদিতি'১১।১।২ ১৩৭। “অপবর্গে শাস্তঃ খন্বয়ং লর্ববিপ্রয়োগঃ সর্বোপরমোইপবর্গঃ, বন চ রুচ্ছং ঘোরং পাপকং লুপ্যত ইতি কথং বুদ্ধিমান সর্ব্ঃখোচ্ছেদং সর্বছূঃ খাসংবিদমপবর্গং ন রোচয়েদিতি', এ ১৩৮ তত আনন্দ-সংবিং-সহিতা। বিমুক্কি2, ১৬।৬৯ ৫ পটভূমি প্রসঙ্গে গণ্য হতে পারে (১৩৯ ভারতের দার্শনিক তাই ক্ষণস্থায়ী মুখের প্রতি উদাসীন থেকে সংসারের ছুঃখবহুলতাকেই প্রাধান্ত দেন এবং নির্বাণ বা মুক্তির মধ্যে সংসারবন্ধনের সমাপ্তি নির্দেশ করেন । কিন্তু ছুঃখের এই চরম নিবৃত্তি লাঁভ কর! মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না, যতক্ষণ পর্যস্ত না দুঃখের মূল এবং সেই মূলোচ্ছেদের সঠিক উপায় অবধারণ করা যাঁয়। কাজেই জাগতিক দুঃখের চরম নিবৃত্তির সম্ভাবাতার ধারণার সঙ্গে আন্ষঙ্গিক- ভাবে জড়িত আরও কয়েকটি স্বীকৃতি । এই স্বীকৃতিগুলিই রূপায়িত বুদ্ধবণিত চারটি সত্যের মাধ্যমে--জগৎ ছুঃখময়, দুঃখের কারণ আছে, ছুঃখ থেকে পরিত্রাণ এবং এই পরিত্রাণের উপায়ও আছে। ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখায় নানা ব্যাপার নিয়ে নানারকম বিরোধ দেখা যার, কিন্ত এই সব বিরোধের অস্তরালবতী কাঠামো বুদ্ধন্বীকূৃত “চত্বারি আর্ধসত্যানি' বা এই সতাচতুষ্টয়ের ভাবনা দিয়ে গড়|1১৪* এই ভাবনার ভিত্তি হিসাবে কতকগুলি সাধারণ ধারণ। চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনের সব শাখাতেই অনুমোদন লাভ করেছে । প্রথম ধারণ! দেহাতিরিক্ত আত্মার অস্তিত্ব এবং ভারতের দর্শনচিস্তার মূল এই আত্মার স্বরূপ নির্ণয়ে বা অধ্যাত্ববাদে নিহিত ! 7২৪417910:151721)-এর মতে১৪১ 4606 0010011)81)0 01081580606 01 00610001910 100100 10101) 085 ০০0100160 21] 15 01010016910 [00011960 91] 105 01700151965 15 0186 991110091 021361705. ছুঃখময় সংসারবদ্ধনের পরিসমাপ্তি হিসাবে মোক্ষ বা নির্বাণ সম্বন্ধীয় ভারতীয় ধারণার উল্লেখ আমরা করেছি । মরণের পর দেহ- নাশের সঙ্গে জীবের অন্তিত্বেব অবসান কল্পনা করলে এই আকাজিকফষিত লক্ষ্যে উপনীত হবার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। কাজেই দেহসীমার বাইবেও দেহাতীত রূপে জীবের বর্তমানতা স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিবাদের সমর্থকদের অনু- ্্্সস ১৩৯। “কুত্রাপি কোইপি স্থখী | তদপি ছুঃখশবলমিতি ছু:খপক্ষে নিক্ষিপস্তে বিবেচকাঃ', সাংখ্যপ্রবচনস্ত্র ৬৭-৮, স্থত্রের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ভাস্ত- কার বিজ্ঞানভিক্ষু লৌকিক স্থখের অন্তরালে প্রচ্ছন্ন দুঃখের অস্তিত্বের সমর্থনে বিষ্ণপুরাণের অন্তর্গত এই শ্লোকটি উদ্ধত করেন_-“যদ্‌ য প্রীতিকরং পুংসাং বস্ত টমত্রেয় জায়তে । তদেব ছুঃখবৃক্ষম্য বীজত্ব- মুপগচ্ছতি 1” স্ায়ভাম্তকার বাত্স্তাক়্নের মতে “যথ। মধুবিষসম্পূ ক্তা- রমনাদেয়মিত্যেবং সুখং ছুঃখান্ষক্তামনাদেয়মিতি' ১।১।২ ; প্পরি- ণামতাপসংস্কারছুঃখৈ-**ছুঃখমেব সর্বং বিবেকিনঃ", যোগন্থত্র, ২1১৫ ১৪৯ । ***ছিদমপি শাস্ত্ং চতুবৃহমেব, তদযথ ..মোক্ষোঁপায় ইতি' যোগ- ভাষ্য, ২।১৫ ১৪১1 17, 10. 41 বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৫১ মোদন লাভ করেছে । “আমি এই অন্ুত্তিই আত্মার অস্তিত্বের সব চেয়ে বড় প্রমাণ। মানুষের জীবিতকালে এই আত্মা তার দেহের মাধ্যমে অভিব্যক্ত হয় এবং স্থুল বিচারে আত্মকে সে সময় দেহের অঙ্গীভূত বলে মনে হয়। কিন্ত আত্ম৷ দেহ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক--ভারতীয় অধ্যাত্মদ্শনের এটাই অভিমত 1১৪২ এই দেহাতিরিক্ত আত্মার স্বরূপ সম্বন্ধে বিভিন্ন মতবাদের প্রচলন দেখা ঘায়। চারাকেতর ভারতের এন্ঠান্ত দর্শনের সমধর্মী হয়েও বৌদ্ধ ধারণ। এ ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্যের ইঙ্গিত বহন করে । বৌদ্ধ দর্শনে অবিকারী স্থায়ী আত্মার কোন কল্পনা নেই।১২ বৌদ্ধ মতে স্থখ দুঃখের অনুভূতি, জ্ঞান ইত্যাদি সব কিছু ক্ষণিক এবং এই ক্ষণিক অন্ুভূতির প্রবা.হ তার। জ্ঞাতৃহ আরোপ করেন 1১৯, মানবমনে উদ্ৃত জ্ঞানের বিভিন্ন বিচিত্র প্রবাহে আত্মবাদী আশাধেরা স্থির আত্মন্বরপের বিভিন্ন ভাবের প্রকাশ বলে মনে করেন । বৌদ্ধরা আত্মার অস্তিত্বকে শ্বীকার করেন না| মাশবমনের নিত্য পরিবর্তনশীল বিচিত্র অঙ্গু- ভূতির বাষ্টিরূপ তাঁদের কাছে ভোক্ৃৃত্বের মহিমায় মণ্ডিত। নিতা চৈতন্তের স্বীকৃতিতে উভয় পক্ষই এগানে সমধর্মী, পার্খক্কা কেবল দৃষ্টিভঙ্গীতে ৷ বিভিন্ন- ধর্মী পুষ্পের সমবায়ে গ্রথিত মালার অন্তর্গত কুহমপগ্তলিকে যেখানে বৌদ্ধরা পৃথকভাবে প্রাধান্য দেন, আত্মবাদী দার্শনিকদের কাছে সেখানে মালাটি তার অখণ্ড অন্তিত্বে প্রকাশমান। কাজেই দৃশ্বমান পার্থক্য সত্বেও লামগ্রিক মূল্যা- য়ণের পরিপ্রেক্ষিতে বৌদ্ধ দর্শনকেও্ আম্রা ভারতীয় অধ্যাত্মদর্শনের মমধমণ বলে 'ধবে নিতে পারি। ১৪২। সাংখ্যপ্রবচনস্তত্র, ৬।১-৪ ১৪৩ | *আবত্বা' শব্দটি বৌদ্ধ বিজ্ঞানবাদী দর্শনে কোন কোন ক্ষেন্তে স্থান লাভ করলেও শব্দটি সেখানে ভিন্ন অর্থের পরিচায়ক । বিজ্ঞান- বাদীরা “আত্মা শব্দটি ব্যবহার করেছেন সংসারদশায় বদ্ধ জীবের বিপর্যস্ত বিজ্ঞানকে বোঝাতে এবং “নরাক্ক্য' তাঁদের কাছে এর বিপরীত অর্থের গ্যোতক | ( আত্মদর্শন-বিরুদ্ধ্চ নৈরাস্ম্যদর্শনম্‌-.' নৈরাত্মাদশনন্যাত্মবশনেন সহ বিরোধাৎ, তত্বসংগ্রহ, পৃঃ ৮৭০) বৌদ্ধমতে সব্জ্ঞ এই নৈরাগ্যের সাধনাতে নিজেকে মগ্ন করেন এবং সর্বজ্ঞতা ইত্যাদি আত্মবাদীদের স্বীকৃত বিজ্ুদ্ধ আত্মার শ্বাভাবিক ধর্মে ভূষিত হুন। (প্রত্যক্ষীকৃত-ননরাক্সে ন দোষো লভতে স্থিতিম্‌ "'তত্বসংগ্রহ, ৩৩৩৮) ১৪৪। সাংখ্যপ্রবচন ভাস্ত, ৫1৭৭তে বলা হয়েছে যে বৌদ্ধ ধারণায় ক্ষণিকজ্ঞানমেবাত্ব ৫২ পটভূমি প্রসঙ্গে জন্মান্তরবাদ বা এই দেহাতিরিক্ত আত্মার দেহ থেকে দেহাস্তরে পরিক্রমা ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন ৰিভাগে অনুমোদিত আর একটি সাধারণ ধারণা । যে মোক্ষ ব৷। নির্বাণ ভারতের অধ্যাত্দর্শনে চরম লক্ষ্য হিসাবে নির্দেশিত, তাকে বিশেষ কোন জন্মমৃত্যুর পরিসরে আবদ্ধ জীবনে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। এই লক্ষ্যে উপনীত হুবার প্রস্ততি হিসাঁবে স্বীকৃত হয়েছে নির্দিষ্ট কোন জীবনের আগে এবং পরে জীবের আরও বিভিন্ন জন্মের অস্তিত্ব । এই জন্মগ্তলিতে ভোগের মাধ্যমে প্রারন্ধ কর্ম ক্ষয় করে জীবকে যেতে হয় মোক্ষের ছারগ্রাস্তে এবং জন্ম থেকে জন্মান্তরের এই সুদীর্ঘ পথের অতিক্রমণে যাত্রী জীবের দেহাতীত সত । এই প্রসঙে কর্মফলবাদেরও উল্লেখ করতে হয়। কারণ প্রকৃতপক্ষে জন্মা স্তরবাদ এবং কর্মফলবাদ _এ ছুটি ধারণ পরম্পরের পরিপূরক । এই জন্মাস্তর আর কর্মফলের ন্বীকৃতির ভিত্তির উপর ভারতীয় দর্শনের যে বিশাল সৌধ দণ্ডায়মান, তার সম অংশীদার বেদ ও উপনিষদহুসারী ষড়.দর্শনের সে বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শন। বৌদ্ধবিশ্বাস অন্ধ্যায়ী বুদ্ধদেব বোধিসত্ব রূপে বিভিন্ন জন্ম অতিবাহিত করার পর শাক্যবংশীয় অস্তিম জীবনে বৃদ্ধত্ব বা ৰোধিজ্ঞানের অধিকারী হুন। যে ধারণার পটভূমিতে কর্মফলবাদ রচিত তার প্রতিচ্ছবি দেখা যায় আধুনিক বস্তকেন্দ্রিক বিজ্ঞানে অনুমোদিত একটি স্বতঃসিদ্ধ নীতিতে | এ নীতি অনুসারে জগতের প্রতিট ক্রিগ্না সমধর্মী এবং বিপনীতমুখী অপর একটি ক্রিগ্নার জনক । সাধারণ এই ধারণাটি কিন্তু ভারতীয় অধ্যাত্বদর্শনের প্রলেপে সম্পূর্ণ নিজম্ব এক আকার পরিগ্রহ করেছে-কর্মফলবাদের আকারে যা ভারতের অধ্যাত্মচিস্তার অঙ্গীভূত। ভারতের এই মৌল অধ্যাত্মচিন্তার রূপায়ণ সম্ভৰ হয়েছে একমাত্র জন্মান্তরবাদের পটভূমিকাঁয়। কর্মফলবাদীর্দের মতে মানুষের অনুষ্ঠিত সব কর্মই সুনির্দিষ্ট পরিণতির অপেক্ষা রাখে এবং এই পরিণতির ভাল মন্দ, তারতময ইত্যাদি নির্ভরণীল কৃত কর্ধের গুণাগুণের উপর । মানুষ তার স্বকৃত কর্মের ফল নিজে ভোগ করতে বাধা । সব কাজের ফল এক জন্মে পাওয়া যায় না। ষে জয়ম্বত্যুসীমানার মধ্যে একটি কাজের অনুষ্ঠান, অনেক সময় সেই সীমানার মধ্যেই কাজটি ফলবাহী হয়। আবার বহু ক্ষেজে সেই কাজের ফল অন্য জন্মে পাওয়া ঘায়। কৃত কর্মের ছাপ আত্মার মধ্যে সংস্কারের আকারে সঞ্চিত থাকে এবং জন্ম থেকে জন্মান্তরে পরিচালিত হয় । ম্যায় ও বৈশেষিক দর্শনের মতে এই সংস্কারের লঙ্গে যুক্ত অনদৃষ্ট। এই অনৃষ্টকে ছু'ভাগে ভাগ কৰা ধায়_-ধর্ষ এবং বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৫৩ অধর্ম 1১৪৫ এগুলির উৎপত্তি যথাক্রমে শুভ ও অশুভ প্রবৃত্তি থেকে । মধুহষের দেহত্যাগ, জন্মান্তরে নৃতন দেহে প্রবেশ ইত্যাদি এই অদৃষ্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রি হয়। মীমাংস! দর্শন তার নিজন্ব মতে বিশেষ ক্ষেত্রে এই শক্তিকে “অপূর্ব, আখ্যায় অভিহিত করেছে । বৈদিক যাগষজ্জে এই দর্শন বিশ্বাসী এবং পরিণামে ্বর্গই তার লক্ষ্য । মীমাংসার মতে যজ্ঞাদি ক্রিয়া 'অপূর্ব" নামে ঘে শক্তির সঞ্চার করে মৃত্যুর পরেও তা ঘজ্ঞা্দির কর্তা মানুষের আত্মাকে আশ্রয় করে থাকে এবং উপযুক্ত সময়ে ফল প্রসব করে ।১৪৬ যোগশাস্ত্রে কর্ম ও তার ফল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা আছে । মানুষের কৃত কর্মের যে সংস্কার দেহ থেকে দেহান্তরে যাবার সময়েও আত্মার সঙ্গী হয়, যোগের পরিভাষায় তার নাম “কর্মীশয়' । যোগভাষ্কের ব্যাখ্যায় এই “কর্মীশয়কে ধের্ম' ও “অধর্ম বলে বর্ণনা করা হয়েছে 1১৪৭ এই “কর্মাশয়” বা সংস্কারের মাধ্যমেই কৃত কর্ম উপযুক্ত সময়ে ফলাবহী হয়। যোগন্ত্র অনুসারে এই কর্মীশয়ের বিপাক বা ফলে পরিণতি তিন শ্রেণীতে বিভক্ত১৪৮--জাতি, আয়ু ও ভোগ। বিশেষ পরিবেশে জন্ম বা জাতি, আমু অথবা জীবনের পরিধি এবং ভোগ বা স্থখছুঃখময় সংসারজীবনের বিচিত্র অন্ভূতি__সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত তার 'কর্মাশয়' অথবা পূর্বজন্ম কিংবা সেই জন্মেই অনুষ্ঠিত কর্মের সংস্কারের দ্বারা। মানুষের সঞ্চিত কর্মের সংস্কার যত দিন না ভোগের মাধমে ক্ষীণ হয়, ততদিন মানুষ জন্ম থেকে জন্মান্তরের ঘুর্ণাবর্তে ঘুরে ছুঃখময় সংসারের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে | এই সংস্কারের সম্পূর্ণ অবসান হলেই মোঁক্ষ সম্ভব। সম্পূর্ণ কর্মহীন অবস্থায় মানুষের কোন লময়ে থাকা সম্ভব নয়। দৈহিক কর্মে লিপ্ত না হলেও মানসিক চিন্তার মাধ্যমে কাজ তাকে করে যেতেই হয়। যদি প্রত্যেক কাজ তার সংস্কার রেখে যায় এবং এই সংস্কার পরিণতি লাভ করে, তাহলে ত মানুষের পক্ষে জন্ম-জন্মান্তরের আবর্ত থেকে পরিজ্রাণের কোন উপায়ই ১৪৫ | ন্টায়ভাষ্য মতে পূর্বরৃত কর্মের শুভ এবং অশুভ ফল যথাক্রমে ধর্ম এবং অধর্ম আখায় অভিহিত । ( 'পূর্বশরীরে ঘা! প্রবৃত্তির্বাগ.বুদ্ধি- , শরীরারস্তলক্ষণা তত পূর্বকৃতং কর্মোক্তম্‌, তন্ত ফলং তজ্জনিতৌ ধর্মাধর্মৌ?, ৩1২৬৪ ) ১৪৬। পূর্বমীমাংসাস্থত্র, ২।১।৫ ১৪৭ | “কর্মণামাশয়ে| ধর্মাধর্মৌী”, তত্ববৈশারদী£( যোগস্থত্রভাঙ্ক, ২১২) ১৪৮। “সতি মূলে তদ্ধিপাকে| জাত্যাফুর্ভোগাঃ, ষোগন্ুত্র, ২১৩ ৫৪ পটভূমি প্রসঙ্গে থাকে না এবং মোক্ষ বা নির্বাণ লাভ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে । ভারতের দশনে তাহলে মোক্ষকে চরম লক্ষ্য হিসাবে নির্দেশ করারও কোন সার্থকতা থাকে না। এই সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টা! যোগশাস্ত্রের বর্ণনার অন্থসরণেই আবার আমাদের করতে হবে । এই প্রসঙ্গে ঘোগশাস্ত্রের পরিভাষায় অন্তভূক্তি “ক্লেশ' সম্বন্ধে আলোচনা প্রয়োজন, কারণ একমাত্র এই ক্লেশের সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমেই যোগমতে কৃত কর্মের ফলাবহী হওয়া সম্ভব 1১৭৯ ক্লেশ পাঁচ রকম £ অবিষ্যা, অন্মিতা, রাগ, ঘ্বেষ ও অভিনিবেশ 1১৫৭ রাগ বা আসক্তি এবং দ্বেষ বা হিংসা সকলের কাছে স্থপরিচিত এবং উন্নততর জীবন লাভ করার পথে এগুলির উচ্ছেদের বিধান অনেকেই দিয়ে থাকেন । ন্যায়দশনে রাগ ও ছ্বেষ “দোষ সংজ্ঞায় অভিহিত 1১৫১ রাগ ও ছ্বেষের সঙ্গে অপর তিনটি ক্লেশেরও সবিস্ঠার বর্ণন। যোগশান্ত্রে আছে। ক্লেশগুলির মধ্যে অবিগ্যাকে প্রধানতম বলে বিবেচনা কর। হয়েছে । যোঁগ- ভাম্তমতে অবিষ্ভার প্রভাবে প্রভাবিত জীৰ বিভিন্ন ধরনের ক্লেশের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং সেইজন্য অবিদ্ভাকে দূর করতে সম্থ হলে স্বাভাবিকভাবেই সে অন্য ক্লেশের কৰল থেকেও পরিত্রাণ পায়। কাজেই যোগশান্ত্রের নির্দেশ অনুযাক্সী কর্ষাশয়- গুলির ফলাবহী হবার কারণ সাধারণভাবে “অবিষ্ঠা? 1১৫২ ভারতের দার্শনিক ছুঃখময় জগতের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই অৰিদ্যার দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছেন ।১৭৩ “বিদ্যা” ৰা সত্য জ্ঞানের বিপরীত মিথ্য। জ্ঞানের সংস্কারের অথে 'অবিষ্য।” ব্যবহৃত । আমাদের আত্মস্বরূপ নিত্য, মুক্ত ও শুদ্ধ এবং দেহ বা মন থেকে সম্পূর্ণ পৃথক | মংসারী জীব মিথ্যা জ্ঞানের প্রভাবে নিজেকে বিকারশীল বস্তজগতের সঙ্গে একাত্ম করে দেখে এবং এই জ্ঞানেরই সংস্কারবণে জন্ম থেকে জন্মান্তরে ঘুরে কৃত কর্মের সুখছুঃখময় ফল ১৪৯। ক্লেশমূল; কর্মাশয়ো। দৃষ্টাদৃষ্উজম্মবেদনীয় 2 যোগস্থত্র ২১২ ১৫০ | অবিগ্ভাম্মিতারানদ্বেধোভিনিবেশাঃ পঞ্চ কেশাঃ, যোগস্ুত্র, ২।৩ ১৫১ । গ্যাক্সস্যত্র, 91২।১-২ 7 ১1১1১৮ ১৫২। “সর্ব এবামী ক্লেশা অবিদ্যাভেদা:১ কম্ম।ৎ, সর্বেষু অবিদ্যৈবাঁভিপ্রবতে যদবিছ্যয় বন্তাকার্ধতে”, যোগভাস্ত ২।৪ ১৫৩। “তিদস্থ্া মহতো। ছুঃখসমুদায়ন্ত গ্রভববীক্মমবিদ্যা যোগভাম্রু, ২১৫; তস্য হেতুরবিদ্যা, যোগন্থত্র ২২৪ বৌদ্ধ ও (জন মতবাদ ৫৫ ভোগ করে চলে। “অবিদ্যা” দুরীতৃত হয় “বিবেকখ্যাতি'১৫১ বা সতা জ্ঞানের মাধ্যমে এবং এই জ্ঞান লাভ হলেই জীব মু।ক্তর পথে পদক্ষেপ করে । যোগশাস্ত্রে বণিত: এই “এবিদ্যা" সাংখো “অবিবেক” বলে নির্দেশিত এবং সতা জ্ঞানের সাহায্যে এই “অবিবেক' দূর করার বিধান আছে ।১৫ দুঃখময় সংসারবন্ধন ছিন্ করার জন্য ভারতের অন্তান্ত দশনেও একই উপায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রকাশভঙ্গী এবং পরিভাষ! ধদিও এক্ষেত্রে প্রত্যেক দর্শনেরই নিজন্ব । এই সত্য জ্ঞানের উন্মেষ এক দিনে হয় না এবং এই জ্ঞান অজন করাও সহজ নয়। কিন্ত চরম দুঃখনিবৃত্তির জন্য অন্ত কোন পথ নেই এবং ভারতীয় ধনের বিভিন্ন শাখায়, বিশেষতঃ যোগশাস্ত্রে এবং বৌদ্ধ ও জৈন দশনে, এই পথের সবিষ্তার বর্ণনা আছে। মুক্তি বা ভোগাত্মক সংসারের অবসানের পথ ধরে ভারতীয় অধ্যাত্মদশনের অগ্রগতি, কিন্তু মানুষের সাংসারিক জীবনেও এর আবেদন কম নয়। আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি যে মোক্ষ পরম পুরুষাথ হিসাবে বিবেচিত একমাজ্স সেই শ্রেণীর লোকেদের কাছে, ছুঃখের পরিবর্তে জাগতিক স্থখের ধারা অভিলাষী নন, অর্থাৎ জাগতিক হ্খের নশ্বরতা যাঁরা উপলব্ধি করতে সমর্থ। মানুষের মুক্তি- পথের সুচনা এই ধরনের উপলব্ধি থেকে, যার পূর্ব পর্যন্ত সাংসারিক স্থখ তার একমাত্র কাঁম্য এবং মোক্ষের কোন আবেদনই তার কাছে থাকে না। সুতরাং মনে হওয়া স্বাভাবিক যে মুক্তিপথের নিদেশক ভারতের অধ্যাস্বদর্শন সাধারণ সংসারী মান্থষের জীবনদর্শনে প্রয়োজনীয়তার কোন বার্ত! বহন করে আনতে পারে না। প্রকৃত বিচারে কিন্তু দেখা যায় ঘে মানুষের সংসারী জীবনও এই দর্শনের পরিধির অন্তভূক্ত । ভারতীয় দশনে স্বীকৃত কর্মকলবাদ অনুসারে ভাল বা মন্দ কাজ যথাক্রমে স্থখ ও ছুঃখেব জনক হিলাবে নির্দেশিত । ফলে সংসারী মানুষ স্থখের আশায় সং কাঁজের অনুষ্ঠানে প্রেরণা পায় । এবং অনিষ্টের আশঙ্কা করে স্বার্েরই অন্থরোধে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে । কাজেই মূলতঃ আধ্যাত্মিক হলেও ভারতের দর্শন লংসারী মানুষের নৈতিক জীবনকে যথেষ্ট প্রভাবান্থিত করেছে । অনৃষ্টা, পির্ম-অধর্মা, পাপ-পুণ্া? ইত্যাদি ধারণা ভারতের জনজা বনে কর্মকলবাদের অবদান। মানুষ নিজের অনৃষ্ট যে নিজেই তৈরী কবে সেটা হয়ত সকলে ভেবে ১৫৪ | বিবেকখ্যাতিরবিপ্রবা হাঁনোপায়ঃ, যোগন্ত্র, ২২৬; ইত্যেষ মোক্ষগ্ত মার্গে হানন্যোপায় ইতি, যোগভাঙ্য ১৫৫1 সাংখ্যপ্রবচনস্থত্র, ১1৫৫) ৬১৬ ৫৬ পটভূমি প্রসঙ্গে দেখে না, কিন্তু অন্থায় করলে তা ধর্মে সয় না এবং তাতে পাপ হয়--এ বিশ্বাস ভারতীয়দের মজ্জাগত | এই বিশ্বাসেরই ফলস্বরূপ ভারতের জনজীবনে নৈতিক এক সানদও বর্তমান। ভারতীয় অধ্যাত্মদর্শনের বিভিন্ন শাখায় তার মূল লক্ষ্য ছুঃখের একান্ত অবসানে উপনীত হবার পথের বর্ণনা নানাভাবে দেখা ঘায়। আর এই লক্ষ্য ও পথের বিস্তারের মধ্য দিয়েই ভারতের বিভিন্ন দর্শন পদ্ধতি শাখায় শাখায় পল্পবিত। অবশ্ট ভিতরের খুটিনাটি নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে প্রচুর মতভেদ আছে । কারও আশ্রয় চরম অধ্যাত্ববাদ, আবার কেউ বা বস্তবাদের সঙ্গে অধ্যাত্ববাদের বোঝা- পড়ার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু উদ্দেশ্য সকলের এক । মোক্ষ লাভ করার জন্য প্রয়োজন আত্মার প্ররুত ম্বর্ূপের উপলব্ধি এবং এই আত্মস্বকূপের নির্ণয়ে সাংখা যোগ এবং বেদান্ত সাধারণভাবে একমত । সাংখ্া- যোগ মতে প্রকৃতি ও পুরুষ, ভোগা ও ভোক্তা, এই ছুই এর সংযোগে জগৎ তৈরী । এই পরিবর্তনশীল ব৷ পরিদৃশ্তমান জগত প্ররুতিরই বিভিন্ন বিকার এবং এই পরিবর্তনের পটভূমিকায় পুরুষ বা আত্মা তার অপরিবর্তণীয় শাশ্বত অস্তিত্ব নিয়ে বিরাজমান । সাংখ্যে প্রকৃতি ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক । প্রক্কাতির মধ্যে যে অসম্পূর্ণতা আছে, সেই অসম্পূর্ণতাকে দূর করার জন্যই যেন সাংখ্যে পুরুষের কল্পনা । আমাদের চিরপরিচয়ের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ বিকারধর্মী এই জগতের কোন ছাপ পুরুষ বা আত্মার মধ্যে নেই। আত্মার এই রূপ সম্বন্ধে সাংখা এবং বেদাস্তের- মতের সাদৃশ্তের উল্লেখ পূর্বেই করা হয়েছে । ন্যায়- বৈশেষিক, বৌদ্ধ, জৈন প্রভৃতি ভারতের অন্য দার্শনিক গোষ্ঠীর ধারণা কিছুটা ভিন্ন হলেও এ বিষয়ে সকলেই অভিন্নমত যে মুক্তির পথে অগ্রসর হতে হলে আমাদের লক্ষাকে একান্তভাবে অসম্পূর্ণ বস্জগতের বিপরীতমুখী কর! উচিত। বুদ্ধের অন্ুগামীরা পির্খাণ ব। শৃন্ভঠতার মধ্যে ভোগের অবসান খৌজেন। স্থির আত্মন্বরূপ তাদের ধারণার গণ্ভীর বাইরে । মীমাংস! দর্শন প্রধানতঃ বেদান্ুগ হওয়ার ফলে ভারতের অন্য দার্শনিকদের সঙ্গে মীমাংসকদের দৃষ্টিভঙ্গীর কিছু পার্থক্য আছে। কাজেই ছুঃখের আত্যন্তিক নিবত্তি এদের লক্ষ্য হলেও বৈষা- গাত্মক মুক্তির পরিষ্কার চেহারা এরা রূপায়িত করতে পারেন নি। মতভেদ যাই থাক, বস্তুনিষ্ঠ সাধারণ মানুষের ধরাছোয়াঁর সম্পূর্ণ বাইরে ষে আমাদের লক্ষ্যের পরিসমাধ্থি__সেটা ভারতের অধ্যাত্মবাদীরা সকলেই স্বীকার করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে- আমাদের ইন্জিয় বা বুদ্ধি ধারিণার সীমা- ৰৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৫৭ বহিভূতি এই লক্ষ্যকে ভারতীয় দর্শনের গণ্ভীর মধ্যে আন! কিভাবে সম্ভব হয়েছে? এ প্রশ্নের সমাধান পেতে হলে ভারতের দার্শনিক চিস্তাধারায় প্রমাণের ব্যবহার সম্বন্ধে আমাদের কিছু আলোচন। প্রয়োজন । প্রমাণ সংজ্ঞায় জ্ঞানের মাধ/মকে বোঝায় । মান্থষের জ্ঞানের বিস্তীর্ণ রাজ্যে যেযে বিষয়ের অস্তভূরক্তি, দার্শনিক বিচারের পরিসরে আসার যোগ্যতা একমাত্র সেগুলিরই। যে প্রবেশপথকে আশ্রয় করে মানুষের অন্তর্লোকে জ্ঞানের ভাগ্ডারে বিষয় গুলির ক্রমিক সঞ্চয়, প্রমাণ এই বিশেষ শব্দের দ্বারা তাকে চিহ্নিত কর] হয়েছে । প্রমাণের বিচার বিষয়ে ভারতের দার্শনিকেরা বিশেষ তৎপর, কারণ তারা মনে করেন যে জ্ঞানের সত্যাসত্থা নির্ধারণের প্রস্ততি রচিত হয় জ্ঞানের প্রবেশপথ বা প্রমাণের গুণাগুণ বিচারের মাধমে । ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখায় প্রমাণকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে । আবার প্রতিটি শ্রেণীকে বিশিষ্ট লক্ষণের সুনি্িষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ কর! হয়েছে । ভারতের দর্শন- গুলির মধ্যে প্রমাণের বিচার সর্বাধিক প্রাধান্যের দাবী রাখে ন্তায়দর্শনে । এ কারণেই 'প্রমাণশান্ত্র' হিসাবে ভারতের দর্শন জগতে ন্যায়ের পরিচিতি 1১০৬ প্রমাণ বা জ্ঞানের মাধ্যম হিসাবে আমর] সাধারণভাবে উল্লেখ করতে পারি ছুটি নাম, প্রতাক্ষ এবং অন্যান । চার্বাক এবং চারবাকেতর, পরম্পরবিরোধী এই ছুটি ভারতীয় দর্শনগোষ্ঠীর মধো সেতুবন্ধ রচিত হয়েছে এই প্রমাণ ছুটি, বিশেষ করে প্রথমটির সাহাযো । কারণ দ্বিতীয়টির আংশিক অনুমোদন লক্ষণীয় কেবলমাত্র চার্বাকের বিশেষ এক শাখাশোষ্ঠীর মধ্যে । প্রথমটির বিরোধিতা! চার্বাকের একাংশে দেখা গেলেও চার্বাক নামের সঙ্গে এই প্রমাণের স্বীকৃতির এক অচ্ছেদা যোগ সকলের কাছে সুপরিস্ফুট । চক্ষু, কর্ণ ইত্যাদি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে বহির্জগতের সঙ্গে সরাসরি ষোগের ফলে আমাদের যে জ্ঞান হয়, প্রত্যক্ষ গ্রমাণকে তার মাধ্যম হিসাবে গণা করা হয়। মনকে ইন্জিয় হিসাবে গণা করে১৫৭ মনের বিভিন্ন অনুভূতিকে আমর? প্রত্যক্ষজ জ্ঞানের অন্তর্গত করতে পারি। এই প্রতাক্ষজ জ্ঞানেরই ভিত্তিতে উপযুক্ত মানসিক বিচারের সাহাযো আমাদের জ্ঞানের রাজ্য আরও গ্রপারিত হতে পারে ১৫৬। [১ 11 0. 45 ১৫৭ | “এতৈর্দশভিঃ সহান্তরং মন একাদশকমেকা দশেক্ডিয়মিত্য থঃ', সাংখ্যপ্রধচন ভান্ত, ২১৯; স্টায়মতে মন ইন্ড্রিয়ের অতিরিক্ত অন্য করণ, ন্যায়ভাষাঃ ১।১।১৬ ৫৮ পটভূমি প্রসঙ্গে এবং এক্ষেত্রে অনুমানের ভূমিকা ম্বীকার্য। যুক্তি বা তর্ক এই অনুমানের আশ্রয়। আমাদের জ্ঞানের রাজ্যের অধিকাংশ উপাঁদানেরই সরবরাহের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ এবং “অন্থমান' এই প্রমাণ ছুটির উপযোগিতার বিষয়ে সাধারণভাবে সকলের মতৈকা দেখা যায় । শব নামে অতিরিক্ত আর একটি প্রমাণ ভারতের অধ্যাত্মপশনে নিজন্ব বৈশিষ্ট্যের সঞ্চ।র করেছে। “শব্দ' বৈদিক বচনের অর্থে ব্যবহৃত হলেও “শব্দ এই ২জ্ঞার দ্বার আপ্তবাকাকে অর্থাৎ নিভরযোগ্য পুরুষের মুখ নিঃস্থত শব্দকে সাধারণভাবে প্রামাণোর মধাদ। দেওয়া হয়ে থাকে । অদ্বৈত বেদাস্তের প্রবক্তা শঙ্করাচাধ মনে করেন যে১৫৮ যুক্তি বা তর্কের মাগ্যমে কোন প্রশ্শের স্থায়ী সমাধান লাভ করা সম্ভব নয়। যুক্তি বা তর্কের মূল মান্ষের ব্যক্তিগত চিন্তাধারার ভিতর । ব্ক্তিনিষ্ঠ এই প্রমাণ বিভিন্নমুখী হতে বাধা এবং এই বিভিন্নমুখা ভাবনাকে কোন নিদিষ্ট মাপকাঠিতে ধর] যায় না। সেই কারণেই এর সাহায্যে চিরস্তন বা শাশ্বত কোন সতোর সন্ধান পাওয়া অসম্ভব । বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবিশেষ অতিমানস প্রত্যক্ষের দ্বারা যে সত্যের সন্ধান লাভ করেছেন, পরম্পরালবধ সেই জ্ঞান আঞ্চবাক্যের মাধামে সংগৃহীত হয় । “শব্ধ বা 'আতি' এই সংজ্ঞাগুলি একই মাধ্যমের পরিচিতি বহন করে । জ্ঞানের এই মাধ্যম ব৷ প্রমাণের প্রবেশপথ দিয়ে মানুষের জ্ঞানের ভাগডারে যে বিশেষ সম্পদের সঞ্চয় হয়, ইন্ত্রিয় ব1 বুদ্ধির দ্বারপথে তা কোনক্রমে সম্ভব নয় । শব্দ” বা “শ্রুতি' সাধারণভাবে বেদের অর্থেই প্রযোজ্য । স্থতরাং এই দৃষ্টি- কোণের বিচারে বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শনে এই প্রমাণের অন্তভূক্তি না থাকাটাই ্বীভাবিক। কারণ বেদবিরোধিতাকে কেন্দ্র করেই নাস্তিক হিসাবে প্রধানত: এদের পরিচিতি । কিন্তু বিশেষভাবে বৈদিক বচনের অন্থুগামী না হয়েও মহা" মানব বুদ্ধদেবের ব। জৈন তীথন্করদের বচনের অনুসরণ করে বৌদ্ধ এবং জৈনর' আপ্তবচনকে অন্যভাবে তাদের প্রমাণের অন্তর্গত করেছেন । টজনমতে প্রমাণ ছু'রকম--প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ;১৫৯ অনুমান এবং শ্রুত, শেষোক্ত প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার্য । আন্তিক দর্শনের “শ্রুতি, বা বেদের মত “শ্রুত' বা অঙ্গাদি শান্কে - জৈনর| বিশেষ প্রমাণের মধাদা দিয়ে থাকেন । বৌদ্ধ দশনে বুদ্ধের বাণী এভাবে শ্রুত' নামে পরিচিত নয় বটে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এই বামীই বৌদ্ধদের কাছে ১৫৮। দপুরুষোতপ্রেক্ষামাত্রনিবন্ধনান্তর্কা অপ্রতিষ্ঠিতাঃ, শাভা, ২1১১১ ১৫৯ | [1, 1) 0. 299 বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৫৯ চরম প্রমাণ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কাজেই আগ্তবাকা অধ্যাজ্মবাদীর কাছে জ্ঞানের একটি প্রধান মাধ্যম । নাস্তিক বৌদ্ধ এবং উৈনদেব বাদ দিয়ে আস্তিকতার পংক্কিতে ঘাদের স্থায়ী আসন সাধারণভাবে স্বীকৃত কেবল তাদের বেছে নিলেও 'শব্' বা বেদকে প্রমাণ হিসাবে প্রাধাগ্ত দানের বাঁপারে আমরা প্রচুর তারতষোর সন্ধান পাই । বেদের প্রামাণা বিষয়ে অগ্রণীর ভূমিকা দাবী করতে পারে বোধ হয় মীমাংসাদশ ন। মীমাংসা মনে করে যে তার অভীষ্ট লক্ষের পথে বেদের প্রামাঁণাই একমাত্র বিচাধ। মীমাংসা দশনে মবশ্ত প্রত্যক্ষ, অন্থমান এবং অপর কয়েকটি প্রমাণ সম্বন্ধে আলোচনা আছে। এ আলোচনার উদ্দেশ্য এই শাস্ত্র মতে গ্রধানতঃ নেতিবাচক- লক্ষ্যসিদ্ধির ক্ষেত্রে এদের প্রয়োজনীয়তার অভাব প্রদশ'ন। ভ্রান্ত ধারণ। নিরসনের ক্ষেত্রে অবশ্ত এই প্রমাণগুলির উপযোগিতা দেখান হয়েছে; কিন্তু সেটা নেহাতই গৌণ, মুখা ভূমিকা এ বিষয়ে শব্দ প্রমাণের বা বেদের এবং এই বেদকে আশ্রয় করেই মীমাংসকের! তাদের চিন্তার প্রসারে উদ্যোগী 1৯৬ “শব্দ বা বেদের প্রাধান্য ম্যায় এবং বৈশেষিক দশনেও অনুমোদিত । কিন্ত প্রমাণের আসরে বৈদিক বচনের একক ভূমিকা মীমাংসার মত এই দশনছ্বয়ের সমর্থন লাভ করেনি। বৈশেষিক দশনে শব্ধের প্রামাণ্য স্বতন্ত্র রূপে গ্রাহা নয়। এটি অন্ুমানেরই এক অঙ্গ হিসাবে স্বীকার্ধ । বৈদিক কর্মকাণ্ডের উপর সাংখ্য এবং 'যোগের বিরাগ নানাভাবেই লক্ষণীয় ।১৬১ স্থানবিশেষে বেদের মহিমা কীর্ভনের মাধ্যমে১৬২ আস্তিক দশনগুলির সঙ্গে ক্ষীণ সংযোগস্থত্র রক্ষা করতে সচেষ্ট হলেও এই দর্শন ছুটি প্রধানতঃ যুক্তিবাদী এবং “শব্দ' বা বেদের তুলনায় প্রত্যক্ষ বা অনুমানই১৬৩ এখানে অধিকতর মর্যাদার অধিকারী । তির প্রতি পা শশী পসপীশশীশীপীসিপীশী শসা ১৬০ 1, 11, 9. 388 ১৬১ | দৃষ্টবৃদাগঅবিকঃ স হাবিশুদ্বিক্ষয়াতিশয়যুক্ত:, সাংখ্যকারিক, ২; সাংখ্প্রবচনস্থত্র, ১৬7 পদ্ম উপপুরাঁণ থেকে কিছু শ্লোক বিজ্ঞানভিক্ষুর সাংখ্যপ্রবচনজাষ্তের ভূমিকাঁতে উদ্ধাত হয়েছে, ঘ1 থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে সাংখা, যোগ, ন্যায় এবং বৈশেষিক দরশশনের কোন কোন অংশ শ্রুতিবিরোধী, যদিও আলোচা দর্শন- গুলিকে আসন্তিকতার ছাপ দেবার জন্য এই শ্রতিবিরোধী অংশ- গুলিকে পরিত্যাগ করার পরামর্শ দেওয় হয়েছে। ১৬২। সাংখ্যপ্রবচনস্থত্র, ৫1৫১ - ১৬৩। “অন্য শান্ত্রশ্তান্থমান প্রাধান্তাৎ""" সাংখ্যপ্রবচণভাস্তঃ ১1৬০ ৬, পটভূমি প্রসঙ্গে সাংখ্য ও যোগের আল্গগত্য উপনিষদীয় বচনের মারফত; বৈদিক মন্ত্রের মাধ্যমে নয়। তি" বা বৈদিক সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগ সম্বন্ধে আমর] পরে আলোচনা করব। বৈদিক প্রভাবপুষ্ট মীমাংসাদশশনের অনুগামী কুমারিল ভট্টের কাছে সাংখ্য এবং ষোগ বেদবিরোধিতার ক্ষেত্রে বৌদ্ধ দর্শনের সমপর্যায়- ভুক্ত ।১৬৪ যাই হোক, শব", 'শ্রুত' বা 'আপগ্তবাক্য” যে নামেই অভিহিত হোক না কেন-_ প্রত্যক্ষ এবং অনুমানের অতিরিক্ত এই বিশেষ প্রমাণটি ভারতীয় অধ্যাত্ব- দশনে বুদ্ধি এবং ইন্ড্রিয়ের সীমাবহিভূতি এক বিশেষ জগতের পরিচয় এনে দিতে সাহায্য করেছে। ভারতীয় চিন্তাধারায় এই আপ্তবাক্যের অন্তভূর্ক্তি থেকে যুক্তিতর্কবিহীন অন্ধ বিশ্বাসের প্রতি ভাতের অধ্যাস্বদর্শনের সমর্থনের ইিত আবিষ্কার কর৷ অস্বাভাবিক নয়। ভারতীয় অধ্যাত্বদর্শন হয়ত এইভাবে প্রতি- পক্ষের সমালোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে। কিন্তু ভারতের দার্শনিকেরা বিভিন্ন সিদ্ধান্তে যেভাবে উপনীত হয়েছেন সেগুলি ভালভাবে পর্যালোচনা করলে এ ধরনের সমালোচনার প্রতিকূলে আমরা সাক্ষ্য পাব। যুক্তির প্রতি কোন কোন দর্শনের অন্থুরক্তি আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি। আপ্তবচনমাত্রই ভারতীয় দর্শনে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি । বিভিন্ন আঞ্চবচনের মধ্যে কোনগুলি গ্রান্থ তা বিচার করার ক্ষেত্রে যুক্তি বহুলাংশে পথপ্রদর্শকের ভূমিক1 নিয়েছে । সা'খ্যা- চার্য অনিরুদ্ধ তার সাংখ্যক্ুত্রবৃত্তিতে বেদ সংক্রান্ত যুক্তিবিচারকে আশ্রয় করেছেন 1১৩৫ যুক্তি বা অন্গমানের সমর্থন ছাড়াও আপ্তবচনের গ্রহণযোগ্যতার বিচারে প্রত্যক্ষ উপলব্ধির সাক্ষ্য ভারতীয় দর্শনে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়েছে । ভারতের দর্শন প্রধানতঃ ব্যবহারিক দর্শন। ব্যবহারিকতার মাপকাঁঠির বিচারে ছাড়পত্র যাবা পেয়েছে, একমাত্র সেই মতগুলিরই গ্রহণযোগ্যতা ভারতদর্শনে স্নিদিষ্ট । আপগ্রবাক্য লব্ধ জ্ঞানকে ভারতের দার্শনিক অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নিশ্চিন্ত থাকেননি । সাক্ষাৎ উপলব্ধির ভিত্তিতে তার উপযুক্ত মান নির্ধারণ ১৬৪ । তন্ত্রবান্তিক, ১।৩।৪ ১৬৫ । *-*যুক্তিমন্ধনং গ্রাহ্থং ময়ান্যৈশ্চ ভবদ্ধিধৈ১,, সাংখ্যক্থগ্রবৃত্ভি, ১২৬ 'ৰৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ৬১ করে তবেই তাকে জ্ঞান সংজ্ঞায় চিহ্নিত করেছেন ।১৬৬ একাগ্রতা ও অধা- বসায়ের সাহায্যে যে এ জ্ঞান প্রকৃতই উপলব্ধিগমা দৃঢ় প্রতায়ে তা ব্যক্ত করতে তারা কু! বোধ করেননি । এই. জ্ঞানলাভের পথেরও সঠিক নির্দেশ ভার। দিয়েছেন। প্রত্যক্ষ, অনুমান এবং আপ্তবাকা-_-এই তিনটির অতিরিক্ত উপমান, অর্থা- পত্তি ইত্যাদিকে প্রমাণের পর্যায়ে অনেকে অন্ততুক্ত করতে চান 1১৬৭ সুঙ্ষ বিশ্লেষণে কিন্ত এগুলির মধ্যে অনুমানকে খুঁজে নিতে কোন অন্থবিধ। হয় না এবং আমাদের আলোচিত তিনটি প্রমাণই সাধারণভাবে ভারতের দাশনিকমহলে প্রামাণ্যের ম্বীকৃতি পেয়েছে । ৩ ॥ ঈশ্বরবাদ ॥ পরিশেষে ভারতীয় দর্শনে ঈশ্বরবাদের ভূমিকা সম্বন্ধে কিছু আলোচনা আবশ্তক। কারণ আন্তিকতার সঙ্গে সেশ্বরবাদকে অঙ্গাঙ্গীভাবে অনেকেই যুক্ত কৰে দেখেন এবং নাস্তিকদের একাত্ম করেন নিরীশ্বরবাদীদের সঙ্গে । প্রকৃত- পক্ষে সেশ্বরবাদ ভারতীয় দর্শনে আন্তিকতার আবশ্তিক অঙ্গ হিসাবে কোনদিনই গণ্য হয়নি! আমরা লক্ষ্য করেছি যে সনাতনপন্থীদের বিচারে বেদের প্রতি আন্ুগতা আস্তিকতা। বিচারের প্রধান মান হিসাবে নির্দেশিত হয়েছে । বৌদ্ধ, জৈন এবং চাবাক দর্শনের “নাস্তিক' সংজ্ঞ। এই মানদণ্ডেরই অনুসরণে । ঈশ্বরের প্রতি উঁদাসীন্য ব৷ ঈশ্বরবিরোধিতাকে কেন্দ্র করে নয়। সেইজন্য ভারতের বু দর্শন আন্তিক হলেও সেশ্বর হতে বাধ্য হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই ঈশ্বরের প্রতি গুঁদাসীন্ত ভারতীয় দশ'নকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে । প্ররুতপক্ষে কর্মফলবাদের মাধ্যমে ভারতের অধ্যাত্মদ্শন জাগতিক স্থষ্টি- বৈচিত্রের রহম্ত উন্মোচনে প্রয়ামী । কর্মবাদের সঙ্গে ঈশ্বরকে সব ক্ষেত্রে যুক্ত ১৬৬। “***পুরুষন্য বন্ধাদিকং শ্রবণমননমাত্রেণ ন বাধ্যতে সাক্ষাংকারং বিন", সাংখ্যপ্রবচনভাস্য, ১৫৯ ১৬৭। নৈয়ায়িকের৷ উপমানকে এই তিন প্রমাণের অতিরিক্ত অপর একটি প্রাণ হিসাবে উল্লেখ করেন, ন্তায়স্থত্র, ১১1৩; উপমানের সঙ্গে অর্থাপত্তিকে যুক্ত করে মীমাংসকাচার্য প্রভাকর প্রমাণের সংখ্যা পাচ বলে মন্তব্য করেন। কুমারিলের মতে অনুপলব্ধি আরও একটি প্রমাণ । ৬২ পটভূমি প্রসঙ্গে কর হয়নি ।১৬৮ বৌদ্ধ দর্শনে ঈশ্বরের কোন স্থান নেই। বেদাঙ্ছগ হওয়ার ফলে মীমাংসা দর্শন বৈদিক দেবদেবীসমৃহকে তার বিষয়বস্তরর পরিসরে অন্তভুক্তি করেছে বটে কিন্তু ঈশ্বরকে এখানেও প্রবেশাধিকার দেয়নি ৷ ঠ্জমিনির মীমাঁংসা- স্থত্রে ঈখরের কোন উল্লেখ নেই। মীমাংসক আচার্য প্রভাকর এবং কুমাবিল ভটু ঈশ্বরের অস্তিত্বের সমর্থনে প্রদত্ত বিভিন্ন যুক্তির বিরোধিতা করে ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসার্থকতা৷ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। পরবতী মীমাংসকের৷ অবশ্খ মানবমনের অস্তনিহিত ভগবৎ বিশ্বাসের কাছে নতি স্বীকার করেছেন এবং দার্শনিক যুক্তির বন্ধনে মীমাংসা দর্শনকে সেশ্বরবাদের সঙ্গে যুক্ত করার এক বিশেষ প্রয়াস এদের মধ্যে সৃপরিস্ফুট ! এই প্রয়াসের পূর্ণ বূপায়ণের পরিচয় বহন করে বেদান্ত দেশিকের «লশ্বর মীমাংসা নামক পুম্তকটি ।১১১ সাধারণভাবে সেশ্বরবাদ হিসাবে গণ্য হলেও স্তায় এবং বৈশেষিক দর্শন প্রাথমিক পর্যায়ে ঈশ্বরের প্রতি একই ধরনের ওদাঁপীন্তের পরিচয় দিয়েছে। ন্তায়স্থত্রের স্থানবিশেষে ঈশ্বরের এক সাধারণ উল্লেখ থেকে ঈখরবাদের পক্ষে স্থত্রকার গৌঁতমের কি জাতীয় সমর্থন ছিল তা বল। কঠিন।১৭* সুতরাং ত্বাভাবিকভাবেই কয়েকজন ব্যাখ্যাকার এই স্ত্রগুলিতে ঈশ্বরসন্বদ্ধীয় বিশেষ মতবাদের সমালোচনা আবিষ্কার করেছেন ।১+১ স্থত্রকারের এই ক্রটি অবশ্য ন্যায়ভাষ্ঘে সংশোধনের চেষ্টা হয়েছে ।১৭ পরবতী নৈয়ায়িকেরা স্পষ্ট ভাবেই সেশ্বর সংজ্ঞার সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করেছেন।১৩ বৈশেষিক স্থত্রের মধ্যেও ঈশ্বরের কোন উল্লেখ নেই । বৈশেষিক দশ'নের পরবতী আচার্ধদের প্রচেষ্টায় অবশ্ঠ এই শাস্ত্র সেশ্বরবাদের তালিকায় নিজের নামকে অন্তভূক্ত করেছেন ।১৭৪ পা? পা শপ পপ পপ তর ১৬৮। সাংখাপ্রবচনস্থত্র, ৫1২ মতে কর্মফলবাদের সঙ্গে ঈশ্বরের ধারণার কোন সঙ্গতি নেই। মীমাংসকাচার্য কুমারিল ভ্টও কর্ম এবং ঈশ্বরেচ্ছা, উভয়কে জগংস্থষ্টির মূলে একত্র যুক্ত করতে অনিচ্ছুক, শ্লোকবাতিক, সখঞ্ষ|ফেপপরিহার ১৬৯ | 17১ 11, 190. 424-428 ১৭০ | “ঈশ্বর; কাঁরণং পুরুষকর্ম/ফল্যদর্শ নাত, স্যায়স্ুত্র, ৪1১1১৯ ১৭১। বাচস্পতি, উদয়ন এবং বর্ধমানের মতে স্তত্রটিতে ঈশ্ববসন্বদ্ধীয় স্ত্রকারের ণিজম্ব অভিমত বাক্ত হয়নি, বেদান্ত মতের সমালোচন' গ্রসঙ্গে স্ত্তরটি এখানে উপস্থাপিত। ১৭২। “গুণবিশিষ্টমাজ্মান্তরমীশ্বর£' ন্তায়ভাধ্যু, ৪ ১1২১ ১৭৩। ন্যায়কুস্থমাঞ্জলি, ১1৯-১০ ; ন্যায়বাতিক, ৪1১২১ ১৭৪ | 1১ 11) 19. 20১8 শপ পপ এবার» ঈশ্বরবাদ ৬৩ আন্তিক দশনগুলির মধো সাংখা নিবীশ্বরবাদীদের সভার পুরোভাগে আপন স্থান নির্দিষ্ট করে নিয়েছে । যুক্তিবাদের সমর্থক এই দশ'নের আণচার্যর1 ঈশ্বরীয় শক্তির মাধ্যমে স্থ্ট প্রক্রিয়া বাখা! করার ব। ঈশ্বরকে দার্শনিক ততসমূছের মধো আদি স্থান দেবার পক্ষে যুক্তির কোন সমর্থন খুঁজে পাননি । সাংখা দশনের বিভিন্ন গ্রন্থে অন্তন্থক্ত ঈশ্বব সম্বন্ধীয় বিতর্ক ঈশ্বরের প্রসঙ্গে দশনটির এই ধরনের মনো।ভাবেরই সাক্ষা দেয় 1১৭৭ যোগদশনের পরচিতি সাধারণের কাছে সেশ্বর সাংখা হিসাবে, কারণ বিভিন্ন তত্বের ম্বীকৃতিতে উভয় দর্শনের সামা থাকলেও ঈশ্বরের শ্বী কৃতি গ্রসঙ্গ একটিকে অপরটি থেকে পৃথক করেছে । সুক্ষ বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু “পুরুষবিশেষ' রূপে ঈশ্বরের কল্পন! সাংখা ব। যোগের দার্শনিক কাঠামোতে নেহাতই খাপছাড়া। কারণ, সাংখা-যোগমতে আদি তত্বের অন্যতম পুরুষ সংখ্যায় বহু হয়েও গুণগত পার্থক্যের কোন অপেক্ষা রাখে না। এইভাবে অন- ধিকার প্রবেশকারী ঈশ্বরকে শ্বমধীদাঁয় প্রতিষ্ঠিত করার জন্ত ব্যাখ্যাকারের। নানা ভাবে সচেষ্ট হলেও ঈশ্বরের অন্তভূক্তি যোগদশ'নের তাত্বিক বিন্াসের সঙ্গে পরিপূর্ণ সঙ্গতি রাখতে কোনক্রমে সক্ষম হয়নি 1১৭৬ সাংখ্য ও যোগদরশনের পারস্পরিক সম্পর্কের বিশ্লেষণ করতে হলে আমাদের ১৭৫। সাংখ্যপ্রবচনস্থত্র, ১।৯২-৪) ৫1২১২; সাংখ্যকারিকা, ৫৭ (তত্ব কৌমুদী ও যুক্তিদীপিকা ব্যাখ্যা সহ) ১৭৬। ব্যাসভাম্ত ও তত্ববৈশারদীসহ যোগন্থত্র, ১1২৪) চ71:159009-র মতে, 40105 ৮€গ 50025 12) 110 10 0800.) 15 0950- 19060 10 78191215118 ০1 9০100 015001)1360660 চ৮10) 616 16586 0: 005 ০01. 1106 0215 82180006100 90015060 05 চ9:08150911 17 50190010002 1215 010515015 00910101) 15 0১০ €য15621006 10 09] 60961161002 01 ৪. £7:8090 5০816 ০0 1000৬71০156, 15000 60০ 71010) 1) 591909969, 70705 60 1700177156 10001206) 51500]7) ০6০.১ 85 00611111010 [76 €0 19010 (3০ 1512] 19210174813 ০. 7306 16 1095 06 8৪516501১0৮ 00656 50190-27:0611675065 ০91) 61005 0০ 0০০ 1 1)6 9150, 06176 2. 700052) 15 0015 5191710 800 90215315 21090£ 010 10181501070 0080111595 ০৫617701971) [১171199001)5, 7. 283-9), শঙ্করাচার্য তার ত্রঙ্গস্থত্রভাঙ্তে যোগদশনের ঈশ্বরসন্বদ্ধীয় ধারণায় অসঙ্গতির উল্লেখ করেছেন ( শাভা, ২২1৩৭ ) ৬৪ পটভূমি প্রসঙ্গে আরও গভীরে গিয়ে এর মূল অনুসন্ধান করতে হবে। তত্বগত বিচারে উভয় দশনের এঁক্য সত্বেও সাংখ্যের উপযোগিতা যেখানে তাত্বিক বিশ্লেষণে, যোগ- দর্শনের উপযোগিতা সেখানে প্রধানতঃ ব্যবহারিক প্রয়্োজনীয়তাকে কেন্দ্র করে। ভারতীয় দর্শনে ব্যবহারিক উপযোগিতার আবশ্যিকতার বিষয় আমরা আগেই লক্ষা করেছি। ভারতের অন্যান্ত দশন একই সংজ্ঞার মাধ্যমে দশনের তাত্বিক এবং ব্যবহারিক এই উভয় দিককে পরিস্ফুট করতে সচেষ্ট । সাংখ্য- যোগের মধ্যে এই প্রয়াস দুটি সুনির্দিষ্ট দশ'ন পদ্ধতির সৃষ্টি করেছে । যে তাত্বিক মতবাদ সাংখ্যদশনের মধো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞায় রূপায়িত, সেই মতবাদেরই পট- ভূমিকায় মোক্ষপথের যাত্রীকে তার অভীষ্ট পথের সন্ধান দিয়েছে যোগদশন স্থসংহত উপায়ের নির্দেশনায় । প্রকষ্ট জ্ঞান হিসাবে সাংখ্যের এবং শ্রেষ্ঠ বল হিসাবে যোগের যে প্রশংস! মহাভারতে দেখা যায় উভয় শাস্ত্রের পারস্পরিক ভেদেরই ইঙ্গিত তা বহন করে ।১৭৭ যোগদশ'নে ঈশ্বরের অন্তভূক্তি এই বাবহারিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে । মোক্ষ বা আত্মন্বরূপ উপলব্ধির প্রধানতম উপায় হিসাবে যোগ চিত্তবৃত্তিনিরোধের উপর প্রাধান্য অর্পণ করেছে । ইতন্ততঃ বিক্ষিপ্ত চিত্তের বহিুখী বৃত্তি গুলিকে ক্রমশঃ অন্তমুখী করা প্রয়োজন; জাগতিক স্থুল বিষয়ে অনুরক্ত চিত্তকে সুশ্- ভিমুখী করে এবং সুক্ষ থেকে ক্রমে স্থক্কতর বিষয়ে অভিনিবিষ্ট হয়ে পরিণামে চিত্তকে আত্মতত্বে বিলীন করার মাধ্যমেই জীবের পরমার্থপ্রাপ্তি সম্ভব বলে ধোগ- দর্শনের অভিমত । এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ধ অযুক্ত যে ক্রিয়াপদ্ধতির বিধান যোগে আছে “সমাধি' তার অন্তিম এবং প্রধানতম পর্যায় 1১৭৮ সঙ্গাধির সার্থক রূপায়ণ নিভর করে অব্যবহিত পূর্ববতী অপর ছুটি ষোগাঙ্গ 'ধ্যান' এবং ধারণার যথার্থ অনুশীলনের উপব । ধান? চিত্তের একাগ্রতা১৭৯ এবং থধারণ।' একাগ্র চিত্তের বিশেষ এক বিষয়ে অভিনিবেশের অর্থে ব্যবহৃত । এই ধ্যান এবং ধারণা- যুক্ত চিত্ত পরিণামে সমাধিলাভে সমর্থ হয়; এ অবস্থায় একাগ্র চিত্তের বিশেষ ধারণ! অপর সব কিছুকে আত্মপাৎ করে এককভাবে বিরাঁজ করে । ১৭৭ | মহাভারত, ১২/৩০০-৩০১ ১৭৮। “যোগঃ সমাধিঃ ""তত্র বিক্ষিপ্তে চেতসি বিক্ষেপোপসর্জনীভূতঃ সমাধির্ণ যোগ পক্ষে বর্ততে। যন্তেকাগ্রে চেতসি সন্ভৃতমর্থং প্রচ্যোতয়তি : স সম্প্রজ্ঞাতো যোগঃ, ষোগন্যত্রভাঙ্য, ১1১) তরেবাথ মাত্র নির্ভানং ম্বরূপশৃন্তমিব সমাধিঃ, এঁ, ৩।৩ ১৭৯। তত্র প্রস্যায়ৈকতানতা ধ্যানমৃ, এঁ, ৩।২ ঈশ্বরবাদ ৬৫ ধারণার বিষয় হিসাবে ঈশ্বরের বিশেষ কোন রূপের উপযোগিত। অনম্বীকার্ধ এবং যোগন্থত্রে ঈশ্বরপ্রণিধানকে সমাধিলাভের এক প্ররুষ্ট উপায় হিসাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে ।৯৮০ প্রকুষ্ট হলেও ঈশ্বরপ্রণিধান সমাধিপথের যাত্রীদের অবশ্ত অনুসরণীয় হিসাবে নির্দেশিত হয়নি। কারণ যোগের তাত্বিক কাঠামোর সঙ্গে ঈশ্বরের আবশ্তিক কোন যোগ নেই। একাগ্র চিত্তের চরম পরিণতি সমাধির লক্ষ্যের সহায়ক হিসাবে এশ্বরিক রূপের ভাবনার উপযোগিতা যোগস্থত্রের অন্যত্র বণিত হয়েছে১৮৯ এবং এই উপযোগিতারই দ্বীকরণের প্রকাশ সমাধির প্রস্তুতি হিসাবে উপস্থাপিত বিভিন্ন যোগাঙ্গের অন্যতম নিয়মের মধো ঈববপ্রণিধানের অন্তর্ুক্তিতে ।৯৮২ অন্যান্য বিভিন্ন নিয়মের অভ্যাসের মত ঈশ্বরপ্রণিধাণ্রে অভ্যাসও যে যোগীকে তার লক্ষ্যের পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে যোগদর্শনের আচার্ধরা তা উপলব্ধি করতে সমর্থ হয়েছিলেন এবং ঈশ্বরের এই ব্যবহারিক উপযোগিতার পরিপূর্ণ সদ্ধ্যবহার করতেও তীর কুস্তিত হননি । বস্ততঃপক্ষে তাত্বিক বিচারের দ্বারপথে দার্শনিক মতবাদের রাজ্যে ঈশ্বরের প্রবেশ কষ্টসাধ্য । তৎসত্বেও মানুষের সহজ ধর্মবিশ্বাস স্বাভাবিকভাবেই তাকে খ্বীকৃতি দিয়েছে । ব্যবহারিক প্রয়োজনীরতারই ভিত্তিতে ভারতের দর্শন বহুক্ষেত্রে ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করেছে। প্ররুতপক্ষে দার্শনিক মতবাদ এবং ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে নিদিষ্ট সীমারেখা টানা কোনদিন সম্ভব হয়নি । বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদ প্রাথমিক পর্যায়ে নিরীশ্বরবাদী হলেও ব্যাখ্যাকাএদের ধর্মীয় মতবাদের প্রভাবে পরিণামে সেম্বরবাদে রূপান্তরিত হয়েছে । ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শনের ভাষা এবং টীকা পধালোচনা করলে দেখ! যায় যে ভাষ্যকারদের মধ্যে অনেকেই শৈক সম্প্রদায় ভুক্ত ।১৮৩ ফলে উভয় দর্শনেই ঈশ্বর ক্রমশঃ তীর আসন নির্দিষ্ট করে নিয়েছেন । ১৮০ 1 সমাধিসদ্ধরীশ্বর প্রণিধানাৎ্, যোগন্ুত্র ভাষ্য, ২।৪৫ ১৮১। ঈশ্বরপ্রাণধানাদ্বা, এ, ১২৩ ১৮২ | তপংস্বাধ্যায়েশ্বর প্রণিধানানি ক্রিয়াযোগঃ, এ, ২১ ১৮৩। “নৈয়ায়িকাঃ সদা শিবভক্তত্াৎ শৈব ইতুযুচ্যন্তে, বৈশিষকান্তে পাশ্- পতা ইতি-'*তেন নৈয়ায়িকশাসনং শৈব্যমাখ্যায়তে' বড দর্শনসমুচ্চয়, ১৩-এর গুণরত্বুকৃত ব্যাখ্যা | ন্ায়বাত্তিক গন্থের উপসংহারে উদ্যোত- কর বলেন, “***ইতি পরমধি ভরদ্বাজ পাশুপতাচার্ধ শ্রীমছুদ্যোতকরাচার্ধ ৬৬ পটভূমি প্রসঙ্গে নিরীশ্বরবাদী হিসাবে সৃপরিচিত সাংখ্যদর্শনও বৈষ্ণব ধর্মবিশ্বীসের সঙ্গে বন্ৃক্ষেত্রে একাত্ম হয়ে মহাভারত এবং ভাগবতপুরাণে সেশ্বরবাদে রূপান্তর লাভ করেছে। মহাভারত ও পুরাশাদিতে অভিথ্যক্ত সাংখ্যমতে অবশ্য এই দর্শনের যুক্তিবাদী রূপ সম্পূর্ণ লুপ্ত এবং সম্প্রনায়বিশেষের ধর্মমতের দার্শনিক ভিত্তি হিসাবে এই মতের বর্ণনা করা যার । £810191)81 এর মতে ৯৮৪ ৮1175 98117101798, 800 [116 ৮088 5$519105 (11) 1119 1৬121)901)9182 ) 216 191165611160 85 091118 95591018119 [16 92179 85 (116 11111050101] 01 73181117817) 804 8৪11 (17199 815 (৪2081) 85 1011110950911)10 10110080101)5 ০01 (1) ৬০1১০৪%৪, 161181011 .” পরবর্তী যুগের ভাষ্যকার সাংখাচার্ধয বিজ্ঞানভিক্ষু এই ধর্মবিশ্বাগেরই প্রভাবে সাংখ্যদর্শনকে সেশ্বরবাদ হিসাবে প্রচারে প্রবৃত্ত হয়েছেন। সাংখ্যের নিজন্ব দার্শানক কাঠামো যে ঈশ্বরকে শ্বীকার করার পথে প্রধান বাধ! প্রসঙ্গ ক্রমে তারও উল্লেখ বিজ্ঞানভিক্ষুর রচনায় দৃষ্ট হয়।১৮৫ আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি যে ভারতের দর্শন কেবলমাত্র থিওরী বা মতবাদের সমষ্টি ন়। ব্যবহারিক উপযোগিতাকে কেন্দ্র করেই ভারতীয় দর্শনের সার্থকতা ।১৮৬ এই উপযোগিতার ক্ষেত্রে সেখরবাদের অবদানের প্রসঙ্গও আমাদের পূর্ববর্তী যোগদর্শন সম্বন্ধীয় আলোচনার অঙ্গ হয়েছে । যে ধর্মীয় বিশ্বাসের দ্বারপথে এই ঈশ্বর ভারত দর্শনে প্রবেশ লাভ করেছেন সেই বিশ্বাস যুক্ত বা অনুমানের সঙ্গে সমান ভাবেই ভারতের দার্শনিক জগতে প্রমাণ হিসাবে পণ্য এবং প্রকৃতপক্ষে প্রাচীন খধি এবং সত্যত্রষ্টাদের উক্তিতে বিশ্বাসের রণ নিয়ে শব বা তি এই প্রমাণের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। যুক্তির মাধ্যমে যার বিচার হয় না সেই ধর্মচেতনা ভারতীয় দর্শনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জডিত। ১৮৪ | 86810101981) /ঠা। 09801105০01 055 1২611810905 11151981019 ০1 70019, 00. 96, ১৮৫। সাংখ্যপ্রবচনভাত্ত, ভূমিকা, লিশ্বরব্যবস্থাপনস্ত ন্বশান্ত্রেইন্থপযোগাৎ, বিজ্ঞানামৃতভাষা, পৃঃ ১২৯ ১৮৬। নলিনীকান্ত ব্রন্মের মতে ৮0501 200 7012800106 1196 8158255 0961) 50981) ০ ০৪ 10161509091), 200 11199 ৮০16 106%51 ৫1%০91০64 0] 2801) 01)61 $9 10105 ৪9 [018 170811002110060 11910 £107/+5 1109 71711950101) ০01 নু1000 99৫119009) 0, এ ঈশ্বরবাদ ৬৭ বেদাস্তদর্শনে এই ধর্মবিশ্বাসের প্রভাব অপরিসীম এবং সেইজন্য সেশ্বরবাদের সঙ্গে বেদান্তের একাত্মতা খুব সহজ পদ্ধতিতেই দেখা যায়। বেদান্ত দর্শনের দ্বরূপ সম্বন্ধে রুষ্ণচন্দ্র ভট্টাচার্যের উক্তি এ ক্ষেত্রে আমরা উল্লেখ করতে পারি-_ +৬6৫9808, 19 10111070811 , 151151017. 10105 5616 15 10 96 12701 20০০9510160 117 1176 1180 11051870911 19101)১ ড/1)1017) 85 00100177090) 0181161500৫ 01100119660 9১ 158590১ ৮০10 09 11৮12101290 1100 & 15100. 01015 ০11 06198501019 01)11999117%**-*৯৮৭ ঈশ্বরের সঙ্গে বেদান্তের সহজ, স্বাভাবিক সম্পর্কের মূল অনুসন্ধান করতে হয় ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে দর্শনটির এই অঙ্গাঙ্গী যোগের মধ্যে । নিরীশ্বর বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শনও ব্যবহারিক পধায়ে সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে একাত্ম করে ভারতের অন্য আস্তিক দর্শনগুলির মতই সেশ্বরবাদের রূপ নিয়ে ধর্মমতে পরিণতি লাভ করেছে। বুদ্ধদেব এবং জৈন তীর্ঘস্করেরা ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নীরব থাকলেও পরবর্তী অনুশামীর। ক্রমে নিজ নিজ ধর্মমার্গের প্রবর্ত- কদের মধ্যেই ঈশ্বরত্ব আরোপ করতে থাকেন। আর এইভাবে তীর! সাধারণ ধমীয় আকাজ্জার পরিতৃপ্তি বিধানে প্ররাসী হন। বৌদ্ধ এবং জৈন মতবাদ দর্শনের পর্যায় থেকে পরিপূর্ণ ধর্মমতে রূপান্তর লাভ করে এবং বিভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর্দের আপন গণ্ভীতে ক্রমশঃ আত্মসাৎ করতে আরম্ভ করে ।৯৮৮ চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনগুলিকে কেন্দ্র করেই প্রধানতঃ আমাদের বর্তমান অধ্যায়ের আলোচন৷। এই আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় আমর আগেই উল্লেখ করেছি। আত্মা, জন্মান্তর, কর্মফল, অদৃষ্ঠ, ঈথর, শ্রুতি এবং অনুমান প্রমাণ ইত]াদি যে সব বিষয় চার্বাকেতর ভারতীর দর্শনে বিভিন্ন ধারণার উত্স, সেগুলিরই প্রতি- রোধের ভিত্তিতে নিমিত হয়েছে চার্বাকীয় দর্শনের বিশাল সৌধ । প্রতিরোধাতআক চার্বাকী মতের বিস্তার আমাদের পরবর্তী অধ্যায়ের বিষয়বস্ত। ৪॥ চাধাক দিজ্ধান্ত-- সালোচন! ও সমালো চন! প্রত্যক্ষ প্রমাণ-_তত্বোপপ্লবসিংহ চার্বাক সিদ্ধান্তের রূপরেখা অঙ্কন আমাদের বর্তমান অধ্যায়ের প্রতিপাদ্য । এই প্রচেষ্টার হুচেনা আমরা প্রমাণ সম্বন্ধীয় চার্বাকীয়-ধারণার ভিত্তিতে করতে চাই। ১৮৭ | 91168 10. ৮১1)119509101)5) 1) 00. 118-9 ১৮৮19, 1) 2, 531 ৬৮ পটভূমি প্রসঙ্গে চার্বাক দর্শন সম্বন্ধীয় বিভিন্ন গ্রন্থে বিশেষতঃ দর্শনের সঙ্কলন গ্রন্থগুলিতে চার্বাক নামের সঙ্গে প্রত্যক্ষপ্রমাণবাদিতা অঙ্গাঙ্গীভাবে বিজড়িত।*৮৯ “ম্যায়মঞ্জরী”জ্ে প্রত্যক্ষপ্রমাণবাদদী হিসাবে চার্বাকের বর্ণনা আছে।*৯০ প্রমাণ সমূহের অন্যতম হিসাবে ভারতীয় দর্শনে প্রত্/ক্ষের দ্বীকৃতির উল্লেখ আমরা আগেই করেছি। লৌকিক মতে প্রত্যক্ষ চাক্ষুষ জ্ঞানের দেযাতক। কিন্ত দার্শনিক পরিভাষায় এর অর্থ পৃথক । আমাদের জ্ঞানেন্দ্িয়ের পর্যায়ে সাধারণতঃ পাঁচটি ইন্দ্রিয় অগ্তভূক্তি। এগুলির কোনও একটির সাহায্যেই প্রত্যক্ষজ্ঞানের উদ্ভব হতে পারে। চক্ষু এই জ্ঞানেন্দ্িয়গুলির অন্ততম হলেও কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা 'এনং ত্বক__এই চ!গটি ইন্দ্রিয়ের ভূমিকাও প্রত্যক্ষজ জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে কোন অংশে কম নয়। এই ইন্ড্রির পাঁচটির প্রত্যেকটি নিজ নিজ বিভাগে জ্ঞান আহরণের বিশেষে ক্ষমতার অধিকারী । কোন বস্ত যখন বিশেষ কোন জ্ঞানে- ক্দিরের সংস্পর্শে আসে তখন হীন্দ্রয়টির প্ররুতিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বস্তুটি সপ্বন্বে বিশেষ ধরনের জ্ঞান আমবা লাভ করি। একটি ফুলের উদাহরণ নিলে আমরা দেখব যে ফুল সম্বন্ধীয় প্রত্যক্ষজ জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে চক্ষু নাসিকা এবং ত্বকেরই কেবল কারধকারিতা দেখা যায়, অন্ত ইন্দ্রিয়ের নয়। চোখ দিয়ে আমরা ফুলটিকে দেখি; নাকের সাহায্যে গন্ধ উপভোগ করি এবং ত্বক দিয়ে ফুলটিকে স্পর্শ করি। আবার ভালো গান শোনা বা স্ুখাগ্ভ ভোজন ইত্যাদি ব্যাপারে কর্ণ এবং জিহ্বার বৈশিষ্ট্য যথাক্রমে কাজ করে, অগ্ঠ ইন্জ্রিয়ের নয়। মনের ভূমিকা কোন কোন ক্ষেত্রে বাহা বস্তর সঙ্গে ইন্দ্রিয়ের সংযোগের মাধ্যম হিসাবে, আবার অনেক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র এক ইন্ডিয় রপে। জ্ঞানেক্দরিয় হিসাবে মন আস্তর প্রত্যক্ষের কারণ হয়, অন্য ইঞ্জিয়গুলির বা বাছা বস্তনিচয়ের যেখানে কোন কার্ধকরিতা নেই। প্রমাণগুলির মধে; একমাএ প্রঙ্)ক্ষের সঙ্গেই যাগ শার্বাকের যোগ ্বীকার করেন তাদের মতে চার্বাকের জ্ঞানের রাজ্যে সঞ্চয় এই ইন্দিয়গুলির ছ্বার- পথেই কেবল হওয়া সম্ভব। “ড় দর্শনসমুচ্চয়” গ্রন্থে লোকায়ত প্রসঙ্গে উক্তি ১৮৯। লোকায়তমেব শান্্রং যত্র প্রত্যক্ষমেব প্রমাণম্‌ প্রচ, পৃঃ:৬৪; প্রত্যক্ষিক'*” সসং, পৃঃ ৩ $ “মানং ত্বক্ষজমেব হি”, ষড়দর্শনসমুচ্চয়, ৮২ $ প্রত্যক্ষৈকপ্রমাণবাদিনো”, সর্বমতসংগ্রহঃ পৃঃ ১৫ ১৯০। প্রত্যক্ষমেবৈকং প্রমাণমিতি চার্বাকাঃ) স্যাম, ১১ পৃঃ ২৬ চারাক সিদ্ধান্ত আলোচনা ও সমাঁলোচন। ৬৪ দেখা যায়-এতাবানেব লোকোইয়ং যাবানিক্দ্িয়গোচরঃ,৯৯৯ অর্থাৎ, লোক ব৷ জগতের আয়তন ইন্দ্রিরগোচরতার মাঁপকাঠির সাহায্যে চিহ্ছিত। ইন্দ্রি৫ের মাধ্যমে যতটুকু জান] সম্ভব চার্বাকের জগৎ তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ । ““তত্বসংগ্রহ পঞ্ধিকা”- তেও অনুরূপ একটি লোকায়ত বচনের উদ্ধতি পাওয়া যায় “এভাবানেব পুরুষো যাবানিক্দিয়গোচরঃ1*৯২ চার্বাক দর্শন স্বন্ধে সাধারণ মনোভাব এই ধারণারই অনুগামী । আর বস্তবাদী দর্শন হিসাবে চার্ধাকের পরিচিতি সেই ধারণাই অন্গসরণে 1 ইন্ডিয়- গুলল দ্বারপথে মানুষের জ্ঞানের ভাগ্ারে সঞ্চিতও হয় একমাত্র বস্তজগতের মাল- মসল!। প্রত্যক্ষকে জ্ঞানের একমাত্র মাধ্যম করার জন্য এই উপাদানের অতিরিক্ত অন্য কিছু চার্বাকের জ্ঞানের রাজ্যে তার সঞ্চ় রাখতে পাবে না, ফলে স্থুল বস্তজগৎকে কেন্দ্র করেই রূপায়িত হয়ে ওঠে চার্বাকেব সম্পূর্ণ নিজন্ব বস্তবাদী সিদ্ধান্ত। সাধারণতঃ এই রূপে চার্বাকের পরিচিতি হলেও অন্যান্থ স্থত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে চার্াকের সামগ্রিক রূপের প্রতিফলন এখানে হয়নি এবং প্রত্যক্ষপ্রমাণবাদী হিসাবেও চার্বাককে সব ক্ষেত্রে চিহ্িত করা যায় না। চার্বাকগোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক মতবাদের প্রচলনের উল্লেখ আমপা আগেই করেছি এবং চার্বাক সিদ্ধান্থের সামগ্রিক রূপের বিচারের জন্য এগুলির আলোচন এখানে প্রয়োজন । এই প্রসঙ্গে চার্বাক সন্বদ্ধে “ন্যায়মঞ্জরী” গ্রন্থে জয়ন্ত ভটের মন্তব্য উল্লেখ্য । প্রত্যক্ষপ্রমাণবাদী হিসাবে চার্াক গোষ্ঠীকে সাধারণভাবে বিশেষিত করেও “ন্যায় মগ্ররীরই” অন্ঠত্র গ্রন্থকার ভিন্ন ধরনের অপর এক মতবাদকে চার্বাক নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। এই মতবাদের সমর্থক চার্বাকেরা তার ভাষায় 'ধূর্ত' সংজ্ঞায় চিহ্িত। এই শ্রেণীর চার্বাকদের মতে প্রমাণ এবং প্রমেয়ের সংখ্যা এবং লক্ষণের নিয়ম করা! সম্ভব নয়। সংখ্যা এবং লক্ষণ সন্বন্ধীর নিমের অনৈক্যই এদের পরিভাষায় 'তন্তরী আখ্য। পেয়েছে এবং এই অর্যাগসারী তত্বের ব্যাখ্যাকে আশ্রর করে এ'রা এমন অনেক প্রমিতির উদাহরণ দিয়েছেন যাদের উদ্ভব প্রত্যক্ষাদদি প্রমাণের মাধ্যমে হয় না।*৯১ সপে শশা শি পপ পাপ শী পা ০৯ ১৯১। যস, ৮১ ১৯২। তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা, পৃঃ ৫২৩ ১৯৩। ন্যাম, ১, পৃঃ ৫৯-৬০ (চার্বা কধূত্স্ত'" প্রমাণসংখ্যা শিয়মাশক্যকরণীয়ত্ব- সিদ্ধয়েচ প্রমিতি ভেদান্‌ প্রত্যক্ষাদিপ্রমাণামুপজন্ানীদৃশানুপাদশয়ৎ****) চা পটভূমি প্রসঙ্গে জয়ন্ত ভট্ট বণিত চার্বাক-গোর্ঠীর সম্পূর্ণ চিত্রায়ণ কোন ক্রমেই সম্ভব কারণ এ প্রসঙ্গে চার্বাক পক্ষের নিজন্ব বক্তব্য উপস্থাপিত করতে পারে এমন রচ প্রকৃত অভাব। তবে “তক্বোপপ্নবসিংহ” নামে চার্বাকগোষ্ঠীর একমাত্র মৌলিক রচনার উল্লেখ আমরা করেছি তার মধ্যে এই শ্রেণীর ধূর্ত চার্বাক ছবি আবিষ্কার করা হরত সম্ভব হতে পারে। প্রত্যক্ষকে একমাত্র প্রমা মর্ধদা দান সম্বন্ধে চার্বাক প্রসঙ্গে সাধারণ যে ধারণ প্রচলিত “তত্বোপপ্লবসিং সাক্ষ্য তার পরিগস্থী। এই গ্রস্থে বণিত চার্বাকের অন্ত প্রমাণের সঙ্গে প্র ক্ষকেও প্রমাণের আসর থেকে বহিষ্কার করতে আগ্রহী এবং প্রত্যক্ষোপা বস্তজগতের বিষয়গুলিও এঁদের কাছে প্রমেয়ের মধাদা লাভে বঞ্চিত। প্র পক্ষে সাধারণ বিচারে আমর যাকে “তত্ব বলি বিভিন্ন প্রমাণগ্রাহা সেই ত অস্তিত্বকে এর সম্পূর্ণ অগ্রাহা করেছেন।৯৯৪ নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপ সময় যে ত্বকে এরা উপজাব/ করেন প্রযাণের সংখ্যা এবং লক্ষণসম্ব নিয়মের অনৈক্যের সঙ্গে তা একার্থক। বাস্তবিকপক্ষে জাগতিক বস্তনিচ সত্যাসত্য নির্ন করার মান, আমরা যেভাবেই ঠিক করি না কেন সময়েই তা ক্রটিমুক্ত হতে পারে না। এটা, প্রদর্শন করাই তত্বোপপ্রববাদী উদ্দেগ৯৯৫ এবং এই উদ্দেশ্তসিদ্ধির জন্য এরা তর্কের বিভিন্ন কলাকৌ ১৯৪ । 'পৃথিব্যাদদীনি তত্বানি লোকে প্রসিদ্ধানি, তান্যপি বিচার্ধমানা্ি ব্যবতিষ্ঠন্তে, কিং পুনরন্াযানি*, তত্বোপপ্লবসিংহ পৃঃ ১ ১৯৫ | তত্বোপপ্লবসিংহের মতে প্রমাণের অস্তিত্ব সং লক্ষণের নির্ভরশীল, আবার এই প্রমাণের মাধ্যমেই প্রমেয় বস্তবিষ বাবস্থাপনা। প্রমাণের লক্ষণে যদি ত্রুটি থাকে, তাহলে তাকে ক' সৎ বলা চলে না এবং এই ত্রুটিপূর্ণ লক্ষণযুক্ত প্রমাণের অস্তি হ্বীকুত হতে পারে ন।। প্রমাণ অন্বীরত হলে প্রমাণের মাধ আমরা প্রমেয় যে বস্ত বা বিষয়ের ধারণা করি সেগুলিকেও অঃ করতে হয় । ( কথং কথং তানি ন সন্তি? তছুচ্যতে সঙ্পক্ষণনিব, মানব্যবস্থানং, মাননিবন্ধনা! চ মেয়স্থিতিঃ, তদভাবে ন তথা স ব্যবহারবিষয়ত্বং কথং,***পৃঃ ১)। বৌদ্ধমতের সমালোচন! প্রঃ তত্বোপপ্লবসিংহে মান এবং মেয়ের সংখ্যাগত নির্দেশনার বিরোধ কর! হয়েছে । ( “তথ! মানমেয়সংখ্যাপি সৌগতমতে নোপপপ্য পৃঃ ৩০ ) চার্ধাক সিদ্ধান্ত-_-আলোচনা ও সমালোচনা ৭১ উদ্ভাবন করে একই সঙ্গে ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখার সিদ্ধান্তে ক্রাট অন্ু- সন্ধানে প্রবৃত্ত হয়েছেন । ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন বিভাগে প্রমাণের সংখা! এবং লক্ষণ সম্বন্ধীয় নিয়ম প্রসঙ্গে যে সুস্ম মতভেদ, চার্বাকী সমালোচনা তার মূলে আঘাত করেছে। এ বিষয়ে চাবাক জয়রাশির সঙ্গে “ন্যায়মঞ্জরী”তে ধূর্ত সংজ্ঞায় অভিহিত চার্বকগোঠীর সম্পূর্ণ একমত্য দেখা যায়। প্রমাণসন্বন্ধীয় নিয়মের বিরোধিতা প্ররুতপক্ষে চার্।কদের প্রগতিবাদী মনোভাবের এক্য স্ুচক, যা দার্শনিক মতবাদ ছাডাও আমাদের আচরণ বিধির প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মবন্ধনকে শিথিল করার প্রয়াসে তৎপর । আমরা আগেই লক্ষ্য করেছি যে স্থকঠোর বিধিনিয়মের ভারে ভারাক্রান্ত বৈদিক আচারের প্রভাব থেকে মুক্তির প্রচেষ্টার মধ্যে চাবাকী চিন্তার প্রথম উন্মেষ। আবিভাবের প্রাথমিক মুহূর্তে যে প্রগতিবাদী দৃষ্টি চার্বাকী মনে অনুপ্রেরণার সধার করেছিল, উত্তর যুগের চার্ধাকী চিন্তাতেও সেই দৃষ্টিভঙ্গীব প্রভাব লক্ষণীয় । সংখ্যা ও লক্ষণের নিয়মে প্রমাণের শ্রেণীবিভাগে ব্রতী দার্শনিকদের বিরুদ্ধে চার্বাকদের যে ধরনের প্রতিবাদ “ন্যায়মঞ্তরী”তে দ্রেখা যায় তারই অনুপ প্রতিবাদে সোচ্চার চার্বাক জয়রাশ বৈধাকরণরুত শব্দের লক্গণগত ন্যিমের বিপক্ষে, তীর “তত্বোপন্লব- সিংহ” গ্রন্থে। বৈয়াকরণেরা প্রতি ও প্রত্যয়ের দুর্লজ্ব্য বন্ধনে শব্কে আবদ্ধ রেখেছেন ! ব্যাকরণের স্থত্রগুলি তাদের মতে লক্ষণের পধারহুক্ত। এবং এই লক্ষণাদ্ষিত শব্সমূহকে তীরা “সাধু, আখ্যায় ভূষিত করেন। এইভাবে সাধুত্বের ছাড়পত্র লাভে যে শব্গুলি সক্ষম, একমাত্র সেগুলিই তাদের নির্দেশে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত । চার্বাক জয়রাশির সুক্ষ বিচার বিশ্লেষণ! প্রসারিত হয়েছে বৈরাকরণ নির্দেশিত বিশেষ লক্ষণযুক্ত সাধু শবের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার ব)পাবে। বৈয়াকরণদের মতে বিশেষ লক্ষণ দ্বারা যেগুলি নির্দেশিত হয় না, সেগুলি অসাধু শব্ধ এবং এই অসাধু শবের প্রয়োগকে তারা অনুমোদন করেন না। জয়রাশি অসাধু শবের প্রয়োগের ফলে সম্ভাব্য কয়েকটি দোষের উল্লেখ করে যুক্তির মাধ্যমে সব কটি দোষেরই অবাস্তবতা প্রতিপাদন করেছেন। আর উপসংহারে সাধু শব্দের সঙ্গে অসাধু শব্দেরও সমান সার্থকতা সন্ধে নিজন্ব মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন।১*৬ জয়রাশি অবলম্থিত প্রতিপক্ষ খগ্ুন পদ্ধতি সম্বন্ধে ধারণ লাভের ব্যাপারে “তত্বোপপ্রবসিংহ” গ্রস্থে বণিত প্রত্যক্ষ প্রমাণসন্বন্বীয় প্রারত্তিক আলোচনা ১৯৬। তত্বোপপ্নবসিহ, পৃঃ ১২০২৫ ৭২ পটভূমি প্রসঙ্গে কিছুটা আলোকপাত করতে পারে এবং এই আলোচনার বিচারেই এখন আমরা প্রবৃত্ত হব। ্যায়স্থত্রে প্রত্যক্ষের লক্ষণ এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে_ -ইন্দ্রিযার্থসন্ধি কর্ষোথ- পন্নং জ্ঞানমবাপদেশ্যমব্যভিচারি ব্যবসায়াত্মকং প্রত্যক্ষমূ” -৯৭ অর্থাৎ, প্রত্যক্ষ বলতে সেই ধরনের জ্ঞান বোঝায় যা ইন্জ্রি এবং অর্থ বা জ্ঞেয় বস্তর সন্নিকর্ষের ফলে উৎপন্ন হয়। ইন্দ্রিয় এবং অর্থ পরম্পর নিকটবর্তী হলেই যে প্রক্কত প্রত্যক্ষজ জ্ঞান সম্ভব হয় না তা বোঝাবার জন্য স্কত্রকায় “অব্যপদেশ্ঠ*, 'অব্যভিচারী” এবং “ব্যব- সারাত্মক' এই কয়েকটি বিশেষণে এই জ্ঞানকে চিছিত করেছেন । প্রথম বিশেষণের দ্বারা সংজ্ঞা, পরিচয় ইত্যাদির মাধ্যমে বিশেষভাবে ব্যাখ্যাত বস্তকে প্রত্যক্ষ জ্ঞানের পরিধি থেকে বহিষ্কৃত কনা হয়েছে । সম্মুখস্থ কোন ব্যক্তির আকুতি ইত্যাদি সম্বন্ধে সাক্ষাত্ভাবে যে জ্ঞান আমাদের মনের গোচরীভূত হর তাকে প্রত্যক্ষ বল। চলে। লোকটি সন্বন্ধে আমাদের পূর্ববর্তী জ্ঞানের সহযোগিতায় নাম ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত তার যে সম্পূর্ণ পরিচয় আমর! তখন লাভ করি তা প্রত্যক্ষ-বহিভূতি। স্থত্রে ব্যবহ্ৃত “অব্যভিচারী, পদ মিথ্য। জ্ঞানকে প্রত্যক্ষের পরিসর থেকে অপসারিত করেছে। স্থ্কিরণে জলের বা রজ্ভ্রতে সর্পের বোধ প্রকুত প্রত্যক্ষ পদবাচ্য নয়। “ব্যবসায়াঁ- আ্বক' শবের দ্বারা প্রকৃত বিচার বা অবধারণাকে জ্ঞানের একটি প্রধান অঙ্গ হিসাবে উপস্থাপিত কর! হয়েছে, যার অভাবে কেবল মাত্র অর্থের সঙ্গে ইন্দ্রিয়ের সন্গি- কর্ষেব ফলে জ্ঞানের উৎপত্তি সম্ভব নয়। চক্ষুর সন্নিকটে অসংখ্য বস্ত উপস্থাপত হলেই যে তাদের সবগুলির প্রত্যক্ষ জ্ঞান হয় তা বলা চলে না। বস্তগুলির মধ্যে বিশেষভাবে যেটি অবধারণাঁয় আসে সেটিই প্রত্যক্ষপদবাচ্য । সেটি যদি ফুল হয় তাহলে জ্ঞাতা ব্যক্তির ধারণা জন্মে “এটি একটি ফুল? | ব্যবসায় নামে অভিহিত এই বিশেষ ধারণা শ্যায়ের অভিমতে প্রকুত প্রত্যক্ষ জ্ঞানের অপরিহাধ সোপান। প্রত্যক্ষলক্ষণের বিচার প্রসঙ্গে “তত্বোপপ্নবসিংহ" প্রথমেই স্ায়স্থত্রবণিত এই লক্ষণকে ভালভাবে বিশ্লেষণ করে এর সর্বাত্মক ত্রুটি প্রদর্শনে প্রবৃত্ত হয়েছে । হুত্রবণিত 'অব্যভিচারী” পদ গ্রস্থমতে আরও বিস্তারের অপেক্ষা রাখে ।৯৯৮ অব্য- ভিচারিতা নান? ভাবে হতে পারে-_-যে কারক বা ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে এই জ্ঞানের উৎপাদন তার অছুষ্টতা, জ্ঞানের পথে বাধার অস্তিত্বের অভাব অথবা প্রবৃত্তিসামর্থ্য। প্রথমটিকে অব্যভিচারতার কারণ হিসাবে নির্দেশ করা সম্ভব নয়। কারণ চক্ষু ১৯৭। ন্যায়, ১১1৪ ১৯৮। তত্বোপপ্লবসিংহ, পৃঃ ২-৩ চার্বাক সিদ্ধান্ত-_-মালোচন1 ও সমালোচনা ৭৩ ইত্যাদি ইন্জরিয়ের কুশলতার বিচার ইন্দ্িয়ের সাহায্যে হয় না, যে জন্ত প্রত্যক্ষ এই, বিচারের মাধ্যম হতে পারে না। এ ব্যাপারে অনুমানেরও অসার্থকতা একই সঙ্গে প্রতিপন্ন হয়, কারণ অন্থমানের কাধকারিতা প্রত্যক্ষজ্ঞানেরই ভিত্তিতে । যেহেতু বা লিঙ্গ অনুমানের অপরিহায অঙ্গ, সেই লিঙ্গ এখানে ইন্দ্িয়ের মাধ্যমে উদ্ভুত জ্ঞান। ইন্দ্রিয়োখ জ্ঞানেরই সহায়তায় ইন্দ্রের অদুষ্টত! বিচার করে ইন্দ্রিরের মাধামে লব্ধ প্রত্যক্ষজ্ঞানের অব্যভিচারি ত। প্রমাণের চেষ্টা করলে ইতেরেতরাশ্রয়দোষের প্রসঙ্গ এসে পড়ে । বাধারহিতত্ব এবং প্রবৃত্তিসামধ্-_-অব্যভিচারী জ্ঞান উৎপাদনে এ ছুটির মধ্যেও কোনটি যে প্ররূত কারণ হতে পারে তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়, সম্ভাব্য নানা রকম দৃষ্টিকোণ থেকে এ ছুটিকে বিচার করার পর এ সম্বন্ধে গ্রন্থকার তাঁর মন্তব্য ব্যক্ত করেন। মোট কথা, বিশেষ কোন বস্ত সম্বন্ধীয় জ্ঞানে প্রত্যক্ষজ জ্ঞান প্রঞ্তই বস্তির পরিচয় বহন করে কিনা স্থির করার প্রস্তৃতি হিসাবে অব্যভিচারী জ্ঞানের বিভিন্ন কারণ আগে নির্ণর করা প্রয়োজন, যেগুলির অনুপস্থিতিতে যথার্থ জ্ঞানের পায়ে কোন জ্ঞান উন্নীত হতে পারে না । কিন্তু এই কারণগুলি নির্ণযযোগ্য না হওয়ায় “অব্যভিচাপী” বিশেষণও কোন জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না। “তক্বোপপ্রবসিংহের” মতে প্রত্যক্ষলক্ষণে ইন্দরিঘ়ার্থসন্নিকর্ষ পদকে অন্ততৃক্তি করে নৈয়ায়িকেরা 'অব্যভিচারী, পদকে আরও অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছেন। বাহা বস্তর জ্ঞানে অর্থ বাঁজ্েয় বস্ত যদি ইন্দ্রিয়ের নিকটবর্তী হয় তাহলে আপনা থেকে জ্ঞানে ব্যভিচারিতা শঙ্কার নিবৃত্তি হয়। নৈয়ায়িকের! এ ক্ষেত্রে শ্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে পারেন যে ইন্দ্রিয় অর্থ বা জেয় বগ্তর সন্িরুষ্ট হলেও বন ক্ষেত্রে প্রকৃত বস্তজ্ঞানের পরিবর্তে ভ্রমের উৎপাদন হয়। যেমন নর্ধরশ্মিতে জলের প্রতীতি। এবুক্তির বিপরীত পক্ষে গ্রস্থকারের যুক্তি এই যে উল্লিখিত উদাহরণে নকসনেজ্িয়ের যোগ হয় নিকটবর্তা হুর্ধরশ্মির সঙ্গে; যে উদকব জলের প্রতীতি এ ক্ষেত্রে হয়, সেই উদক নয়নের সন্নিকটে একেবারেই আসে না। কাজেই ন্যায়সথত্রবর্তী “অব্যভিচারী পদ এখানে সম্পূর্ণ নিপ্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে গ্রন্থকার ব্যভিচারী জ্ঞান ব1 ভ্রম সম্বদ্ধে সুদীর্ঘ এক আলোচনার অবতারণা করেছেন। ুক্ষ বিচারে কোন জ্ঞানই যে “অব্যভিচারী' সংজ্ঞা লাভ করতে পারে না নানাভাবে তা দেখান হয়েছে। “তত্বোপপ্নবসিংহ” গ্রন্থের অভিমতে ন্যায়স্থত্রে অন্তভূক্ত “অব্যভিচারী” পদটি সব দিক দিয়েই অসার্থক।৯৯৯ ১৯৯। “তম্মাৎ স্থিতমেতদ্‌ অব্যভিচারিপদমনর্থকম্ঠ, তত্বোপপ্লবসিংহ, পৃঃ ১৭ ৪ পটভূমি প্রসঙ্গ ্যায়স্থত্রে প্রত্যক্ষ লক্ষণ সন্বন্ধে প্রযুক্ত অপর তিনটি পদের অসার্থকতাও গ্রন্থে স্দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে অগ্নুরূপভাবেই প্রতিপন্ন করার প্রয়াস দেখা যায়। পরিশেষে গ্রস্থকার প্রত্যক্ষে ইন্দ্রিয় বা বাহ অর্থের যে কোন অবদানকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এ প্রসঙ্গে ন্যায়স্ুত্রের অকার্করিতার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেছেন ] $0 ভারতীয় দর্শনের অন্যান্য শাখাতেও প্রত্যক্ষ সম্বন্ধে নিজস্ব লক্ষণ আছে। “তব্বোপপ্লবসিংহের সমালোচনা থেকে এগুলিও বাদ যায় নি। দর্শনের সুক্ষ তর্ককে উপজীব্য করায় এই সমালোচনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নীরস এবং সেইজন্য এ প্রসঙ্গে আলো৮ন। দার্থায়িত ন! করে স্চক হিসাবে একমাত্র স্ায়স্থত্রের প্রত্যক্ষলক্ষণ এবং তার সমালোচনার উল্লেখের মধ্য দিয়েই এর পরিসমাপ্তি ঘোষণা করতে চাই। বিভিন্ন শান্তর সঙ্বন্ধে পাণ্ডিত্য এবং হেতুবাদের পূর্ণ প্রকাশ এই সমালোচনার মধ্যে “তত্বোপপ্নবসিংহ” আলোচনা করলে চার্বাক দর্শনের নেতিবাচক রূপের পূর্ণ পরিচয় আমাদেপ্ন কাছে প্রতিভাত হয়। বিভিন্ন গ্রস্থের বর্ণনায় প্রত;ক্ষনির্ভর বস্তবাদী এক দর্শন হিসাবে চার্বাকের যে পরিচিতি, তা থেকে ম্বভাবতঃই ধারণ হতে পারে যে চার্বাক সিদ্ধান্তে কিছুটা! ইতিবাচক বক্তব্য আছে, যাঁর কেন্দ্র হল স্থূল বস্তবাদ এবং এই বক্তব্যের বিপরীত সব কিছুই এই দর্শনের সমালোচনার বিষরীভূত। অন্ুমান প্রমাণের বিরোধিতায় চার্বাকপক্ষের তৎপরতার মূল এই ব্যাপারে, এবং একই কারণে চার্বাকেরা বাদ দিতে চান আত্মা, পরলোক ইত্যািকে __প্রত্যক্ষের মাপকাঠি দিয়ে যেগুলিয় বিচার চলে না। কিন্তু “তত্বোপপ্লবসিংহ” গ্রন্থে যখন দেখা যায় যে চার্বাকগোঠী এই প্রত্যক্ষকেও প্রমাণের আসর থেকে বহিষ্কত করতে উন্মুখ এবং প্রত্যক্ষোপাজিত বস্তজগতের বিষয়গুলিকেও প্রমেয়ের মর্যাদা দিতে আপত্তি তখন চার্বাকদের নিদিষ্ট বক্তব্য সম্বন্ধে সংশয় জাগে। বস্ততঃপক্ষে এই গ্রন্থের যচয়িতার সুক্ষ বিচারে কোন প্রমাণই ক্রটিবিহীন নয়। এবং এই প্রমাণের ছারপথে জ্ঞানের রাজ্যে যে তত্বগুলির প্রবেশ সেগুলির কোনটিই তার কাছে অস্তিত্বের শ্বীকৃতি পায়নি। বিতগ্ডার লক্ষণ নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করেছি। এই বিতগ্তারই পুর্ণ প্রকাশ “তত্বোপপ্লবসিংহ” গ্রন্থে । লোকায়ত বা চার্বাক দর্শনে কর্তব্যের কোন উপদেশ নেই এবং বিতগাই এর একমাত্র উপজীব্য---এই মর্ষে "ম্ায়মঞ্জরীতে” যে উক্তি দেখা যায় তার প্রকৃত সার্থকতা এই গ্রস্থপাঠে উপলব্ধ হয়। প্ররুতপক্ষে ২০০। তত্বোপপ্লবসিংহ, পৃপৃঃ ১৯২১ চার্যাক সিদ্ধান্ত-_আলোচন। ও সমালোচনা ৭ ভারতীয় দর্শনের সহযোগী নব কটি শাখায় পরিগৃহীত বিভিন্ন তত্বগুলির সমালোচনা এই চার্বাকী গ্রন্থের উপপাগ্য বিষয়। প্রমাণের মধ্যে যে প্রত্যক্ষের আবেদন সহজ এবং স্বাভাবিক সেই প্রত্যক্ষকেও চার্বাকরা আক্রমণ করেছে । বিভিন্ন দর্শনে বণিত প্রত্যক্ষ লক্ষণগুলির প্রতিটি শব্ধ পৃথক্ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলির অসার্থকতা প্রদর্শন করে প্রত্যক্ষের প্রামাণো কিভাবে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, তার কিছু নিদর্শন আমর আগেই সংগ্রহ করেছি। ধধর্ত' সংজ্ঞায় চারাক গোষ্ঠীকে বিশেবিত করার সময় জয়ন্ত ভট্ট কোন্‌ শ্রেণীর চার্বাকদের নির্দেশ করেছিলেন, সঠিক ভাবে তা বলা শক্ত। তবে এই প্রসঙ্গে জয়ন্ত ভট বধিত চার্যাক মতের সঙ্গে “তন্বোপপ্লবসিংকে” অন্তভূক্তি চার্বাকী ধারণার কোন কোন ক্ষেত্রে সাদৃশ্টের উল্লেখ আমরা আগেই করেছি। অপরের বিচারে ক্রটি প্রদর্শন করাই যে এই শ্রেণীর চার্ধাকদের মুখ্য উদ্দেশ্ঠ, নিল্গস্ব কোন সিদ্ধান্তে আসা নয়, আলোচ্য গ্রস্থের পবস্পরবিরোধী কয়েকটি সিদ্ধান্ত থেকে তা পরিস্ফুট হয়। ন্যায়দশনের সমালোচণ প্রসঙ্গে জাতি বা সামান্যকে সম্পূর্ণরূপে অন্বীরুতি জানিয়ে২১ একই গ্রন্থে জয়গাশি ভট্ট বৌদ্ধদের বিচারে ক্রটি প্রদর্শনকালে জাতির বিরুদ্ধে তাদের যুক্তি খণ্ডনে তৎপর হয়েছেন২০২। বৌদ্ধ ক্ষণিকসন্ভানবাদীদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় গ্র্কারের প্রয়াস দেখে মনে ভয় যে তিনি বুঝি আখাবাদী দার্শনিকদেরই সগোত্র ।২০৩ কিন্তু পরক্ষণেই অধ্যাত্ম দর্শন অনুস্থত অন্থমান প্রমাণের সাহায্যে আত্মার ধারণাকে খণ্ডন করার প্রয়াস থেকে বোঝা যায়২০৪ যে ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া চার্বাকের লক্ষা নয়। তীদের লক্ষ্য হল নেতিবাচক পথ ।" প্রত্যক্ষবাদী হিসাবে বিভিন্ন গ্রন্থে চাবাক দর্শনের বর্শা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে চার্বাকের এক বৃহৎ গোষ্ঠী এই নেতিবাচক প্রবণতায় সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করেনি ও প্রত্যক্ষকে ্বীরূতি দিয়ে সাধারণগ্রাহ এই প্রমাণের মাধমে পাওয়া বস্তজ্গতকে তার বিষয়বস্তর পরিসরে এনেছে । এই ম্বাভাবিক ধারণারই প্রতিফলন দেখ যায় বস্তবা্দের সঙ্গে চার্বাকী মতবাদের একাত্ীকরণে। কিন্ত চারাকের এই বস্তবাদী প্রকাশকে তার নেতিবাচক প্রবণতারই অঙ্গবিশেষ ২০১। তত্বোপপ্রবসিংহ, পৃপৃহ ৪-৭ ২৩২ | এ, পৃপৃঃ ৪৬-৫১ ২০৩। এ পৃঃ ৫৫ ২০৪ । এ, পৃপূঃ ৭৪-৮৩ ৭৬ পটভূমি প্রসঙ্গে হিসাবে দেখাট! বোধ হয় অযৌক্তিক নয়। প্ররুতপক্ষে চার্বাক মতকে বস্তবার্দের পরিবর্তে হেতুবাদের সঙ্গেই একাত্ম করা অধিকতর লমীচীন | এই হেতুবাদেরই ছুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী প্রকাশের মধ্যে একটির আশ্রয় বস্থজগৎ্, প্রত্যক্ষের মাধ্যমে যার পরিচিতি। অপরটির প্রকাশ “তাত্বোপপ্লবসিংহ”্তে রূপায়িত চার্বাকী ধারায়, বস্তজগতকে হ্বীরূতি দিতে না পারায় যা বাস্তববাদী দর্শনের সম্পূর্ণ বিপরীত বৌদ্ধ এবং অদ্বৈত বেদান্তের সমপর্ধায্ভূক্র হয়েছে। জৈন দার্শনিক বিষ্ঠা- নন্দী “তত্বার্থক্লোকবাতিক' গ্রস্থে বলেছেন, 'ির্বথা শূন্াবাদিনস্তত্বোপপ্নববাদিনো ্র্মবাদিনো বা জাগ্রহুপলবার্থক্রিয়ায়াং কিং ন বাধকপ্রত্যয়ঃ” | খগুনথণ্ডঁ খাছ” গ্রস্থেও এই তিনটি মতবাদ একই শ্রেণীর অন্তর্গত। হেতুবাদের বিপরীতধর্মী ছুটি অভিব্যক্তির মধ্যে একমাত্র প্রত্যক্ষ যেখানে প্রামাণ্যের মর্দাদায় অভিষিক্ত, প্রচলিত পরিভাষায় “চার্বাক' সংজ্ঞা সেই দর্শনেরই পরিচয় বহন করে। “তত্বোপপ্লবসিংহেগ্র বর্ণনায় তত্বের অস্তিত্বে স্বীকৃতির অভাব, প্রচলিত প্রত্যক্ষবাদী চার্বাক মতে তত্বের বর্তমানতা প্রত্যক্ষের মাধ্যমে লভা বস্তজগৎকে কেন্দ্র করে। এই বস্তজগতের মূলগত উপাদানের সংখা। ভারতের অন্তান্য দর্শনের মতে পাঁচ-_ক্ষিতি অর্থাৎ পৃথিবী বা মাটি, অপ. বা জল, তেজ বা আগুন, মরুৎ বা বাতাস এবং ব্যোম বা আকাশ। কিন্তু প্রত্যক্ষবাদী চার্বাকের৷ এই মূল তত্বের সংখ্যা চারে সীমিত রাখতে চান।২০৫ ২০৫। “তত্র পৃথিব্যাদীনি ভূতানি চন্বারি তত্বানি”, সসং পৃঃ ২ পৃর্ধী জলং তেজো বাযুভূতি চতুষ্টয়মূ.'” ষস, ৮৩ ? পৃথিব্পতেজোবায়বন্তবানি”, প্রচ, পৃঃ ৬৪, “লোকারতিকপক্ষে তু তব্বং ভূতচতুষটয়ম্‌, পৃথিব্যাপন্থা তেজো! বায়ুরিত্যেব নাগরম্‌*, সর্বসিদ্ধান্তসংগ্রহ, ২১১ “পৃথিবীবারি- বহ্ছিবাযুলক্ষণানি', লাংখ্যপ্রবচনস্থত্র, "চাতুরভৌতিকমিত্যেকে' (৩১৮) তে চারটি ভূতের উপাদানে দেহ গঠন সম্বন্ধে চার্বাক মতবাদ প্রকাশ পেয়েছে । তব্বসংগ্রহপঞ্জিকা (১৮৫৯) তে উদ্ধত পৃথিব)- পন্তেজোবায়ুরিতি চত্বারি তত্বানি*** স্থত্রের মাধ্যমে চতুর্ভূতি সম্বন্ধে চাধাকী ধারণার অভিব্যক্তি দেখা যায়| প্রত্যক্ষবাদী চার্বাকদের ছে প্রত্যক্ষসিদ্ধ এই চারটি তত্ব ছাড়! অন্য কিছু অনুমোদন লাভ কবেনি (“ন চৈতদ্ব্যতিরেকেণ--* সংসিদ্ধিঃস্তাৎ, তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা, ১৮৬০ ), গুণরত্বের বর্ণনা অনুসারে চার্বাকর্দের এক বিশেষ শ্রেণী পঞ্চ মহাভতের অন্তিত্থ শ্বীকার করেন, ( তর্করহন্তাদ্ীপিকা, পৃঃ ৩০ ) চার্বাক সিদ্ধান্ত--আলোচন! ও সমালোচনা ৭৭. ব্যোম বা আকাশকে তারা গ্রাহা করে না। কারণ, ব্যোম বা মহাশৃন্টের জান প্রত্যক্ষের মাধ্যমে হয় না। এই চতুভূতিকেই প্রতাক্ষবাদী চার্বাকের! তত্ব হিসাবে স্বীকৃতি দেন। এবং এই তত্বগুলর অতিরিক্ত অন্য কিছু তাদের অন্টমোদন লাভ করেনি। এই চার তত্বের সমবায়ে দেহ, ইন্দ্রিয় এবং জাগতিক সব পদার্থের স্থ্টি। কমল- শীল এ প্রসঙ্গে লোকায়তস্থত্র উদ্ধত করেন__“তৎসমুদায়ে বিষয়েব্দরিয়সংজ্ঞা" ।২০৩৬ বিভিন্ন প্রাণিদেহের উপাদানরপেও মৌল এই চারটি তত্বের নির্দেশ চার্বাক দর্শনে আছে। প্রাচীন গ্রীক দর্শনের সামান্য উল্লেখ বোধ হয় এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হবে। বস্ব- জগতের প্রাথমিক উপাদান হিসাবে অনুমোদিত চার্বাকী তত্বের সংখ্যা ভারতের প্রচলিত ধারণার ব্যতিক্রম হলেও প্রাচীন গ্রীক চিন্তায় কিন্তু এর এক অনুলিপি দেখা যায়। দার্শনিক ৮196০-র মতে২০৭ +01)916 019 0081 91617891015 ০1 ০৫ ৬/1101) 1115 0909 15 ০0190709১১৫, 95101) ৪00 1170 210 ৬/2(6) 010 817১১ 101500115 বলেন, ১1009 011 0০9৫195 ০ 811 2111177815, 210 111:515 01 ৪11 10181015১ 21:5 00110100960 0017 1116 00011 910176109। 17 50006 017 (18912) 62111) 10160017117981695১ 29 11 10181009১11) 011)615, 9/2061, 29 11 2008010 21117215, 2110 11 0111615 91 01 0০, &9 11) [09095111905 210 11660 810110215. চার্বাক দর্শনের ইতিহাসে এই তথ্য হয়ত কোন গুরুবপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রস্ততি বচন] করতে পারে। অনুমান প্রমাণ -ম্বভাববাদ প্রতাক্ষের পরেই প্রাধান্তের বিচারে ভারতীয় দর্শনে যে প্রমাণের অগ্রগামিতা সাধারণভাবে শ্বীকার্ধ সেই অন্ুমানকেও তীব্রভাবে চার্বাকী আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছে। অন্গমান প্রমাণ হিসাবে ধাদের দ্বারা অন্গমোদত, প্রতি- আক্রমণে শ্বাভাবিকভাবেই তারাও পশ্চাৎপদ হননি। অনুমান প্রমাণকে কেন্ত্র করে ভারতীয় দার্শনিকদের এ প্রতিদ্বন্বিতার কিছু বিবরণ দেওয়ার আগে দশনের পরিভাষায় বণিত অনুমানের লক্ষণ সম্বন্ধে আলোচনা প্রয়োজন । ২০৬। তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা, ১৮৬০ ২০৭। ১1960 10109010189, 0. 74 "৭৮ পটভূমি প্রসঙ্গে গৌতমের স্যায়ন্থত্রে প্রত্যক্ষলক্ষণের বর্ণনার পর অনুমানকে 'তৎপৃৰকং,২০প অর্থাৎ প্রত্যক্ষ-আশ্রিত বলে অভিহিত করা হয়েছে। অনুমান প্রত্যক্ষের মত গ্ৰনির্ভর প্রমাণ নয়। “অন্ত শব্দের অর্থ “পশ্চাৎ এবং প্রত্যক্ষলন্ধ জ্ঞানের পর প্রত্যক্ষের মাধ্যমে সংগৃহীত উপকরণগুলির সাহায্যে নি জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে অগ্রসর হয় এই অনুমান প্রমাণ । হ্যায়বণিত অনুমানের গঠন বোঝাতে সাধারণতঃ এই উদাীহরণের আশ্রয় নেওয়া হয় £ পর্বতো বহিমান্‌ ধূমা্ব-ঘত্র যত্র ধূমোইস্তি তত্র তত্র অগ্নিঃ, যথা মহানসাদৌ_ পর্বতে ধূম অথবা ধেশয়ার অস্তিত্ব থেকে বহ্ছি বা আগুনের অস্তিত্ব অন্ুমান করা হয়। অনুমানের ভিত্ত এক্ষেত্রে ধেশায়া এবং আগুনের মধ্যে এক অচ্ছেছ্চ সম্বন্ধ, যে সন্বন্ধের অভিব্যক্তি “যেখানে ধেশরা থাকে সেখানে আগুনও থাকে, এই ধারণ] । এ ধারণার উত্স আবার আমার্দের পুরাতন প্রত্যক্ষলন্ধ অভিজ্ঞতা, যথা, রান্নাঘর এবং অন্যান্য স্থানে ধোয়াকে সব সময়ে আগুনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে দেখা গেছে। ধেশয়া দেখে আগুনের অস্তিত্ব আমরা অনুমান করি; কাজেই ধেশয়া এখানে আমাদের অনুমানলন্ধ জ্ঞানের “হেতু”, “সাধন” বা লিঙ্গ” । হেতুর সাহায্য নিয়ে যা অন্রমান করা হয়-এ ক্ষেত্রে আগুন-_ন্তায়ের পরিভাষায় তার নাম “সাধা”। যে স্থানে বা অধিকরণে সাধ্যের অস্তিত্ব স্থির করা হয় তার নাম “পক্ষ । উপরের উদ্দাহরণে পক্ষের ভূমিকা পর্বতের । সাধনের সঙ্গে মাধোর চিরকালীন সম্পর্ককে বল! হয় “ব্যাপ্তি”, বা অবিনাভাব। অনুমানের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ অঙ্চমানের প্ররুত ভিত্তি হিসাবে এই ব্যাপ্তির জ্ঞানকেই নির্দেশ করা যেতে পারে। “যেখানে ধোয়া থাকে সেখানে আগুনও থাকে? --এই ব্যাপ্িজ্ঞানকে ভিত্তি করে আমরা পক্ষ” বা পর্বতের সঙ্গে “দাধ্য' বা আগুনের যোগ সাধন করি। ধেশায়।৷ এখানে “সাধ্য এবং “পক্ষ', উভয়েরই সাধারণ ধর্ম বা লিঙ্গ । “হেতু” বাঁ লিঙ্গের সঙ্গে অচ্ছেছ্ঠ বন্ধনে যুক্ত থাকার জন্য “সাধে অপর নাম “লিঙ্গ? । অন্ুমানকে প্রতাক্ষ পূর্বক বলা হয়েছে, কারণ অনুমানগত জ্ঞান লাভ করতে হলে প্রত্যক্ষের উপর আমাদের নানাভাবে নির্ভর :করতে হয়। উদাহরণে ধেশয়াকে প্রত্যক্ষ করে তবেই ধেশয়ার কারণ হিসাবে আগুনের সিদ্ধান্তে আস! সহমত ২০৮1 ১১৫ চাাক সিদ্ধান্ত-_-আলোচনা ও সমালোচন। ৭১৯ সম্ভব হয়। নিলি অনুমানের ভিত্তি যে লিঙ্গ এবং লিঙ্গীর অবিচ্ছেষ্চ সম্বদ্ধের জ্ঞান, সেই ব্যান্তিজ্ঞান লাভের মুলেও আছে প্রত্যক্ষের কার্ধকরিতা ।২০৯ অর্থাৎ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধোয়া এবং আগুন বা সাধন এবং সাধ্যের একত্র অব- স্থানকে প্রত্যক্ষ করে তবেই এই ব্যাপ্তিজ্ঞানের ধারণ! সম্ভব। অনুমান প্রমাণে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক! যে ব্যাপ্তিজ্ঞানের সেই ব্যাপ্তিজ্ঞানকে কেন্দ্র করেই প্রধানতঃ চাধাকেরা অনুমানের প্রামাণ্য সংশয় প্রকাশ করেছেন। চাধাক পক্ষের বিচারে এই ব্যাপ্চিজ্ঞান অন্রান্তৃতার ছাড়পত্র লাভে কোন ক্রমেই সক্ষম হয়নি, অথচ এই ব্যাঞ্চিজ্ঞানের ভিত্তিতেই রচিত অনুমান প্রমাণের বিশাল সৌধ। চার্বাকেরা সম্তাব্য সব রকম জ্ঞানের মাধ্যম বিচার করে অভ্রান্ত ব্যাপ্তিজ্ঞানের উৎপত্তি কোন মাধ্যমের সাহায্যেই যে সম্ভব নয় তা৷ দেখাবার চেষ্টা করেছেন। অনুমান প্রমাণের আরস্ত এই জ্ঞানের মধ্য দিয়ে এবং এই জ্ঞানের আবির্ভাবের আগে অনুমানের অস্তিত্বই কল্পনীয় নয়। কাজেই ব্যাপ্তিজ্ঞানের উৎস হিসাবে অন্্মানকে কল্পনা করা চলে না। প্রমাণের অপর একটি মাধ্যম আপ্তবাক্যও যে চার্বাকমতে ব্যাপ্তিজ্ঞানের কারণ নয়, “সর্বদর্শনসংগ্রহে'র বিবরণ২১০থেকে তায় পরিচয় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে চার্াকপক্ষ থেকে বৈশেষিক মতের উল্লেখ করা হয়েছে, যে মত অনুসারে আপ্তবাক্য অনুমানের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনুমানের প্রামাণ্য শ্বীকারের ক্ষেত্রে আগ্ুবাক্যের সাক্ষ্য সং্পূর্ণ নিরর্থক হয়ে দ্াভায়। আপ্তবাক্যের সত্যতার ভিত্তি নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির উক্তি । এ জাতীয় উক্তিতে নির্ভরতা একমাত্র তখনই সম্ভব যখন বাক্যের সঙ্গে অর্থের সার্বকালীন সঙ্গতি সম্বন্ধে দৃঢ় প্রতায় থাকে, অর্থাৎ, বাক্যের সঙ্গে অর্থের অচ্ছেছ্ সম্পর্কের স্চক অপর একটি ব্যাণ্ডিজ্ঞানের অন্তিত্ব সম্পরকে নিঃসন্দিপ্ধ হওয়া যার । কাজেই আপ্তবাক্যে নির্ভরতার সঙ্গে ব্যাধিজ্ঞানে বিশ্বাস অন্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকায় ব্যাপ্তিজ্ঞানের ভিত্তি হিসাবে আপ্বাক্য গণ্য হতে পারে না। অনুমানের আশ্রয় ব্যাপ্তিজ্ঞান আপ্তবাক্যের .মাধ্যমে নির্ণয়যোগ্য নয় _চারবাকদের এই উক্তি প্ররূতপক্ষে অনুমানকে আঘাত করার উদ্দে্টে প্রযুক্ত হলেও প্রমাণ হিসাবে আপ্তবাক্যেরও দুর্বলতার ইঙ্গিত স্থচিত করে। আমরা আগেই দেখেছি যে অনুমানের সমর্থকদের কাছে এই ব্যাপ্টি- ২০৯। তৎপূর্বকমিত্যনেন লিঙ্গলিজিনঃ সম্বন্ধদর্শনং লিঙ্গদরশনঞ্চাভিসম্বধ্যতে, ম্যাভা, ১১1৫ ২১০। সসং, পৃ পৃঃ ১০ ৮০ পটভূমি প্রসজে জ্ঞানের উত্স প্রত্যক্ষ প্রমাণ” অনুমান বা আপগ্তবাকে;র ভূমিকা এক্ষেত্রে তাদের গ্রান্থ নয়। কানেই চার্বাক পক্ষেও মূল আক্রমণ পরিচালিত হয়েছে ব্যাপ্তিজ্ঞানের উৎপত্তির মাধ্যম হিসাবে এই প্রত্যক্ষের কার্ধকরিতার বিরুদ্ধে । জয়রাশি ভটের ন্ববপক্ষীয় বক্তব্যের উল্লেখ করে এখন এ প্রসঙ্গে আমাদের আলোচনা শুর করব। “ব্যাপ্তি, বা সাধ্যের সঙ্গে সাধনের অচ্ছেছ্য স্বন্ধের জ্ঞানকে যদি আমরা প্রত্যক্ষ প্রমাণের মাধ্যমে লাভ করতে চাই তাহলে প্রয়োজন সাধ্যের সঙ্গে যুক্ত সাধনকে প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথক ভাবে প্রত্যক্ষ করা। “তত্বোপপ্লবসিংহে” বলা হয়েছে থে এভাবে প্রতিটি ঘটন! প্রতাক্ষ করে উভয়ের মধ্যে সম্বন্ধের অবধারণের পথে প্রধান অন্তরায় হল দেশ, কাল এবং স্বভাবের ব্যবধান ।২৯১ ্রস্থকারের মতে এই আবশ্টিক সম্বন্ধ ব1 ব্যাপ্তির ধারণ! প্রতিটি সন্বন্ধীকে আশ্রয় করেই কেবল সম্ভব। সম্বন্ধ গ্রহণের সময় প্রতিটি সম্বন্ধী সাক্ষাৎভাবে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিভাত হয়-__এ কথা বলা যুক্তিযুক্ত নয়। জয়রাঁশি ভট্ের মতে যে বস্তু সাক্ষাৎভাবে প্রত্যক্ষের পরিসরে বর্তমান নয় তার প্রতীয়- মানতা কল্পনা করলে জিহ্বার মাধ্যমে রসের আম্বাদনের ক্ষেত্রে রূপের প্রতীয়মানত। কল্পনা করাও অসঙ্গত হয় না।২১২ অনুমানের সমর্থকেরা হয়ত বলতে পারেন যে সাধ্য ও সাধনের মধ্যে অবিনা- ভাব সম্বন্ধের অবধারণ বিশেষ কয়েকটি ঘটন! পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই হতে পারে, এর জন্য প্রত্যেকটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করা নিশ্রয়োজন। “তত্বোপপ্রবসিংহ” গ্রস্থের অভিমত অনুসারে সে ক্ষেত্রে যে ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে এই সম্বন্ষের অবধারণ, সেইগুলির ক্ষেত্রেই কেবল এটি প্রযোজ্য হবে, অন্গুলির ক্ষেত্রে নয়। কারণ, অন্যের সম্বন্ধে অন্টের গমকত্র কল্পনা. করা অপ্রাসঙ্গিক ।২১৩ |] মাত্র কয়েকটি বিশেষে ঘটনা পরীক্ষার ভাত্বতে সাধ্য সাধনের মধ্যে অনতি- ২১১। 'দেশকালম্বভাববিপ্রকর্যাচ্চ ন ব্যক্জীনাং সম্বন্ধাবধারণায় অলং প্রত্যক্ষম্‌, পৃঃ ৬৫ ২১২। ন চ সন্বন্ধিগ্রহণমন্তরেণ**'কল্পাযংস্যাৎ, এ ২১৩। “অথ অবিনাভাব সন্বন্ধ গ্রহণ*'*..*অতিগ্রসঙ্গাৎ” এ । সাংখ্যপ্রবচনন্থত্র, ৫1২৮তে ব্যাপ্টিসিদ্ধির বিপক্ষে চার্বাকী মতের উল্লেখ, দেখা যায় । টে মা দিন £ পট সন রিহা তা টি ভিদিকিতশ্তাসেক আবি স্যুট বি 555 শ্৮১ প্‌ সক ১. সাত রা সহ । এত 8৮58৯ ১০০ ১১১১ 5 । 0 রর ্ ্ ॥ 15 যদ ৮ ঁ ॥ রা মি & ॥ 1 ॥ * । 7 চি ॥ চার্বাক সিদ্ধাস্ত-_-আলোচন] ও সমালেচনা ৮৬ ক্রম্য গুণগত বন্ধনের অস্তিত্বকে কেন্দ্র করে ব্যাপ্থিজ্ঞানের অবধারণের পক্ষে অনু- মানের সমর্থকদের অভিমতের কথা “সর্বদর্শন সংগ্রহে” চাখাক মতের বিস্তার প্রসঙ্ষে বণিত হয়েছে । এ ব্যাপারে চার্বাকী উত্তর নিয়েও এ গ্রন্থে আলোচনা আছে । চার্বাক মতে কোন ছুটি বস্ত্র মধ্যে পরস্পর গুণগত সম্বন্ধের ধারণা প্রত্যক্ষের মাধ্যমে সম্ভব নয়! যদিও সম্ভব হয় তাহলেও এই ধারণা বিশেষ বস্ত ছুটিতেই সীমাবদ্ধ থাকতে বাধ্য, অন্ত বস্ত বা ঘটনার ক্ষেত্রে এই ধারণাকে প্রয়োগ করা সমীচীন হতে পারে না। ব্যাপ্তজ্ঞান সম্বন্ধে সাধারণ একটি ধারণায় আনা সম্ভব হতে পাবে কেবলমাঙ্জে সাধনের ও সাধ্যের পরস্পর যোগের ব্যগ্টিগত প্রতিটি ঘটনাকে পধবেক্ষণ করার মাধ্যমে, অন্তভাবে নয়- চার্বাকপক্ষের এই অতিমতের আলোচন। এবং সমালোচনা এই দর্শন সম্বন্ধীয় অনেক গ্রন্থেই দেখ যায়। এ ধরনের বিশেষ পর্যবেক্ষণ ঘে মানুষের সাধ্যাতীত চার্বাকী এই মন্তব্যের বিবরণও এই প্রসঙ্গে এই সব গ্রন্থে অস্ততৃক্ত হয়েছে । “লবদর্শন সংগ্রহে” উল্লিখিত চার্বাক মত অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিশেষ ঘটন৷ প্রত্যক্ষ করে সাধারণভাবে একটি ধারণা অনুমোদন করা মাগ্গষের বাহ্া ইন্ড্রিয়ের পক্ষে কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। প্রচলিত উদ্বাহুরণে ধোয়ার অস্তিত্ব আগুনের সত্তাব সুচনা করে-_এই সিদ্ধান্তে প্রত্যক্ষের সাহায্যে উপনাত হবার জন্য প্রযজোজন অতীত এবং ব্তমানের প্রতিটি ধোয়া-সংক্রাস্ত ঘটনা এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের যে স্ব ঘটনার সম্ভাবনা! আছে, সেগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা-_যা একেবারেই অসম্ভব । মনের মাধ্যমে উৎপন্ন আন্তর প্রত্যক্ষ থেকেও ব্যান্তিজ্ঞানে উপনীত হবার সম্ভাবন। চাবাক মতে স্বীকৃত নয়। কারণ চার্বাকেরা এই ধরনের প্রত্যক্ষকে বাহ প্রত্যক্ষের উপর নির্ভরশীল বলে মনে করেন ।২১৪ অনুমানের বিরোধিতা প্রসঙ্গে চার্বাক পক্ষের উক্তি নিয়ে জয়ন্ত ভট্ট “ন্তায়- মঞ্জরীতে” আলোচনা করেছেন ।২১৫ ব্যাপ্তিজ্ঞানের ভিত্তি ভূয়ো-দর্শন, অর্থাৎ অসংখ্য ক্ষেত্রে সাঁধনকে সাধ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখা । চার্বাকপস্থীর1 বলেন যে এই পরিব্তনশীল জগতে দেশ, কাল ও পরিবেশের বিভিন্নতা অনুযায়ী বস্ত- প্রকৃতিও নিয়ত পরিব্তনের অপেক্ষা রাখে । এই পরিবর্তনের পটভূম্নিকায় বিশেষ কোন ধর্ম বস্তবিশেষের সঙ্গে সব অবস্থাতেই যুক্ত থাকতে বাধ্য, এটা আশা করা ২১৪ । ২» পৃঃ ৮-১০ ২১৫ । ভ্যাষ। ১ পৃঃ ১৯৮-৯ তি ৮২ পটভূমি প্রসঙ্গে যায় না। কাজেই ভূয়োদর্শনের মাধ্যমে লব্ধ বিশেষ দ্রব্য এবং ধর্মের পরম্পন্ অবিনাভাবের সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়া সম্ভব নয়।২১৬ অসংখ্য ক্ষেত্রে সাধন এবং সাধ্যের একত্র অবস্থান যদিও দেখা যায়, তাহলেও এর থেকে আমরা চিরকালীন সত্য কোন ব্যাপ্তিজ্ঞানের আশ! করতে পাতি না; কারণ অতীতে যে অবিনাভাৰ দেখ! গেছে, ভবিষাতে তার ব্যতিক্রম হবে না, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই । পন্যায়মঞ্জরী”্র উক্তিতে বলা হয়েছে যে বিশ্বের সমস্ত বস্তু যদি কোন ব্যক্তির প্রত্াক্ষ-গোচরে আনা সম্ভব হত তাহলে সেই ব্যক্তি তার বিশেষ শক্তির সাহায্যে হয়ত বলতে পারতেন সাধন ৰা ধূম সাধ্য ব1 অগ্নির সঙ্গে সব ক্ষেত্রেই গ্ররুতই যুক্ত কিনা । কিন্তু এই ধরনের শ'ক্রমান ব্যক্তির পক্ষে অশ্নঘান এবং অনুমানের ভিত্তি ব্যাণ্তিজ্ঞান-__ছুইই নিপ্রয়োজন |২১৭ চার্বাকপন্থীবা আরও বলেন যে প্ররূত ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভ করতে হলে সাধ্য এবং সাধনের একত্র অবস্থানের প্রত্যেকটি ঘটনার মত উভয়ের একটির অভাবে আর একটিব্র অনবস্থানের প্রতিটি ব্যাপারও পধালোচনা কর! একান্ত প্রয়োজন । কিন্তু বাস্তবে রূপায়িত করার ক্ষেত্রে প্রথমটির চেয়ে দ্বিতীয়টি আরও কঠিন । বিভিন্ন স্থানে ধোয়া এবং আগুনের একত্র অবস্থানের ঘটন৷ প্রত্যক্চগোচরে আনা যদিও সম্ভব হয়, আগুন অবর্তমানে ধোয়ার অনুপস্থিতির প্রতিটি ঘটন। লক্ষ্য করা একেবারেই অসম্ভব । কারণ, আগুনের অনুপস্থিতি পধবেক্ষণ একমাত্র আগ্তন ব্যতীত পৃথিবীর যাবতীয় বস্ত সম্বন্ধে জ্ঞানের মাধ্যমেই হতে পারে। কাজেই অন্বয় এবং ব্যতিরেক উভয় দ্রিক থেকেই ব্যাপ্িজ্ঞানের সত্যত। প্রমাণ করা মানুষের ক্ষমতার বাইরে । যে অনুমানের আশ্রয় এই জ্ঞান নেই অন্থমানেরও অসার্থকতা এর থেকেই প্রমাণিত হয় ।২১৮ “ন্টায়কুহ্ুমাঞ্জলি” গ্রন্থে বণিত চার্বাক মত অনুসারে অনুমান নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নয় ।৯১৯ তবে অন্রমানের স্থব্র ধরে সম্ভাবনার যে ইঙ্গিত পাওয়। যায় তা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে পথ প্রদর্শকের কাজ করে । বিশেষ কোন স্থানে ধোয়ার অস্তিত্ব থেকে মানুষের মনে ধারণা হয় যে সেখানে আগুন থাকতে পারে । ২১৬] দেশকালদশাভেদবিচিন্রাত্মহ্থ বস্তু অবিনাভাবনিয়মো ন শক্যা বর্তমাত 5? ২১৭। 'ন প্রতাক্ষ রুতা যাহদ্‌----এষামগ্মানশ্রয়োজনম্‌। ২১৮। “নিয়মশ্চান্্মানাইং গৃহীতঃ প্র।তপঞ্ঠতে --**নৈব পত্রস্তয যোগিনঃ, ২১৯। ন্ায়কুস্মাঞ্ুলি, ৩।৬ চার্বাক দিদ্ধান্ত--আলোচনা ও সমালোচন। ৮৩ এই ধারণার বশীভূত হয়ে অনেক সময় মে আগুন সংগ্রহ করতে যায় এবং এই কাজে সফল হলে নিজ ধারণাকে সে প্রামান্য জ্ঞানের মধাদায় উন্নাত করে। আমাদের জীবনে অধিকাংশ কাজের প্রেরণার মূল এই ধরণের অনুমান । কিন্তু চার্বাকমতে এগুলি প্রমাণ নয়, সম্ভাবনার আভ।সমা্র | এই স্ভাবনাকে পরিণামে সত্য হতে দেখলে নেহাতই কাকতালীয় (১০1০0 (2] ) বলে ধরে নিতে হবে। ব্যাপ্তিজ্ঞানের ভিত্তি ব্যাপ্যতা ও ব্যাপকতা! সন্ধে এখানে কিছু আলোচনা প্রয়োজন। ব্যাপ্যতা এবং ব্যাপকতা নির্ণয়ের মাপকাঠি হিসাবে বস্ত বশেষের অবস্থানের আয়তনের পরিমাশকে নির্দেশ করা হয়েছে । কোন একটি বস্তু যদি অপর একটি বস্তুর অবস্থানের সম্পূর্ণ অংশ অধিকার করে থাকে তাহলে প্রথম বপ্তটি দ্বিতীয়টির "ব্যাপক, এবং দ্বিতীয় বস্তুটি প্রথমটিব্র পব্যাপ্য' | আগুন এবং বোয়ার ক্ষেত্রে ধোয়ার অবস্থানের সম্পূর্ণ অংপ আগুনের অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত-_ধোয়ার উপস্থিতির সঙ্গে আগুনের উপস্থিতি সব সময়েই বিজডিত--কাজেই আগুন এখানে ব্যাপক এবং ধোধ। ব্যাপ্য। অন্রমানের নিভুলতার জন্য প্রয়োজন সাধন বা হেড সব ক্ষেত্রে ব্যাপ্য এবং সাধা ব্যাপক হইবে । ধোয়া থেকে আগ্নের 'অন্মানের ব্যাপাবে ধোয়ার চেয়ে আগুনের ব্যাপকতা সব সময়ে বেশী, অন্ততঃ কম কোন ক্ষেত্রেই নয়। আগুন খন আতর ইন্ধনের সঙ্গে যুক্ত হয় ৩খনই ধেক্জার উপস্থিতি দেখা যায়, অন্য সময়ে নয় ( এই আৰ্রর ইন্ধন ছাড়াও 'অন্য অনেক পদার্থ, যথা লৌহগোক্ক, ইত্যাদির সঙ্গে আগুন অনেক সময় যুক্ত হয়, কিন্তু ধোয়া তখন অন্ঠপস্থিত থাকে । যে আদ্র ইন্ধনের সংযোগের স্থনিদিষ্ট পরিসরের মধ্যে আগুনের সঙ্গে ধোয়ার দক্বন্ধ সীমিত, সেই আর ইন্ধন এক্ষেত্রে আগুনের উপাধি এবং আগুনের সঙ্গে ধোয়ার সম্পর্ক এই উপাধির সংযোগের উপর নিতবশীল হওয়ায় ওপাধিক ব! সত্ডসাপেক্ষ | সাধন বা হেতৃর সঙ্গে সাধ্যের উপাধিমুক্ত সম্পর্ক বা অবিনাভাব ন্যায়মডে “ব্যাপ্ছি, সংজ্ঞ! লাভের যোগ্য | ছুটি বস্তর মধ্যে পরস্পর সম্বন্ধ ছু কমের, স্বাভাবিক বা স্তসাপেক্ষ । লাল রঙ. জবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে সম্ব্থ হলেও শ্কটিকের সঙ্গে নয়, কারণ শ্ষটিকে লাল রঙের উপস্থিতি নির্ভর করে জবার সঙ্গে তার যোগের উপর | ধোয়ার সঙ্কে আগুনের সম্বন্ধ শ্বাভাবিজ এবং উপাধিমুক্ত-_ধোয়া উপস্থিতি থেকে আগুনের উপস্থিতি আমবা। স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করে নিতে পারি। আগুনের সঙ্গে ধোয়ার সম্পর্ক কিছ চিরস্তন নয়, কারণ আড় ইন্ধন বা ভি জালানির সঙ্গে যুক্ত আগুনেই কেবল ধোয়া থাকে। ৮৪ পটভূমি প্রসঙ্গে অন্থমান প্রক্রিয়ায় সাধনের সঙ্গে সাধ্যের সম্পর্কে উপাধির যোগ থাকলে অন্রমান ক্রটিপূর্ণ হয়। উপাধি সাধ্যব্যাপক কিন্তু নাধন-ব্যাপক নয়। ক্রটিপূর্ণ অন্ুমানে সাধ্যের সঙ্গে উপাধির যোগ নব সময়ে থাকে | আগুনের উপস্থিতি থেকে ধোয়ার অস্তিত্ব অনুমান করতে গেলে সে অনুমান কভ্রুটিপৃর্থ হয়, কারণ এক্ষেতে সাধন আগুনের সঙ্গে সাধ্য ধোয়ার যোগ আবরণ ইন্ধন বা ভিজ! জালানি-_-এই উপাধিন দ্বানা সীমিত। উপাধি এখানে সাধ্য ধোয়াতে বাাপক, সাধন আগুনে নয়। অন্থমানকে নিভুল প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করার বিরুদ্ধে চার্বাকপক্ষ থেকে এই যুক্তি দেখান হয় যে সাধনের সঙ্গে সাধ্যের উপাধিমুক্ততা সমন্ধে স্রনিশ্চিত হওয়া কোনশ্রম সম্ভব শয়। কারণ পরিণামে অন্রমানের ভিত্তি হিসাবে গৃহীত ব্যাপ্ি- জ্ঞানের নিউলতাব মূলে সব সময়েই সংশষেয় ছাপ থেকে যায় । আগুনের সঙ্গে ধোয়ার সংযোগ থে বাক্তির অভিজ্ঞতাব পরিসরে তার পক্ষে এই জাতীয় সংযোগকে চিবস্তুন বলে স্বীকার করার পথে কোন বাধা নেই । এই স্বীকৃতির ভিত্তিতে আগুনের উপস্থিতি থেকে ধোয়ার অস্তিত্ব অশ্রমান করার প্রবণতা তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই থাকতে পারে । কিন্তু এ জাতীয় অনুমান যে ত্রুটিপূর্ণ নিধু ম আগ্ররু আস্তত্বের বিভিন্ন ঘটনা থেকেই তা প্রমাণিত। ব্যাপ্সিজ্ঞানের সত্যতায় চাবাকর্দের সংশযের মুল নিহিত কামকানলণ সম্পকে তাদের অনুমোদনের অভাবে । ব্যাপ্তিজ্ঞানের সমর্থকর্দের মতে ধুমেঠ অগ্রি- ব্যাপ্যতা প্রমাণ করতে হলে ধুমের সঙ্গে অগ্রির সহাবস্থানের প্রতিটি ঘটনা লক্ষ্য করার প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন কেবল “বমত্ব” এবং “অগ্রিত্ব এই ছুটি সামান্তের মধ্যে কাধকারণভাবে বিশ্বাপ। ব্যাঞ্চিগ্রহণ প্রকৃতপক্ষে ধুম ও অগ্রিপ্বন্ধীয় এই সামন্যকে কেন্ত্র কবে। “ন্যায়ষপ্তরী”তে জয়ন্ত ভট্টের আলোচনার মধ্যে ব্যাঞ্চি শব্দের এই ধরনের অখ এচিত হয় (১১০ চার্বাকী ধারণায় কিন্তু এই সামান্তের কোন স্বীরাত নেই এবং ফলে সাম়ান্যদ্বারক কাযকারণভাবও এই দর্শন মতে অনশ্য়তার দোষে ছু ।২২১ সামান্ত বা জাতির অস্তিত্বের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ আলোচনা চাবাকী গ্রন্থ “তত্বোপপ্রবসিংহে” অস্তৃতু ক্ত হয়েছে ।২২২ গ্রন্থকাবের ২২০। “জলনত্বা দি-দামান্তপুরঃসরতয়। ব্যাপ্তিগ্রহনাত্*** "১ ন্যাম» ১১০৮ ২২১। পসামান্যদ্বারকোহপ্যস্তি নাবিশাভাবনিশ্চয়ঃ ১ বাস্তবং হি ন সামান্ং নাম কিঞ্চন বিস্ততে” এ ২২২। পৃ পৃঃ ৪-৭ চার্বাক সিদ্ধান্ত-_আলোচন1 ও সমালোচনা 2 মতে সামান্তের অস্তিত্ব শ্বীকারে যুক্তি ন থাকায় সামান্যের মাধ্যমে সম্বন্ধ অধধারণের তিত্তিতে সংগৃহীত ব্যাপ্তিজ্ঞান ভিত্তিহীন ।২২৩ ছুটি ঘটনার একাধিক ক্ষেত্রে ক্রমিক সংঘটনের ব্যাপার বিশ্লেষণ করলে উভয় ঘটনার আশ্রয় বস্তগুলির অন্তনিহিত লামান্য ধর্মে অধিকাংশ সখস্গেই কাখকারণ- ভাবের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। অনুমানের ভিত্তি ব্যাপ্তিজ্ঞানের জনক হিসাবে এই কার্ধকারণভাবের উল্লেখ করা যেতে পারে | কাধকাবণ ভাবে সম্পূর্ণ আবশ্বাসী চার্বাকেরা মনে করেন যে ছুটি ঘটনার একত্র যোগাযোগ নেহাতই অহেতুক এবং এ থেকে ভব্যাতেও অতীতের এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি অশ্রমান করা যায় না। কারণ, অভীতে দুষ্ট হয়নি এবং সেইজন্য আষ্াদের কল্পনাতেও মাসে নি এমন অনেক বিষয়ের উপস্থিতিতে হয়ত ভবিষাতে খটনাগুলির প্মিকতা নষ্ট চতে পারে । অনেক সময় এশ্বধপ্রাপ্তি বা বোগনিবৃত্িরু জন্য বতুধারণ, মন্্রপ্রযলোগ বা এধধ ইত্যাদির বাবহার দেখা যায় । এ সবের মাধ্যমে অভীষ্টসিদ্ধি কোন কোন ক্ষেত্রে £লেও চার্বাকদের মতে এগুলির ব্যবহার এবং ফলপ্রাপ্ন, উভয়ের মধ্যে কাধ- ঈারণ কোন সম্পর্ক নেই । কারণ, অনেক সময় মণি, মন্ত্র বা ওধধ প্রয়োগে চল পাওয়! যায় না। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এগুলির ব্যবহার ছাড়াই দেশ্যাস্দ্ধি হয়। মণি, মন্ত্র বা ওধধের প্রয়োগ এবং সেই প্রয়োগের ফলে মাংশিক ক্ষেত্রে লন্ধ ফল-__উভয়ের পরুম্পর্ু সম্বন্ধ চার্বাকী পরিভাষায় “যাদচ্ছিক, 80010610021) আখ্যা পেয়েছে ।২২৪ চার্বাক মত অনুসারে জগতের অন্য যে [মস্ত ঘটনাকে আপাতঃ দৃষ্টিতে কাধকারণঘটিত বলে মনে হয়, অনুরূপ বিচারে সগুলিও “যার্দুচ্ছিক" প্রতিপন্ন হয়। চার্বাকদের অন্ুষ্থত এই দৃষ্টিভঙ্গীরই পরি- প্রক্ষিতে চার্বাক দর্শনের অপর সংজ্ঞা “যাৃচ্ছিকবাদ? বা “ম্বভাববাদ” ।*২৫ চার্বাক- দর অভিমতে অগ্ধির উষ্ণতা, জলের শৈত্য ইত্যাদি ঘেমন স্বাভাবিক এবং এই বনের কয়েকটি বিশেষ বস্তর বিশেষ কোন গুণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার [লে কোন বস্তু বাঁ ঘটনাকে যেমন কারণ হিসাবে নির্দেশ করা৷ চলে না, দেইরকম ২২৩। “তদ্‌ যদি সামান্তয়োঃ সন্বন্ধাবধারণম, তদযুক্তমূ, সামান্যাপপন্ডে:, পু, ১৫ “তদ্‌ যদি--.--***সামান্তন্তামংভবান্ন তয়োঃ সম্বন্ধ: পৃ: ৮৩ ২২৪ । সমসং, পৃঃ, ১২ ২২৫। এ, পৃঃ ১৩ ৮৬ পটভূমি প্রসঙ্গে জগতের বিভিন্ন ঘটনাবলী, মানুষের সখ-ছুঃখ, উত্ধান-পতন ইত্যাদিও ম্বাভাবিক- ভাবেই হয়। 'অনৃষ্ট ধধর্ম-অধর্ম' ইত্যাদিকে জগতের বৈচিত্র্যের কারণ হিসাবে স্বীকার করার পক্ষে কোন যৌক্তিকতা নেই ।২২৬ “সর্বসিদ্ধাস্তসংগ্রহে” ম্বভাববাদী চার্বাকদের অভিমতেব্র এক বিবরণ আছে। এই মত অন্তদারে শিখিপুচ্ছে নানা রঙ্ডের বৈচিত্র্য বা কোকিলের কঠে মধুর স্বরের সমাবেশ স্বাভাবিক যে নিয়মে হয়, মানুষের সৃখ-ছুঃখেও সেই নিয়মেরই প্রভাব দুষ্ট হয়। এসবের কারণ হিমাবে ধর্ম-অধর্ম ইত্যাদির কল্পন। অসঙ্গত ।২২৭ «অনৃষ্ট স্বীকারে চার্বাকদেও "্মাপত্তি; কারণ দৃষ্টিসীমার বৃহিভূ্ত হওয়ার ফলে প্রত্যক্ষের মাপকাঠিতে "দুষ্ট বিচারবোগ্য নয়। অবৃষ্টবাদীদের দ্বারাও অদুষ্ট কখনও দুষ্ট হয়েছে বলে শোন] যায় না। তাছাড়া, বিশেষ কোন স্থানে বা কোন সময়ে দৃষ্ট হলেও এর আনুষ্ট নামের সার্থকতা থাকে না। নিত্য অদৃষ্ট কোন বস্তু সত্তাকে যদি আমরা অনুমোদন করি তাহলে “শশশূঙ্গ' বা অনুব্ূপ অসম্ভব পদার্থের অস্তিত্বকেও আমাদের স্বীকৃতি দিতে হয়।২২৮ আমরা আগেই দেখেছি যে “অনুষ্ট ধেম-অধর্ষ ইত্যাদি ধারণা ভারতীয় আধ্যত্ম দর্শনের অনুমোদিত কর্ম- ফলবাদেন্ আবশ্টিক অঙ্গ । কাজেই এই ধারণাগুলির বিরোধিতার মাধ্যমে কর্মফলবাদও যে প্রকারান্তরে অস্বীকৃতি লাভ করে তা বলাই বাহুল্য । অন্যান্য চার্বাকী ধারণার মত স্বভাববাদও ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখায় সমালোচনার বিষয়বপ্ত । “অনিমিত্ততে! ভাবোৎপত্তিঃ কণ্টকতৈক্ষ্যাদিদর্শনাৎ্ এই ন্যায়নঙ্ে*২৯ ভাষ্যকার বাধ্ন্যায়ন ত্বভাববাদের অনুরূপ যে চিন্তাধারার উল্লেখ পান জাগতিক ঘটনাসমূহের মূলে নিমিত্তের অবদান তাতে ত্বীরুত নয়। এই মতবাদ অনুসারে প্ররুতির বিভিন্ন অভিব্যক্তি, যথা! কণ্টকেরর তীক্ষতা, বুডেরু বৈচিত্র) ইত্যাদি যেমন নিজেকে প্রকাশ করতে কারণের অপেক্ষা রাখে না, সেই রকম বিভিন্ন উপাদানের স্মবায়ে গঠিত মানুষের দেহ প্রভৃতি বস্ত নিমিদ্ত কারণ ব্যতিরেকেই স্বরূপে পরিণতি লাভ করে । এই মতের আলোচন। প্রসঙ্গে ভাষ্যকার মন্তব্য করেন যে ভাবোত্পত্তির নিমিত্ত হিসাবে নির্দেশ কর] হয়েছে অনিমিত্তকে ১ ফলে নিমিত্তকে প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে স্বভাববাদীর1 অগ্রসর হয়েছেন ২২৬। এ, পু পৃঃ ১২-৩, বস, ৮০১৮৫ ২২৭। সর্বসিদ্ধাস্ত সংগ্রহ ২।৪-৫ ২২৮ । এ, ২1২-৩ ২২৯। ৪1১1২২ চাধাক সিদ্ধান্ত-_আলোচন! ও সমালোচনা ৮৭ নিমিত্েরই সাহায্য নিয়ে, যদ্দিও এই নিমিত্ত হিসাবে তীর! অনিমিত্রকে ব্যবহার করেছেন ।২৩০ ম্বভাববাদীর] এক্ষেত্রে যে ধারণাকে অস্বীকার করতে প্রবৃত্ত সেই বিশেষ ধারণাই এখানে তীদের অবলম্বন । তাদের এ ধরণের যুক্ি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। হ্যায়বাতিকে উদ্যোন্তকর স্বভাববাদের সমথকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন-__ নিথিত্তের অভাব কণ্টকাঁদি বিশেষ কয়েকটি বস্ত্র ক্ষেত্রেই কেবপ প্রযোজ্য, না প্রতিটি বস্তুর ব্যাপারে এর প্রয়োগ স্বাকায? যদ্দি কয়েকটি মাত্র বন্তকে আনিমন্ত মনে করা হয়, তাহলে অবশিষ্ট সব দ্রব্যের নিমিত্রমুসকতা প্রমাণিত হয় । অপর পক্ষে, প্রত্যেক বস্ত অনিমিত্ত-_-এ ধরণের স্বীকৃতিতে স্বাববোধ দধোত্র প্রসঙ্গ এসে পড়ে । কারণ, স্বভাববাদের প্রচারকের এ ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য অপরেবু মনে একটি বিশেষ ধারণা উত্পাদন করা। স্বভাববাদের সমর্থনে উৎপন্ন ধারণা নিমিত্তুকে কেন্জ্র করেই সম্পাদিত । ফলে শ্বভাববাদ এখানে ব্যাহত এবং কাধের নিমিত্ব- মূলকতা! শেষ পযন্ত গ্রাহ্থ। কয়েকটি অংশের সমবায়ে গঠিত হবার ফপে কণ্টক প্রভৃতি দ্রব্য স্বরূপে পরিণতির জন্য কারণের অপেক্ষা রাখে-চাবাক মতের বিরোধিতা প্রসঙ্গে হ্যায়বাতিককার এই সিদ্ধান্তের অনুকূলে মন্তব্য প্রকাশ করেন | প্রকৃতপক্ষে, কাষেরু উত্পত্তি বা ঘটনার সংঘটনেহ মুলে কাঃণের অস্তিত্বকে ত্বীকার না| করলে বিশেষ এক সময়ে কোন কা বা ঘটনা কেন উৎপন্ন বা সংঘটিত হয়, পব সময়ে হয় না-_-এ প্রশ্বের সমাধান পাওয়া সম্ভব নয় ।ম্বভাববাদের এই মূলগত ত্রুটি স্বভাববাদ বিরোধীদের প্মস্্র হিসাবে অনেক ক্ষেত্রে বাবহৃত হয়েছে । এই মতবাদের আলোচনার সময় উদয়ন ২১ বলেন যে কাধের উৎপাদন কারণের উপর নিভরশীল হলে তবেই তাত বিশেষ কোন সময়ে আবিভাবের যৌক্তিকতা থাকে এবং এই জন্যই কাষের উৎ্পন্ভির মূলে কারণকে অস্বীকার করান উপায় নেই / “ন্যায়কুহ্থমাঙুলি” ও তার টাস্গাকে অন্তসর্ণ করে এ সম্বন্ধে আরও বলা যার়-ম্বভার শবের অর্থ প্ররুতিগত বৈশিষ্ট্য। এই টবশিষ্ট্য কাধের কিংবা কারণেন্। প্রথম সম্ভাবনায় উৎপত্তির পূবে কার্ধের এবং সেই সঙ্গে তার ২৩০ | যতশ্চোৎপন্ভতে তন্গিমিত্তম। অনিমিত্তশ্য দিমিত্তত্বান্নানিমিতে| ভাবোৎ্পত্তিতিতি? ন্যাভা, ৪1১২৩ ২৩১ । ন্যাক়কুহ্থমাঞ্জলি, ১।? ৮৮ পটভূমি গ্রাসঙ্গে বৈশিষ্টেরও অস্তিত্ব না থাকার স্বভাবের মাধ্যমে কার্ষের উৎপত্তি ব্যাখ্যা কয়া যেতে পারে না। স্বতাবকে যদি কারণেব অস্তিত্ব বলে ধরে নেওয়! হয় তাহলে শ্বভাববাদের সমর্থকেরা প্রকারাস্তরে কারণবাদকেই শ্বীকৃতি দেন এবং শ্বভাববাদের কোন স্বাধীন সত্তা থাকে না।২৩২ কার্যকারণবাদের বিরুদ্ধে চার্বাকদের অভিমত সম্পূর্ণ সমর্থনপুষ্ট না হলেও ব্যাণ্চিজঞান্রে বিরোধিতাপগ্রসঙ্গে চার্বাক প্রদ শিত যুক্তিগুলিকে অগ্রাহথ কর] চলে না। ছুটি ঘটনার ক্রমিক সংঘটন একাধিক ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ কর! গেলেই ঘটন। ছুটির কার্কারণভাবে সঙ্বন্ধের দিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অযৌক্তিক । তবে এ জাতীয় ব্যাপার কার্ধকারণ সম্বন্থীয় ধারণার সুচনা করতে পারে এবং ঘটনা ছুটি ভাল- ভাবে বিশ্লেষণ করার পরব প্রথমটির মধ্যে দ্বিতীয়টির যদি বীজ দেখ] যায় তবেই সেই ধারশা নিশ্চিত হতে পারে । কেবলমাত্র এভাবে উৎপন্ন ব্যাপ্িজ্ঞানই নিতু'ল অনুমানের মাধ্যম হতে পাবে । এই নিভূলত। সব অন্ুমানে সম্ভব নয় এবং সেইজন্য অনুঘানের প্র।মাণ্য চার্বাকদের অনুমোদন লাভে বঞ্চিত । প্র ২৩২। শ্বতাববাদ সম্ভবতঃ 'াদিতে শ্বতন্ত্র মত হিসাবে ভারতের চিন্তাক্ষেত্রে সৃটিপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যার উদ্দেশ্টে আবিভূত ছুয়েছিল। চার্বাক মভের সঙ্গে এই মতের একীক্ষরণ পরবর্তী পধায়ে বলে অনেকের ধারণা ( দক্ষিণাবঞ্জন শাস্ত্রী, চার্বাক দর্শন, পৃঃ ১১৫ )। শ্বেতাশ্বতবু উপনিষদে (১২; ৬।১) বিশ্বের আদি কারণ ছিসাবে স্বভাব, যদৃচ্ছা, কাল, নিয়তি, পুরুষ ইত্যাদিও নাম পাওয়া যায় | যদ্রচ্ছাকে এখানে স্বভাব থেকে পৃথক করা হয়েছে । দক্ষিণারগন শাহী স্বভাব্বাদীদের মধো ছুটি সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব স্বীকার করেন, (১) ধারা স্বভাবকে কারণের হ্বীকৃতি দেন এবং (২) ব্রার কাধকারণবাদের বিরোধী এবং মনে করেন ঘে জগতের সবকিছু ঘটনাই অহ্তুক। দ্বিতীয় দলের হ্বতাববাদীদের যাুচ্ছিক বলা হয়। (পৃঃ ১১৭) কার্ধকারণবাদের অস্বীরুতির মাধ্যমে চার্বাকদের যে পরিচিত তাতে এই দ্বিতীয় দলের গ্বতাববাদীদের সঙ্গেই তীদের একাত্ম করা চলে। শান্ত্রীমহাশয় অবশ্য স্বভাববাদীদের মতদ্বৈধ অনুযায়ী চার্বাকগোষীর মধ্যেও ছুটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। (পৃঃ ১১৬), যদিও তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে তিনি কোন তথ্য সরবরাহ করেন না। চার্ধাক সিদ্ধান্ত--আলোচন! ও সমালোচনা ৮৯ অন্থমানকে নিভূল প্রমাণের যযাদদ] চার্বাকবিবোধী শঙ্করাচার্ধও দেন নি। 'অতীন্দ্রিয় সত্যের সদ্ধানে অনুমানের পরিবর্তে শব্ধ ব। আপ্তবাকোর উপর নির্ভর- শীল হবারই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন । প্রত্যক্ষ, অন্মান ও আগঞ্তবাক্য--জ্ঞানেব মাধাম় হিসাবে তিনটিই তার কাছে স্বীকৃত হলেও সর্বশেষ প্রমাণটির উপর তিনি সর্বাধিহ প্রাধান্য দাবের পক্ষপাতী । সম্পূর্ণ বিপরীত দুষ্টিকোণের অধিকারী চারবাকের। খপ্তবাক্যকে প্রমাণের রাজ্যে প্রবেশাধিকার দিতে লম্মতভ নন। কাজেই অনুমানকে বর্জন করার ফলে ঠাদ্দের জগৎ প্রত্যক্ষের গণ্ডীর মধ্যে সীধিত। তাত্বিক বিচারের দিক দিয়ে হয়ত অন্তমান ক্রুটিমুক্ত নয়, কিন্তু মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে অনুমানের ব্যবহারিক উপযোগিতাকে কোনক্রমেই উপেক্ষা করা চলে নাঁ। 'পর্বধর্শনসংগ্রহে” অন্মানের সঙ্গে আন্তবাক্যেরও এই ধরনের ব্যবহাত্িক প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে ।১৩৩ গ্রন্থকারের মতে ধোয়ার উপস্থতি থেকে আগুনের ধারণ। করা বা "অপরের কাছ থেকে পাওয়া বিবরণ অনুযায়ী ফলাথী ব্যক্তির ফলের অনুপন্ধানে বিশেষ কোন স্কানাভিমুখী হওয়। --এই জাতীয় প্রতিদিনের সাধারণ ব্যবহারের ফৌসক্তকতা কেবল প্রতাক্ষের বার] প্রমাশিত হতে পারে না। ন্যায়কু স্থমাঞ্জলি” গ্রন্থে উদয়ন বলেন যে চার্বাকী খুক্তির ছারা প্রভাবিত মান্ৰ যাঁদ প্রত্যক্ষ বহিভূত সব বস্তকে অস্বীকৃতি দেয় তাহলে ব্যবহারিক জীবনে অগ্রসর হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে ।২৩৪ “গ্যায়ম্র1”-কার জয়ন্ত ভট্টও এ প্রসঙ্গে অন্থূপ মন্তব্য করেন ।২৩৪ চাঁবাক মতবাদের খণ্ডনে প্রচলিত বিদ্েপাত্মক উক্তি অন্রনারে স্বামীর গুহে অন্পপ্থিতি- কালে চারাক পত্বী বিধবা হন, কারণ কেবলমাত্র প্রত্যক্ষের মাধ্যমে গৃহবহিভূ ত চার্বাকের বর্তমানতাকে শ্বীকার করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। উল্ভিটি নিছক পরিহাসধমী হলেও ব্যবহারিক জীবনের গতিপথে বিশুদ্ধ চারাক-পশ্থীরা যে ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে পাবেন, এবু মধ্যে তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ব্যবহারিক জীবনের এই অস্থবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখেই বোধহয় চার্বাকর্দের এক গোঠী অনুমানকে সম্পূর্ণ অস্বীকার না করে লোকগ্রাসিদ্ধ বাবহারের ক্ষেত্রে এই প্রমাণের প্রয়োগের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন । কমলমীল কর্তৃক আলোচিত ২৩৩ । সসং, পৃঃ ৭ ২৩৪ | ন্যায়কু হুমাঞ্জলি, ৩।৫, ৬ ২৩৫। “অনুমানাপলাপ তু প্রত্যক্ষাদপি হূর্পত৷ । লোকথাত্রেতি লোকাঃ স্থযালিখিতা৷ ইব নিশ্চলাঃ ন্যাম, ১ পৃঃ, ১১০ । ৯০ পটভূমি প্রসঙ্গে এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত চার্াক পুরন্দরের মতের উল্লেখ আমরা আগেই করেছি। জয়স্ত ভট্ট তীর “ন্যায়মণ্রীগতে “স্থুশিক্ষিততর” সংজ্ঞার মাধ্যমে সম্ভবতঃ এই সম্প্রদায়ের চার্বাকদের নির্দেশ করেছেন । এর! অন্রমানকে ছুটি বিভিন্ন শ্রেণীর অন্ততূক্ত করেছেন এবং এর মধ্যে একটিকে অঙ্গমোদন করলেও অপরটি অর্থাৎ লোকব্যবহারের অতিরিক্ত পদ্দার্থগুলির অনুমানের ক্ষেত্রে এরা নিজস্ব চার্বাকী দু্টিতঙ্গীতে অবিচল । অনুমানের বিরোধিতা করার সময় উপায় ছিসাবে চার্বাকেরা অনুমান বা যুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন । এর ফলে যে ম্ববিরোধের উৎপত্তি হয়েছে ৰিরোধা পক্ষে সমালোচনায় অনেক ক্ষেত্রে তার উল্লেখ দেখ! যায় | “ন্যায়পরিশুদ্ধি' গ্রস্থে৩৬ চার্বাকী বিচারের এই দ্রুটি প্রদশিত হয়েছে । চার্বাক সিদ্ধান্ত অনুসারে অনুমানের প্রামাণ্য নিণয় প্রত্যক্ষ মাধামে সম্ভব নয়, নিভূল অনুমানের সাহায্যেও নয়। যে অন্মানের আশ্রয় নিয়ে চার্বাকেরা অন্তমান প্রমাণকে খণ্ডন করেছেন তা এইরকম ব্যাপ্তি অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রে সাধনের সঙ্গে সাধ্যের অবিনাভাবের ধারণ। গ্রহণযোগ্য নয়) কাজেই কোন বিশেষ ক্ষেত্রে সাধনের সঙ্গে সাধ্যের যোগৎ প্রামাণ্য হতে পারে না। অন্কুমানকে এইভাবে অব্লশ্বন করার ফলে তীর স্ববিরোধকে এড়াতে পারেননি | “গ্যায়কুহ্বমাঞ্জলি” গ্রন্থে ২০৭ চার্বাকপক্ষের এই ক্রটি অন্তভাবে আলোচিত হয়েছে । চার্াক মতে উপাধি-নিরাস সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া কোন ক্রমে সম্ভব নয় কোন বিশেষ সময়ে বিশেষ স্থানে সাধ্যে উপাধির অভাব দৃষ্ই হলেও আশঙ্কা থেবে যায় যে অনাগত কালে অপর কোন স্থানে উপাধির অবস্থিতি সম্ভব হতে পারে চার্বাক পক্ষের এই জাতীয় ধারণ! যুপ ত্রুটির উল্লেখ প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন ৫ ভবিষ্যৎ কালে বা দর স্কানের অবস্থিতি প্রত্যক্ষসীমাবহিভূ তি হওয়ায় অনুমানে সাহায্য ব্যতীত এগুলির জ্ঞান সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রমাণের রাজ্যে অন্মান বা মানমিক বিচারণাকে বর্জন কর চলে না। জ্ঞানের ভাগ্ডারে সঞ্চয় বুদ্ধর জন্য বস্তজগৎ থেকে উপকরণ সংগ্রঃ করতেই হয় এবং বস্কেন্দিক এই উপকরণেপ সরবরাহ প্রতাক্ষ প্রমাণকে আশ্র করে, মে বিষয়ে সন্দেহ নেই | কিন্ত প্রকৃত জ্ঞানের সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাপারে বিচার সস ০৮০ ০০ ভা লা পপ পাপা সা পাপী প্খপরকাপ পাপ স্পট ২৩৬। গ্যায়পরিশুদ্ধি, পৃ পৃঃ, ৯৪-৬ ২৩৭। ন্থায়কুন্ষাঞ্জলি, ৩।৭ চার্বাক সিদ্ধাস্ত--আলোচন! ও সমালোচন। ৪৯১ বিতর্কের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন এই বাস্তব উপকরণ কতটা কার্ধকর ত1 বল। শক্ত । প্রত্যক্ষের মাধ্যমে বহির্জগতের যে ছাপ মনের উপরে পড়ে তাকে জ্ঞানের পধায়ে উন্নীত করতে মানসিক বিচারের যথেষ্ট অবদান আছে । কাজেই জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষের রূপ নিয়ে যা আমাদের কাছে উপস্থিত হয়, তা যে লব সময়ে বিশুদ্ধ প্রত্যক্ষ নয় এবং গৌণভাবে হলেও অন্কুমান তার সঙ্গে কিছুটা মেশান-_সেট! অগ্রাহা করার উপায় নেই। প্রমাণের ক্ষেত্রে অনুমানের আসন তাই চিরদিনই অবিচল, এ ব্যাপারে চার্বাকী ধারণ। ৰিপরীত্ধমী হওয়া সত্বেও । নাস্তিক চাবাক দর্শনের মধ্যে হেতুবাদের পূর্ণ বিকাশের প্রসঙ্গ নিয়ে আম! আগে আলোচনা কৰেছি। হেতুবাদের প্রধান উপজীব্য 2র্ক। তর্কে আমরা অনেক সময় অন্মানের রূপান্তর বলে মনে করি । ন্যায়ের পরিভাষায় কিন্ত হক খ্বতন্ত্র প্রমাণ নয়, অন্য প্রমাণগুলির সঙ্গে অভিন্ন শয়। ন্যায়ভাযো তর্কে প্রমাণসমূহের, প্রধানত ই অঙ্ুমানেরই, অন্তগ্রাহক বলা হয়েছে 1২৩৮ হেতুবাদ- মূলক যে তর্কশান্ত্র অপরের বিচারে বট প্রদর্শনে প্রবৃত্ত, অনুমান সেখানে নিঃসন্নিগ্ধ- ভাবে প্রাধ্যন্তের দাবী করতে পারে। চার্বাক আচাসরা যখন অশ্রমানের বিরোধিতায় অবতীর্ণ তখনও অনুমানই যে অনেক পময় তাদেও প্রধান মাধ্যম, তান উল্লেখ আমরা আগেই করেছি । কাজেই অনুমান খগ্ডনে চাবাকা প্রয়াস স্প্টতঃ ত্ববিরোধাুক ভূমিকায় প্রকাশিত । হেতুবাদ তার চরম রূপে কতদুর অগ্রসর তে পারে চাবাক পক্ষের এই প্রচেষ্টা তার সাক্ষ্য বহন করে । অবশ্ত এই চাবাকা হেতৃবাদের বোধ হয় তীব্রতম প্রকাশ “তন্বোপপ্রবসিংহ” গ্রন্থে, প্রত্যক্ষ প্রমাণের ও খগ্ডনের মাধ্যমে । দেহাতবাদ যে বৈশিষ্ট্য চার্বাক দর্শনকে ভারুতের অন্যান্য দর্শন থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করে রেখেছে তাকে দেহাত্মবাদ বা ভূত-ঠৈতন্তবা॥ সংজ্ঞায় আতিহিত করা যেতে পারে। চাবাৰক-অনুমোদিত বস্তজগতের উপাদান চার তত্ব সপ্ঘদ্ধে আমরা আগেই আলোচনা করেছি এবং এই মৌল উপাদানের সংখ্যা সম্বন্ধে ভারতীয় অন্যান্ত দর্শনের ব্বীকৃতির সঙ্গে চাবাকী ধারণার পার্থক্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই তত্বগুলি চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনে মহাভূত সংজ্ঞায় পরিচিত এবং অন্থান্ত ২৩৮ । “তর্কে! ন প্রমাণ সংগৃহীতো, ন প্রমাণান্তরমূ। প্রমাণানামন্তগ্রাহকম্তত্- জ্ঞানায় কল্পযতে।, স্তাভা, ১১।১ ৯২ পটভূমি প্রসঙ্গে বহু তত্ব বা বিষয়ের মধ্যে স্থলতম হিসাবে পরিগণিত | ভারতের অন্যান্য দর্শনে অস্মোদিত তত্বগুলির পরিচয় এবং সংখা দর্শন ভেদে বিভিন্ন । চার্বাক দর্শনের বর্ণন। প্রসঙ্গে সেগুলির খুঁটিনাটি বিবরণে আমাদের প্রয়োজন নেই । যাই হোক, এই স্থুল বস্তজগৎ ভারতীয় মতে মহাভূতের সমবায়ে গঠিত এবং এ বিষয়ে চার্বাক মতও তারতের সাধারণ ধারণার সমধর্মী। ক্ষিতি, অপ তেজ ও মরুৎ__ চার্ণাক-স্বীরূত এই চার মহাভতের উপাদানে যে বন্ুঞগতের স্্টি, সেই জগতের জ্ঞান প্রত্যক্ষের মাধামে সাক্ষাৎ ভাবে হওয়] সম্ভব এবং সেইজন্যই চার্বাক দর্শনে এই ভৌতিক জগতের অনমোদন আছে। অন্তান্ত বস্ত্র মত প্রাণীদেহ ও তৌ তিক উপাদানে গঠিত এবং দহজেই প্রত্যক্ষ- যোগ্য । কিন্তু প্রাণী সংজ্ঞায় ভৌতিক প্রাণীদেহ ছাভা আরও কিছু অভিব্যক্ত হয়, যা প্রাণাজগতের অন্থতম মাধ হিসাবে “আমি' এই অনুভূতির মাধ্যমে আমর! প্রতিণিয়তই অন্ভব করি। “আমি এই অন্নভূতির বিকাশ সচেতনতা বা চৈতন্তের পটভূমিতে এবং এই সচেতন “আমি”কে কেন্দ্র করেই মানুষ বা যেকোন জীবের বৈশিষ্ট্য । এট সচেতন “আমির নানাভাবে বিচিত্র প্রকাশ দেহের মাধ্যমে, যার ফলে ভৌতিক উপাদানে গঠিত হয়েও জীবদেহ স্বকীয় বিশেষত্ব মপ্তিত এবং অন্য নানা ভৌতিক বণ্তর সঙ্গে এর প্রভেদ সহজেই বোঝা যায়। এই সচেতন “আমি'র নিজন্ব রূপ হিসাবে ভারতের অধ্যাত্মদর্শনে ভৌতিক জীবদেহ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক অপর একটি তত্ব আত্মপ্রকাশ করেছে। জীবদেহে নিবন্ন এই তত্ের নাম ভারতীয় দর্শনে জীবাত্মা, ঘা শ্রদ্ধ আত্মন্বরপের এক বিশেষ বা ংসারদশায় আবদ্ধ রূপ । এই জীবাত্ম। প্রাক্তন কর্মের ভোগ ক্ষয় করার জনতা বিশেষ এক ভৌতিক দেহের আশ্রয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং সেই বিশেষ দেহে যে তোগ সম্ভব তা সম্পূর্ণ করার পর দেহ ত্যাগ করে চলে যায়। জীবাত্মার এই দেহত্যাগকে আমর মৃত সংজ্ঞায় আভহিত করি । প্রাক্তন কর্মের সংস্কার শেষ না হওয়] পধস্ত এই জীবাত্মাকে নৃতন নূতন পরিবেশে ভিন্নজাতীয় ভোগের জন্য নৃতন নৃতন দেহ ধারণ করতে হয় এবং এই ভাবে চলতে থাকে মুক্তির পূর্ব পর্যন্ত আত্মার দেহ থেকে দেহাস্তরে পরিক্রমা, যা পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে । ভারতের অধ্যাত্মুর্শন অনুারে মৃত্যুর অর্থ জীবদেহের বিনাশ মাত্র, কিন্ত মৃত্যুর মাধ্যমে জীবদেহে অধিঠিত এই আত্মা বিনষ্ট হয় না। স্থুল দ্বেহের একটি থেকে অপরটির উদ্দেশ্টে তার যাত্রার দীর্ঘ গতিপথে এক বিশেষ অধ্যায়ের পরি- সমাপ্তি হয় মাত্র । স্থল শরীর থেকে বহির্গত এই আত্মার আশ্রক় তখন স্মক্ম- চার্বাক সিদ্বান্ত-- আলোচনা ও সমালোচনা ৯৩ শরীর | এই স্ুশ্্রশরীরের গঠন সম্পর্কে মতভেদ আছে। পঞ্চ তন্মাত্র নামে অভিহিত পঞ্চ ভূতের সুক্্ম ভাগ সাংখ্যমতে এই শরীরে অস্ততুক্ত ।২৩৯ কিন্ত প্রত্যক্ষের মাধ্যমে যা ধরা পড়ে সেই পাচ বাচার স্থুল মহাভূতের যে এক্ষেত্রে কোনই অবদান নেই সে সম্বন্ধে ভারতীয় অধ্যাত্মবাদীরা সকলে একমত। স্ুুল শরীরের বন্ধন ছিন্ন হলেই জীবজ্মার মুক্তি হয় না; প্রাক্তন কর্মের সংস্কারের বশে সুন্ দেহে সে আবদ্ধ থাকে তার নিজন্ব মন, বুদ্ধি এবং পৃজন্মাজিত কর্মের সঞ্চ ইত্যাদির সঙ্গে। এই স্স্মদেহধারী জীব আবার নৃতন পরিবেশে নৃতন স্থূল দেহে তার আবাদ রচনা করে। জীবাত্মার এই পথ-পরিক্রমার অবসান হয় মৃক্তির মাধ্যমে যখন ছিন্নবন্ধন এই আত্মা নিজন্ব বৈশিষ্ট্য বিস্ন দিয়ে শুদ্ধ আত্মন্বরূপে বিলীন হয়। দেহাতিরিক্ত এই আত্মার অনুমোদন চার্বাক দর্শনে নেই । চাবাক মতে মানুষের মৃত্যু তাই 'দেহত্যাগ" নয়, দেহাবসানের সঙ্গে তাক সম্পূর্ণ সন্তার অবসান ।১৪০ চার্বাকেরা প্রত্যেক্ষগ্রাহা মহাভৃতের উপাদানে গঠিত দেহকেই আত্ম। বলেন । যে সচেতন “আমি'কে কেন্দ্র কবে আত্মস্বরূপের প্রকাশ, সেই আমি, চাবাক মতে দেহের সঙ্গে অভিন্ন ।২৪১ চার্বাকদের বর্ণন।য় এই আমি, তার প্রকৃত অর্থে প্রকাশমান “আমি গৌরবর্ণ “আমি স্থল" ইত্যাদি বাক্য, যেখানে দেহের বিভিন্ন গুণ 'আমি" সংজ্ঞায় অভিহিত আত্মাতে আরোপ করা হয়। “আমি' শব্দ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত 'আমার দেহ” ইত্যাদি বাক্যাংশে, যেখানে "আমি" দেহ ২৩৯ । সাংখ্যপ্রবচনব্ত্র ও ভাস, ৩।৯, পাংখ্যপ্রবচণভাহা, ৩১২ ২৪০ | “তেঘু বিনষ্টেষু সৎস্থ স্বয়ং বিনশ্াতি” সসং, পৃঃ ৩; 'ভস্মীভূতন্ত দেহন্য পুনরাগমনং কুতঃ এ পৃঃ ১৪ ২৪১। িচ্চৈতন্যবিশিষ্টদেহ এব আত্মা? সসং পৃঃ ৩, ভূতচতুষয়ং চেতন্থাভূমিঃ,, বস, ৮৩3 “দেহমাত্রং ঠ5তন্তবিশিষ্টমাত্মেতি প্রার্কৃতা জনা লোকায়তিকাশ্চ প্রতিপন্নাঃ, শাভা) ১১১) দেহশ্তৈব চৈতন্তমপীতি লোকয়তিকা : প্রতিপন্ন”, এ ২1১1২) “চতন্যবিশি্কায়ঃ পুরুষ, এ ৩৩৫৩3 ভূতানামেব চৈতন্তমিতি গ্রাহ বৃহস্পতি ন্যাস, ২১ পৃঃ ১০ ৯৪ পটভূথি গ্রসঙ্গে থেকে পৃথক । চার্বাক মত অনুসারে এই বাক্যাংশগুলি ওপচারিক, অর্থাৎ “আমি? এ সব ক্ষেত্রে তার প্রকৃত অর্থে প্রযুক্ত হয় না ।২৪২ যে সচেতন ক্রিয়াকলাপ আত্মগত ট্ৰশিষ্ট্যের পরিচায়ক চার্বাকেরা' তার উৎপত্তির ক্ষেত্র হিসাবে দেহকে নির্দেশ করে থাকেন । আত্মাকে দেহের গণ্তীর মধ্যে সীমিত রাখার মুলে কার্কর প্রত্যক্ষাবিরিক্ত প্রমাণে চার্বাকদের স্বীকৃতি নেই; কারণ, যে আত্ম! দেহতে আশ্রিত নয়, সেই বিদেহ ঠচত্ন্ প্রত্যক্ষের মাপকাঠিতে ধরা পড়ে না। এই দৃষ্টিভঙ্গীতে অবিচল থাকার জন্য শ্বপক্ষ সমর্থনে অবশ্ট যুক্তির সহায়তায় আসরে দের অবতীর্ণ হতে হয়েছে--কারণ, জড় মগাভূতের উপাদানে গঠিত দেহে অন্য জড়বস্তুতে অবর্তমান 5তন্যের অভিব্যক্তিতে কিছুট। অসঙ্গতি ্বাছে, চার্বাক্দের সঙ্গে প্রতিদন্দিতার ব্যাপারে যার স্থযোগ বিরোধাপক্ষের দার্শনিকেরা নিতে দ্বিধা করেননি-_ এবং যুক্তির আশ্রপ্ ব্যতিরেকে চাধাক পক্ষ থেকে এর সমাধানে প্রচেষ্টা সম্ভব হয়নি । কাজেই চার্বাকী নীতি অন্তমানের বিরোধী হলেও এবং সুল দেহের অতিন্িক্ত আত্মাকে অন্বীকার করার যুল এই নীতিতে নিহিত থাকলেও২৪৩ চাবাক পক্ষের আশ্রয় এক্ষেত্রে যুক্তিভিত্তিক অন্নমান | অপরপক্ষে ভারতের অধ্যাত্মদর্শনের বিভিন্ন শাখাও তাদের আত্ম-সন্বন্ধীয় ধারণার সমর্থনে যুক্তিকে বহুক্ষেত্রে টেনে এনেছেন । কিন্তু প্রকৃত বিচারে তাদের এ বিষয়ে শ্রনিদিষ্ট ধারণার মূল আপ্তবাক্য । কাজেই অন্ুমানকে যখন তীর! প্রমাণের আসনে বসান, তখন তা সব সময়ে সহজগ্রাহ হয় না, এবং কষ্টকল্লিত তাদের এই যুক্তিগুপিতে প্রচুর ক্রুটিও থেকে যায় । তরকের আমরে নেমে বিনোধী- পক্ষকে পরাভূত করার ক্ষেত্রে এই ক্রুটীর স্থযোগ নিতে চার্বাকের। মোটেই ইতস্তত: করেন না। আমর] লক্ষ্য করেছি যে প্রমাণের জগ থেকে অন্ুমানকে বহিষ্কৃত করার মুলে যে ভাবন! সব শ্রেণীর চার্বাকদের মধে)ই সাধারণভাবে কার্ধকরী তা ২৪২ | “মনুয্তোইহং স্থলোঠহং কৃশোহহমিতি প্রত্যক্ষ শিদ্ধশ্চৈ তন্য- গ্রণাশ্রয়ো দেহ এব প্রমাতা” সর্বধতসংগ্রহ, পৃঃ ১৫, অহং চুল: সংভবেদৌপ্চারিকী, সপং পঃ ৭, “দেহাত্মবাদে.**সমানাধিকরুণো- পপত্তিঃ, এ, পৃঃ ৬; “হলোহহং তরুণে। বুদ্ধো যুবেত্যাদিবিশেষণে £ বিশিষ্টে। দেহ এবাজআ্সা ন ততোহন্ো। বিলক্ষণ2১ সর্বা সিদ্ধান্ত লংগ্রহ, ২।৬ ২৪৩। “দেছাতিবিক্ত আত্মনি প্রমাণা ভাবাৎ, প্রত্যক্ষৈহ প্রমাণবা দি- তয়াণুমানাদেরনঙ্গীকারেণ প্রামাণ্যাভাবাৎ, সমং পৃঃ ৩ চার্বাক সিদ্ধান্ত-_ আলোচনা ও সমালোচনা ৯৫ হল এই যে আত্মা, ঈশ্বর, পরলোক ইত্যাদির ধারণার ক্ষেত্রে অনুমানের কোন উপযোগিতা নেই ।২৪৪ যাই হোক, এইভাবে আত্মপ্রসঙক্গকে কেন্দ্র করে ভারতীয় দর্শনের মাসরে এক বিরাট তর্কযুদ্ধের স্থচন। হয়, যেখানে উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষই অবতীর্ণ হয়েছেন উপযুক্ত অস্ত্রসম্ভারে সঙ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষকে পরাভূত করাত অভিপ্রায় নিয়ে । চার্বাকী দেহত্মবাদের বর্ণনা প্ররুতপক্ষে এই তর্কযুদ্ধেরই আলোচনা এবং বহুক্ষেত্রে নীরস হলেও বর্তমান প্রসঙ্গে এর গ্রয়োজনীয়ত1 অপরিহাষ । এই তর্কযুদ্ধে চাবাকের প্রতিদন্দ্রী পক্ষকে দুভাগে ভাগ করা যায়-__ প্রথম, স্থায়ী আত্মায় বিশ্বাী অধ্যাত্মদ্শনের বিভিন্ন শাখা ১ দ্বিতীয়, বৌদ্ধ দার্শনিক সম্প্রদায়, ধাদের ধারণায় স্থায়ী আত্মার স্থান অধিকার করেছে সচেতন অনুভূতির পরম্পরাবদ্ধ প্রবাহ । প্রকৃতপক্ষে চৈতন্য বা বিজ্ঞানকে দ্েহাতিগ্রিক্ত মধাদা দিয়ে বৌছ, দর্শন আত্মবাদী দর্শনগুলির সঙ্গে একইভাবে চাধাকী দেহাত্মবাদের বিরোধিতা করেছে এবং জন্মাস্তববাদ, কর্মফল, পরলোক ইত্যাদি বিষয়ের ধাতুণাতে এই দর্শন আত্মবাদীী দর্শনগুলিরই সমগোত্রীয় । আত্মবাদী দার্শনিকরের সঙ্গে চার্বাকী তকষুদ্ধের পরিচয় পাওয়] যায় সাংখ্য, ন্যায়, জৈন, বেদাস্ত ইত্যাদি চর্শণের আচাধ- দের রচিত পুস্তকে । বৌ দার্শনিকদের সঙ্গে চার্বাকদের প্রতিছন্বিতার বিবরণ সংগৃহীত হয় প্রধানতঃ শান্তরক্ষিত এবং কমলশীল প্রণীত “তনত্বসংগ্রহ” এবং “তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা” গ্রন্থে । ব্স্ততঃ উষ্তর-প্রত্যুত্তরেব মাধ্যমে বৌদ্ধ আচাষছয় চাবাক দর্শন প্রসঙ্গে যে আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন, দেহাত্মবাদ সম্বন্ধীয় চাবাকী দৃ্টিভঙ্গীর রূপায়ণে তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে সমর্থ । আমাদেএ বর্তমান আলোচনাতেও সেইজন্য এই বৌদ্ধ দার্শনিক গ্রন্থের উদ্ধৃতি বহুক্ষেত্রেই আমরা সংগ্রহ করেছি । অচেতন ড় মহাভূতের উপাদানে গঠিত দেহকে চৈতন্যের আবির্ভাবের ক্ষেত্র হিসাবে স্বীকার করার সময় চার্ধাকের! ত্বীয় ধারণার পঞ্াব্য অসঙ্গতি দূর করার চেষ্টা করেহেন একটি দৃষ্টান্তের আশ্রয় নিয়ে । সুরা বা মদের উপাদান ছিসাবে যে বিশেষ ধরণের বৃক্ষনিধাসের ব্যবহার, তা মূলতঃ মাদকতাবিহীন হলেও পরে তাতে মাদকশক্তির উদ্ভব হয় এবং লেটা সুরা বা মদদে পরিণতি লাভ করে; অন্ক্ূপভাবে ২৪৪ | “.**মত্তাত্মেশ্বরসর্বজ্পরলোকা ধদিগোচরম, অনমানং ন তশ্যে্টং প্রামাণ্যং তত্ব দশিভিই”, ন্যাম, ১, পৃঃ ১১৩ ৯৬ পটভূমি প্রণক্ষে স্থল মহাভুত যদিও প্রকৃতিগতভাবে চৈতন্তবজিত, তাছলেও দেহরূপে পরিণত হবার পর এই স্তল ভূতে চৈতগ্তের বিকাশ দেখা ঘায়।২৪৫ “সর্বসিদ্ধাস্তসংগ্রহে” এ প্রসঙ্গে লোকয়ত বণিত অপর একটি উপমার উল্লেখ আছে ।২৪৬ নানা রফঃ উপকরণ মিশ্রিত তাম্বুল বা পানে যেমন উপকরণগুপির প্রত্যেকটির রঙ থেবে সম্পূর্ণ পৃথক বক্তবর্ণের উৎপত্তি, জড় মহাভূত থেকেও পেইভাবে ভিন্নধর্ী চৈতন্ের স্ট্টি ব্যাখ্যা করা যায়। দষ্টান্ত হিসাবে চার্বাকী সাহিত্যে দ্বিতীয়টির চে প্রথমটির প্রচলন বোধ হয় ব্যাপকতর, ফারণ চার্বাক সিদ্ধান্তের আলোচন। বা সম! লোচনা-সংক্রাস্ত বিভিন্ন রচনার মধ্যে এর প্রচুর উল্লেখ আছে । চাবাকী সাহিতে এই উপমার ব্যবহারেও ইঙ্গিত শাস্বরুক্ষিতের “তত্বসংগ্রহ” গ্রন্থে পাওয়া যায় ।২৪: “হ্যায়মঞ্জরী”-তে চার্বাক ব্যবহৃত এই দৃষ্টান্তের বিবরণ এইভাবে দেওয়া হয়েছে__ গুড়, পিষ্ট ইত্যাদি পদার্থ প্রাথমিক অবস্থায় মদশক্তিবিহীন হলেও সুরার আকারে পরিণত এই বস্তগুলিতে বিশেষ এই মদশক্তির যে ভাবে প্রকাশ, ঠিক লেইভাৰে আদিতে চৈতত্যবঙ্জিত মৃত্তিকাদি চতুভূ ত শগীরাকারে রূপান্তরিত অবস্থায় চৈতন্য রূপ বিশেষ শক্তির দ্বারা যুক্ত হয় । এই বিশেষ শক্তির প্রকাশ ভূতাত্ুক দে কিছুকাল থাকে, যে সময়ে শ্মৃতি, অস্ুসন্ধান ইত্যাদি সচেতন ব্যবহারের অভিব্য্থি এই দেহে দেখা যায় । কালাবসানে ব্যাধি ইত্যাদির ছারা এই শক্তি বিনষ্ট হবে দেহ পুনরায় অচেতন রূপ পরিগ্রহ করে ।২৪৮ ২৪৫। “******কিগ্বা্ভ/ঃ সমেতেভ্যো দ্রব্যেভ্যো মদশক্তিবৎ”, সসং) পৃঃ ৭; “মদশক্তিঃ স্থবাঙ্গেত্যে যদ্ধৎ তত্বৎ স্থিতমাত্মতা ; ষস, ৮৪, “অত্রৈকে দেহুমাত্রাত্দশিনে! লোকা য়তিক1-**-**তেভ্যশ্চৈতন্যং মদশক্তিবদ্ধি- জ্ঞানং, শাভা, ৩।৩।৫৩, উিক্তং চ, মদশক্তিবদিজ্ঞানমিতি,) ন্যাম, ২, পত ১০ ২৪৬। জডভূতবিকারেষু চৈতন্তং যত্ত, দৃশ্ঠতে, তাম্লপৃগচূর্ণানাং যোগাজ্রাগ ইবোখি তম১ ২।৭ ২৪৭। “তম্মাভূতবিশেষেভ্যো যথ? শ্তক্তহ্থরাদিকম, তেভ্য এব তথা জ্ঞানং জায়তে ব্যজ্যতেহথবা,, তত্বশংগ্রহ, ১৮৫৮ ২৪৮। 'জ্ঞানাদি যোগত্ত ভূতানামেব পরিণাম বিশেযোপপা দ্বিতশক্যতিশয়- জুষাং******.-"ভবিব্বাস্তীতি, ব্যাস, ২, ৩ চার্বাক সিদ্ধান্ত---আলোচনা ও সমালোচনা ৪৭ সাংখ্যাচাধ বিজ্ঞানভিক্ষ চার্বাকপক্ষের এই দৃষ্টান্তে ত্রুটি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে বাইরে প্রকাশ না পেলেও সুন্দর মাদকশক্তি স্রাব উপাদান হিসাবে বণিত ব্রব্যগুলির মধো বর্তমান থাকে এবং এই শক্তি সমষ্টিগতভাবে পরে মাদকতা উৎপাদনের কাজে সহায়ত! করে। বিজ্ঞান ভিক্ষুর সমালোচন। অবশ্থ এক্ষেত্রে চার্বাকী দৃষ্টাস্তকে আঘাত করে না, কারণ চার্বাকপক্ষ থেকে প্রত্যুত্তর আসতে পারে যে হ্বরার উপাদানে বর্তমান অদৃশ্য মাদকশক্তির মত জীবদেহের উপাদ্দানেও আমর? প্রচ্ছন্ন চৈতন্তশক্তির অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি। এ ধরনের চাবাকী প্রত্যুত্তরের সম্ভাবনাকে বিজ্ঞানভিক্ষুও পরিহার করতে পারেন নি। কিন্তু যে যুক্তির আশ্রর নিয়ে তিনি একে অতিক্রম করার চেষ্ট! করেছেন, তাকে প্ররুত যুক্তির পরিবর্তে পৃৰ স্বীকৃত ধারণার অনুকখনই বলা চলে। যুক্তি এখানে আবরণমাত্র। তিনি বলেন যে জীবদেহ সমষ্টিগতভাবে যে ভৌতিক উপ।দানে গঠিত সেই উপাদানের সমষ্টির প্রতোক অবয়বে হুক্মভাবে চৈতন্তের উপস্থিতি অনুমান করলে ব্লংখ্যক চৈতন্যশক্তির অবস্থিতি স্বীকার করতে হয় এবং এতে যে জটিলতার স্ষ্টি হতে পারে, সাংখ্য এবং সহযোগী অপর ভান্রতীয় দর্শনগুলর অনুমোদিত নিত্য এবং অখণ্ড চৈতন্যন্বরূপের কল্পনায় তা দূর হওয়া সম্ভব । এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করলে জীবদেহের উপাদানে ব্যষ্টিগতভাবে অনুশ্য চৈস্তন্ত- শত্তির কল্পনা সমীচীন হয় না। চৈতন্যকে ধার] দেহের গুণ বলেন আত্মপক্ষ সমর্থনে তীরা এ-ক্ষেত্রে ঘটের দৃষ্টাস্তের অবতারণা করে দেখান থে জল আহরণ কর] ইত্যার্দি ঘটধর্ম ঘটের উপাদান মুত্তিকাতে থাকে না। কিন্তু জীবদেহে সচেতনতার অভিব্যক্তির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে এ দৃষ্টান্ত একান্তই ছুর্বল এবং এটা গ্রহণ করার বিপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বিজ্ঞান- ভিক্ষু বলেন যে ভৌতিক পদার্থে বিশেষ কোন গুণের সৃষ্টি সব সময়ে স্বঙ্গাতীয় কারণ গুণের সাহায্যে হয় । কাজেই উপাদান কারণে চৈতন্য না থাকলে দেছে চৈতন্তের উপস্থিতি অকল্পনীয় ।২৪৯ চৈতন্ত এবং দেহের মধ্যে কাধকারণভাবের বিচ্যমানতা অস্বীকার করার সময় বৌদ্ধ দার্শনক কমলশীলও অনুরূপ যুক্তির অবশ্ভারণা করেছেন। বিশেষ কোন গুণের কোন বস্তুতে সন্তাবের পক্ষে কারণ না থাকলে বন্তুটিকে এ বিশেষ গুণের সঙ্গে কার্ষকারণসন্বন্ধে আবদ্ধ করা যেতে পারে না, যে জন্ভত আগুনে আমরা খ ৯৮ পটভূমি প্রণঙ্গে শৈত্য আবেপ করতে পারি না। জ্ঞান এবং দেহের কার্ধকারণভাব পিদ্ধির পক্ষে কোন প্রমাণ না থাকাগ্ন চার্বাক-অভিপ্রেত এই কার্ধকারণভাবের পক্ষে কোন যুক্তি নেই ২ ৫০ এই প্রসঙ্গে “তত্বদংগ্রহপঞ্জিকা”তে সাধারণভাবে কার্ধকারণ সম্বন্ধ বিচারিত হয়েছে । কোন একটি বস্তর বর্তমানতায় উপলব্ লক্ষণযুক্ত অথচ পূর্বে অন্তপলবধ অপর একটি পদার্থ যদি উপলব্ধিগোচরে আসে, তাহলে প্রথম বস্তটিকে দ্বিতীক্বটির কারণ বঙ্গ যেতে পারে 1২৫১ এই কার্ধকারণতার বিচার অন্তভাবেও করা চলে। ছুটি বস্ত ব1 ঘটনার তুলনামূলক পধালোচনায় যদি দেখা যায় যে প্রথমটির ভিতর ভ্বিতীয়টির উত্পাদনের উপযোগী বিভিন্ন উপার্ধীনের ব্তমানতা সত্বেও বিশেষ একটি উপাদানের অভাবে থিতীয়টির আবির্ভাব সম্ভব হয় না, সদ্ভাবে হয় তাহুলে যে বিশেষ উপাদানে সভ্ভাবে দ্বিতীয়টি উৎপন্ন হয় তাকেই ছিতীয়টির কারণ হিসাবে নির্দেশ কণা উচিত, অপরগুলিকে নয় ।২৫১ যে কোন ছুটি পদার্থের পারস্পরিক কাযকাব্ণভাবের সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্ত এই সম্ভাব এৰং অভাবগত উভয়ধিধ মানেই প্রথমে বিচার করা প্রয়োঞ্জন। একমাত্র এই উপাষের মাধ্যমেই কাব্রণ 1হসাবে গণ্য করা ষেতে পারে মেই উপাদানকে যার বিশেষ উপস্থিতি আলোচ্য কারধগুণকে উৎপন্ন করেছে । কমলশীলের মতে দেহকে মনোগন্ত বিজ্ঞানের কারণ হিসাবে নির্দেশ করার ব্যাপারে এই উভত্প প্রকার মানের প্রয়োগ সম্ভব নয়। সন্ভাবগত মানে বিচারের প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভ্রুণ অবস্থায় দেহের সঙ্গে মনের সম্বদ্ধের বিষয়ে কিছু বলা অসম্ভব, কারণ ভ্রণের মানসিক শক্তির বিকাশ হয় না। যেকোন বস্ত পর্যবেক্ষণ করার ব্যাপারে এই বিকাশের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্ধ। অপর প্রাণীর মন কেউ পধবেক্ষণ করতে সক্ষম নয়, কাজেই সে ক্ষেত্রেও দেহ এবং মনের কাধকারণ সম্বষ্ধের বিচার কর] চলে না! অভাবগত মানের সম্ভাব্যতার বিপক্ষে বলা যেতে পাতে যে শরীগ্ে বিনাশের সঙ্গে একযোগে মনেরও বিলোপ ১৫০ । 'যন্ব য্তাবগিছে। নকংচিৎ্, প্রমাশমস্তি ন তত্র তদ্বাবহারঃ প্রেক্ষাবতা কীথঠ যথা বণ শীঙব্যবহারঃ | নাত চ বুশ্িদেহয়োঃ কাষধকাবণ- ভাবনিছ্ধৌ কিংচিৎ প্রমাশম্» তত্বসংগ্রহপণ্তিকা, পৃঃ ৫২৫ -৫১। €যেঘামুপলন্ডে সতি উপলব্ধি লক্ষণ প্রাগ্ুম্‌ পূর্বমন্থপলব্ধং সদ্‌ উপলভ্যতে ইতবয শ্রয়ণ*য়ম, তত্বসংগ্রহপাঞ্জকা, পং ৫২৫ ১৫২। «সৎস্থ তান্তেযু সমথেষু তদ্ধেহযু যশ্সকশ্তাতাবে দন ভবতীত্যেবং আশুয়নীয়ম্» তত্বসংগ্রহপণ্ভিক, পৃঃ ৫২৬ চার্বাক সিদ্ধান্ত-_-আলোচন। ও সমালেচন। ৯৯ হুয় কিন! কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, সে শরীর নিজেরই হোক বা অপরেরই হোক । মৃতদেহে গতিশীপতার অভাব থেকে মুত ব্যক্তির মনোগত বিজ্ঞানের বিনাশ কল্পনা! করা অসঙ্গত। কারণ, অপর কোন হেতুর অস্তিত্বের সম্ভাবনাকে পরিহার করা চলে নাঃ যা মৃত্যুর পরেও বঙ্তমান এই ধানসিক বিজ্ঞানকে মৃতদেহে সচলতা স্তর পথে বাধা দেয়। কমলশীঙর এ ব্যাপারে বৌদ্ধ অত ঘোষণা করে বলেন থে মৃত্যুর পূর্বে প্রাণীদেছে অধিষ্ঠিত বিজ্ঞানের ধর্তমানত। প্রাণীটির মৃত্যুর পরেও অনম্বীকাধ। কিন্তু এই বিজ্ঞানের অস্তিত্ব দর্ধেও মৃত প্র।ণীর দ্রেহে সচলতার অভাবের কারণ দেখাতে গিয়ে তিনি বলেন যে মৃত্যুর পূর্বে এ বিশেষ দেহটিকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানগত বাসনা ও অবিগ্যার বূপায়ণের ঘ্ে প্রয়োজন ছিল, সেই প্রয়োজনবোধ তখন লুপ্ত এবং নেইজন্যই দেহটিকে পরিচালিত করার ক্ষমতা বিজ্ঞানটির তথন আর থাকে না। প্রঙ্গক্রমে জ্ঞান” শব্াটি সন্বদ্ধে কিছু আলোচনা প্রয়োজন । ব্বহাবিক জগতে কোন বিষয় বা বস্তুকে জানার মধো দিয়ে জ্ঞানের প্রকাশ দেখা যায় । বহির্জগভের কোন বস্তর বিশেষ রূপ যখন আমাদের অস্তর্লোকে প্রতিভাত হয়, তখন আমবা সেই বস্ত সন্বদ্ধে জ্ঞান লাভ করি । ভারতের অধ্যাত্মপর্শন অনুসারে জ্ঞানের এই সব ব্যক্তিগত প্র্কাশ প্রকৃতপক্ষে নিভ্যজ্ঞানম্বরূণ আত্মচৈতন্তের বিশেষ অভিব্যক্তি; বৌদ্ধরা আত্মার অস্তিত্ব সীকার করেন না, তাদের মতে ক্ষশিক বিজ্ঞানগ্রবাহ এই ব্যাট জ্ঞানের আশ্রয়। কিন্তু এ ব্ষয়ে উভয় শ্রেণীর দার্শনিকেরাই একমত যে মনের এই সচেতন অভিব্যক্তিকে জড় দেহের সঙ্কে একাত্ম কর! চলে না এবং অদ্দের উৎপত্তির কেন্ত্র হিসাবে বাহুবস্তনির পেক্ষ চৈতন্তের বৃহত্তর প্রবাহকে নির্দেশ করা উচিত। বৌদ্ধ দার্শনিক শান্তর ক্ষত এবং কমগশীল তাদের “তত্বপংগ্রহ” এবং “ত্বসংগ্রহ- পর্তিকা”-তে যখন লোকায়ত মত নিয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত খন বৌদ্ধ পরিভাষ! অনুপারে “জ্ঞান? “মনোধী? “মনোবুদ্ধি ইত্যাদি শকেব্ুই তারা ব্যবহার করেছেন চৈতন্ত” “আত্মা” ইত্যাদি শব্দের পরিবর্তে । এই প্রসঙ্গে তার! চার্বাক মতের ববরণ দিয়েছেন কর্খলাশ্বতর নামে এক লোকায়তিকের মত উদ্ধত করে । এই মত অনুসারে প্রাণ, অপান ইত্যাদি বাঘুর দ্বার] অধিষ্ঠিত দেহ জ্ঞানের আশ্রয় | ৫৩ ২৫৩। “কায়াদেৰ ততো জ্ঞানং প্রাণাপানাদ্ধিষ্িতাৎ, যুক্রং জানত ইত্যেতৎ কম্বলাশ্বতরো দ্িতস,' তত্বনংগ্রহ, ১৮৬৪ ১৪০ পটভূমি প্রসঙ্গে কিন্তু চার্বাক মতে জ্ঞানের একমান্ত্র প্রকাশ অথাবগতির মধ্যে ।২৫৪ অর্থ, এখানে বাহ বিষয়ের গ্যোতক এবং “অর্থাবগতি' ইন্ছ্রিয়ের মাধ্যমে বাহু বস্তর প্রধাশনাকে বোঝায় । চক্ষু ইত্জরিয়ের সাহায্যে বাহ বস্তর দূপ আমাদের অবগতিতে আসে এবং সেই রূপ সম্বন্ধে আমরা জ্ঞান লাভ করি। অন্ররূপভাবে করণ ইত্যাদি অন্ত ইন্ড্রিয়গুপির মাধ্যমে আমর বাহা বিষয়ের শব্ধ ইত্যার্দ জ্ঞাত হই । চার্বাক মতে এই অর্থাৰগতি যেখানে নেই জ্ঞানেরও সেথানে অভাব । সেইজন্য স্থপ্তি বা মৃচ্ছ অবস্থাতে জ্ঞানের অস্তিত্ব লোকায়তর হ্বীকার করেন না। প্রকৃত পক্ষে ইন্জ্িয়ের মাধ্যমে অথের প্রকাশনার মধ্যেই চার্বাকের জ্ঞানের লীমানা নিদিষ্ট রাখেন ।২৫৫ এই মতের বিরোধিত। প্রণঙ্গে কমলশীল বলেন যে আমাদের ন্বপ্লাবস্থার জ্ঞানের উপযুক্ত কারণ চারাকী বিবরণে নিণীত হয়নি । হ্বপ্রে আমরা য1 দেখি ইন্ডরিয় বা বাহ অর্থের উপস্থিতি ব্যতীতই তা আমাদের মনে প্রতিভাত হয়। জ্বপ্রাবস্থার এই জ্ঞানকে মনোবিজ্ঞান বলা চলে । এই মনোবিজ্ঞান শ্বনিভর এবং ইন্জ্রির অথবা বাহ বস্তর কোন অপেক্ষা রাখে শা। হ্বপ্রে বা অন্ত অবস্থায় এই খ্বনির্ভর বিজ্ঞানের স্থপরিস্ফুট অস্তিত্ব থেকে বিজ্ঞান কেবলমাজ্জ অর্থাবগণ্তর মাধ্যমে প্রতিভাত-_ লোকায়তর্দের এই উক্তি নিরর্থক প্রমাণিত হয়। কমল্শীলের বিবরণী পাঠে বোঝা যায় ঘে সুপ্তি, মুচ্ছণ ইত্যার্দি অবস্থাতে চিত্তের ত্ববেদনান্মপলস্ত বা অন্পলব্ধিই চেতনার তৎকালীন অবর্তমানতার সিদ্ধান্তে চার্বাকদের উপনীত হতে সাহায্য করেছে । ন্বসংবেদনের অনুপলক্কির মূলে আছে উদ্দাহৃত অবস্থাগুলিতে সংবেদনার আসন্তত্বে নিশ্য়তাবোধের অভাব । কমলশীলের মতে চিত্তের ম্বসংবেদন সম্বন্ধে যে পিশ্চয়তাবোধের অভাব চাবাকদের এই ধারণার ভিত্তি, সেই অভাবই প্ররুতপক্ষে স্ৃপ্তি, মৃচ্ছ] ইত্যাদি অবস্থায় চিত্ত বা মনের উপস্থিতির সাক্ষ্য বহন করে। শাস্তরক্ষিত এবং কমলশীলেত রচনায় এ প্রপঙ্ষে এক ক্থদীর্ঘ আলোচনা আছে যেখানে প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য উত্তর এবং সেই উত্তরগুলিরও প্রত্যুত্তর লিপিবদ্ধ হয়েছে। চর্বাক পক্ষ থেক্চে বৌদ্ধমত্ডের বিরোধি] প্রসঙ্গে আপত্তি দেখান হয় যে, জাগবিত অবস্থায় আমরা নিদ্রা বাঁ যু্ছাকালীশ বিজ্ঞানকে যে স্মরণ করতে পারি না তা থেকেই প্রমাণিত হুর যে নিদ্রাগত বা মুচ্ছিত অবস্থায় বৌদ্বম্বীকৃত ২৫৪ | “ন চার্থাবগতেরন্তদ্রপং জ্ঞান্য যুজ্যতে, তত্বসংগ্রহ, ১৮৬৬ ২৫৫। ইইন্দিয়ার্থবলোদ শং সর্ধং বিজ্ঞানম্‌', তত্বসংগ্রহপঞ্ডিকা, ১৯২১ চার্বাক সিদ্ধান্ত--আলোচন। ও সমালোচনা ১৩১ বিজ্ঞানের সন্তাবের ধারণ! ভ্রান্ত । শাস্তরক্ষিত উত্তরে বলেন যে অস্তিত্ব লত্বে জ্ঞানের অস্পষ্ইত। এই অন্মরণের প্রন্কত কারণ। কমঙগশীল এ প্রপক্গে শ্বপক্ষেব বক্তব্য আরও বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করেন। নিদ্রা বা মৃচ্ছাভঙ্গে: পর মাগ্রষের যে প্রথম বোধ হয় তার জনক বাহ্বস্তনিরপেক্ষ এই কারণ ব্ঞ্ঞান, '*ত্রা বা মৃচ্ছ। অবস্থাতেও যাব অঙ্িত্ব অব্যাহত ছিল । পৃব অভিজ্ততাব ম্মরণকালে শ্বতির উদ্ভবেব সময়েও এই কারণ বঙ্ঞানেরই কাযকারি-শা দেখা থায়। কমল- শীল আরও বলেন যে স্থপ্ডি, মূচ্ছ। ইত্যাদি অবস্থায় এ ধরনের কোন বিজ্ঞানের য্দি অস্তিত্ব না থাকত তাহলে এ অবস্থা্ডাল মৃত্যুর সমপধায় ক হত। কিন্ত লোকায়তবার্দীরা এ প্রসঙ্গে বলতে চান যে ডগান্ৃত এবস্থাষ্ঠপিতে (বজ্ঞানেব অস্তিত্ব লুপ্ত হওয়। সত্বেও মৃতু; হয না, কা ২৭ জাগর্ণকাশে আবার অম্পূর্ণ নৃতন বিজ্ঞানের আবিাব হয় । উত্তবে তত্বপগ্রহপাঞ্জকাতে' বলা হয়েছে যে, এভাবে নৃতন বিজ্ঞানে উৎপত্তি স্বীকাপ করলে মানুষের মৃত কোন রকমেই ব্যাখ্যা করা চলে না । কারণ নূতন বিজ্ঞানের ভদ্রেকে যেভাবে মাণ্তষের নি বা মুচ্ছ? ভঙ্গ হুয়, সেইভাবে তার স্বৃত অবস্থার ও অবসান হতে পাপে এব এভাবে মৃত ব্যক্তির পক্ষে পুনরায় জীবিত হবাক পথে কোন বাধা থাকে না৷? ৫৬ মোট কথা, সম্পূর্ণ স্বন্থ মানসী বুদ বা মনোগত বিজ্ঞান ইত্ড্িয অথবা বাহ্‌ বিষয়ের অপেক্ষা না রেখেই স্বীয় অন্দিত্বে বিবাজমান২৫৭ _চাবাক মতের বিরোধিতা প্রসঞ্কে বৌদ্ধ দার্শনিকদ্বয এই সিঘ্বান্তেই উপনীত হন। এই লি্বান্তের সঘর্থনে তাও বাস্তবে অসম্ভব আ'কাশ-কুস্থম ইত্যাদি ধারণার উদাহুবুণ দেন। এই জাতীয় জ্ঞানের আবিভাবের ঠিক পূর্ববর্তী ঘটনা হিসাবে ইন্ছিয়ের সঙ্গে বাহ্‌ বস্তুর যোগগুলিকে কখনই শিদেশ কর] চলে না এবং চিত্তস্থি৬ পৃধবতী এক ধারণার কাষকপ্রিতা সব পময়ে এই জ্ঞানে প্রভাব বিস্তার করে। পে ধারণার অনুপস্থিতিতে কেবলমাত্র ইন্দ্রিয় এবং অর্থের সংযোগে কোনঞমেই এ জ্ঞান সপ্ভব হয় না ৯৫৮ দেহ যদি এই মনোবুদ্ধির উৎস হত "তাছণে দেছগত ধৈকল্োর এলে মানপিক ২৫৬। ভত্বপংগ্রহপঞ্জিকা, ১৯২৮-৩০ ২৫৭। 'ম্বতন্ত্রা ঘানসী বুদ্ধিশ্চ্ষ্রাগ্ভনপেক্ষণাৎ্, স্বোপাদানবলেনৈব সবপ্রাদাবিব বর্ততে”, তত্বসংগ্রহ, ১১২৯ ২৫৮। তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা, ১৯৩১-২ ১০২ পটভূি প্রসঙ্গে বিজ্ঞানেরও বিকলত! দেখ! যেত। এ ছাড়াও হম্তী ইত্যাদি বৃহ শরীরধারী জীবের মানসিক ক্ষমতার কাছে কুদ্রতর অবয়ব বিশিষ্ট মানুষের মনের শক্কি নতি ্বীকার করতে বাধ্য হত। কমলশীল এ প্রসঙ্গে যুক্তি দেখান যে একটির পরিবর্তন বা তাততমে)তু উপর অপরটিব পরিবর্তন বা তারতম্য নির্ভরশীল না হলে প্রথমটিকে দ্বিতীয়টির কারণ বলা চলে না। স্বতন্ত্র মনোবিজ্ঞানের জন্তিত্বের বিরোধী চার্বাকেবা যদি ইন্দরিয়সম্টি যুক্ত দেহতেই কেবল মনের কারণন্তা আরোপ করেন, তাহলেও তাদের মত গ্রহণ যোগ্য হয় না। কারণ, সে ক্ষেত্রে যে কোন ইন্জিয়ের হানি হলেই মানসিক শক্তির টবলক্ষণ্য দেখ! দিত। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা এর বিপবীত দাক্ষ)ই বহুণ করে । পক্ষাঘাত ইত্যাদি বাধতে কর্মেক্িয়গুলির সব রকম কাধক্ষমতা বিনষ্ট হলেও মন তার পূর্ণ শক্তিতে সজীব থাকে ।২৫৯ আবার অনেক সময় শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ অবিক্ৃত থাকা সত্বেও মানলিক প্রকৃতি অনেক পর্রিবর্তণ লক্ষ্য করা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে অবশ্ঠ শারীরিক অবস্থ! মানসিক ভাবকে কিছুট। প্রভাবান্বিত করে , কিন্ত তার অর্থ এ নয় যে মনের [বনাশ শরীরের বিলোপের উপর নির্ভরশীল । চাঝাকের। হয়ত বলতে পাবেন যে দেহ এবং মনোবিজ্ঞানের সহশ্থিতি দেছকে এট বিজ্ঞানের কারণ হিসাবে ঠিস্তা করার একটি প্রধান কারণ । কিন্তু মনোবিজ্ঞান যেমন দেহের সঙ্গ সব সময়ে একত্র অবস্থান কনে, দেহও সেইরকম মানসিক জ্ঞানের সঙ্গে লর্বদা একত্রবততী ১ কাজেই যে যুক্তিব বলে দেহ মনের কারণ ছিসাবে নির্দেশিত, সেই একই যুক্তির গভাবে মনোবিজ্ঞানও দেছের কাব্ণরপে বিবেচিত হতে পাবে । কমলশীলের শর্তে কেবলমাজর সহ-স্কিতি থেকেই কাধকারণতার বিচার অযৌক্তিক , কারণ, ছুটি পদাথের সহস্থিতিভাবের মূলে তৃতীয় অপর একটি পদার্থের উপস্থিতির সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা চলে না। কাজেই বিজ্ঞানের দেহমূলকত সন্ধে চারবাকী ধারণা বৌদ্ধ মভে গ্রহণযোগ্য নয় এবং দেহ বিনই্ই হলেও এই বিজ্ঞানের লুপ্ত হবার কোন আশঙ্কা নেই বলে বৌদ্ধ দার্শানকের! মনে করেন ।২৬৭ ২৫৯। প্্রন্থপ্তিকাবোগাদিন। কাফেক্িয়াদীনামুপঘাত্ডেহপি মনোধীর বিকৃতৈ কাবিকলাং ম্বসত্তামনুভবতী,” শুত্বসংগ্রহপঞ্জিকা, ১৯৩৪, পৃঃ ৫২৭ ২৬* | তত্বসংগ্রহপঞ্জিক' পৃঃ ৫২৭-৮ চার্বাক সিদ্ধাস্ত--আলোচন। ও নমালোচন৷ ১০৩ ভারতের অধ্যাত্মবাদী দার্শনিকের! চার্বাকী অভিষতকে প্রতিহত করার জন্তই এক্ষেত্রে “বিজ্ঞান' বা “মনোবুদ্ধি” পদের পরিবর্তে 5তন্ত” শব্দষ্টির প্রয়োগ করেছেন । জীবদ্দেহ ঘে জীবচৈতন্তের উৎস ভাব অমর্থনে চার্বাকদের যুক্তি এরা প্রথমে লিপিবন্ধ করেছেন এবং পরে শ্বপক্ষীক়্ যুক্তির সাহায্যে এই চাবাকা যুক্তি প্রতিরোধে প্রবৃত্ত হয়েছেন। প্রধানতঃ টবদীস্তিক শঙ্কবাচাষ এবং নৈযারিক ন্মাচাষদের বিবরণীকে কেন্দ্র করে এ ব্যাপারে আমরা আপোচনাধ অগ্রসর হব । শক্করাচাধের এক্রদ্গন্থআভাস্তে” এ প্রণঙ্গে চার্বাকপক্ষে যে যুক্তিগুপি সন্গিবেশিত হয়েছে তার মধ্যে একটি যুক্তি অন্গুলারে 5তন্্ থেকে ইচ্ছা, হেষ হত্যার্দি ঘে মনো- বৃত্তিগুলির উছব, সেগুলি আমাদের শরীর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সব কাজে প্রেরপান্ন উৎস হওয়ায়, চৈতন্তকে শরীরের ধর্ম ঝরে ম্বীকার করা উচিত । এ ব্যাপারে চাাকী অন্য একটি যুক্তির বিবরণ শক্করাচাযের গ্রন্থে আছে। যুক্তিটি এই রকম--কোন বস্ত বর্তমান থাকসে য1 দৃষ্ঠ, কিন্তু বস্তটি অবর্তমানে যা অনৃষ্ঠ, তাকে এ বস্তর ধর্ম বা গুণ বলে ধরে নিতে হয় । উষ্ণতা, দীপ্ছি ইত্যাদিকে অগ্রিধর্ম বলা চলে এই যুক্তিরই অন্ুলক্ণে , কারণ, আগুনের উপস্যতিতেই এদের বর্তমানতা, আগুন না থাকলে নয । প্রাণ, চেষ্টা, চৈতন্য, স্যৃতি ইত্যাদি সচেতনতার যে সব প্রকাশকে আত্মবাদী দার্শনিকের। আত্মার ধর্ম বলে মনে করেন সেগুলি প্রকৃতপক্ষে দেছতেই বওমান এবং দেহের অনুপস্থিতিতে এদের কোন আন্তত্ব থাকে না, কাজেই এগুপি দেহেরই ধম, দেহব্যতিপিক্ত অন্ত কিছুর নয় ।২৬১ কোন একটি বস্তুর ব্তমানতার সঙ্গে আর একটির উপস্থিতি জড়িত থাকতে দেখা গেলেই প্রথম বস্তুটিকে দ্বিতীয়টি কারণ হিলাবে নির্দেশ করা চপে না। কাজেই উপরের যুক্তির অন্ুসবণে দেই গুণগুণির প্রতিদ্বন্দ্বী বা বিরোধী গ্ণাস্তর অনেক ক্ষেত্রেই বর্তমান থাকতে দেখা যাপন । শ্যামবর্ণ ও বুক্তব্ণ এইভাবে ত্রব্যবতী পরস্পর প্রতিদ্বন্দ' ছুটি গুণ | প্রতিদ্বন্থী এহ উভয় গুণেব এক দ্রব্যে একই সময় অবস্থান সম্ভব নয় । পেইজন্য কোন একটি গুণ দ্রব্য থেকে বিলীন হয়ে প্রত্তিদন্দী অপর গুণের দ্রব্যে আবিষ্ঠাবের ক্ষেত্র প্রস্ত* করে দেয়__অগ্নিপাককে উপলক্ষ্য করে ঘটগত শ্যামবর্ণ প্রতিছন্ধী রুক্তবর্ণে বূপাস্তত্ন লাভ করে। চৈভগ্তকে কিন্ধ দ্রব্গত এই ধরনের গুণগুপির সঞ্গে সমপধায়তৃক্ত করা চলে পা। কারণ, চৈঙন্তের প্রতিতবম্বী এমন কোন গুণ দেখা ঘায় না যার সঙ্গে চশ্তন্ঠের সহাবস্থান ২৬১। শাভা) ৩৩ ৫৩ ১০৪ পটভূমি প্রসঙ্গে ভব নয় । এ ক্ষেত্রে চচতন্য শরীরের গুণ হলে বিনাশের পূর্ব পর্যস্ত শরীর অবশ্যই চৈতন্যযুক্ত থাকত, কিন্তু আমাদের খভিজ্ঞতার সাক্ষ্যের সঙ্গে এ ধারণার সঙ্গতি থাকে না। কাদ্গেই চৈতন্যকে দেহের ধর্ম বলে স্বীকার কর] চলে না। ভাষ্যকার আবুও বলেন ঘে প্রাণী অঙ্গের সবজ্রেই চৈতন্তের ব্যাপি দেখা যায়-_- হস্ত, পদ ইত্যা্দ প্রাণীর্দেহের প্রত্যেকটি অবস্ববই সচেতন । শরীর চৈতন্ছের উৎপত্তিস্থল হলে শরীরের প্রতিটি অবয়ব স্বস্থানবর্তা চৈতন্যের জনক হত এবং এর ফলে একই শরীরে বন্ধ চৈতন্য স্থির প্রাসঙ্গকে পরিহার করা সম্ভব হত না। গ্রতিদেহবর্তা প্রাণীর বিভিন্ন ক্রিয়্া-কলাপের মধ্যে কিন্তু চেতনার এক এক্য প্রকাশ পায় যার ফল্গে মান্তুসের এক বিশেষ মবয়ব, হস্ত, যে প্রেরণার বশবতী হয়ে খাস্ধ- দ্রব্য স্পর্শ করে, তার রসনা সেই প্রেরণার সঙ্গে সঙ্গতি বেখেই ভোজনে প্রবৃত্ত হয়। প্রাণী দেহের প্রতিটি অঙ্গের এ ধরনের এক্যবদ্ধ সঙ্গতিপূর্ণ কাজের ব্যাখ্যা এক দেহে বহু চৈতন্যের স্বীকৃতিতে সম্ভব নয়। বাত্শ্যায়ন এই প্রসঙ্গে আর ৪ বলেন যে বস্তবিশেষের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক গুণকেই বন্তটির শ্বধর্ম বলে নির্দেশ করা চলে না। উদাহরণ স্বরূপ তিনি উষ্ণ কোন আধার- স্থিত জলের সঙ্গে যুক্ু তরুলতা! এবং উষ্ণতা, এই গুণ ছুটির উল্লেখ করেন । তার মতে জলের স্বধর্ম প্রধমটি, দ্বিতীয়টি নয় , কারণ এই বিশেষ ক্ষেত্রে জলে উঞ্তা দেখা গেলেও ভিন্ন আধারস্থিত জগে তা অদশ্য । জলের সঙ্গে এইভাবে বন্ত-ক্ষেত্রে যুক্ু হলেও উষ্ণত। প্ররুতপক্ষে আগুনের স্বধ্ম । অনুরূপভাবে দেহের সঙ্গে বছ ্ষেন্তে যুক্ত থাকার নির্দ$শন থেকেই চৈতন্ের দেহ্ধর্মতার অন্ুকুলে সিদ্ধান্ত নেওয়া! সমীচীন হয় না। দু্াস্তস্থিত উষ্ণতা যেমন জল থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আগুনের ধর্ম, চৈতন্যাকেও সেইরকম দেহ থেকে পৃথক আত্মার স্বভাব বলা চলে। শরীরের স্বধর্ধ হিসাবে বাৎস্টায়ন কুচ, গৌর ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের দেহ্বর্ণের উল্লেখ কবেন, যায় অস্তিত্ প্রাণীদেহে সব সময়েই থাকে, এমন কি মৃত প্রাণার শরীরেও । আগুনের লঙ্গে উষ্ণতার একজ্জ বগমানতার দৃষ্টাস্ত প্রদর্শন করে চার্বাকের। যখন দেহকে ঠৈতন্তের কারণ হিদাবে নিদেশ করেন, তখন তাঁদের উপস্থাপিত দৃষ্টান্ত স্প্টতঃই ক্রিমূক্ত হয় না। উষ্ণতা এবং দীপ্তির সঙ্গে আগুনের যোঁগ সব সময়ে থাকে । এ থেকে বোঝা যায় যে এগুলি আগুনের স্বধর্ম বা স্বভাব, কারণ স্বভাব তার আশ্রয়কে কখনও পরিত্যাগ করে না। চৈতন্যের সঙ্গে দেহের সম্পক কিন্তু অনুনূপ নয়। ঠৈতন্ত সব সময়ে দেহকে কেন্দ্র করেই বিকশিপ্ত এবং দেহ অবর্তমানে চৈতন্ত ও অনৃশ্য__চার্বাকপক্ষের এ বক্তব্য অন্বীকার্ধ নয় বটে, কিন্তু মৃত্যু বা সংজ্ঞাহীনতার চার্বাক সিদ্ধান্ত--আলোচন। ও সমালোচন! ১০৫ কবলিত অচতেন দেহের মস্তিত্বও সকলের কাছে স্কপরিচিত । কাজেই উষ্ণতার সঙ্গে আগুনের শ্বাভাবিক সম্পর্কের দৃষ্টাস্ত চৈভন্যের সঙ্গে দেহের সম্বন্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না। চার্বাকদের সমালোচনা করার সময় চার্বাকী যুক্তির এই ক্রটির উল্লেখ অনেকেই করেছেন । সাংখ্যাচাষ বিজ্ঞানৃভিক্ষুর মতে মৃতার পরে এবং জন্য নানা অবস্থায় দেহের মধ্যে চৈতন্টের যে অভাব দেখা যায় তা থেকেই প্রমাণত হয় যে চৈভন্ দেহের গ্বাভাবিক ধর্ম নয়।২৬২ ন্যায়স্থজ্রের ভাষাকার বাধ্গ্তায়নণ্ড ঠতন্বজিত মরণোত্তর দেহের সাক্ষ্য থেকে চৈতন্তের দেহধর্মতার প্র তুলে মত প্রকা* করেন। এই মতের বিরোধিতাপ্রসঙ্গে দেহাত্মবাদীদের পক্ষ থেকে যে ধরনের আপত্তি উত্থাপিত হতে পারে সে সন্ধেও ন্যায়ভাঙ্বে আলোচনা আছে। তীত্া হয়ত বলতে পারেন যে প্রাণীদেহে চৈতন্তের মত ঘটে যে শ্তাম রূপের প্রকাশ, পেই বূপও ঘটদ্দেহে চিরকাল থাকে না। অগ্নিদগ্ধ ঘটে এই রূপ সম্পূর্ণ রূপে অন্তহিত হয়। কিন্তু তা সত্বেও এই বপকে ঘটের উপাদানের ধর্ম বলতে কারুও দ্বিধা নেই। অনুরূপভাবে চৈতন্যকেও ভৌতিক উপাধানে গমিত জীবদেছের ধর্ম বলে স্বীকার করতে সম্মত হওয়া উচিত নয় । আপত্তির উত্তরদান প্রসঙ্গে বাৎস্যায়ন২৬৩ বলেন ঘে উল্লিখিত দৃষ্রাস্তটি এ ক্ষেত্রে সঠিক প্রযোজ্য নয়। ঘটের শ্যামতার থে বিলুপ্চি দেখা যায়, তা প্ররুতপক্ষে অবস্থার ক্ুপান্তর মাত্র । অগ্নিদগ্ধ ঘটে বর্ণের পরিবর্তন হয়--শ্যামবর্ণ রক্তবর্ণে পরিণতি লাভ করে। মৃত প্রাণীদেছে চৈতন্যের যেভাবে সম্পূর্ণ অবলোপ হয়, অগ্নিদগ্ধ ঘটদেহে শ্বামতার অবসান সেভাবে হয় না। এ ক্ষেত্রে বাৎশ্যাক়ন শরীর্স্থিতত চৈতন্যের সঙ্গে দ্রব্গত শ্যামত। ইত্যাদি গুণের প্রভেদের বিষয় উল্লেখ করেন । অন্যান্যদের মত অছৈত বেদাস্তের প্রবক্তা শঙ্করাচাধও মরণোত্তর প্রাণীদেহে সচেতন অভিব্যক্তির অনুপস্থিতির সাক্ষ্য থেকে ঠ5তন্যের দেহধর্মতার প্রতি- কূলে অভিমত প্রকাশ করেন ।২৬৪ সেই সঙ্গে দেহ অবর্তমানে ঠচতন্যের অভাব সম্বন্ধে চার্বাকী সিদ্ধাস্তকেও তিনি অগ্রাহ্য কহেন । তার মতে রঙ, আকার ইত্যাদি ২৬২। সাংখ্যপ্রবচনভাষ্যঃ ৩।২১ ২৬৩ | ন্যায়ভাষা, ৩।২।৪৬-৫৫ ২৬৪ । শাভা, ৩।৩।৫৪ ১০৬ পটভূমি প্রসঙ্গে দ্বেহধর্মগুলি দর্শনেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সকলের প্রত্যক্ষযোগ্য, কিন্তু চৈতন্য, স্মৃতি ইত্যার্দি সকলের অন্ুভবগ্রাহা নয় । শা সত্বেও প্রাণীর জীবিতকালে প্রাণীদেহে এগুলির উপস্থিতি সাধারণভাবে সকলের স্বীকৃত । দেহ ধ্বংস পাবার সঙ্গেই চৈতন্য ইত্যাদিও বিনষ্ট হয়-_চার্ধাকর্দের এ ধারণার মূলে শঙ্করাচার্য প্রমাণের কোন সমর্থন পান না। চার্ধাকী সিদ্ধান্তের অন্থুকুলে প্রমাণের অস্তিত্বকে অগ্রাহথ করে শঙ্করাচাষ ভারতের অধ্যাত্মদর্শনের অনুমোদিত শ্রুতিপ্রমানের ভিঞ্জিতে আত্মা স্থ-্ধ স্বীয় অভিমতঙ্গে দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন। তার মতে দেহস্থিত এই চৈতনোর বিনাশ নেই এবং এই চৈতন্যই আত্মা সংজ্ঞায় অভিধেক্ । সাধারণতঃ দেহের সঙ্গে যুক্ত অবস্থাতেই কেবল আগ্রা আমাদের জ্ঞানের গোচরীভূত, কিন্তু এ থেকে দেহের বাইরে আত্মর অস্তিত্ব অস্বীকার কর চলে না। চার্বাকী ভূতচৈততন্যবাদের নিরসন প্রসঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্দ্েই প্রতিপক্ষের দার্শনিকের। স্বসমথিশ্ত আত্মসম্বদ্ধীয় মতবাদের অবতারণা করেছেন-__দেহধারী জীবের মধ্যে সচেতনতার অভিব্যক্তির ব্যাখ্যার ব্যাপারে স্বপক্ষীয় মতের উপ- যোগিতাই যে একমাত্র স্বাকার্ধ, তা ব্যক্ত কর এ ক্ষেত্রে তাদের অভিপ্রায় । জয়ন্ত তটের “ন্যায়মঞ্ডরী”-তেও এইভাবে চার্বাকী ধারণার বিপরীত অধ্যাত্ববাদী ধারণ] উপস্থাপিত করা হয়েছে ।২৬৫ চার্বাকপক্ষের মতকে প্রতিহত করে স্বপক্ষীয় অভিমতততকে এইভাবে উপস্থাপিত করার সময় জয়স্ততট্ট ভূতচৈতন্য্বাদের সমর্থনে চার্বাকী যুক্তির এক বিবরণ দিয়েছেন ।১৬৬ চার্বাকর্দের মত হলো বুদ্ধি বা চৈতন্যের বিকাশ শরীরের সম্যক পরিপুণ্টির উপর নির্ভরশীল । তোজন, পান ইত্যাদির দ্বারা দেহ পুষ্ট থাকলেই ঠৈতন্যের দতেজ স্ফুতি দৃষ্ট হয়। ব্রন্দীঘ্বত অথবা অন্য শষধার্দি দেবনের ফলে বালকের মধ্যেও যথেষ্ট প্রজ্ঞার সঞ্চার হতে দেখ! যায়। অপর পক্ষে অপুষ্ট শরীরে বুদ্ধি বা চৈতন্য সম্যক বিকশিত হতে পারে না। আবার দধি, আর্দ্র পরিবেশ ইত্যার্দি ভৌতিক দ্রব্যের বিবিধ সংস্থান নানাবিধ কৃমি পতঙ্গাদদির ২৬৫ | “ব্যাপকত্থাদাত্মনঃ সর্বন্র ভাবে---****** যত $ঞিদেতৎ, ন্যাম, ২, পৃঃ ১৩ ২৬৬। “ভূতেঘন্রপানাহাপযোগপুষ্টেযু পাট চেতনা তবতি তদ্িপর্যয়ে বিপধয়ঃ ্রান্মীঘবতাছ্যপযোগসংস্কৃতে চ কুমার শরীরে পটুগ্রজ্ঞতা জায়তে+, ন্যাম”, ২, পৃঃ ১৩ চার্বাক সিদ্ধান্ত-_-আলোচনা ও সমালোচনা ১০৭ উৎপত্তির কারণ হয়। চার্বাকদের মতে ভৌতিক ব্রব্য থেকে চৈতন্যের উৎপত্তি সমর্থনে এই কারণগুলিকে নিশ্চয়ই উপেক্ষা করা চলে না। ভৌন্তিক দেহকে চৈতন্যের উৎপত্তিস্থল হিসাবে গণ্য কার কারণ হিসাবে চার্বাকেরা শরীরের মাধ্যমে চৈতন্ুলক্ষণযুক্ত ইচ্ছা, ছেষ ইত্যাদিব আরম্ভ এবং নিবৃপ্তির উল্লেখ করেন । শঙ্করাচার্ষের ব্রদ্বনথত্রতাস্তে চার্বাকী এই যুক্তির বিবরণ নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। ন্যায়স্থত্জম এবং তার ভাসতে ৪২৬৭ ভূত- চৈতন্যবাদীদের এই বক্তব্যের অস্ততুরক্তি আছে। জয়স্ততট শরীরের সঙ্গে চৈতন্তকে একাত্ম করার চার্বাকী এই প্রয়াসের [বরোধিতা করার সময় শরীরের নিতা পরিবর্তনশীলতার বিষয় উল্লেখ করেছেন ।২৬৮ জীবদেহ প্রতি পর্দে রূপা- স্তরিত হয়, শৈশব, যৌবন, বাধক্য ইত্যাদি দশাভেদে । একের দুষ্ট বিষয় যেমন অপরকে স্মরণ করতে দেখা যায় না এবং একের স্মৃতি বা অন্তত শকে অপরের ইচ্ছার কারণ বল! চলে না মেই রকম ভূতচৈতন্যবাদ্দকে স্ব কৃতি দিলে জীবদেহের কোন অবস্থায় প্রত্যক্ষীরুত বিষয়ের ম্ম্ণ সেই একই জীবের অন্ত অবস্থায় ব্যাখ্যা কর যায় না এবং ম্থুত কোন বিষণ থেকে পরবশী অবস্থার দেছে অভিব্যক্ত ইচ্ছাদ্দিকে উতপন্ন বল। চলে না। কাজেই প্রাণী চৈতন্তের যে এক্য পরস্পরাবদ্ধ অর্থবিজ্ঞান, স্মৃতি, ইচ্ছা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিভাত, শরীরের সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থার মধ্যেও যা আভন্ন এক জীবের পরিচিত্তি বহন করে, ভঁত- চৈতন্তবাদের সঙ্গে তার কোন সঙ্গতি নেই। ত্বতন্্ আত্মার ধারণায় বিশ্বাসী দা ্ণনিকদের প্রতিপক্ষ হিসাবে যে চার্বাকপক্ষ এতক্ষণ আমাদের আলোচনার বিষয়বস্ত ছিল, চৈতন্যধম্মী আত্মা সেই চার্বাকদের মতে দেহের সঙ্গে অভিন্ন। এই শ্রেণীর চার্বাকের! ছাড়া আত্মগত ধারণার ভিত্তিতে আরও শিিনটি পুথক শ্রেণীতে বিভক্ত চার্বাকদের বর্ণনা সদানন্দের “বেদাস্তসার” গ্রন্থে পাওয়া যায় এবং আমরা এ বিষয়ের উল্লেখ আগেই করেছি। “বেদাস্তসারের” অভিমতে দৃষ্টি ভঙ্গীর তারতম্য অনুযায়ী চার্বাকী বু গোষ্ঠীর মধ্যে ২৬৭। ন্যায়স্ুত্র। ৩২৩৮) “পাখিবাপাাতৈজসবাক়্বীয়ানাং শরীরা- ণামারন্তনিবৃত্তি দর্শনাদিচ্ছাছেষজ্ঞানৈর্ধোগ ইতি ঠতন্যাম্‌” ন্যায়ভাবয | ২৬৮। ন্যাম, ২১ পৃঃ ১* ('শরীরং চ বাল্যাগ্ভবস্থাতেদেন ভিন্নমতত্তশ্ত নাশ্রয়ে। ভবিতুমহতি সন্তানান্তরবদ্‌ যথা হি দেবদত্ত দৃষ্টেইর্থে যজ্জদত্হ্য ন. স্মরণমেবং বাল শরীরাস্ধন্থভৃতে যুবশনীস্য তক স্তাৎ। ) ১০৮ পটভূমি গ্রসঙ্গে বিভিন্ন স্তর বিন্তাস আছে এবং এই স্তরের প্রকারভেদ অন্থসারে চার্বাকের। স্থালতম বিষ থেকে অপেক্ষারুত সুদ বিষয় সম্বন্ধে ধাবণাঁয় সমর্থ, যদিও বেদাস্ত-অভিপ্রেত সচ্চিদানন্দরূপী শ্রদ্ধ আম্মস্বরূপ এদের প্রতোকেরই অবগণ্ডির বহিদত। এই বিভিন্ন পধায় ভু চার্বাকদের মধ্যে দেহাত্মবাদীরাই স্থলতম ধারণার অংশীদার এবং বিভিন্ন গ্রস্থের বণনায় এই দেছাত্মধাদী বা ভতট্তৈণ্যবাদীরাই উল্িখি ত হয়েছেন। জয়স্ততট্র তীর গ্রন্থে আত্মসন্বদ্ধীয় আলোচনার প্রসঙ্গে ভূত্টৈতন্যবাদ ছাড়াও ইঞ্জিয় চৈতণ্যবাদ এবং মনশ্চৈন্যবাদ এই ছু ধরনের মতের উল্লেখ করেছেন ।২৬৯ সদানন্দের বর্ণনায় হান্ষ এবং বুদ্ধিব সঙ্গে ধারা আত্মাকে অভিন্ন বলে মনে করেন সেই চার্বাকদের ধারণ। চিত্রিত হয়েয়ে। এই মতবাদণ্ড পর কোনটাই অধ্যাত্ববাদী দ্বার্শনকদের আগ্মলগন্ধীয় ধারণার সমগোত্রীয় নয় এব" “ন্যায়মঞ্জরী” গ্রন্থেও এই মতবার্দগুপির বিরোধিতা করা হয়েছে ।২৭০ জয়ম্কতট ভার আলোচনায় “সুশিক্ষিত” এই বিশেষণের মাধ্যমে আর এক শ্রেণীর চার্বাকদের পর্রিচিতি দিয়েছেন ধাদের মতে আত্মা “প্রম্নাতৃতত্ব”, সূ দেহ থেকে ভন্ন। সচেতন বাবহারের সব কিছু এই আ্ম। বা প্রমাতৃতত্বে এই শ্রেণীর চার্বাকেরা আরোপ করেন, কিন্তু এই আত্মার স্থায়িত্ব তার্দের অভিমত অগ্গযায়ী শরীবের স্থায়িত্রকে অতিক্রম করে যেতে পারে না এবং দেছনাশের পর এই আত্মার বত্তমানতা৷ এবং দেহান্তর পরিগ্রহ হ্থশিক্ষিত চাবা-কর! শ্বীকার করেন ন|। এই চাবাব গো সম্প্ধে আর কোন বিস্তারিত বিবরণ অপর কারও রচনা পাওয়া যায় না। দেহকে চৈতনে)র উৎস যে শ্রেণীর চার্বাকের! বলেন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী |হুসাবে দেহকে চৈতন্যের আভব্যক্তির মাধ্যমরূপে বর্ণনাকারী অপর এক শ্রেণার চাবাকের উল্লেখ কমলশীলের “তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা”-তে আছে এবং সম্ভবতঃ এই ঘিতীয় শ্রেবীব চার্বাকেরা জয়ম্তভট বণিত “হশিক্ষিত” চার্বাকগোঠীর সঙ্গে একাম। সদানন্দের ”বেদাস্তমা বর” উল্লিথিত প্রাণের সঙ্গে অভিন্ন আত্ম।র ধারণায় বিশ্বাসী চাবাক,দর মধ্যে এই চার্বাকগোরষ্ঠীর অস্তিত্বের ইঙ্গিত আছে কিনা সঠিক- ভাবে বলা যায় না । ২৬৯ | ন্যান্ন ২১ পৃ ১৩-৪ ২৭০। “তেনেচ্ছাস্থথকৃতিছুঃখবেদনামাধারো ন খলু মনো ন চেন্দরিয়ানি, দেহোইপি ব্রজতি ন তৎ্নমাশ্রয়ত্বং তেনানাং পুরুষনতঃ প্রকল্পয়াম£, ন্যাম, পৃঃ ১৪। চার্বাক সিদ্ধান্ত-_আলোচন! ও সমালোচনা ১৩৪ জয়স্ততট্ট বণিত এই হ্ছিশিক্ষিত? চার্বাঙ্কের আত্মার দেহ থেকে দেহাস্তরে পরিক্রষণের বিরোধিতা করেছেন । একা বলেন যে এ জাতীয় পরিক্রমণ সন্সব হলে শৈশবে অনভূত পদার্থের মত জন্মাস্তরে অনুভূত পদার্থেরও স্বরণে কোন বাধা থাকত না! এবং আমরা বিগত জন্মের ঘটনাগুলির স্বতিও অনায়াসেই বহন করতে সমর্থ হতাম । কিন্তু জন্মান্তরের ঘটন! ম্মরণ করতে মানুষকে দেখা যায় না । এ থেকেই প্রমাণিত হুয় যে শরীর নাশের পর শরীবস্থিত প্রমাতার ৪ অস্তিত্বের লোপ হয় ২ ৭১ স্বুশিক্ষিত” বিশেষণে ভূষিত চাবাকেরা আত্মাকে চেহের সঙ্গে অভিন্ন বলে স্বীকার ন1 করায় ভারতের অধ্যাত্মবাদী দার্শানকদের বিচারে এদের দগ্িভঙ্গী দেহাস্রবাদী বৃহৎ গোষ্ঠীর তৃপনায় নিঃসন্দেহে উন্নততর | কিন্তু তাহলেও ভারতীয় অধ্যাত্বধারণার এবর। সম অংশীদার নন কারণ এদের অনুমোদিত প্রমাত তত্ব দেহ থেকে পৃথক হয়েও দেছেরই সমকালীন বিনাশের ববলে পতিত হয়। জয়ন্ত- ভটের বিবরণীতে এই চাধাকদের মতবাদে ৭টি দেখান হয়েছে । নৈগ্ায়িছেরা কাযকারণভাবে বিশ্বামী এবং জযস্তভটের মতে যে কোন সৎ বপ্তর বিনাশ কঙ্সন। করতে হলে বিনাশেব মুলে নিরিষ্ট কোন ছেতুব আগে ম্বীক্তি হওয়া উচিত। স্বাভাবিকভাবে যাকে সৎ ব। বণমান বলে স্বীকার করা যার, কারণ ন। থাকলে তাকে বিনষ্ট বলে ঘোষণা কর) সযৌক্রিক ২৭২ নৈয়ায়িক আচার্ধ নানাভাবে বিচার করে দেখাতে চান যে আয়ার বিনাশের কোন কারণ মাবিষ্ষার করা স্থুকঠিন। অনুমানের মাধ্যযে এই আত্মার বিনাশের সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। নশিক্ষিত” গংজ্ঞায় বিশেধিত চার্বাকধ্ধেব অভিমত হলে। আত্ম! জড দেহ থেকে পৃথক । ক।জেই জড় বস্তর ধর্ম আত্মতে আপোপ করে আগঘ্নার ধ্বংসের কারণ অনুসন্ধান কর! যেতে পারে না। জড বস্ত নচয় প্রধানতঃ অবয়বী, অর্থাৎ বিভিন্ন অবয়ব বা অংশের সংযোগে এদের উৎপত্তি এবং এই অবয়বের বিনাশহ এদের ২৭১। ঘ্ধদি হোবং ভবেত্তদিহ শরীরে শৈশব্দশাণুভুতপদা্থম্মরণ বদতী ড- জন্মাণুভ় তপদার্থন্মরণমপি তশ্য ভবেম্ন হি তশ্য-"*তক্মাদুধ্ং দেহান্নাক্তযেব প্রমাত, ন্যাম, পৃঃ ৩৯ ২৭২। “ন চাস্তিত্বাবিনাভাবী ভাবানাং বিনাশ: শ্বাভাবিকঃ কিন্ত হেত্বত্তর- নিমিত্তকঃ" ন্যাম ১১০৩ পটভূমি প্রসঙ্গে বিনাশের হেতু । এ ধরণের অবয়বের বিভাগ জড় বস্ত থেকে ভিন্ন আত্মাতে নম্তব নয়। ব্রব্যার্দির গুণ যেমন আশ্রয়দ্রব্যের ৰিনাশের সঙ্গে লুপ্ত হয়, আত্মার সেই ধরনের বিনাশও অনুমেয় নয়, কারণ আত্ম।কে দ্রব্যবিশেষের গুণ বল! চলে না। কাজেই স্থল দেহের ধ্বংসের সঙ্গে দেহাঙিরিক্ত আত্মার বিলোপের কোন যোগ নেই এবং অন্য হেত অবর্তমানে দেহ ধ্বংলপ্রাপ্ত হবার সমকালীন এই আত্মার বিনাশের কল্পনা যুক্তিগ্রাহ নয় ।২৭৩ জয়ন্ততট্রের মতে দেগাতিরিজ এই আত্মার বিনাশ প্রত্যক্ষ প্রমাণেরও বিবোধী । আত্মার ধ্বংস কোন বাক্তিব প্রশ্যক্ষের গোচরে কখনও আসেনি, মদ্িও মুত দেহটির ক্ষেত্রে এ জাউ'ষ অভিজ্ঞত। খুব সাধারণ, কারণ অগ্রিদাহ ব1 হিণ্ম্ম পশুর মাক্রমণের মাধামে ধ্বংসপ্রাপ্ন হতে মৃতদেহকে প্রায়ই দেখ! যাষ । জয়ন্তভট্ট পরিশেষে মন্তব্য করেন যে প্রত্যক্ষ এবং মন্ুমান, এই উভয়বিধ প্রমাণের যে কোনটিরই মাধ্যমে দেহনাশের সমকালীন াত্মার বিলোপের সপক্ষে স্থশিক্ষি5 চার্বাকদে অভিমত গ্রাহথ হতে পাবে না। কাজেই ভারতীয় অধ্যাত্সদর্শনে অশ্নমোদিত নিত্য প্রমাতা বা আত্মাব অস্তিত্ব অনন্বীকাধ ।১৭৪ প্রকৃত পক্ষে চার্বাক দর্শনে যে কোন গোষ্ঠীব সঙ্গে ভাবতীয অধ্যাত্দর্শনেব মৌল বিভেদ আত্মার অবত্তের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে রূপায়িত। আত্মার অমরত্তের ধারণার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে বিজভিত চার্বাকেতব ভাবতীয় দর্শনগুলির অন্মোদিত জন্মাস্তরবাদ ও পরলোকতত্ব। ধেছাতীত যে আত্ম। দেহনাশের সঙ্গে সঙ্গে বিনষ্ট হন» না৷ একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব পুণরায় নৃতন জন্মে এবং নৃতন পরিবেশে ভিন্ন দেহের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করা। আত্মার অমরস্থে চার্বাকদের কোন সম্মতি নেই। জীবদ্দেহে অভিব্যক্ত চৈতন্তে টার যে নশ্বরতার ছাপ দেন তা জন্মাস্করবাদের ধারণার সঙ্গে সামগ্রশ্তহীন ।২৭৫ এ ব্যাপারে চাবাকদের সমালোচনায় তৎপ* দার্শনিকের। প্রত্যেকেই আত্মার ৯৭৩ । “ন 5 বিনাশহেতঃ প্রমাতরি চিরমপি, বিচাধমাণঃ কশ্চিৎকুশ্চিদ বাপ্যতে***** ১১, ১৭৪ | তম্মাদদক্ি নিত্যঃ পরলোকে প্রমাতেতি”, গাম পু পৃঃ৩৯-৪ * ২৭%। গ্পবলোিনোহভাবাৎ পরলোকা ভাবঃ,, তত্বণংগ্রহপঞ্জিক (১৮৫৮) তে উদ্ধৃত লোকাযত স্থত্র, চার্বাক মতে “দশান্তব, অবস্থান্তর বা কালাস্তরকে পরলোক বলা যায়, এ পৃঃ ৫২৩ চার্বাক সিদ্ধান্ত--আলোচনা ও সমালোচনা ১১১ ক্ষণস্থায়িত্ব সম্বন্ধে চার্বাকী ধারণার বিরোধিতা করেছেন আত্মার অমরত্ব এবং অবিনশ্বরত্ব সম্বপ্ধে নিজ নিজ ধারণার বিবরণী দিতে । চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনের অন্য গোষ্ঠীর মত বৌদ্ধার্শনও জন্মাস্তরবাদে বিশ্বাসী । জন্মাস্তরবাদের এই বৌদ্ধ ধারণ! চার্বাকদেত্ আক্রমণের সম্খীন হয়েছে এবং এই প্রসঙ্গে এই ছুই গোষ্ঠীর পারস্পরিক তর্কষুদ্ধের কিছু নিদর্শন পাওয়া যায় শাস্তরক্ষিতের “তত্বসংগ্রহ” গ্রন্থে এবং কমলশীলরুত এ গ্রন্থের ব্যাখ।াতে । বৌদ্ধরা আত্মার পরিবর্তে অবিচ্ছিন্ন বিজ্ঞানসস্ততির অস্তিত্বকে শ্বীকৃতি দেন এবং এই বিজ্ঞান তীদের মতে দেহ, মন বা ইন্জিয়-_-এগুলির কোনটার মাধ্যমেই উৎপন্ন হয় না । এই বিজ্ঞান সম্ভতির অন্তগত যে কোন বিজ্ঞানের জনক ঠিক তার পূর্ববর্তী অপর একটি বিজ্ঞান, যে বিজ্ঞানের কারণকপে নির্দেশ কর! চলে অনুরূপ আর একটি বিজ্ঞানকে । এইভাবে প্রতিটি বিজ্ঞানের উৎস হিসাবে পূর্ববর্তী অপর বিজ্ঞানের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হলে শিশুমনের আদি বিজ্ঞানের কারণর্পে ৪ কোন বিজ্ঞানের অস্তিত্বের ধারণা অপরিহাধ হয়ে পড়ে। বৌদ্ধ জন্মান্তরবাদের ভিত্তি এই ধারণীতে । বৌদ্ধরা শিশুমনের আদি চেতনার কারণ হিসাবে পূর্ববর্তী জন্মের অস্ভিম বিজ্ঞানকে নির্দেশ করেন । এই উভয় বিজ্ঞান অচ্ছেছ্ক কাধকারণ শুতে আবদ্ধ থেকে বিজ্ঞানের অবিচ্ছিন্ন প্রধাহকে অক্ষুগ্ন রাখে । এইভাবেই গড়ে ওঠে প্রতিটি জন্মের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী অপর জন্মগুলির অস্তিত্বের ধানুণা । পূর্ববর্তী জন্মের অস্তিম বিজ্ঞান একমাত্র তখনই পরবর্তী জীবনের বিজ্ঞানের উত্স হয় যখন তা রাগ, ছেষ ইত্যার্ি ধর্মের দ্বারা সম্পৃক্ত হয়। সম্পূর্ণভাবে বীতরাগ ব্যক্তি পুরাতন দেছের বন্ধন ছিন্ন হবার পর নূতন দেহের বন্ধনে পুনরায় আবদ্ধ হন না। অন্য মানুষের ক্ষেত্রে পূর্বতন জীবনের বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত রাগ, দ্বেষ ইত্যা্চি মানসিক ধর্ম পরব্্তী জীবনে শিশুমনে সংক্রামিত হয় । চার্বাক মতে দেহই জ্ঞানের একমাত্র আশ্রয় এবং দেহনাশের সঙ্গে দেতাশ্রিত এই জ্ঞানেরও সম্পূর্ণ বিনাশ হয়। বৌদ্ধরা ঘখন পূর্বজন্মের মরণকালীন চিত্ত বা বিজ্ঞানকে পরবর্তী জন্মের প্রারস্ভিক বিজ্ঞানের কারণ বলেন__অথবা বপ্তমান দৃশ্যমান দেছে যে সচেতনতার অভিব্যক্তি তার সঙ্গে অতাঁত কোন দেহের বিজ্ঞানের অচ্ছেপ্ত সন্বদ্ধন্থত্র আবিষ্কার করেন, তখন চার্বাকেরা তার মধ্যে যুক্তির কোন সমর্থন পান না। প্রথমত্তঃ, পূর্বজন্মবর্তী যে দেহের অবসানকালে জাত বিজ্ঞানকে বৌদ্ধর! বর্তমান দেহের বিজ্ঞানের সঙ্গে কার্যকারণের অচ্ছেছ্য সম্বন্ধে ঘুক্ত করতে ১১২ পটভূষি প্রসঙ্গে অভিলাধী, সেই দেহের অস্তিত্বই চার্বাক মতে নির্ভরযোগ্য প্রমাণের দ্বার অসমথিত।২৭৬ ছুটি বিভিন্ন দেহবতী বিজ্ঞানকে একই বিজ্ঞান প্রবাহে অস্তভুক্তি কপার বৌদ্ধ প্রচেষ্টাতেও চার্বাকেরা ক্রটি খুঁজে পান। তার বলেন যে ভিন্নদেহবর্তী গজ ও অশ্ব অথব। বরাছ ও মহিষের চিত্তকে আমরা কখনও একই বিজ্ঞানসন্তানে অস্ততুক্ত করতে পারি না, কারণ এক প্রবাহবর্তা চেতনার ভিন্নদেহ আশ্রয় করার ধারণা অযৌক্তিক । অন্গুর্ূপভাবে ইহলোকবর্তা এবং পরলোকগত দেহ পরম্পব ভিন্ন হওয়ার ফলে সেই দেঁহাস্তর্গত বিজ্ঞানগুলিকেও এক অভিন্ন প্রবাহতুক্ত কর! চলে না।২৭৭ চার্বাকী গ্রন্থ “তন্বোপপ্লবমিংকে”১৭৮ বৌদ্ধ ক্ষণিকপস্তানবাদের যে আলোচন! এবং সমালোচন। লিপিবদ্ধ আছে, এ প্রসঙ্গে চার্বাক দুষ্টিভঙ্গীর বিচারে তা৷ কিছু আলোকপাত করতে পারে । এই গ্রন্থে বৌদ্ধ মতের যে বর্ণনা আছে, সেই মত অনুসারে মানবমনে আবিভূর্ত ঘে কোন জ্ঞানের জনক অব্যবহিত পূর্ববর্তী অপর একটি জ্ঞান, যে জ্ঞানের অপেক্ষায় পরবর্তী জ্ঞানকে দ্বিতীয় জ্ঞান বলা চলে । বিজ্ঞানখটিত এই নিষমকে অন্তসরণ করে জন্মের পবমুহ্র্তে উৎপন্ন মানুষেব আদি বিজ্ঞান ব প্রারস্ভিক চেতনাকে তব দ্বিতীয় জ্ঞান বলেন এবং এই দ্বিতীয় জ্ঞানের কারণ ছিসাবে তারা নির্দেশ কবেন পূর্বজন্মের মরণকালীন চেতনাকে । পূর্ব জন্মের অস্ভিয বিজ্ঞানকে বর্তমান জন্মের আদ? বিজ্ঞানের সঙ্গে এক সম্ভানে আবদ্ধ করলে তবেই মান্গষ্র প্রাথমিক চৈতন্যের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করা যায় বলে তার মনে করেন, অন্যভাবে নয়। চার্বাক মতে জ্ঞানমাত্রই জ্ঞানপূর্বক-_বৌদ্ধদের এ যুক্ত অন্ুনরণ করলে যে ১৭৬। ককীর্কারুণতা নান্তি বিবাদপদচেতসো” শত্বসংগ্রহ, ১৮৬০ 'ন হি মপ্ণাপগুরঞপরে। দেহ উ্পাপ্তমানো দুষ্টঃ। ন চাদৃষ্টন্াস্তিত শিশ্চর়ঃ যুক্ত; । তন্তাপত্যবহার বিষয়ত্বাৎ, এ ১৮৬৯ পঞ্জিকা! ২৭৭ | “ন চৈকসন্তান বতিনোশ্চেতসে দ্বেহাস্তর সমাশ্রয়ণং যুক্তম্ং গজবাজ্যা- দিচিত্তবদেকসস্তান-সম্বদ্ধিত্বহানি প্রসঙ্গাৎ, এ, ১৮৭০ ১ অজ যছুক্কং চার্বাকেন-_ইহলোক পরলোক --শরীরয়ো ভিন্নত্বাত্দগতয়োরপি চিত্ত- যোর্নৈকঃ সন্তান ইত্যাদি ।******.-অহছিষবরাহাদি-_বিজ্ঞানবদ্ধিতি, এ, ১৯৩৯, পৃঃ ৫৮৮ ২৭৮। তত্বোপপ্রবসিংহ, পৃঃ ৫৭ চার্বাক সিদ্কাস্ত---আলোচনা ও সমালোচন। ১১৩ কোন বোধাত্মক কার্ষের ষূলে অববোধাত্মঙ্ক কারণের অস্তিত্বকে স্বীকার করতে হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোন রকম ৰোধাত্মক কারণ ছাড়াই, কেবলমান্্ রূপবান বস্তু, আলোক এবং নয়নের একত্র সংযোগে দর্শন ইত্যাদ বোধাত্সক কাধের আবিভাব দে] ঘায়। মানব-মনের আদি বিজ্ঞানেরও উৎপপ্তি অনুরূপভাবে ভোঁতিক দ্রব্যের সংঘাতের ফল বলে কল্পনা করা উচিত। এর জন্য পৃববঙী অপর বিজ্ঞানের অস্তিত্ব স্বীকারের কোন প্রয়োজন নেই । এই প্রসঙ্গে তিত্বোপপ্রবসংহে" বলা হয়েছে যে কারণ হিসাবে একমাত্র তাকেই নির্দেশ করা চলে যার সঙ্গে কাষের অব্যবছিত পরম্পরাস্থঞ্জে যোগ থাকে । যে বস্তর উপস্থিতি সাক্ষাংভাবে অপি- দুষ্ট তা কারণ হতে পারে না। বৌদ্ধর! হয়ত বলতে পারেন যে সদৃশ বস্ত থেকেই কেবল অপর সদৃশ বস্তর আবির্ভাব সম্ভব, অসদৃণ বস্ত থেকে নয় এবং এইজন্যই আপদ বিজ্ঞানের উৎপত্তিব কারণ অনুসন্ধান করতে হলে পূর্ববন্তা অপর বিজ্ঞানের অস্তিত্বের বল্পন1 ব্যতীত গত্যন্তব নেই । কিন্তু চার্বাকের। বলেন যে এই সুক্তির অন্পবুণে ধোয়ার কারণ হবার হোগ্যত! কেবল ধোয়।রই থাকে, আগুনের পয় | ঘদ বলা হয়, ধোয়া এবং আগুন উভয় খস্তই “বূপরূপতা” এই ধর্মে সদৃশ, অর্থা্ ছুটি বস্তৎই রূপ আছে, য] একটিকে অপপটির কারণ হবার যোগ্যতা দিয়েছে, তাহলে চাবাক পক্ষ থেকেও ভুত এবং বিজ্ঞান উভেয়ঃই সদৃশ ধর্ম হিসাবে “ম্বলক্ষণন্ধপতাকে? নিদেশ করা চলে, অথাৎ ছুটি বস্ত নিজস্ব লক্ষণযুক্ত বূপে প্রকাশমান এবং এই সদূশ ধূ্মব ভিত্তিতেই একটি অপরটির কারণ হিসাবে নির্দেশিত হতে পারে । বৌদ্ধরা আপ ও প্রসঙ্গে বলতে পারেন যে ভৌতিক পদার্থ বিজ্ঞানের মতই স্বাপক্ষণ্যে অবিচপ থাকলেও ভৌতিক বস্ততে বিজ্ঞানরূপত। নেই, যে কারণে বিজ্ঞাণের উপাদান কারণ হবার যোগ্যতা ভৌতিক পদার্থে থাবতে পারে না। এর উত্তরে চার্বাকেরা বপেন যে এ খুক্তি গ্রহণ করলে আগুনও ধূমের উপাদান কারণ হুতে পারে না, কাংকণ আগুনের মধ্যে ধুমব্ূপতার অভাব। কাজেই আগুনকে যারা ধোয়ার কারণ বপে নির্দেশ করেন, ভূতসংঘাতক্কে বিজ্ঞানের জনক বণতে তাদের কোন বাধা থাকতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের তর্র্ুদ্ধের কোন নির্দিষ্ট পর্যায়ে সীমারেখ! টানা যায় না এবং ভূতচৈত্ন্যবাদীদের সঙ্গে জন্মাস্তরবাদের সমর্থকদের ঘে সংঘর্ষ ভারতীয় দর্শনের ক্ষেত্রে স্দীর্ঘকাল ধরে প্রসারিত তাতে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম পক্ষের ঘোদ্ধার। বিজয়ীর সম্মান দাবী করেছেন, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষের ৮ ১১৪ পটডাম প্রলঙ্গে তর্কবাণের আবরণে তারা পরাভূত । প্রকৃত কথা হলো অন্থান্ধ বন্বিষয়েত্র মত জন্মান্তরবাদও ভারত'য় দর্শনে যুভি'র পথ দিয়ে প্রবেশ করেনি । জন্মাস্তরবাদ ছাডাও জন্মাগ্তরবাদের সঙ্গেই অকচ্ছেছ্য বন্ধনন্থত্রে আব চারবাকেতণ ভাবতীয় ধর্শনগুাপর অনুমোদিত অপর একটি ধারণার বিষয় আমণ। আগেই উল্লেখ করেছি । কর্মফলখাদ নামে পরিচিত এই খ্বাবরপাটি প্রকৃতপক্ষে ভারতের অধ্যাগ্রজীবনেব স্তষ্ত স্বরূপ । জন্ম থেকে জন্মাস্তরে ভিন্ন ভিন্ন শরীবেব মাধ্যমে জীবের যে ভোগবৈচিত্র্য তার কারণ হিসাবে ভারতের দর্শনে কর্ম- বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে । জীবের প্রাক্তন কর্মের ক্ষপ্ন একমাত্র ভোগের মাধ্যমেই হতে পারে, এবং এই ভোগের বিভিন্নতা ভারতীয় দার্শনিকদের মতে পূর্বকৃত কমের টৈচিত্র্যের উপর নিভরশীল। দেহধারী জীবের পক্ষেই কেবল এই বিচিত্র ভোগ সম্গব এবং সেইজন্য ভোগের মাধ্যমে প্রাক্তন কর্মের সংস্কার য় কলার জন্য বিশেষ পর্সিবেশে বিশেষ শরীরে মানুষকে পুন: পুনঃ জন্মগ্রহৎ কণতে হয়| ভারতের "্ধ্যা শশী দার্শ নকেরা তাই শরীর হটির উপাদ্দান হিসাবে পঞ্চ মহাুতকে স্বীকৃতি ধিলে এ ব্যাপারে মহাড়তের স্বতন্ত্র কারণতা অগ্জমৌদণ করেন শা। তাদের মতে পঞ্চভত থেকে জীবদ্দেহেব উত্পপ্ডিব মূলে কাধকরা শীবেল পু কত ব.এব সংগ্াারের প্রেরণা 1২০৯ জন্মন্তরখা/ আণ্শ্ব।মী টা কেরা স্বাভাবিক কাংণেভ জন্মান্তরবাদের সঙ্গে সমন্থত্রে গাথা ₹এফপড1ধকে স্ব'কত দিতে অলম্মত। অধ্যা ঘবাদীব] যেখানে স্তব ভুতের ডনাধানে গঠিত বপ্রনিচয়কে তান্বিকক্রমে গৌণ মযার্দা ধেন াস্তিব টাবাকদেব বিবেচশাষ সেখানে ভৌতিক স্ুল পদার্থেব মুখ্য ভুঁমিক শাগতিকক্রযে এবং এই জভ ভূতের উপাদানে গঠিত দেহ থেকেই উত্শন্ন জাগাতব ন্পুর।পার তব) মন, বুদ্ধি ৫৮ওন্য ইত্যাদি । ন্যাধগ্ুত্রভান্তে নাস্তক্ক মতের এব ২৭০ পু 31$ 70 ম নসপা ১ হাব এ ৩১25 গাধপর্শন। মনে ছি ₹।1শশ ৩ধা।* তহাগখোৌচিঞ্ের হণ বশইগিখ্যে শাহ । (পা ০ জ মাব)।বা+১ -উচ্চাতিদপো শিকষ্টা জন ইতি, প্রশক্ত দিশি ৬।ম[৩, ২) ধরহুমরোগমিতি ১ সুক্মশ্চ জনগভেদোহপি মেয়ঃ। সোহযং জনম্মত্দঃ প্রত্যাঞ্জানযতাৎ কর্মতেদাহপপদ্যতে হ্যাভা, ৩৭২।৭১ ) চার্ধাক সিদ্ধান্ত--অলোচন। ও সমালোচন! , ১১১৫ বিবরণীতে ভাত্যকার নাস্তিকদের এই মনোভাবের উল্লেখ করেছেন ।২৮ *নাস্তিকেরা জীবদেহন্ু্রতে জীবের অন্থপিত প্রাক্কন কর্মের নিমিন্তত। স্বীকার করেন নাঁ। শর্কত্রা, পাষাণ ইত্যাদি উপকরণের সাহায্যে যেভাবে নান! ধরনের মৃত্তির নির্যাণ, প্রাণীদেহও তাদের মতে ঠিক দেই ভাবেই বিভিন্ন ভৌতিক উপাদানের মাধামে আত্মপ্রকাশ করে। প্ররুতপক্ষে ভারতের অধ্যাত্বদর্শনে কর্ণফলবাদের অন্ততু কি সস থে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রেরণায় সে দৃষ্টিতঙ্গী চার্বাক দর্শনে অন্পন্থিত। এ কারণেই আত্ম, জন্মাস্তরৰাদ ইত্যাদির মত এই ধারণাও চার্বাক দার্শনিকদের হারা সঙ্গালোচিত হয়েছে ! কর্মফলের মত মোক্ষও স্বাভাবিকভাবেই ভূতচৈতন্যবাদী চার্বাকদের ধারণায় প্রবেশ লাত করেশি। চার্যধাক মতে মৃত্যুর পরে দেহের বিনাশকে মোক্ষ সংজ্ঞায় অিছিত কর! যায় 1২৮১ ঈশ্বর, স্বর্গ, নরক ইত্যাদি সম্বন্ধীয় অপর কয়েকটি ধারণা ভাতীয় অধ্যাত্ম- ধারণার আবশ্টিক অঙ্গ না হয়েও ভারতের জনমানসে বনুদিন থেকে স্থায়ী আসন অধিকার করে আছে। কিন্তু চার্ধাকী নীতিতে এগুলিরও স্বীক্ত নেই। চার্বাক মতে বর্গ, নরক ইত্যাদির ভোগ উহজানাই হয় ।২৮২ পরষেশ্ব্র আখ্যায় গপাকেরা দেশের রাজাকে সংজ্জিত করেছেন 1১৮৩ কালণ, গ্রাীন ভারতীয় পাজ- শীতিতে বাঁজা বছ ক্ষেত্রেই ঈশ্তর পদ্বাঁচি 1২৮৪ চাবাকী বস্ত্রবাদ চার্বাক সিদ্ধান্তের আলোচনার সময় চার্াককে দেখ। উচিত ভারতেই একটি ২৮০ | ভুতেত্যো মুতু্পাদানবত্তহপাদানম্‌, ন্যায়, ৩/২।৬১। ন্যায় ভা়াম সুত্রে নান্তিক মত উপস্থাপিত করা হয়েছে । ২৮১ । টানার গ্রঁ১) দঃ ৩, দেহাচ্ছেদে। মো সমত। পু: ডি “ধেহস্ত নাশো মুত, ১ পু তত এ৫খমব চ মোক্ষিত অননতনগ্রঠ পঃ ১৫ মোক বহু) সং তক হা ১১ স১৭ ৮২ 'ইহল্োকাছ্ পক না, 55 ননি। ন ৮৮ সর্বাসবাশ্তনংগ্রচ, হা শপ ৪ সখ ৮08 ৪০1৩ ২৮১ শ্বগ্ীলগভাবপি ন জট তট অঠ পুঃ ১৫ ধু ১৮৩। ণপোকপিদ্ধো ভবেদ্রাজ! তিশা পি স্বুভত, সং পৃ ৪৩৭ পরষেশ্বরোহপি কশ্টিৎ্, সর্বমঙসাংগ্হ, পৃঃ ১৫ ২৮৪ | মন্লংহিতা, ৭৮377. টৈ. 00110881, & 8156010 01 [80181 ঢ১01100081 18588, 71. 54011. ১১৬ পটভূমি প্রসঙ্গে দর্শন হিসাবে । এই চার্বাক দর্শনের সামগ্রিক চিত্রায়ণ ভাবতীয় দর্শনের সাধারণ ধারার পরিপ্রেক্ষিতেই করা! উচিত । আমর আগে দেখেছি যে কেবল খিওকি বা মতবাদের মধ্যে ভাতের কোন দর্শনই সম্পূর্ণভাবে রূপায়িত নয়। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দর্শনিটি যে আকারে প্রতিভাত, দর্শনের সম্পূর্ণ ূপরেখার বিচারে তার আলোচনাও আবশ্তাক । মতবাদের ক্ষেত্রে চার্বাক নাস্তিক, অর্থাৎ ভারতের অধ্যাত্মদর্শনকে কেন্দ্র করে যে মুল্যবোধ ভারতীয় এঁতিহে বছুকাল ধরে সঞ্চিত, তার সমাজোচনার ভিত্তিতে নেতিবাচক রূপে চার্বাকের প্রতিষ্ঠা । ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এই নাস্তিকতার বূপায়ণ কি সম্ভব? ভারতীয় দার্শনিক গোষ্ঠীতে এ চাবাকগোঠীর আবির্ভাব ইন্তিবাচক বিশেষ কোন আচর্ণবিধিব পটভুমিতেই কেবল ব্যাখ্যা করা চলে, এই আচরণবিধি ভারতের সনাতন ধারার পরিপস্থ? হলেও । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে নাস্তিক” শব্ধ যদিও নেতিবাচক রূপই প্রকাশ কবে, তবুও চার্বাক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাহচধের ফলে এই সংজ্ঞা ইতিবাচক কিছু অর্থের * গ্যোতক এবং পান্তিকর্দের এই ইতিবাচক রূপের প্রকাশ সনাতনগোষ্ঠীর বিরোধ বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মাধামে । প্রকুতপক্ষে চার্বাক দর্শনের যে কপ চার্বাকের নিজন্ব গ্রন্থ “তত্বোপপ্রধাপংহে প্রতিভাত, তার বাস্তব চিত্রায়ণ কোন গোষ্ঠীর পক্ষেই সম্গবনয়। এমন ঠি নীতিগতভাবে যার! কেবল অন্থমানের বিবোধিতা কবেছেন প্রত্যক্ষ প্রন্টি তাদে সমর্থন ক্বীকার করে নিলেও, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে তারা৪ অশেষ অস্থবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। এই জন্য বাস্তৰ প্রয়োজনীধতার ভিত্তিতে মতবাদের উগ্রতা “ই ক্ষেত্রে পরিহার করুতে হয়েছে এবং এই চার্বাক্দেরই প্রভাব পডেছে বোধ হয পুরন্দরপস্থী চার্বাকদের মধ্যে ধাবা ব্যবহারিকতার সঙ্গে সগগতি রেখে চারাঁক « শেতিবার্কে কিছুটা! পরিবতিত রূপদানের চেষ্টা করেছেন । এই চার্বাক গোষ্ঠ হ ইল বস্তবাদী চার্যাক। এদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত প্রত্যক্ষের দ্বারা সীমাযি বস্তজগতের উপকরণে। এই চাবাকর্ধের পরিপূর্ণ আলেখ্য প্রতিদন্থী দার্শনি কদের গ্রস্থে অধৃশ্ট। কা এই দার্শনিকদের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে কেবল চাবাকী হেতুবাদ, তকে এ সাহাযো য৷ প্রতিপক্ষের ক্রুটি উন্মোচনে উন্মুখ । চার্বাকদের ব্রীতিনীতি এং আচরণবিধি কিছু নিদর্শন পাওয়া যায় দর্শনের সঙ্কলন গ্রস্থগুলিতে এবং সম্ সাময়িক অন্যান্ত কিছু গ্রচ্গে অন্ততুক্ত চার্বাকদের বিবরণী থেকে । প্রাতিছন্" দার্শনিকের1 চার্বাকী আক্রমণের আঘাত থেকে নিজ নিজ মতবাদণ্ডলিকে বক্ষ চার্ধাক সিশ্াস্ত--আালোচন। ও সমালোচনা ১১৭ করতে চেষ্টা করেছেন--ফলে তাদের বর্ণন! হয়েছে পারম্পরক তর্কযুদ্ধের এক বিবরণী । অন্তান্ত ব্যাপারগুলকে নিজেদ্নের আলোচনার পরিসরে তারা অস্তত্ক্ত করেননি । অন্থান্ গ্রন্থগ্রলতে অবশ্য তর্কমুদ্ধের এ ছবি নেই, আছে কেবল চার্বাকী আচরণবিধির এবং কোন কোন ক্ষেঞ্জে এই আচরণবৰিধির সমর্থনে চার্বাক পক্ষের যুক্তির কিছু বর্ণনা । বাত্স্যায়নের কামন্থত্রে'র বর্ণনা অন্রসারে চারাকর্দের জগৎ প্রধানত: ব্তম্বানকে কেন্দ্র করে ।২৮£ যে বতমান সুনিশ্চিত তাকে উপেক্ষা করে সংশগ্রিত ভবিষ্যতের লক্ষে চার্বাকেরা অগ্রলর হতে চান না, ভবিষ্যৎ যদিও উজ্জ্বল সম্ভাবনার রঙে রঞ্কিত থাকে । এই গ্রন্থে বণিত চার্বাকেরা পরবর্তী দিনে মযূর লাভেত্র আশায় বঙমান দিনে হস্তগত পারাবতকে উপেক্ষা করেন ন1 এবং ভবিষ্যতে স্বর্ণমু্ধার প্রতীক্ষায় থেকে বর্তমানের তাতরমুদ্রাকে বিসর্জন দিতেও তারা প্রত্তত নন। তাদের কর্মপ্রচেষ্টাকে বিতকিত ভবিষ্যতের উদ্দেশে প্রপারিত করার পরিবর্তে বর্তমানে নিশ্চিতলভ্য বগ্তগুপির দিকে পিগ্জোজিত করতে তাঁদের আগ্রহ 'কামগ্ত্রের বর্ণনায় স্থপররিস্ফুট | “সর্বদর্শনসংগ্রহের” বর্ণনা অনুমারে চার্বাকেব্রা বৈষয়িক এবং জাগতিক ভোগ- স্রথে আকগ নিমজ্জিত । এই ভোগাকাজ্ফার চরিতার্থতাই তাদের জীবনে যূল লক্ষ্য । ছুঃখবাদী অধ্যাত্মদর্শনের কোন প্রভৰ চার্বাক দর্শনে নেই | চার্বাকমতে জগৎ তোগম্খের সম্ভাবনায় সমুজ্বপ। এবং এই জাগতিক সৃথকে করায়ত্ত করার প্রচেষ্টায় চার্বাকের। তাদের সর্বশক্ত নিয়োজিত করতে আগ্রহী । বস্তভজগৎ তার মনোহারী বূপ নিয়ে হখের আকর্ষণে মানুষকে প্রতিশিয়ত আকর্ষণ করে। ভারতের অধ্যত্বদর্শনে এই আক্র্ণকে দমন করার শিক্ষা আছে এবং এই বস্ত- জগতের বিপরীতগামী পথই পেখানে চরম শাস্তির পথ ঠিপাবে নির্দেশিত | চার্বাকের! কিন্ত সম্পৃণ ভিন্ন পথের পথিক | বি্ষয়রসে মগ্ন হয়ে তারা তাদের উপতোগম্পৃহা চরিতার্থ করতে আগ্রহী ।২৮৬ দুঃখের যে নংমিশ্র? এই জাগতি * স্থৃথে থাকে চার্বাকদের ভোগের পথে তা! বাধার স্থটি করে না। “গর্বদর্শনমংগ্রহে্র এই বিবরণীতে চার্বাকদের কর্মোস্থমের এক পরিচয় পাওয়া ২৮৫ | কামশ্ৃত্ত) ১২২৯৩ | ২৮৯ | '্য্নাগ্চালিঙ্গরাছিগন্তং ছুখমেব পুরযাথ:, সদং পৃঃ ৩, এ পৃঠ' ১১৮ পটভূমি প্রসঙ্গে যায়।২৮৭ জাগতিক সুখের উপতোগে তীর] প্রয়াপী বাধা বা বিপদের, সম্ভাবনাকে অপ্পূর্ণ অগ্রাহা করে। কণ্টকের উপস্থিতি তাঁদের পুষ্প আহরণ থেকে প্রতিনিবৃত্ত করতে পারে না। চার্বাক মতে ধানে তুষ থাকে বলে ধানের ক্ষুধা- নিবুত্তর ক্ষমতাকে উপেক্ষা করে ধান ফেলে দেবাত্র পক্ষে কোন যুক্তি নেই । মত্ত ভোজনের সখ ধাবা আন্বাদশ করতে চান তাদের প্রথমে কীটাযুক্ত মাছই সংগ্রহ করতে হয়। যে ছুঃখ অপরিহার্য স্থথের পথে অগ্রনর হতে গেলে তাকে সম্পূ্- রূপে অগ্রাহ করা উচিত। শশ্তলাভের আকাজ্কায় মানুষ মাটিতে বীজ বপন করে। রন্ধনকার্ষে প্রবৃত্ত হবার মূলেও থাকে তার ভোজনে পব্তৃপ্তির আশ! । পিছু কিছু আশঙ্কা অনেক সময় এই আশার সঙ্গী হয়, কতকগুলি অনাকাজ্ক্ষিত এবং অপরিহাণ অমঙ্গল মাতষের এই সুখ সম্ভাবনার পক্ষে বহু ক্ষেত্রে অস্তরায় চষ্টি করে। পশ্তপাখী এবং কীট পতঙ্ের দ্বার] ভূমিতে উৎপাদিত শস্য বিনষ্ট হতে পারে । রদ্ধনকর্তার স্খাগ্য তোজনে প্রতিবন্ধক স্টি করার জন্য অনাহৃত ভিক্ষুকের উপস্থিতির সম্ভাবনাকেও পরিহার কর] চলে না। চাবাকেরা কিন্তু এই ছুঃংখময় সম্ভাবনার ভয়ে ভীত হন না এবং স্থুখ ছুঃখময় জগতে চলার পথে ছুঃথকে সব সময়ে উপেক্ষা]! করে সৃথের উদ্দেশ্যে অগ্রপর হন । ইহুজগতের ভোগস্থখকে উপেক্ষা করে কুচ্ছ সাধন চার্বাকদের অভিপ্রেত নয় । সন্গ্যাস বা ত্যাগের পথ তাদের অনুমোদন লাত করেনি । ত্রিদণ্ড, তস্মের আবরণ ইত্যাদি সন্ন্যাসের উপকরণগুলি চার্বাকমতে বৃদ্ধি বাঁ পৌরুষহী'ন ব্যক্তির জীবিকার উপায় ।২৮৮ চার্বাক সম্বন্ধে বিভিন্ন গ্রন্থের বিবরণীতে চার্বাকের। নিয়ম বন্ধন-বিহীন ইন্দ্রিয় স্থখপরায়ণ হিসাবে মভিছিত। এই গ্রন্থগ্ত লির বর্ণন1 থেকে মনে হয় যে ভোগের দম আকাজ্ষাকে নিয়ষিত করার কোনো বাধন চাাক দর্শনে নেই এবং চার্বাকেরা তাদের কাজে গঁচিত্য বা নীতিবোধের প্রেরণায় চালিত হন না। “পর্বদর্শননংগ্রহে” উদ্ধত বিশেষ একটি ক্পোকে উল্লিখিত ত্বৃতপাযী চার্বাক ২৮৭। সং পৃঃ ৪, প্রচ, পু পৃ:, ৬৮-৯ ২৮৮। * ১ শততরিধগুৎ ভক্মবগ্ুঠনম্‌। বুদ্ধিপৌরুহীনানাং জীবিকেতি: বৃহস্পতি ॥” সসং, পৃঃ « “ভিক্ষোপবাসনিয়মার্কমরীচিদরাহৈর্দেহোপ , শ্োষণবিবিঃ কুধিয়লাং, প্রচ, পৃঃ।৬৮. “তশ্েভিরুপবাস।স্যৈমূটি এব প্রশুয্যতি” সবসিদ্ধাস্তম গ্রহ চাবাক সিদ্ধান্ত-_-আলোচন্বা ও সমাপোগনা ১১৪ সাধারণের কাছে স্থপরিচিত।২৮৯ এই চার্বাক সখের বসেবু স্বাদে বঞ্চিত হচ্ডে অনিচ্ছুক। ঘ্বতপানকে যদি তিনি এই লক্ষ্যে উপনীত হবার উপায় বিবেচন। করেন, তাহলে এই দ্বৃত্পানের বায় বহন করার জন্য খন কঃতেও স্ঠান্র কৃঙ্ঠী নেই। এই বিশেষ শ্লোকটি সম্বন্ধে এখানে কিছু আলোচনা প্রয়োজন । “সর্বদর্শন- স:গ্রহের”ই ভিন্ন এক স্কানে এই শ্লোকটির অনুরূপ অপর একটি শ্লোক ২৯" দেখা যায় লোকগাথ! বা লোকপ্রবা:দ বর পরিচিতি নিয়ে। জয়ন্ত ভটের *ন্যায়মন্ধবী”তে ৪২৯১ দ্বিতীয়-প্লোকটির উদ্ধত দেখা যায়। এই শ্লোকে বগিত চার্নাক সখ লপ্মা, সন্দেহ নেই, কিন্তু স্থথের প্রয়োজনে নীতিবোধ বিসজন দেবার কোন ইঙ্গি» এই শ্লোকে নেই । দেহনাঁশের পরে আত্মার সত্তায় বিশ্বাসের অভাদ এই শোকে পবিস্মট, যে কারণে পারলৌকিক স্থথকে কামনা না করে বর্তমান জীবনের হৃখেই তারা অগ্র থাকতে চান । "ন্যায়মঞ্চরীগতে এই শ্লোকটি বান» হয়েছে “সুশিক্ষিত? নংজ্ঞায় বিশেধিত চার্বাকগেো'ঠীর মনোভাবের উদাহরণ হিসাবে । চার্বাকদের গ্রসঙ্গে বল! হয়েছে যে ধর্ম তার্দের জীবনের লক্ষ্য নয়, অর্থ এবং কাম, বিশেষত কাম তাদের নিকটে পুরুষার্থরূপে গণ্য | মন্ম্বাজীবনের চারপ্রকার লক্ষ্য পুরুযাখ-রুপে কথিত হয়। যথা, ধর্ম, অর্থ, কাম «ও মোক্ষ। চার্বাকেরা অর্থ ও কামের উপামক । মোক্ষ সম্বন্ধে আমরা আগেই আলোচনা করেছি । মানুষের লব ছুঃখের এবং সেই সঙ্গে জাগতিক ভোগস্থখের ও একান্ত মবদান এই মোক্ষ বা! মুক্তির মধ্যে। ভারতীয় অধ্যাত্নদর্শনে মোক্ষ চবুম লক্ষা হিসাবে নির্দেশিত হলে, সাধারণ সংসারী মানুষের কর্মগ্রচেষ্টা এই লক্ষোর পথে প্রসারিত নয় । সেইজন্য সাধারণঙাবে চতুরর্গ হিসাবে অভিহিত হলেও সাংসারিক মানুষের জীবনে পুরুষার্থ প্রধানতঃ ত্রিবর্গাত্বক, অর্থাৎ ধর্ম, অর্থ এব' কাম এই তিনটি ২৮৯। 'যাবজ্জীবেৎ সথখং জ'বেদনং কৃহা ত্বভং পিবেৎ, ভন্মীভূতন্য দেহন্ পুনবাগমণংকু ত:* সসং, পৃঃ ১৪, শ্লোকটি গ্রন্থে বৃহম্পতিবচন হিসাৰে উদ্ধত। ২৯০ 'যাবজ্জীবৰং স্থখং জীবেন্ান্তি মৃত্যোরগোচকত, ভন্মীভূতন্ত দেহশ্য পুনাতাগমনং কৃতঃ, এ পৃঃ ২ ২৯১। নন্যায়ম্ঞরীতে' উদ্ধৃত ক্লোকে “দেহম্ত শবে পরিবর্তে শান্তস্য' শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। | | ১২৪ পটভূমি প্রসঙ্গে বিভিন্ন লক্ষ্যের সমবায়ে গঠিত। ভারতীয় চিন্তায় “অর্থ' শব্দটি ধনসম্পদ্দের বাঁচক এবং “কাম শবটি ইস্টিয়জ স্থখের বাচক। সাংসারিক ভোগ নখ অর্থ ও কামের অন্তর্গত। সম্পূর্ণ লক্ষ্য হিসাবে কিন্ত “অর্থ, ও “কামঃ কখনও নির্দে শত হয়নি । অর্থ ও কাম নিয়ন্ত্রিত হয়েছে ধর্মের দ্বারা । এই ধর্মযুক্ত “এর্থণ ও “কাম” ত্রিবর্গ আখ্যায় অভিহিত । সমসাময়িক্ষ রচনার আলোকে চাাক সম্প্রদায়কে বিচার করার সময় এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন । আমরা আগেই দেখেছি ঘে ভারতীয় চিন্তাধারা অর্থ এব! কামের পরিচর্যাকে অভীষ্ট লক্ষ্যের বহির্দেশে রাখেনি । অর্থ এবং কামকে যথাক্রমে উপলীব্য করেও অর্থশান্ত্র এবং কামশাস্ন সনাতনপন্থীদের সমালোচনার বিষয় হয়নি । অবশ্য “অর্থশাস্্রকার কৌটিল্য এবং “কামন্থন্্রের্র রচয়িতা বাতগ্ায়ণ ধর্ষের প্রঠি তার্দের আঙ্ছগত্য প্রকাশ করেছেন ।২৯২ নাস্তিকতার মনোভাব তাদের মধ্যে নেই | সেইজন্য অর্থ এবং কামকে অবলম্বন করেও এদের বস্তধাণ কখনও নিন্দিত হয়নি। ধর্মবিরোধী হিশাবে চাধাকী আচরণের পরিচিতি প্রধানতঃ সমালোচকদের বিবৃতির মাধ্যমেই আমাদের কাছে উপস্থাপিত । এ সম্থদ্ধে চার্বাকপক্ষের নিজদ্ অঃভমত আমাদের জানা নেই ; তবে ধরন যদি সনাতন ধারার প্রতি আন্কগত্যের ছ্যোতক হুয় তাহলে নিঃসন্দেহে চাবাকী মনোভাৰ এই ধর্মের বিরোধী । প্রর্কৃত- পক্ষে নাস্তিকতার মধ্য দিয়ে চার্বাক মতবাদে যে বিজ্বোহী রূপের প্রকাশ, সাধারণ আচরণবিধির মানদণ্ড হিস'বে গৃহীত তথাকথিত ধর্মেই” সঙ্গে তার কোন সামঞ্স্ত থাকতে পারে না। আর এই ধর্ের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় চাবাকেরা অসমর্থ বলেই চার্বাকী আচরণে লমালোচকেরা অনুনরণীস্ক সাধারণ মানের অভাব লক্ষ্য করেছেন । মোট কথা চাবাঞক্ষে4 আউশ ধর্রেগ বিরোধী বলে অভিহিত করায় চাধাকী নৈতিক মান যে সনাতনীদের নীতিগত যানদণ্ডের অবিরুদ্ধ 2য় সেটাই প্রকাশ পায়। সনাতনগোষ্ঠীর অনভিপ্রেত যে কোন আচরণই বোধ হয় এই- তাবে "চাবাক' সংজ্ঞার সঙ্গে অভিন্ন সততায় নিজেকে একাত্। করেছে । ২৯২। ধর্ম।৫কামেভ্যো। নম, কামন্থত্। ১।১ ১3 অন্তোইন্াগবন্ধং পর- ম্পরান্ুপধাতকং ত্রিবর্গং দেবেত” এ ১1২1১ 3 ১1২৩৯ 'তাভিধর্মার্থে। যদ্‌ বিস্তাত্বদ্‌ বিস্তানাং বিস্তাত্বম্‌ণ, অর্থশানত্, ১।২.৯ চার্ধাক ও বেছ ১২১ মোট কথা, ভাবুতের সনাতনপন্থীদের বিচাজে চার্বাকগোষ্ঠী চিরদিন অবজ্ঞেতর এব* সেইজন্য এই সং্রণায়ের মাচবিত অধিকাংশ ক্ুয়াকলাপই ঠাদের কাছে ছুর্ণান্তিপরায়ণত্ার পরচায়ক। এইঞগ্ত চাবাবদের বিগ যখণ তারা উচ্ছ,ঙ্ঘল- তার অভিযোগ করেন তখন সেই অভিযোগকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করা ছন়ত আমাদের উচিত হবে না। কিন্তু তাহলেও নিষমবদ্ধনবিহীন চাবাকগোষ্জীর আচবণে শৃঙ্খলাবোধের যে কিছু অভাব দেখা গিয়েছিল তা অন্ষান করা বোধ হয় অসঙ্গত নয়। ৫ | চার্বাক ও বেদ বৈদিক সংস্বতির বিকুছে বিদ্রোহের মধ্য চাধাক দর্শনের মূল ধারাব আবি- ভাবের যে ইঙ্গিত পুত্রের দিয়েছেন তার উল্লেখ আগেই করা হযেছে। এই বিদ্রোহের পটভূমিতে চাবাক সিদ্ধান্তকে বিগার করতে গেলে ধিক চিস্তাধারার কিছু পরিচয় প্রযোজন এবং আমাদেব পঠমান আলোচনা বৈদিক পদংস্কৃতির এই প্রয়োজনীষ প্রসঙ্গকে কেন করে। বেদের সংখ্যা চার__খক্‌, সাম, যছুস ও অখব। 'ভ্রয়” এহ পামের মাধামে অ+ বেদ বহু ক্ষেত্রে পাপচিত , কারণ, অখব বা ৮তথ বেদকে ব্বর৩ দেওয়া হয়েছে অনেক দেখাতে । প্রত্যেক বেধেব আবার ওনটি বিভাগ -মঞ্্র বা সংহিতা, ব্রাহ্মণ এবং উপনিষ্। সংহিতা, ব্রাঙ্গন এব" উপনিষদে বিভক্ত বে এক বিশুপ সাহিত্য সঙ্গার । বৈদিক সাহিত্য হিপাবে এর পর্রিচিতি এবং যে যুগের পরিধির মধ্যে এই সাহিত্যের শুট ধৈর্দিক যুগ বলতে সাধারণতঃ তাকেই বোঝায় ।২৯৩ সুক্ষ বিচারের মাপকাঠিতে কিন্তু কেবল সংহিতা এবং 'ব্রাঙ্ম "হ বৈধিক যুগের সাক্ষ্য বছন করে, কারণ, বৈদিক মন্ত্র এবং ব্রাদ্ষণের, অনুমরণে উদ্ভুত গছুলেও বৈদিক সাহিত্যের অস্তিম অংশ উপনিষৎ এক ভিন্নধর্মী ভাবের পরিচান্বক, যার অগ্বুত্তি পরবতী চিন্তাধারায় স্থুপরিষ্ফুট । এই বিচারের পরিপ্রেক্ষিতে বৈদিক যুগ বিশিষ্ট ২৯৩। মন্ত্র “ব্রাহ্মণ ও “উপনিষৎ--এই তিন বিভাগ সমন্বিত সমগ্র বেদের রচনাকালের আনুমানিক পূর্বসীমা হিসাবে শ্রীইপূর্ব ১০০ সাল এবং উত্তর সীম! হিপাবে খ্রীঃপুর্ব ষষ্ঠ শতক সাধারণভাবে পর্ডিতদের অন্ু- যোদন লাভ করেছে এবং বৈদিক যুগ এই ছুই সীমার মধ্যবতী যুগের অর্থেই বাবন্ধত (1 7৯ $, 79. 57) ১২২ পটভূমি প্রসঙ্গে অর্থে মন্ত্র এবং 'ব্রাঙ্গণেজ? যুগকেই বোঝায় এবং চার্বাক দর্শনে বেদ প্রধানতঃ মন এবং “ত্রাঙ্গণ? পর্যায়ের বৈদিক সাহিত্যের অর্থে ব্যবহৃত । বৈদিক যুগের চিস্তাধার] মুলত: কামনাতিপ্তিক | সাধারণ মানুষ সখ, সম্পদ, ধশ্বর্ধ ইত্যাদির অধিকারী হতে চায়। কামনার লক্ষ্য সেই লব বিষয়। বৈদক যুগের সমস্ত চেষ্টার উদ্দেশ্য প্রথমত: এই কামনাগুলির পৃতি এবং দ্বিতীক্ণতঃ এই কামনাপৃতির পথের অন্তন্বায়গুলির দূরীকরণ। বৈদিক সংহিতায় এই প্রয়াস রূপ পেয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর উদ্দেশ্তে রচিত প্রার্থনার মাধ্যমে । প্ররু তর বিভিন্ন রূপে দেবত্বের মহিমা আরোপ করে মানুষ তার পৃজ1 করেছে; দেবতার কাছে তার প্রার্থনা, তিনি যেন তীর মঙ্গলময় প্রকাশের মধ্য দিয়ে সর্বদা আবির্ভূত হন এবং রুদ্্ররূপকে সংবরণ করেন । ইন্ত্রদেবতার কাছে তার কামনা বৃষ্টি, কিন্ত সেই সঙ্গে এই অন্থরোধও আছে যে দবতা যেন সংহারকূণী ঝড়কে সঙ্গী না করেন।২৯৪ এই প্রার্থনা ছাড়াও মানুষের কামনা] পুর উদ্দেশ্য সাধনের অঙ্গ হিসাবে যজ্ঞ ইত্যাদি নান! রকম ক্রিয়াকর্মের বিধানও স্থান পেয়েছে বৈদিক সংহিতাতে । এই যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান সংহিতোত্তর “ব্রাহ্মণের যুগে অতাস্ত প্রাধান্য পায় এবং প্রধানত: এই অন্ঠানগুলিকে কেন্দ্র করেই 'ব্রাক্মণের* যুগের রূপায়ণ। ক্রিয়াকর্মের খু'টিনাটিব্ুল এই সব বৈদিক যজ্ঞের যথাযথ ফলস প্রদ্দানের ক্ষমতা বৈদিক নির্দেশনা অনুসারে চন্ত্রাদির বিশুদ্ধ উচ্চারণ এবং বিভিন্ন ক্রিয়ার অনুষ্ঠানের বিশুদ্ধতার উপর [নর্ভরশীল ছিল । এ ধরণের বিশুদ্ধতা পালন সাধারণ লোকের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয় ; ফলে, একট ছুর্বোধ্যতার আবরণ এই যাজ্ঞিক অন্থু- ঠানগুলিকে সাধারণ লোকের বুদ্ধির জগৎ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করে রাখত। অন্থ- ষ্টানের জটিলতা সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ বাক্তিদের যজ্ঞান্ুষ্টানে প্রবৃত্ত হতে নিষেধ করা হয়েছে। অনভিজ্ঞ অথচ যাজ্ঞিক ত্রিয়ায় কত ব্যক্তির শোচনীয় অবস্থার এক বর্ণনা 'শতপথ এরি পা ওয়া ঘায় ।২৯% ম্ন্তর্বর্তা পথগুলির বিবরণ সম্বন্ধে অজ্ঞ হয়েও যে ব্যক্তি গভীর অরণ্যে প্রবেশ করে তার দশার সঙ্গে এই অবস্থ। তুলনীয় । এইভাবে অরণ্যে প্রবেশকারীকে যেভাবে ক্ষুধা, তৃষা, ছুর্জনের প্রতারণা ইত্যাদি প্রতিকূলতার কাছে পরাভব স্বীকার করতে বাধ্য হতে হয়, অনভিজ্ঞ যজ্ঞকারীরও সেইভাবে নান! ধরনের দুবিপাকের সম্মুধীন হওয়! ছাড়া ২৪৪ । ] [৯ 1১ 1১106 ২৯১৫1 শতপথ ব্রান্ষণ। ১২।৯ ৩1১২ চাবাক ও বেদ ১২৩ গত্যস্তর ধাকে না। অপর পক্ষে, যজ্ঞ সম্বন্ধে “বিস্তারিত জ্ঞান ধাদের আছে». সেই ব্াক্তিদের দ্বারা যজ্ঞ পরিচালিত হলে যজ্গনুষ্টানের মাধ্যমে সব রকম বিপদ থেকে পরিজ্ঞাণ এবং পরিশেষে সৃথ, শান্তি এবং দ্বর্গলাভ হয়। যজ্জের ব্যাপাপে এই বিস্তা, কত জ্ঞানের" ধারা অধিকারী, স্বাভবিকতাত্েই বৈদিক সমাজে তীাদেয়্ সর্বাধিক প্রতিপত্তি ছিপ) কারণ, সাধাপদ মাহষের হখ, সমৃদ্ধি এবং স্বর্গের চাবিকাঠি ছিল তাদের হাতে । এই অভিজ্ঞ বাকিদের নিজকে পুরোহিত বা যাঙ্গক সম্প্রদায় নামে বিশেষ এক শ্রেণীর উত্ত হয় এবং যজ্ঞ পরি চালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বিশেষ এই শ্রেণীর আঁধকারে আসে। যচ্ছা্দর অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সাধারণ ব্যক্তিদের এই পুরোহিত বা যাজকর্দের উপর নির্ভর করতে হত কারণ যজ্ঞের জটিল ক্রিয়াপদ্ধতির জ্ঞান একমাত্র এদেরই অধিগত ছিল। খর কামনাপৃতি জ্ঞানষ্ঠানের লক্ষ্য, সেই জমান বন্ততঃ পক্ষে যাজ্ছিক অহু্ঠান থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেন । এই পুরোহিত বা যাজক »ন্প্রদদায়ের ব্যক্তিরা জাতিগতভাবে পৌঁকোহিতাকেই বত্তি হিসাবে অবলম্বন করতেন । এ সম্বন্ধে [২01.015119]18 হয. বলেন ১২৯৬ [176 17181)15 618601815 1191016 01 11765 52011110181 06191701015] ৫91781105 5799০18] [91171106001 1170 [9119511% 01100. 115 70201101081 11580 91609 91011 ০০91 00 1106 00110180€ [176 ০০1011016% 2110 77111010110 5১51617) 01 [1)0 58011010121 00101110189. 19168610900 700879 28 10091655101) 2100 2 1)0190112%7% 016. 71750109505 ৮৮109 [00955655090 (116 ৬০৫1০ 1015 ০০৪91716 0115 80017601190 11101179৫181165 061৬/901) 600 210 1101) 210 1186 01576115615 01 176 01170 81206. 110 ৮8197091801 1119 1761) (0 ৬/110]া) [1)6 1116 15 [09101717100 56215 95106. 71615 4 04551৬৩ 78017 50001511056 17910, 10101076 9170 1701111019৯, [119 [11951 006. [119 1951 001 11171. বৈদিক সাহত্যে বু অংশে এই যাজক শ্রেণাতূক্ত ব্যক্তিরা দেবতা হিসাবে বণিত হুয়েছেন। শতপথ ব্রাহ্মণে দেবতাকে দু'-শ্রেণীতে ভাগ কর! হয়েছে২৯? স্ব গর দেবতা আর য্ান্থুষ দেব]! বা পুরোছিত, ধার] বৈদিক শাস্তে অতিজ্ঞ' এবং যজ্ঞ পরিচালনার ভার যাদের উপর অপিত। ২৯৬। [20909 1256. ২৯৭ । শতপথ ব্রাঙ্গণ, ২।২।২।৬ 3 ৪1৩,৪/৪8 ) ২1৪,৩১৪ ১২৪ পটভূমি প্রসঙ্গে এই পুরোহিতের! সমাজজীবনে যে বিশেষ ধরনের সুযোগ স্থ্বিধার অধিকারী ছিলেন বৈদিক সাহিত্যের বিভিন্ন জায়গায় সে সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া বায় । পুরোহিতদের স্থান অপর ব্যক্তির তুলনায় উচ্চতর স্তরে নির্দে'শত ছিল এবং এদের সঙ্গে ব্যবহারে এই বিশেষ ব্যবধানটির অস্তিত্ব সম্ষদ্ধে সকলেই সচেতন থাকতেন। এই যাজকদের পব সময়ে সম্মন দেখাতে হত, উপহার দিতে হত এবং এদের হত্যা বা উতৎপীড়ন করার অধিকার কারও থাকত না। এদের সঙ্গে ব্যবহারের সময় দেশের পাজাকেও এই একই নিয়ম পালন করুতে হত । এই যাজকদেরু সম্পত্তিতে রাজা! কোন পরিস্থিতিতেই হস্তক্ষেপ করতে পারতেন না। সাধারণ লোকের সঙ্গে বিরোধের ব্যাপারে বিচারক সব সময়ে যাজকর্দের পক্ষে রায় দিতেন , কারণ, 'এই যাজকদের কোন কাজে ত্রুটির সম্ভাবনা অকল্পণীয় ছিল ।২৯৮ ক্ষমতা এবং অখের লোভ মাভষের মধ্যে চিরস্তন এবং এই যাজকনম্প্রদায়ের লোকেরাও তা থেকে অব্যাহতি পাননি । জনসাধারণের অজ্ঞতার পূর্ণ স্থযোগ নিয়ে ক্রমে এবা। সমাজে এদের বিশেষ স্রযৌগ সুবিধার অপব্যবহারে বত ছলেন । কেবপমাত্র জাতিগত ব্রাঙ্গণতার ভিন্িতেই পৌবোছিত্যের মযাদ1 দাবী কৰে বনু লোক সাধারণের কাছে নিছেদের উপস্থাপিত করশেন এবং এইভাবে সমাজে তাঁদের প্রভৃত্ব বিস্তারের প্রস্ততি শুক হল। পরলোকে প্রচুর স্থখ ও সম্পদের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করা এদের মধ্যে অনেকের জীবিকার উপায় হয়ে দাড়াল ।২৯৯ এই জাতীয় লোকে অন্ততুক্তি শ্বাভাবিকভাবেই যাজকসম্প্রদায়ের মধ্যে অধঃপতনের সুচনা! করতে থাকে এবং এইভাবে সংহিতার যুগে যে বৈদিক সংস্কৃতির উদ্ভব, সংহিতোত্ব 'রাঙ্দণে র যুগে তা এক বিরুত 'আকার ধারণ করে। বৈশ্দক কর্মকাণ্ডের প্রহাব যে সময়ে সবাপেক্ষা প্রবল, সেহ 'ব্রা্ষণের? খুগেই পেপে ধঙ্ঞভিত্তিক নংস্কৃতির বিরুছধে। প্রতি- রোধের প্রপ্ততি আবস্ত হল। পরবর্তী ভাবনা বিভিন্নমুখী ধারায় নূতন খাতে প্রবাহিত হয়ে ভারতের চিস্তযজগতে পরিবত্তন সুচন। করল । বৈদিক সাহিত্যে উপনিষদের স্থান সংহিতা এবং 'ত্রাঙ্মণের” পৰবর্তাঁ যুগে । উপনিষদীয় সাহিত্য পূর্ববর্তী যুগ্ন কামনা ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গীর বিপরীতধর্মী স্থুরের ২৯৮ । তৈত্তিরীয় সংহি তা, ২1৫ ১১ এবং 611) কত অনুবাদ ২৯৯ । [028 1 0. 126 চাবাক ও বে ১২৬" পরিচয় বহন করে। যে বৈষয়িক স্থখভোগ বৈদিক যাগযজ্ঞের প্রধানতম লক্ষ্য তার অসারত প্রতিপাদিত হল উপনিষধীয় চিন্তায় । হ্জেদের কামনাপৃতির সহায়ক হিসাবে বৈদিক আমর] বিভিন্ন দেবদেবীর বল্পনা করোছলেন। উপনিষদীয় খধষি বু দেবতার উৎসর্ূপে অদ্বৈততত্ব প্রতিপাদ্দন করলেন । উপনিষদীয়৩০ « সাহিত্যের বু অংশে যজ্জীয় সংস্কৃতির নিন্দা বা নৃতন ব্যাখ্যা লক্ষিত হয়। ছান্দ্যেগ্য উপনিষদের এক স্থানে পরম্পরমংলগ্র কুকুরবাছিনীকে বহিষ্পবমান স্তোত্রগার়কদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ৩০১ প্রকৃতপক্ষে উপনিষদীয় চিন্তাধারার আবির্ভাবের কচনা বৈদক সংাহুতার মধ্যেই পরিদৃশ্ঠমান। প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তিকে দেবতার মমাদা দিলেও এদের মধ্যে একত্বের অন্তসন্ধানে সংহিতার যুগেই আধমানস উদগ্রীব হযে উঠেছিল । বস্থ দেবতাব মধ্যে প্রাধান্তের অধিকারী কোন্‌ দেবতা_ এ সম্বন্ধে ছন্দের চচনাও বৈদিক সংহিতার যুগেই লক্ষ্য করা যায়। খাগবেদের দণ্ম মণ্ডলের বিভিন্ন মন্ত্রে হুর মধ্যে একত্বের অশ্সন্ধানের যে গ্রারন্সিক বূপ প্রকণাশমান তারই পূর্ণ পরিণতি উপনিষদায় চিন্তায় । এই দিক দ্দিয়ে বিচাৰ ক্লে উপানষদে বৈদিক কর্মকাণ্ডের নিণ্দা থাকনেও উপনিষদকে বেদের হ অন্ববুত্ত বল। চলে । মুণ্ডক উপনিষদে পরা এবং অপরা এহ ছুই বিদ্যার উল্লেখ আছে।৩০১ পরা বা শ্রেষ্ঠ [বগ্যা উপনিষদের ব্রঙ্গজ্ঞান এবং অগ্যান্ত পব বিষয়ের ভগান অপর বা নিক বিদ্যার অন্গগত । ম্বাভাবিকভাবেই উপশিষত্কার ভাব শিজ শাস্ত্রের অন্তর্গত বিদ্যাকে শ্রেত্বের আসন দিয়েছেন । কিন্তু বৈদিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অবহেলিত হয়নি, নিকৃষ্ট হলেও তা বিদ্যার শ্বীকত লাভ করেছে । এ ব্যাপারে উপনিষদের মধ্যে বহু ক্ষেত্রে ছ্িমুখট মনোভাব লক্ষণীয় । বৈদিক যাগযজঞবন্থল ক্রিয়াপদ্ধতি উপনিষদ'খ চিস্তাপ দ্বারা পমথিত হয়নি বট বিস্ধ উপেক্ষার দিতে সব সময়ে এগুলিগ বিচার কর! হযনি, বরং নূতন ব্যাখ্যার ছারা এগুলির তাৎপধ বিবেচনা করা হয়েছে । এর মধ্যে স্চিত হয় নৃতপ দষ্টি শঙ্গীর »ঙ্গে পুণাতন ভাব্ধারার সমন্থয়ের প্রয়াস । ৩০০ ছান্দোগ্য উপনিষদ, ১1১১০, মুণ্ডক উপত্ষদ ১২৭০৭ তে বৈদিক কর্মকাণ্ডের প্রতি তীব্র বিরাগ স্থপমিদ্থুট | ৩*১। এ ছান্দোগ্য উপনিষদ, ১।১২1৪-৫ ৩০২। মুগ্ডক উপনিষদ, ১1১1৪-৫ ১২৬ পটভূমি প্রসঙ্গ উপনিষণের মধ্যে বৈদিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা থাকলেও একই এঁতিহে ধরা যে উপনিসদীয় সংস্কৃতিকেও প্রাবিত করেছিল তা বোঝা যাঁয় নীচের উক্তি থেকে 2 ৩৮৩ শু 119 08179 01 119 ৬610 1:6118101) ৬/151)90 011১6 1196 170)171১80 (1)1115015, 70790810165 000 1701 501 800019। 11110159 (11911) [1165 ৬/218 91111 11811096120 0 0179 19880 € 815 1051. 71165 07160 (09176 01411010915 01 [9016 01081555 ৬৮611 2500৬০91695 ০01 20019110 079800955 1015 ৮4৪ 0০0৬1090519 1270 1.5]. 1000560 া0]) [116 1658115 109 10192171580 15118101 ₹*]51]5 51701570100 2 7076 4100 51711106121 ৫00111116, /1)16 2920 100 57601110 9)1175 01 ৮/01৭1)1]), ৯/18101) 010 1701 01617121) & ][71765119 11101970185, ০1 (০9101190 [170০ 11)11065, 11455 8৬০ । ৮৮১1১171560 1176))) 0 ০০111161111011010] ৮/১5 ১1111 1]1 130৯৮111711171ঠ 10160 ১010 01১41715105 0101% 40000 169০1১0019101111 16 1 বৌ টৈন দশনেরর আবিাব কালকে কোন কোন উপনিষদীয় রচনা ম+/.মবক থলে মনে করা ্য। এই দর্শন ছুটিল মধ্যেও বৈদ্দিক কর্মকাণ্ড থে ষুন্দির এক প্রবশ প্রচেষ্ট| দেখা যায় । বৈষগ্রিক সুখের যে নশ্ববতাব চিৎ উপ্নিদদীয় সাহিত্যের কেন্দবিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন দর্শনেও তা পূর্ণ ভাব বিস্তা করেছে । কিন্তু এই দর্শন ছুটিকে উপনিষদের মত বৈদিক সংস্কৃতিব অনুবৃত্তি বৎ লে না। কারণ এগুলি মধ্যে বেদের প্রাধান্তের বিরুদে। প্রকাশ্য বিদ্রোহে এষ আছে । অবশ্য ভারত'য় এতিহোর সাধারণ ধারা থেকে এই দর্শন ছু বিচ্যুত নয়। বেধর বিরোধী ঘলে বেগ শত উৎলচের অন্ত হলি হলেও বৌদ্ধ মনো ১ | ৩১/খঈ বেরা পাাহ মনা বঙ্গ আত ০121 খন ববত তী ২. 17 11 ৮ 4 শন /টপ এন্ধ্য দে বেক হাথ 21049 ৭ 171) 111. 0111১1611 ১৬১(৫117 01 1001)111 ]1711119 91001 10৭ ৮৪ ॥ 8]। 7 31010700115 71121000111 501751001110 01716 ৮৫৫০ ৩০৩ | 111) 0১10 264 5 ০৪ । |] 11) 0 55 চার্খাক € বেদ উই ৭ 19৮92190, 870) 11) 91979811108 00 615 ৬6৫০ 951990০1811 1109 008171595 ৪161)09881 192 05901] 9110 21701018111955 [016- ৬211 1 185210 109 1119 9৮012780101) 01 0116566605১ 814. 6৬০৮ [011110950101)61 51681)5 001) 11191) 10051 ৮/10271 176 ৮/1১1)95 10, 1৬109 51517111091) 1 15, 1121 9৮610 [116 73100111565, ৮৮1) 0918 [16 91010101716 ০0 11)6 ৬৪৫৪১ %61. 009110809 11101 11 %/75 01181- 17811551৬91) 01 ০76860৮৮000 8121)1121) 0111) 11099 80৫, 11 1185 09617 .1511190 0 [179 চ121)1121)95 2100 [11016100110 ০0918621115 50 17127191101”, ৬11750711--এর এই উক্তি অনুসরণ করলে দেখ! যায় যে বৌদ্ধ মতেও বেদের দৈব উত্স অস্বীরুত নয় এবং বৌদ্ধর| বেদবচনের গৌরবচ্যুণ্ডির জন্য পুরোহিত সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করেন। কাজেই নাস্তিক পংক্িতে বৌদ্ধদের স্থান নির্দেশিত হলেও আন্তিকতার প্রভাবকে তারা সম্পূর্ণ অতিক্রম করতে পারেন নি। বৈদিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকার মুলতঃ এক অতীন্দ্রি্ঘ এবং অশৌ টিক জগৎকে কেন্ত্র করে । এ জগতের পরিচয় প্রত্যক্ষ বা ব্যবহারিক অচুমাণ, যা চার্বাক মতে একমাজ প্রমাণ_-ভার মাধ্যমে লাভ কর| সন্ভব নয় | জাগতিক সখ ও সমৃদ্ধি কাম্নার পরিপৃতির লক্ষ্যে বৈদিক সংস্কৃতি তার শিজন্ব পথ ধরে অগ্রসর হয়েছিল । এই পথের প্রসার যে অলৌকিক রাজ্যকে ঘিরে সেই বাজ্যের রহস্য উন্মোচনে উপনিষদীয় এবং বৌঞ্ধ ও জৈন দর্শনও ব্রতী-য্দিও তাদের লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দু ভিন্ন । ঠবদিক চিস্তাধারায় যে অতিঙ্গাগতিক রহস্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই দর্শনগুলি তাকে উপেক্ষা করেনি, বরং নিজেদের স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে এই রহস্তের সন্ধান করেছে। একমাত্র চার্বাকী চিন্তার উপরই বৈদিক সংগতি তার উত্বাঁধিকারের কোন হাঁ গ রেখে ঘেতে পারেনি । আর বেধের পিকে গিিনাদের লে চার্বাকের ভুমিকা কোধ হয় গুধানতম | বগুবাদী চার্ধাক কাধ বলা টানতে একই ভাত মুখ্য উপজীব্য করেছে। কাজেই লক্ষ্যের বিচারে বৈদিক দর্শনে মঙ্গে 2রাক ঘ পর্নের মৌল সাদশ্ঠ সহজ সিদ্ধান্তের বিধয় হতে পারে, কিন্তু “এ পৃগ নেধা হই গৌব। কারণ কামন| পৃতির উপায়ের শির্দেশনায় উভয় দর্শনে মুন বাবধপের হপ্গিত নিহিত আছে। কামনাকারীর চিন্ত্ের তাৎক্ষণিক তুটি বৈর্দিক বিধানের অন্দরণে সম্ভব নয়। বেদের মধ্যে আছে কেবল কামনার পরিপৃতির প্রতিশ্রুতি, তাও বহু ১২৮ পটভূমি গ্রাসঙ্গে ক্ষেত্রে বাবহারিক জগতের অন্তরালে এবং লৌকিক অনুভূতির সীমার বহির্দেশে। বৈদিক বিধানের অন্রসরণে কামনাকারী তখনকার মত যা! লাভ করে তার মধ্যে সুখের ন্থাদদেব্র সম্পূর্ণ অভাব, বরং অর্থব্যয় এবং সংযম ও কৃচ্চ সাধনের মাধামে ত: দুঃখের অন্ঠভুতিই বহন করে । সুখলাভের এই উপায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চার্বাক দর্শনে বিদ্রোহের রূপ ধারণ করেছে। লৌকিক সখ লাভের জন্য ঠব সাহায্য প্রাথনায় চার্বাকপন্থী সম্মত নন । বস্তুতঃ যাজকগোষ্ঠীর গুভাবে বৈদিক যজ্জীয় চর্যা ক্রমশ জটিল রূপ পরিগ্রহ করে এবং অন্ষ্ঠানগত আড়ম্বর বুদ্ধি পেতে থাকে । এরই প্রতক্রিয়ায় ব্রাঙ্গণে তুর যুগে বৈঘিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সুচনা-_যার পূর্ণ বপায়ণ চার্বাক মতবাদে লক্ষ্য করা যেতে পারে । এগ্রসঙ্গে বলা হয়েছে £ £***ত, [10 11191 170৮০- 1191) 01 (1)9 11110 ০ 1110 017৬210975 56011015 (০ 170৮9 0901) 112111% 09101010091] 2176৬01 787117১1 [911091-0720 2 1015 1] (10 00101651০01 1116 01)79111)05১ 2100 01171211511) 01111617116 02 ৪1011011005 2100 001 0110101165 [1121 0179 ৫০1) 19১1 0111 90121 [10 6১১০1000 01 1119 051৬21১2 101991098৩০ ভারতীয় বিশ্বাস অনুসারে বেদমন্ত্র ব্যক্তিবিশেষের রচনা নয়, টিক খধির শিকট এই মন্ত্র প্রবটিত হয়েছে মাজ। বেদের অপর নাম শ্রাতি 1010৫ 11)11)]]] 01 11)0 10110170100 1)6810 0১ 1175 9০91৮৩০৬ শ্রুতি? শবের মধ্যে বৈদিক মন্ত্রের সঙ্গে অতীন্দ্রিয় এক জগতের যোগাযোগের ইঙ্নিত আছে। চার্বাক দৃষ্টিভঙ্গী কিন্তু এই বিশ্বাসের বিরোধী এবং বেদের অপৌঁকষেয়ত্ব চাবাক মতে সমর্থনঘোগ্য নয় । অন্যান্য বিভিন্ন গ্রন্থের মত বেদও চার্বাকর্দের মতে ব্যক্তি- বিশেষের ছারা বুচিভ | “সর্বধর্শনলংগ্রহে” এবং অন্যত্র বৃহম্পতিনচনের যে উদ্ধৃতি আছে তাতে বেদের বিভিন্ন থ্রয়াকলাপের সঙ্গে বেমন্ত্রের পচয়িতাপা চাবাকা আক্রমণের লক্ষ্যবস্ত। জর্ভগী তুফরী ইত্যাদি অপ্রচলিত এবং আপাতদৃষ্টিতে অর্থহীন শব্দের অন্বয়ে গঠিত বেদমন্তরগুলি যে পগ্ডিতবাক্য হিসাবে বিবেচিত হবার সম্পূর্ণ অযোগ্য বৃহ্পতিবচনে তা প্রমাণ করার প্রয়াস দেধা যায় ,৩০? চার্বাক ৩০৫ 93. ৭1/2) 9900181157 81707%16601181151 11 1৬006110 117019১ 7. 351 ৩০৬। [ পু 1) 0. 128 ৩৯৭। 'জর্তরী তুফর্রীত্যাদি পণ্ডিতানাং বচঃ স্বতম”, সসং, পৃঃ ১৪ চার্বাক ও বেদ ১২৯ গরু বৃহম্পতির আভমত মন্ুসারে এই মন্্রগুলিকে প্রলাপ বলা চলেত০৮ এবং এগুলির প্রণেতার। পাঞ্ডিত্যে না হলেও ভগ্ডামিতে অনেকের চেয়েই উন্নততর | “ভণ্ড, ছাড়াও “ধূর্ত” “নিশাচর? ব। রাক্ষস ইত্যাদি নিন্দাস্থচক অন্য নানা শব্দ চারবাক- পন্থীদের মতে এই সব “বেদশ্য কার” সম্বন্ধে প্রযোজ্য 1৩০৯ এই প্রসঙ্গে এতিহাসিক 507৪৮০-র ভারত সন্বন্ধীর বিবরণীর অন্তু ক্ত প্রামাণিক? সংজ্ঞক এক দার্শ নক গোষ্ঠীর উল্লেখ প্রয়োজন । এই বিবরণ অন্যাঘ্বী ষটপূর্ব চতুর্থ শতকে ভারতনর্দে ব্রাহ্মণ্যধ্গের অনুগামীর। 'প্রামাণিক'দের দ্বার “মুর্খ গু" ইত্যাদি সংজ্ঞাম আউ'হত হতেন । ১১০ প্রামাণিকদের মধ্যে দেদ বরোধা চাণাকর্দের আ'বকার করার প্রবণতা স্বাভাবিক: ভাবেই আসতে পারে, যদিও তথোর সমর্থন না পেলে এ সঙ্বন্ধে স্বর কোন সিদ্ধান্তে াস। উচিত নয় | য যাজকশ্রেণীর লোকের! 'ব্রান্ষণের ঘুণে দেবতার স্তরে উন্নীত হয়েছিলেন, চাধাক দর্শনে তাদের নানাভাবে হের প্রতপন্ন করার চেষ্ট। দেখা যা, চার্ণাক মতে এই সব পুরো হিতের। বুদ্ধ ও পৌকষবিহীন | এ কারণে জীবকার এনা উপায় অবলম্বন কদতে ন। পেরে এন। প্রতারণার আশ্র় 'নয়েছেন 1৩১১ স্বর 27৭ যে নব স্তথপ্রদদ স্থানে বর্না বেদে আছে এনং মানুষকে যাব প্রলোভন দখয়ে পুরোহিতেও। বঞ্চনা করেন সেগুলিতে চার্দাকদের কোন অনুমোদন নেই । স্বণের সঙ্গে স্বমেব দেবতাদের 9 চাীকা ধা পাস প্রবেশাধিকার নেই । ২০৮ | ধুতপ্রলাপশ্র 11, প্র, প; ৬৫ ১ ত হপ্রলাপমাজতেন', মসং, পুঃ ৫ ৩০৯ | 'ত্রয়ো বেদ কহারে। ভগ্চধূর্ত নখচরাঃ সসং পৃঃ ১ ৩১০ | 16 21270209129 [1811950101)915 01979859৫10 [16 01920181741065), 280 €16 ০09110610610715 100 101001৫ 01 ৪7880190011) 11410010 116 1378.0101)19095) 9/1)০ 50007 [01711095011 2170 25010110107 85 10015 ৪.0 11010990015. (7176 8115 21156015091 736068%1) £ 1৮101021790) 0 147 ) ৩১১। “অগ্রিহোত্রং জী-বকেতি বৃহম্পতি, প্রচ, পৃঃ ৭১) “অগ্নিহোত্রা দেজীঁবিকামাত্র-প্রয়োজনত্বা, সসং, পৃঃ ৫3 অগ্নিহোত্রং..... ধাতৃনিম্িতা”, এ, পৃঃ ১৩; সর্দতমতসংগ্রহ, পৃঃ ১৫ 5 সর্বমতসিদ্ধান্ত- সংগ্রহ, ২১৪ ১৩০ পটভূমি প্রসঙে বৈদিক মন্ত্গুললর মধ্যে চার্বাকের। বিভিন্ন ধরনের ক্রটির সন্ধান পেয়েছেন “সর্বদর্শন সংগ্রহ” মতে চার্ণাক প্রদশিত এই ক্রটিগুলি তিন ভাগে বিভক্ত-_-অনৃত্ত ব্যাঘাভ এবং পুনরুক্তি ।৩১২ বৈদিক প্রামাণ্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধবাদীদের ঠিক এই জাতী অভিযোগের উল্লেখ ন্যায়স্ত্রের মধ্যেও দেখা যায় ।৩১৩ মন্ত্রপত অনৃত বা অপত দোষের উদাহরণ প্রসঙ্গে কতকগুলি উক্তির উল্লেখ করা যেতে পারে। পুত্রকাম বাক্তি তার কামনা পুরণের জন্য পুত্রেষ্টি যজ্ঞের অনুষ্ঠানে রত হবেন, পশুকামী; কামনা পৃতি হবে “চিত্রা” যজ্ঞের মাধ্যমে-_বেদের বিধান এই রকম | কিন্তু ব্যবহারিব ক্ষেত্রে নির্দেশিত ধজ্ঞগ্ুলিব অনুষ্ঠানের পরেও পুত্রলাভ বা পশুলাভ অনেক সময় দেখ যায় না ।৩১৪ চাবাক মতে এই ধরনের ব্যাপার বৈদিক মন্ত্রে অসত্যতা৷ প্রতিপাদণ করে। বেদের 'অপর একটি নির্দেশ-_ন্বর্গলাভে অভিলাষী ব্যক্তির অগ্রিহোত তা? যজ্ঞের অন্ু্গান | চাবাকেরা এ জাতীয় বিধানের মধ্যে মানষকে প্রতারণার উদ্দেশ্টের ইঙ্গিত পান | অগ্রিহোজর যজ্ছের অনুষ্ঠটাতার স্বণপ্রাপ্তি সত্যই হয় কিন। সে নিষয়ে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। অপর পক্ষে পুত্রের ইতাদি ষঙ্ঞ, যেগুলির ফল প্রতাক্ষগ্রাহ এবং সকলের পক্ষেই যার সঠিকতা বিচাঃ কব। সম্ভব, সেগুলির সম্বন্ধে বেদমন্ব যে তার প্রতিশ্ষতি রক্ষায় সব সময়ে সক্ষম নয় | এই যজ্ঞগুলির মন্ুঙগান এবং সেগুলির ফলপ্রাপ্রির বিষয়ে পর্যালোচন। করলেই বোঝা যায় । কাজেই বৈদিক মন্ত্রের সত্যতায় বিশ্বাস রাখা সম্ভব নয়। আর বপ্রাি ইত্যাদি সম্পকীয় বেদের বিধান নিছক প্রতারণাযূলক ।৩১৫ “ব্যাঘাত” শব্দ পরস্পর বিরোধিতার গ্যোতক এবং বেদের মধ্যে বহু স্থানে একটি মন্থের সাহায্যে অপর একটি মন্ত্রে নির্দেশিত বিধানের বিরোধিত। করা! হয়েছে ।৩১৬ ৩১২ । সপসং, পু* ৪ ৩১৩ । ন্বায়নুঞ্জ ২1১1০ ( তদদপ্রামাণামনৃতব্যাঘাত পুনরুক্তদোষেভ্যঃ ) ৩১৪ । 'পুত্রকামেষ্টৌ-পুত্রকামঃ পুতরেষ্ট্যা যজেত” ইতি । নেষ্টরৌ সংস্থিতায়াং পুত্রজন্ম দৃহ্ঠতে» হ্টাভা, ২১1৫৮ ৩১৫ | 'দৃষ্টার্ঘস্তা বাকাল্যানৃতত্বাদদৃষ্টার্থমপি বাক্যম্‌ “অগ্নিহোত্রং জুহুয়াৎ হ্রগকাম” ইত্যাছ্যনৃতমিতি জ্ঞায়তে, এ; এই প্রসঙ্গে তত্বোপপ্নবসিংহ, পু ১১৪ ১ আদুষ্ট বিষয়ে বেদবাক্যাণাং প্রামাণ্যং কথং বেসি, “বেদৈক' দেশ্ত্বেন' ইতি চেৎ , ন, অথবাদবাক্যেন ব্যভিচারাখ? | ৩১৬ | “বিহিতব্যাথাতদোষাচ্চ ! হবনে “উদ্দিতে হোতব্যম, 'অন্থদিতে চাবাক ও বেদ ১৩১ অগ্নিহোত্র যজ্ঞের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে কোন ক্ষেত্রে হ্র্যোদয়ের আগে আবার কোন ক্ষেত্রে স্র্যোদয়ের পরে আহৃতি প্রদানের বিধান দেখা যায় । “মা হিংস্যাৎ্, এই বচনের দ্বারা হিংস1 বা জীবহত্য! কোথায় ও নিষিদ্ধ হয়েছে, আবার বিরুদ্ধার্থক অপর বচনের দার! গোহত্যা! অনেক ক্ষেত্রে বেদের সমর্থন লাভ করেছে । একটি মন্ত্রে রুদ্রের সংঘা এক, আবার অপর একটি মন্ত্রে এই সংখ্যা বু | বেদবিদ্দের মধ্যে আবার দুটি দল-__কর্মবাদী ও জ্ঞানবাদী | এই ছুটি দলের মধ্যে পারম্পরিক বিরুদ্ধাচরণের প্রবণত। বেদের মধ্যে স্তুপরিস্ফুট | .এইভাছ্ে ব্যাঘাত ব! বিরুদ্ধাচরণের দোষে দুষ্ট বৈদিক মন্ত্র চার্ধাক মতে প্রামাণ্যের মর্যাদা লাভের যোগ্য নয়। এ ছাড়াও পুনকক্তি৩১৭ বা একই শবের পুনঃ পুনঃ উল্লেখের দোষ বেদবচমে আরোপিত হয়েছে | জৈ ম'নর পূর্নশীমাংসাস্থত্রে পৃ্ণপক্ষ হিসাবে বেদবিরোধীদের যে মত উদ্ধৃত হয়েছে তার সঙ্গে চাৰাক মতের অনেক সারপ্ত দেখ। যা | ্ত্রবণিত মত অনুসারে ইহার চারটি শুক্গ, তিনটি চরণ, দুইটি মস্তক এবং সাতটি হস্ত” বেদমন্ত্রে অন্ততুক্তি এহ' জাতীয় উক্তি অসস্তভব এবং অবাস্তব পদার্থের বিদ্যমানতার উল্লেখ করে । “হে ওষধি, তুমি একে রক্ষা কর; হে কুঠার তুমি একে হিংসা করে। না, হে প্রস্তর সমূহ, তোমর। শোন” ইত্যাদি মন্ত্রে ওষধি, প্রস্তর, কুঠার ইত্যাদি জর বস্তসঘহের সম্বোধন করার বৈদিক প্রচেষ্ট। হাস্তকব | 'বেদমন্্ে পরস্পর বিরোধিতার উদ হরণ হিসাবে পূরমীমাংসান্মত্রে বলিত পূর্বপক্ষে “অদিল্ছিই ছ্যৌ এবং অদ্দিতিই অস্তরীক্ষণ ও “রুদ্র একজন, দ্বিতীয় নাই এবং জগতে অপংখা সহশ্র কদ্র-_এই মন্ত্রগুলির উল্লেখ আছে । 'স্ণ্যেব জর্তরী তুফ'রীতৃ” ইন্দ্র সোমস্ত কাণুকা” ইত্যাদি মন্্ের কোন অর্থ হয় না । (মী ১২৩৪--৩৮, ভাষ্য ) বেদের নিত্যত্ব এবং অপৌরুষেয়ত্তের খণ্ডন প্রসঙ্গে এই পূর্বপক্ষীয় মতে কয়েকটি তথ্যের উল্লেখ আছে । বল! হয়েছে ষে, বেদে “কীকট? নামে জনপদ, 'প্রমঙ্গদ” নামে রাজা, ইত্যাদির অন্ততূক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে এই নব জনপদ বা .নরপতির অন্তত্বের পরবর্তী বেদের রচনাকাল । বেদের কোন কোন অংশে প্রাবাহণি উদ্দালকি ইত্যাদি মরণশীল মানুষের উল্লেখ আছে । এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে বেদের এই বিশেষ অংশসমূহ উল্লিখিত ব্যক্তিগণের অস্তিত্বের পরবর্তী যুগে রচিত । ৩১৭। পুনরুক্তদোষ প্রসঙ্গে ন্ায়ভাঙ্কে “তরি: প্রথমামন্থাহ অিরুত্তমাম্‌। এই বচনটি উদ্দাহত হয়েছে । ১৩২ পটভূ'ম প্রসঙ্গে কাঠক, পৈগ্ললাদ, কৌগুম ইত্যাদি বেদ শাখাগুলির বিশেষ বিশেষ নামের মধ্যেও কঠ, পিপ্ললাদ ইত্যার্দি বিশেষ বিশেষ বেদকতার অস্তিত্বের পরিচয় স্থুপরিম্ফুট | কাজেই বেদকে নিত্য বা অপৌরুষেয় মনে করার কোন কারণ নেহ,_ বেদদ।'বরোধীদের এটাই অভিমত এবং জৈমিনির মীমাংসাহ্ত্রে পূর্বপক্ষ হিসাবে এই মতের উল্লেখ দেখ! যায় ।৩১৮ পৃরমীমংসাস্থত্রের শব্রস্বামীরুত ভাষ্যে বেদের অপ্রামাণাবাদী্দের মতের এক বিবরণ দেঁথ। যায় ।৬১৯ এহ মত অনুসারে যে বস্তর উপলান্ধ বিষয়বোধের সঙ্গে একাত্ম নর তাকে অসৎ বল উচিত-_উদ্দাহরণ হিসাবে এ ক্ষেত্রে তারা শশশুঙ্গের উল্লেখ করেন । পশু প্রশ্তর বাস্তব অস্তিত্ব অন্বাকাধ নয়, |কন্ধ পশুকামা ব্যক্তি পশুলাভের আশায় যজ্ঞ কর। সত্বেও কাম্য পশু অপৃশ্ঠই থাকে | যে কোন ত্রিঘ়্ার ফল হিসাবে কোন বস্তর সপ্ভাবকে স্বীকার করতে হলে ক্রিয়ার নমকাল।ন বগুটির আবিভাব একান্ত প্রয়োজন। শরারের মর্নজ নিত সুথ শরীর মদন করার সমসেই হয়, পরে নর | বেদের অপ্রামাণ্য- বাদীদের মত অনুসারে বোঁদক যজ্জে যে ফলের প্র.তশ্রাত খাকে সেই ফল যজ্ঞের অনুষ্টানের সময়ে উৎপন্ন হয় ন।। প্রাতিএত কলের সন্ভাব যখন দেখা যায় যজ্ঞ সে সময় অব্ধমান থাকে | অবিষ্ভমান এই যঞ্ঞকে কলের কারণ হিসাবে কল্পন। করার স্বপক্ষে বেদবিরুদ্ধবাদদীরা কোন যুক্তি দেখতে পান না। ফলপ্রাপ্থির সমকালীন অন্য নান। উপায়ের বর্মানত) দেখ] যায়, যেগুলিকে স্পষ্টভাবে এই ফলের কারণকপে নির্দেশ কর। যেতে পারে । শাবরভাঙ্তে উলিখত এ* মত অন্ুলারে দুষ্ট এই সব কারণগুলিকে উপেক্ষা করে আদুষ্ট বৈদিক যজ্ঞা্দকে এই ফলের কার" হ্সাবে উল্লেখ করার কোন অর্থ হয় না। ব্বগ ইত্যা।দ অদৃষ্ট ফলেও বোদক যন্রসমুহের কারণতা! স্বীকার করার পক্ষে কোন যুক্তি নেই । শহর্ষের “নৈষধীয়” কাব্যে -চারবাক মতের মাধ্যমে বো্দক ক্রিয়াপদ্ধতির তীব্র নিন্দ। করা হয়েছে । যাজকদের প্রলঙ্গে বল। হয়েছে যে পুত্রেষ্টি যজ্ঞের অনুষ্ঠানের ফল হিসাবে তার! পুত্রলাভকে নির্দেশ করেন | পুত্রজন্মের বিকল্প পুত্রজন্মগ্রহণ না করা, এবং এই ছুট বিকল্পের একটিকে কল হিসাবে ষজ্ঞকারী লাভ করতে বাধা যজ্জঞকারীর পুত্রলাত হলে ধূর্ত যাজকেরা তীর্দেব নিদেশিত যজ্ঞকেই পুত্রলাভের কারণ হিসাবে প্রচার করেন । পুত্র জন্মগ্রহণ না করার ক্ষেত্রে যাজকের! যজ্ের অঙ্গবৈকল্যকে ৩১৮। চাবাক দর্শন পৃপৃঃ ৮৫-৬ ৩১৯ । শাবরভ্যন্ত,1১।১।৫ চাধাক ও বেদ ১৩৩ সমস্ত ব্যাপারের জন্য দায়ী করেন । তারা মন্তবা করেন যে যজ্ঞানু্টান ঘথাবিহিত নিয়মানুসারী না হওয়ার ফলে যজমান ঘজ্ঞের মাধামে অভিলধিত ফললাভে বঞ্চিত হয়েছেন । শ্রীহর্ষের বর্ণনা অনুযায়ী ধূর্ত ব্রাহ্মণদের এ ধরণের কৈফিয়ৎ বিশ্বাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য । চার্বাক মতে বেদের কোন কোন অংশের অপ্রামাণা প্রতিপাদন করার পর অবশিষ্ট অংশকে প্রামাণ্যের মর্ধাদা দেওয়] অর্থহীন ; কারণ এতে অনবস্থা দোষের প্রসঙ্গ এসে পড়ে । সুতরাং বেদের কোন অংশই প্রমাণ নয়-_এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওরাউ শ্রেয়ঃ। নৈধবে যে চাবাকদের মত আলোচিত হয়েছে তার। বৈদ্দক বচনে পরলোকের অস্তিতে সন্দেহের বিষয় উল্লেখ করেছেন । পরলোক প্রসঙ্গে বেদ নচনেই যখন সন্দেছ বতমান, তখন বেদবাক্যে আস্থাবান ব্যক্তিদের পরলোক সম্বন্ধীয় চার্পাকী ধারণায় ত্রুটির শন্সন্ধান কর। অপমীচীন 1৩১ ০ নেদ এবং বেদানুসারা ধর্ম শাস্ত্রসমূহের বচনে নান। ভাবে ব্রহ্মচর্যের বিধান আছে; মানুষের উচ্ছৃঙ্খল কাম প্রবুত্তিকে সংঘতত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপদেশ এই গ্রন্থ- গুলিতে প্রচারিত | নৈষধের অন্তণতি চাপাকী মতে বৈদিক দেবতা এবং ধর্মশাস্্কার- দেব ব্যক্তিগত চরিত্রে অসংঘম 'এবং উচ্ছুঙ্খলতার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত করা হয়েছে | এই দৃষ্টান্ত গুলির পরিপ্রে ক্ষতে বিচার করলে বেদান্ুসারী নীতিবাকাগুলির অর্থহীনতায় কোন সন্দেহ থাকে না। যে ব্রাহ্মণের! নিজেদের ক্রোধ সংযত করতে অসমর্ধ ভাবাই নানাভাবে ক্রোধকে দমন করার পরামর্শ দেন | বেদাদি শান সমূহের প্রবক্তা ব্রাহ্মণদের নিজন্য আচরণ এবং নির্দেশনার মধ্যে এ ধরনের পরম্প্র- পিনো.ধতার প্রচুর নমুন। থাকাঘ চাশকের। এদের উপদেশ সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে নিজ নিজ অভিরুচ অনুযায়ী বিচবণ করার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন । 'বভিন্ন গ্রচ্থে উদ্ধৃত বৃহস্পত্তিবচনের মধো লৌকিক বাবহারের সঙ্গে তুলনায় বৈদিক অন্থষ্টানগুলর অযৌক্তিকতা এবং অর্থহীনতা প্রতিপাদনের চেষ্টা দেখ। ধায় । “প্রবোধচন্দ্রোদয়ের” বর্ণনায় যজ্ঞের সাক্ষাৎ ফল “কর্তৃক্রিয়াদ্রব্যবিনাশ”- মৃত্যুর মাধামে যজ্জকতার অস্তত্ব বিলুপু হয়, যজ্ঞানুগানের পরেই ধজ্ঞক্রিয়া অর্তীতের গহ্বরে প্রবেশ করে, যজ্ঞে ব্যবহৃত দ্রবাদি ও কিছুক্ষণের মধ্যে বিনষ্ট হয় । যে অনুষ্টানের অঙ্গীভৃত সব অংশই ধকংসপ্রাপ্ত হয়, তার সাহায্যে যন্দ যক্জকারার জন্য ন্বর্গের দ্বার উন্মোচিত হয়, তাহলে দাবানলে বনের যাবতীয় নুঙ্ষ ভন্দ্ীভূত্ত হবার পরও সেই' বিনষ্ট বুক্ষ থেকে ৩২৭ | চার্বাক দর্শন, পপ ৯১-৪। ১৩৪ পটিতৃমি প্রসঙ্গ আমর অনুরূপভাবে প্রচুর ফল আশা করতে পারি ।৩২১ বেদমতে জ্যোতিষ্টোমাদি যজ্ঞে যে পশুকে বলি দেওয়। হয় সেই পর স্বগপ্রাপ্তি ঘটে । বৃহস্পতিবচনে এ ক্ষেত্র মন্তব্য কর। হয় যে এই বিশ্বাস হজ্জে পশুবলির প্রকৃত কারণ হুলে যজমান পশুর পরিবর্তে নিজ পিতাকেই ঘজ্জের বলি হিসাবে মনোনীত করতে পারেন; কারণ, পিতার স্বর্গপ্রাপ্তির জন্য অন্তষ্টেয় ব্যয়সাপেক্ষ অন্য পদ্ধতির তুলনায় এই উপায় অনেকাংশে সহজতর ।৩৯২ চার্ধাক মতে দেহনাশের পরই জীবের যাবতীয় অস্তিত্বের অবসান । কাজেই মানুষের মরণোত্তর আত্মার তৃপ্তি বিধানের জন্য শ্রাদ্ধাদ্দি ষে সব অনুগানের বিধান বেদে আছে, চার্ধাকী বর্ণনায় সেগুলিকে নানাভাবে সমালোচনা করা হয়েছে | নির্বাপিত দীপ যেমন ঘ্বত ইত্যাদির যথেষ্ট সরবরাহ থাক! সত্বেও আলোকদানে অক্ষম জীবনদীপ যে ব্যক্তির নির্বাপিত হয়েছে, সেও এইভাবে শ্রাদ্ধের মাধ্যমে উৎসর্গারুত বিবিধ ভোজ্যের উপস্থিতি সত্বেও-ভোজনজনিত তৃপ্তিলাভে সমর্থ হয় না ।৩২৩ শাদ্ধের অনুষ্ঠানের মূলে অস্তনিহিত এই ধারণার স্বীকৃতি থাকে যে ভোজ্যবস্তর কাছে সাক্ষাৎভাবে উপস্থিত না থেকেও ভোজ্যবস্ত উপভোগ করা৷ সম্ভব-_যাঁর ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে অনুপস্থিত মৃত আত্মার পক্ষেও শ্রাদ্ধানুঠানে দেয় ভোজ্যবস্তর মাধ্যমে পরিত্ৃপ্রির কল্পনাতে কোন অসঙ্গতি দেখা যায় না। চার্বাক মতে এ জাতীয় ধারণার প্ররুত সার্থকতা থাকলে দূরযাত্রী পথিক সঙ্গে কোনদিন থাচ্যার্দি হন করত না; কারণ, গৃহের অভ্যন্তর থেকে কোন ব্যক্তি যদ তার উদ্দেশ্যে ভোজ্য উৎসর্গ করত, তাহলেই পথে তার ক্ষধার নিবুত্তি হত । অনুরূপভাবে এক গৃহের অন্তর্গত অধিবাসীদের প্রত্যেকের কাছে খাদ্য সরবরাহ করারও কোন প্রয়োজন হত না, উপরের তলার বাক্তিরা নীচেব তলায় রাখণ খাবারের সাহায্যে উদরপৃত্তি করতে সক্ষম হত ।৩২৪ ৩২১। ন্বর্গঃ কর্তৃক্রিয়াত্রব্যবিনাশে ঘদি যজনাম্‌ । ততো দাবাগ্রিদঙ্ধীনাং ফলং স্যাদ্‌ ভূরি ভূরুহাম্‌ ॥ পৃপৃঃ ৬৫-৬, সর্বমতসংগ্রহ, পৃপুঃ ১৫-৬ ৩২২। নিহতস্য-***** কন্মান্গ হন্যাতে” | প্রচ, পৃঃ ৬৬ পিক্শ্েম্সিহতঃ.--১, কম্মানন হিংস্ততে” | সসং, পৃঃ ১৩ ৩২৩। '্বৃতানামপি জত্তৃনাং শ্রাদ্ধং চেতৃপ্লিকারণম্‌ ৷ নির্বাণন্য প্রদীপন্ত ন্মেহঃ সংবর্ধয়েচ্ছিথাম্‌ 1 প্রচ, পৃঃ ৬৬ ৩২৪ | গগচ্ছতামিহ জন্তৃনাং ব্যর্থং-.."**কন্মান্ন দীয়তে” সসং, পৃঃ ১৪ চার্বাক ও বেদ ১৩৫ রামায়ণে ৩১৫ জাবালির মাধ্যমে যে চার্বাক মতবাদের প্রকাশ, বৈদিক যাগধজ্ঞের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ তার ভিতরও ন্থপরিষ্ফুট। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের বিরোধিতা প্রসঙেও জাবালি একই ধরনের যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন ! শ্রান্ধে অপ্সিত ভোজ্য বন্তর দ্বারা ঘ্দ পরলোকস্থিত আত্মার ভোজনম্পৃহ! নিবৃত্ত হয়, তাহলে একইভাবে প্রধাসী এবং দূরগামী ব্যক্তিরাও তৃপ্তি পেতে পারেন । বৈদ্দিক শ্রাঙ্ছের ধার] নর্দেশ দেন শ্রাদ্ের বিধানের পরিবর্তে তার্দের এভাবে ইহলোকস্থ নিজ 'নজ বন্ধু ও আত্মীয়ের সবিধার ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত ছিল । বিষুপুরাণে ৩২৬ মায়ামোহরুত বেদ ও বৈদিক যাগযজ্ঞের নন্দার মধো পশুবলি ও শ্রাদ্ধান্থ্টানের বিরোধিতা প্রাধান্য লাত করেছে | যজ্জে পশুবধের সমর্থনে বেদবিহিত নির্দেশ এই মতে অযৌক্তিক; কারণ, হিংসার পথে কখনও ধর্মের অন্রগন হতে পালে ন1। বজ্ঞািতে ঘতাহুতির মাধামে ষক্তকারী তার আকা-ক্ষত ফলের অধকারী হতে পারেন--বদের এ ধরনের বিধানকে মায়ামোহের উক্তিতে বালকের বচন বল? হয়েছে ; কারণ, পরিণতবুদ্ধি কোন ব্যক্তির মৃথে এ জাতীয় বাক্য শোভা পায় না । যঞ্জে উন্্া্দি দেবতার ভোজ্য হিসাবে শমী ইত্যাদি কাঠের ব্যবহার প্রসিদ্ধ । এই সব কাঠের তুলনায় পশুধাদ্ঘরূপে ব্যবহৃত কোমল বৃক্ষপত্র গুণগত বিচারে শ্রেয়ত্বের দাবা রাখে । বিষ্ণুপুরাণের অন্তগ্ত নাস্তিক মত অনুসারে বেদের নির্দেশ কার্ধতঃ এই সব দেবতাদের পঞ্জ অপেক্ষা হান প্রতিপন্ন করে। বৈদিক যঙ্ঞগুণলর অন্তভূক্ত কোন কোন ক্রিয়াপদ্ধ'ত শালীনতার মাপকাঠির বিচারে সমর্থনযোগ্য নয় । এই প্রসঙ্গে অশ্বমেধ ধজ্জের নাম উল্লেখযোগা | “সর্পদর্শন- সংগ্রহে” উদ্ধৃত বৃহম্পতি বচনে অশ্বমেধ ঘজ্জের অঙ্গীভূত কোন বিশেষ আচারের নিন্দা দেখা যায় । এই জাতীয় মঙ্গীল আচারের ধার] বিধান দেন বৃহম্পতিবচনে তাদের “ভণ্ড” সংজ্ঞায় অভিহিত করা! হয়েছে 1৩২৭ ৩২৫ । “অষ্টকাপিতদৈবত্যমিত্যয়ং প্রহ্ুতে। জনঃ | অন্নস্যোপদ্রবং পঞ্ঠ মৃতো। ছি কিমশিষ্যতি ॥ যদি তৃক্ত মহান্যেন দেহমন্যন্য গচ্ছতি | দগ্যাৎ প্রবসতাং শ্রান্ধং ন তং পথ্যর্দানং তবে |” ২1১০৮1১৪-৫ ৩২৬। “নৈত্দ যুক্তিসহং বাক্যাং হিংস! ধর্মায় নেস্তুতে | -******* প্রবাসিনঃ? ॥ ও1১৮।২৪-২৭ বিষুপুরাণের অন্যত্র বৈদিক যজ্ঞের অকার্ধকারিতার উল্লেখ দেখা যায়, ২1১৪।২ ১-৩ ১০৭ | অশ্বস্তাত্র হি শিক্পং তু প্রতথীগ্রাহ্ং প্রকীতিতম্‌। ভক্তৈস্তত পরং চৈব গ্রাহজাতং প্রকীত্িতম ॥ সসং, পৃঃ ১৫ ১৩৬ পটভূমি প্রসঙ্গে বৈদ্বিক কর্মকাণ্ডকে ভারতীয় দর্শনকারেরা৷ সকলে সমর্থন না! করলেও বেদ সম্বন্ধে চার্বাকী মন্তব্য বহক্ষেত্রে বেদ সমর্থকদের 'বিরক্তি উৎপাদন করেছে । কিন্ত বেদের প্রামাণ্য যুক্তির সাক্ষোর উপর নির্ভর করে না; কাজেই যুক্তির মাধ্যমে চার্বাকী আক্রমণ প্রতিহত করার ব্যাপারে এদের ভূমিক৷ বিশেষ সাফল্যমণ্ডিত নয়। বৈদিক মন্্ব ও ক্রিয়াকলাপের মধ্যে যে অলৌকিক জগতের ইঙ্গিত মেলে, সেই ইঙ্গিতের সুত্র ধরেই ভারতের বিভিন্ন দর্শন তাদের মতবাদের ব্যবহারিক ভিত্তি গড়ে তুলেছেন । বেদের মাহাত্যের মূলে আছে তার এই অলৌকিকত্ব। লৌকিক কোন প্রমাণের মাধ্যমে ভারতীয় এঁতিহোর ভিত্তিরপী এই কর্মকাণ্ডের প্রামাণ্য নিপণের প্রয়াস সার্থক হতে পারে না।5২৮ এ ব্যাপারে বেদের প্রামাণ্যের সপক্ষে চারাক মতের সমালোচকদের এটাই বক্তব্য যে বৈদিক কর্ম পদ্ধতি ধার্দের ছার! অন্রমোদিত তীর] প্রকৃত সংযমী এবং সর্নপ্রকার প্রতারণার উর্ধ্বে । তার্দের মতে বৈদিক কর্মকাণ্ড এই কারণেই উপেক্ষণীর নয় ।৩২৯ বীতরাগ অথবা! কৃতধর্মী পুরুষের উক্তি হিসাবে বেদকে অনেকে প্রামাণ্য দিতে ইচ্ছুক | বেদপ্রামাণ্যের সমর্থক এই দার্শনিকের। যুক্তি দেখান যে “আপ্ত” সংজ্ঞায় পরিচিত এই ব্ক্তিদের বচন সব সময়েই অবিসংবাদদী এবং সত্য । কারন ক্ষীণদোষ এই পুরুষদের মিথা। বলার কোন হেতু থাকতে পারে না। “তত্বোপপ্রবসিংহে”৩৩০ এই শ্রেণীর দার্শনিকদের সমালোচনা দেখা যায়। জয়রাশি বলেন যে, পুকষের আপত্সঙ্গ্ধীয় জ্ঞান প্রতাক্ষের মাধামে হতে পারে, না । একমাজ্জ অনুমানের সাহায্যেই জান। সম্ভব কোনও ব্যক্তি প্রকৃত আপ্চ কিনা । কিন্ত এ ব্যাপারে অনুমানের কার্ষকরিতা চার্ধাকদের অনুমোদন সাপেক্ষ নয় । আপের অস্তিত্ব স্বীকত হলেও আপ্বোক্তিকে বিন বিচারে প্রামাণ্যের মর্যাদা ৩২৮ | বেদবচনের প্রামাণ্যের যুল হিসাবে মর্থের সঙ্গে শবের অচ্ছে্য সন্বন্ধকে অনেকে নির্দেশ করে থাকেন। এ জাতীয় ধারণাণ্ড লৌকিক প্রমাণ নিরপেক্ষ এবং জয়রাশি তীর গ্রন্থে এই মতবাদকে সমালোচনা করেছেন । ( তত্বোপপ্রবসিংহ, পৃঃ ১১৩-৪ ) ৩২৯ | ন্যায়কুন্থমাঞ্জলি, ২1৩ ৩৩০ । 'অন্তে তু আপ্তোক্তেন প্রামাণ্যম । আপ্টাঃ সাক্ষাৎ কতধর্মানঃ | তৈর্ষদুক্তং সমমাণ্তং তৎকিলাবিসংবাদকম্” তত্বোপপ্রবসিহ, পৃঃ *১৯ | রা চাবাক ও বেদ ১৩৭ “দেওয়া যেতে পারে না। প্রামাণ্যের হেতু হিলাবে। জয়রা'শির মতে ছুটি বিকল্পের উল্লেথ করা ধায়-_ প্রথম, কেবলমাত্র সত্তা বা অস্তিত্ব এবং দ্বিতীয় জ্ঞানজনকত। প্রথম বিকল্পটিকে তিনি আগ্রাহ্ন করেন, কারণ কেবলমাত্র সৎ অথচ অকারক বন্তর, প্রামাণ্য যুক্তিসিদ্ধ নয় । দ্বিতীয় বিকল্পনকে আপ্রোক্তির প্রামাণো হেতু হিসাবে নির্দেশ করলে প্রশ্ন উঠতে পারে-__মাপ্বচনের জ্ঞানজনকত্ব একক অথবা! সহফারী কারণ যুক্ত? এক্ষেত্রে প্রথম বিকল্পটির সম্ভাবাতা জয়রাশি অগ্রাহ করেন; কারণ, একক কোন কিছুর জ্ঞানজনকত্ব স্বীকারঘোগা হাতে পারে না। দ্বিতীয় বিকল্পের ক্ষেত্রে, যে সহকারী কারণের সঙ্গে সংযুক্ত আপ্রোক্তি জ্ঞানজনক হিসাবে কল্পিত, সেই সহকারী কারণের ছুষ্টত্বের সম্ভাবনা পরিহার্য নয় । দুষ্ট সহকারী কারণের দ্বার! যুক্ত বচন আপ্োক্ত হলেও তা! থেকে বিপরীত জ্ঞান উৎপন্ন হতে পারে । উদাহরণ প্রসঙ্গে জয়রাশি একাধিক অথযুক্ত শব্ধ কিভাবে শ্রোতার অন্তরে বক্তার অন'ভপ্রেত অর্থের প্রতীতি জন্মায় তার উল্লেখ করেন। নুতন কন্বলযুক্ত কোন বালককে বোঝাতে হয়ত কোন ব্যক্তি 'নবকগগলযুক্ত মাণনক'__এই বাক্যাংশটির প্রয়োগ করতে পারে । কিন্ক যে কারণেই হোক, বাক্যাংশটির মাধ্যমে শ্রোতার মনে অনেক ক্ষেত্রে নব বাঁ নয় সংখ্যাবিশিষ্ট কম্বলের ছাপা যুক্ত বালকের ধারণ। হয় । ক্ষেত্র 'বশেষে বক্তা এবং শ্রোতার চিত্তবুত্তির বিভিন্নতা শন্থযায়ী ব্যাপারটি বিপরীত ক্রমান্তুপারীও হতে পারে_ বক্তা হয়ত নয়টি কম্বলযুক্ত বালকের অর্থে বাক্যাংশটি বাবার করেন, কিন্ত শ্রোতার কর্ণে নব? শব্দটি “অভিনব” অর্থ প্রকাশ করে। অন্কপ্ভাবে বেদবাক্য আগোক্ত হওয়া সন্দেও বহুক্ষেত্রে আপের অনভিপ্রেত অর্থের বালন। করতে পারে । চাবাকেতর ভারতীয় দাশ 'নকর্দের ছার। সাধারণভাবে স্বীরূত তিনটি প্রমাণ প্রত্াক্ষ, অনুমান এবং আপুবাক্যের উল্লেখ মআমর। আগেই করেছি । প্রমাণগুলির মধো প্রথম ছুটি, অথাৎ প্রত্যক্ষ ও অনুমান সম্বন্ধে চার্বাকী মনোভাবও ইতিমধো আলোচিত হয়েছে । ভারতের দার্শনকদের কাছে তৃতীয় প্রমাণ অর্থাৎ আঁ্ুবাকা বহক্ষেত্রে বেদের সঙ্গে অভিন্ন । এই তৃতীয় প্রমাণ সম্বন্ধে চার্সাকী ধারণ কিরূপ তা বে? বিষয়ে চার্বাকী মনোভাবের আলোচনাতে স্ফুট হবে । বেদকে ধারা অপৌরুষেয় বলেন তাদের মত অনুসারে পুরুষ বা ব্যক্তির দ্বার! বৈদিক সাহিত্য সষ্ট হয় নি 1৩৩১ মীমাংসকেরা বেদের প্রামাণ্যের সপক্ষে এই ৩৩১। এঅন্যে তু কুমতিমতানুসারিণে! বস্তি, বেশ প্রামাণ্যমন্তথা_ অপৌরুষেয়ত্বেন ।” তত্বোপপ্লবসিংহ পৃঃ ১১৬ ১৩৮ পটভূমি প্রসঙ্গে অপৌরুষেয়ত্বকে নির্দেশ করেন। পুরুষের চিত্ত রাগ ও দ্বেষ ইত্যাদির ছারা, প্রভাবাস্িত হওয়ার ফলে তার ছারা হুষ্ট যে কোন বস্ত মালিস্যযুক্ত হতে পারে । বেদের সৃষ্টিতে পুরুষের কোন কার্ষকরিত। ন1 থাকায় বৈদিক চিন্তায় এ মালিন্যের সম্পর্কে নেই এবং এই কারণেই বেদের প্রামাণ্য সংশয়াতীত । | বেদের অপৌরুষেয়তে ধার! বিশ্বাসী বৈদিক বচম তদের মতে অসন্দিন্ধ । এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন যে, নির্দিষ্ট স্বানে যা উৎপন্ন, দেশ বা! কালের ব্যবধানে তার সত্যতা! অবিকৃত থাকে ন এবং বহক্ষেত্রে তা ভ্রান্ত প্রতিপন্ন হয়। সুর্য কিরণে জলের প্রতীতির ফলে যে ভ্রান্ত মরীচিকার উদ্ভব, তার মূল দেশগত ব্যবধানে | কালের ব্যবধানে উৎপাগ্ঠ ভ্রান্তির উদ্রাহরণ প্রসঙ্গে তারা আরক্ত পটে ক্ষেত্র- বিশেষে স্বর্ণের প্রতীয়মানতার উল্লেখ করেন । পুরুষ কর্তৃক নির্দিষ্ট স্থানে বা কালে সৃষ্ট না হওয়ার ফলে বেদ নিতা এবং বৈদ্নক নর্দেশ এ ধরনের দেশ বা কালের অন্তরের হপেক্ষা থাকে ন। , কাজেই বেদবচমে এদের মতে ভ্রাস্তির কোন আশঙ্কা নেই | বেদের অপৌরুষেয়্র এবং নিত্যন্বের সমর্থক মীমাংসকদের এই জাতীয় আলোচনা চার্বাকী গ্রন্থ “তত্বোপপ্নবসিংহে” উপস্থাপিত করা হয়েছে, বিরোধী যুক্তি- জালের মাধ্যমে প্রতিহত করার উদ্দেশ্টে ।:৩২ মীমাংসকের! বলেন যে পুরুষ কক বেদের সৃষ্টির ঘটন। কোন বাক্তির স্মরণে ন। থাকার জন্য বেদের অপৌরুষেয়ত্ব এবং সেই সঙ্গে নিতাত্ব অবশ্য স্বীকার্য । “তাত্বোপপ্রবসিংহের” মতে মানুষের শ্বৃতিতে বেদকর্তার অন্তত্ব না থাক। বেদের নিত্যত্ে প্রমাণ হতে পারে না, কারণ, কৃপ, আরাম ইত্যাদি অনিত্য বনু বস্তর ক্ষেত্রে দেখা। ফায় যে সেগুলর কর্তা বিস্থৃতির অতলে অবলুপ্ত । বেদের অপৌকষেয়তের সমর্থকেরা দেশ এবং কালের উচ্ছেদকে এই সব বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তার অস্মরণের জন্য দায়ী করতে পারেন ; অর্থাৎ, কর্তা তাদের মতে উল্লিখিত ক্ষেত্র লতে প্রাচীনত! ব। ভিন্নদেশবর্তিতার জন্য বিশ্বৃত । জয়রাশি ভট্রের মতে যে ভাবেই হোক কৃপ ইত্যাদি মানুষ স্থ্ট বন্তর ক্ষেত্রে কর্তার বিস্ব্ত যদ বন্তগুলর নিতাতা প্রমাণে অপমর্থ হয়, তাহলে “কর্তার অন্মরণ বস্ত বিশেবেও নিত্যত। প্রমাণের হেতু'__মীমাংসকদের এই সাধারণ উত্তর কোন সার্থকতা থাকে না এবং এই উক্তির সমর্থনে বেদের নিত্যত্ব প্রমাণত হতে পারে না। তাছাড়া বেদের কর্তাকে কেউ স্মরণ করতে পারে না_এই হেডও অঙিদ্ধ । বৈশেষিকদের ধারণায় বেদ কণার ছার। স্ট্র। বহু ব্যক্তি বেদকে ব্রদ্মার দ্বারা ৩৩২ । অনত্বোপপ্রবসিংহ পৃপৃঃ ১১৬-১১৯ চার্বাক ও বেদ ১৩৭, প্রণীত বলে মনে করেন। যে 'অন্মরণ'কে মীমাংসকেরা বেদের নিত্যত্বের হেতু হিসাবে গ্রহণ করেন, “তত্বোপপ্লবসিংহে” সেই “অন্মরণ' পদের তাৎপর্য নানাভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়াস দেখা ঘায়। প্রশ্ন তোল! হয়েছে__“অস্মরণ এখানে প্রতিটি ব্যক্তির অথবা কেবলমাত্র কয়েকটি ব্যক্তির ন্মরণের নিবৃত্তি? প্রতিটি ব্যক্তির স্মরণের নিবৃত্তিকে হেতু হিসাবে গ্রহণ করলে হেতুকে অসিদ্ধ বলতে হবে । কারণ, প্রত্যেকটি মানুষের মানসিক অবস্থার অবগতি সাধারণের সাধ্য-বহিভূতি। এ ব্যাপার যদি কারও সাধ্যায়ান্ত হয় তবে তাকে সর্বজ্ঞ বলা চলে । যর্দি কেবলমাত্র কয়েকটি পুরুষের অপেক্ষায় “অস্মরণকে হেতু হিসাবে গ্রাহথ করা! হয়, তাহলে 'হতুটিকে অসম্পূর্ণ বলতে হবে। কোন ব্যাপারকে কয়েকটি ব্যক্তির অন্মরণের বিষয় বললে ব্যাপারটি অপর কয়েকটি ব্যক্তির স্মরণ-সীমায় আছে এন্প ধারণা হয় । ব্ক্তিবশেষ কক বেদ রচিত হওয়ার ব্যাপার কয়েকজনের অম্মরণের বিষয়-_এই হেতু থেকে এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া যায় যে বেদের কর্তা বিদ্যমান থাকা সত্বেও তা কতিপয় ব্যক্তির স্মরণবহিভ্ত। কাজেই জয়রাশ ভট্রের বিবেচনায় বেদের অপৌরুষেযত্ব সিদ্ধির জন্য বেদকর্তার স্মরণবহিভূতিত্ব অথবা “অন্মর্ধমান- কর্তৃকত্ব'কে হেতু হিসাবে নির্দেশ করার সমর্থনে কোন যুক্তি নেই । এই “অন্মর্যমানকর্তৃকত্বে'র তিদ্ভিতে বেদবচনের 'নিত্যত্ব প্রতিষ্ঠার মীমাংসকী প্রচেষ্টা আরও অন্যভাবে প্রত্হিত করার চেষ্টা হয়েছে । জয়রাশ ভট্ট বলেন যে সমগ্র বেদ? প্রণয়ন করার পরেও যদি কোন ব্যক্ত এ ব্যাপারে নিজ কর্তৃত্ব অন্বীকার করার উদ্দে্টে প্রচার করেন যে তিন বেদের কর্তা নন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বেদের রচন! সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য মানুষের শ্বতর পটে কোন চিহ্ন রেখে যেতে পারবে না এবং বেদ পুরুষ কক স্ট হওয়া সত্বেও এই হ্ষ্টির কাহিনী কালক্রমে মানুষের ম্মরণ সীমার বাইরে চলে যাবে । কাজেই কেবলমাত্র স্মরণ করতে না পারা থেকে কোন ঘটনার অ.স্তত্বের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সমীচীন নয় । বেদকে অপৌরুষের প্রতিপন্ন করার জনা মীমাংসকদের প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে বেদের প্রামাণ্য প্রতিষ্ঠার আগ্রহ । পুরুষকে তার! দোষের অধিকরণ বা আশ্রয় কূপে গ্রহণ করেছেন এবং পুরুষোৎপাদ্য সব কিছুই তাদের মতে দোষ যুক্ত । পুরুষ এভাবে দোষের আশ্রয় হিসাবে তাঁদের কাছে পরিগণিত না হলে বেদের অপৌরুষেয়ত্ব প্রতিপাদনে তাদের এ জাতীয় পৎম্থক্যের প্রয়োজন হত ন1) কারণ, সেক্ষেত্রে :পীরুষে হলেও বেদ অপ্রমাণ হবার কোন আশঙ্কা থাকত না। মীমাংসকদের এই মনোভাবের সমালোচনা “তত্বোপপ্রব সিংহ" গ্রন্থে দেখ। খাঁয়। গ্রন্থকারের ১৪%. পটভূমি প্রসঙ্গে মতে পুরুষকে দৌষের আশ্রয় বিবেচনা করলে প্রতপুরুষবর্তাঁ ইন্দ্িয়গুলিকেও দৌোধাগুসারী বলতে হয় এবং এই দোষ যুক্ত ইন্তরয়গুললর মাধ্যমে উৎপার্দিত বিজ্ঞান সমূহও প্রমাণ প্র্তপন্ন হয় । ফলে প্ররূত প্রমাণের পর্যায়ে কোন কিছুকেই আস্ন্ঠ্ত করা যেতে পারে না । গন্বকারের মতে মীমাংসকী এই প্রচেষ্টার মধ্যে রুটির আরও নিদর্শন আছে । বেদের অপৌরুষেয়ত্ব লিদ্ধ হলে পুরুষগত দোষের মত পুরুষবর্তী গুণ থেকেও বেদ সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকবে । ফলে পৌক্ুষেয় দোষের অভাব বেদের প্রাাণা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্ুকলা সাধন করলে পৌরুষেয় গুণের ব্যাবুত্তিতে বৈদিক বচনে অপ্রামাণোর শঙ্কীকে৪ পরিহার করা চলে না। মীমাংসকেরা বলতে পারেন যে পুনুধগত গুণ "ও দোষ উভয়েরই ব্যাবুত্তুর পর জ্বাভাবিক গুণের প্রভাবে বেদ প্রমাণরূপে পরিগণিত হপ্র । এ ক্ষেত্রে বল! যেতে পারে যে স্বাভাবিক দোষের প্রভাবে বেদের অপ্রমাণ হবার আশঙ্।ও মনুন্পভাবেই এসে পড়ে | সার অপৌকষেয় হওয়ার ফলে বেদে কর্তদোষের নিরাকরণ সম্ভব হলেও শ্রোতদোষ দূরীকুত হতে পারে না। বিপরীত অর্ে বাখাত হগ্য়ার ফলে বৈদক নচন বত ক্ষেত্রেই বিপর্যয়ে পরিণত হয় । মীমাংসকের1 বেদবচনের নিতান্ত স্বীকার করে বৈদিক নির্দেশে দেশ ও কালগ্ত বানপানের বিলোপ করতে চান; কারণ তার্দের মতে দেশ ব। কালগত ব্যবধান ভ্রান্থু কাত্রণ। মীমাংসকদেত এই ধাত্রণার অযৌক্তিকতা প্রতিপাদন করার জন্য “তরোপপ্রবসিংহ” গ্রন্থে স্বৃতিন দৃষ্ান্ত উখাপন করা৷ হয়েছে । বলা হয়েছে যে, স্বৃত্বির বিষয় দেশ বাঁ কালগত কোন বাবধানেরহই অপেক্ষা রাখে না। কিন্ত তা সত্বেও প্রমাণের পরপঞ্চে ভ্রান্তি সংজ্ঞাই স্মৃতির ক্ষেত্রে অ.ধকতর প্রযোজ্য | নাধা অর্থে বিপরীতজ্ঞানকে বোঝায় । বেদের বচনকে বাধারহিত হিসাবে মীমংসকী নির্দেশনার অর্থ বৈদিক নচনের বিপরীত জ্ঞানের অভাব । “তত্বোপপ্লব- সিংহের মতে এই বেদবচনের ষাথার্থাকেই এই অভাবের একমাত্র কারণ বল। চলে না, বাধার উৎপাদক কারণবৈকল্য থেকেও এই অভাবের উৎপত্তি হওয়া অসম্ভব নয় । আরও, ষে সব জ্ঞান বিপরীত জ্ঞানের দ্বারা বাধিত হয়, সেগুলিও বিপরাঁত জ্ঞানের আবির্ভাবের আগে বাধারহিতই থাকে । কাজেই বাধারহিতত্ব ,কোন জ্ঞানের প্রামাণ্য সাধন করতে সমর্থ নয় । এই প্রসঙ্গে 'বাধারহিতঃ শব্দটির নানাভাবে অর্থ নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে । শবটি প্রত্যেক পুরুষের অথবা! কেবলমাত্র কয়েকটি পুরুষের অপেক্ষায় প্রযুক্ত হতে পারে । প্রত্যেক মান্থৃষের মানসিক চারধাক এ বেদ ১৪১ ভাব কারও পক্ষে জান। সম্ভব ন! হওয়ায় প্রথম বিকল্প অর্থহীন । খ্বিতীয় বিকল্পের ক্ষেত্রে হেতুটি অসপূর্ বা অনৈকান্তিক ; কারণ কয়েকটি বিশেষ ঘটনার ভিন্বিতে সাধারণ একটি ধারণায় উপনীত হওয়া যুক্তিসাপেক্ষ নয় । জয়রা'খ ভট্রের মতে চোদন ব! বেদবচন থেকে উদ্ভূত বিজ্ঞানের নিবিষয়্বকেই ভ্রান্তি শকের দ্বারা অভিহিত কর! উচিত | বৈদিক বচন থেকে আমাদের যে জ্ঞান হয় তার কোন বাস্তব বূপায়ণ নেই । পুত্রলাভ ব! ন্বর্গলাভের কামনায় যারা যজ্ঞ করেন যজ্ছের সমকালীন পুত্র বা স্বর্গ কোন বন্তরইঈ' সন্ভাব তাদের দৃষ্টিগোচরে আমে ন।। কাজেই চোদন বচনের দ্বার! প্রতীয়মান অথের মিথ্যাত্ব অনস্বীকার্য । বল। মেতে পারে যে চোদনাজনিত বিজ্ঞান থেকে প্রতীয়মান 'অর্থের সষ্ভাব তৎক্ষণাৎ না হলেও কালাবসানে হয় এবং এইখানেই তাঁর যাখার্ধযা । জয়রাশি ভটের মতে বেদবচনের দ্বার। অভি হত অথের ভ'বধ্যৎকালান রূপায়ণকে বচনানুসারী বিজ্ঞানের সঙ্গে একাত্রত করা যেতে পারে না। কারণ যে সময় এই অর্থ রূপায়িত হয় সে সময়ে এই অর্থান্ুসারী জ্ঞান অন্তমিত থাকে | আবার জ্ঞান যখন বঙ্মান থাকে অর্থের তখন সন্ভতাব থাকে নাঁ। কাজে বেদবচনান্থুসারী জ্ঞান ও অর্থের একত্র অবাস্থতি কোন সময়ে ন। থাকায় বেদবচনের যাঁথারথ্য সংশয়সাপেক্ষ | মোট কথা বেদের প্রামাণা যে অলৌকিকতাকে কেন্ত্র করে, যুক্তি বা অন্য লৌকিক প্রমাণের অপেক্ষা না রেখে য। ্বয়ংসম্পূর্ণ__চার্বাকেরা যুক্তির সাহায্যে তার আবরণ উন্মোচন করতে চান | এ প্রচেষ্টার অবশ্য এতিহাসিক দিক দিয়ে গুরুত্ব আছে। অতীজ্জ্ুয় যে জগতের অস্তিত্বের ইঙ্গিতে বেদবচনের প্ররুত মাহাজ্মা নিহত, সেই অতীন্দরিয়তাই বনু ক্ষেত্রে যাজকসম্প্রদায়ের যথেচ্ছচারিতায় মাধ্যম হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে চার্বাক মতবাদের আবির্ভাবের জন্য বৈদ্দিক অলৌকিকতার এই অপপ্রয়োগকে অনেকাংশে দায়ী করা চলে । যাই হোক ঘথেচ্ছচারিতার পথের দিকে অলৌকিকতা। বছ ক্ষেত্রেই প্রসারিত । তাই যাজক সম্প্রদায়ের অনাচার ধারা প্রতিহত করতে চেয়েছেন তার! অলৌকি- কতাকে প্রামাণ্যের আসর থেকে সম্পূর্ণরূপে বহিষ্কৃত করে এই যথেচ্ছচারিতার যূলোচ্ছেদে অগ্রসর হয়েছেন । চার্বাক মতবাদের আবিভাব বৈণিক ক্রিয়াকাণ্ডের এই আতিশয্যের যুগে নিতূলি লৌকিক প্রমাণের উপর এই দর্শনে অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । সাক্ষাত্ভাবে ঘার বিচার কর! যেতে পারে একমাত্র সেই বন্তই চার্বাক দর্শনে সত্য ; সামান্যতম সন্দেহের অবকাশ বাতে আছে, তার অস্তিত এই মতে গ্রাহ্থ নয়। প্রমাণ সম্বন্ধে চার্বাকদের এই নীতির আলোচন। আমরা ৯৪২ পটভূমি প্রসঙ্গে আগে করেছি । একমাত্র প্রত্যক্ষকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকার করার চাাকী -প্রবণতার মূলে এই জাতীয় মনোভাবই ষে কার্যকরী, “ড়দর্শনসমুচ্চয়ে'র টাকাঁকার 'মণিভদ্রের বর্ন থেকে তার 'আভাম যেলে। সাক্ষাৎ বিচারে ঘার পরিমাপ করা! যায় ন। জ্ঞানের রাজ্যে তার প্রবেশাধিকার যদ পরোক্ষ প্রমাণের ছ্বারপথে নির্দিষ্ট কর! হয়, তাহলে এই পরোক্ষ প্রবেশপথকে ব্যবহার করে প্রতারপাণ্রবণ যাজকগোষ্ঠীর লোকের। স্বার্থ/সদ্ধির উদ্দেপ্ে অনেক কিছু ধারণাই সাধারণের বুদ্ধিগোচরে আনার চেষ্টা করতে পারে। টাকাকারের বর্ণন। অন্থযায়ী প্রতারণার এই সম্ভাবনার যূলোচ্ছেদ করার জন্াই চার্বাক পম্থীর। অন্বমান, আগম ইত্যাদি প্রমাণের দ্বারপগ প্রথম থেকেই রুদ্ধ করতে প্রবুন্ত 1৩৩ £ ৬। চার্বাক সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন চার্বাক মতবাদের সালোচনার সময় আমর। লক্ষ্য করেছি যে চার্বাক দশন প্রধানত যুক্তনির্ভর | যুক্তির আশ্রয় নিয়ে প্রতিপক্ষকে নানাভাবে পরযুদস্ত করাকে সাধারণভাবে চার্াকী নীতি হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে । চার্বাক সর্বক্ষেত্রে বিরোধীপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ । চার্বাকের নীতি নৃতন সৃষ্টির সম্ভাবনায় উল নর , চার্াকী প্রচেষ্টা প্রধানতঃ নৃতন দৃষ্টির আলোক নিযে প্রাচীনের বিশ্লেষণ এবং এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে নানাভাবে তার ত্রুটি প্রদর্শন | চার্বাক নীতির মাধামে যে বিরোধিতার মনোভাব স্থুপরিস্ফুট, যে কোন জাতির রাজনীতি, সমাজনীতি বা দর্শননীতি- প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বিরোধিতার প্রয়োজন আছে । রাজনীতির ক্ষেত্রে বিরোধিতা না থাকলে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগতভাবে শাসকের যে যথেচ্ছচারিতার স্থযোগ আসে, তার পরিচয় কারও কাছেই অবিদিত নয়। ভারতের সামাজিক আচরণ পদ্ধতি তার দর্শননীতির সঙ্গে 'অঙ্গাঙ্গীভাবে বিজড়িত। আমর। আগেই লক্ষ্য করেছি যে যাজকদের যথেচ্ছচারিতাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সমাজজীবনে যে আতিশয্যের স্ত্রপাত হয়েছিল তার প্রতিবাদের মাধামেই চার্বাকী বিদ্রোহাত্বক নীতির স্চন।। প্ররুতপক্ষে সামাজিক অনাচারের প্রতিরোধের সূমিকাতেই চার্বাক প্রাথমিক পর্যায়ে অবতীর্ণ, কিন্তু ভারতীয় সমাজনীতির সঙ্গে দর্শননীতির এই অচ্ছেছ্য যোগের জন্যই দার্শনক মতবাদের ক্ষেত্রেও চার্বাকের প্রভাব পুর্ণমাত্রায় কার্কর । | চাধাক দর্শননীতিতে বহু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি আছে--বেগুলির উল্লেখ আমরা ৩৩৩। ধর্মচছন্নধূর্তা পরবঞ্চনপ্রবণা ঘৎকিঞিদসুমানাগমা দির্দাচামাদশ্য-.*ষস) ৮১ চাবাক সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন ১৪৩ "আগেই করেছি। কেবলমাত্র সমালোচনার মনোভাব নিয়ে অগ্রসর হতে গিয়ে চার্বাকী প্রতিরোধন্পৃহা মনেক সময় এমন পর্যায়ে এসে উপাস্থত হয়েছে বাস্তবতার সঙ্গে যার সামপ্নন্তবিধান করা যায় না। ফলে বাস্তব ক্ষেত্রে চার্বাকের প্ররুত ভূমিকা কি তা অনেক সময় দুর্বোধ্যতার অন্তরালে গোপন থাকে । “তত্বোপপ্নবসিংহে'র আলোচনার সময় আমর এ বিষয়ের উল্লেখ করেছি । তবে এ ব্যাপারে আমাদের মনে রাখা! উচিত ষে চার্ধাক নীতি মূলতঃ প্রতিরোধাত্যক । বৈদিক পুরোহিত গোষ্ঠীর আতিশয্য রোধের প্রয়োজন নিয়ে ভারতীয় চিন্তাজগতে চার্বাকী চিন্তার স্থচনা | ভারতে চিন্তাজগতে চার্বাকের আদবর্ভাব নিঃসন্দেহে একটা নৃতন যুগের স্চন করেছ ' বশ্থাসেন বেদী যূলে যুক্তিকে সম্পূর্ণ বিসঞ্জন দেবার ফলে ভারতীয় জনমানসে যে আ।বলত। ক্রমশঃ পুষ্গীভূত হয়ে উঠাছল তার অপসারণের প্রচেষ্টার মধ্যে চার্ধাকী চিন্তার প্রথম আত্মপ্রকাশ | চিরাচা'রিত সব কিছুই গ্রহণযোগা নয় এবং আপ্তবাক্ নামে যা প্রচলিত, ত] সবক্ষেত্রে মামাদের পথের নির্দেশ-প্রদানে অসমর্থ_ভারতীয় জনাচত্তে এই বোধের স্থচন1 চারধাক দর্শনের প্রধান অবদান | চার্বাকের যুক্তিবাদী প্রবণতা আমাদের প্র“ত'দনের ধারণার বিষয়গুলিকে যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করে দেখার প্রেরণ] “দয়ে বহুকালের মজ্জাগত বিশ্বাসের বিকদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণ। করেছে । চাধাকী বিদ্রোহের প্রতিবাদে অপর দার্শ'নক সম্প্রদায়গুলি স্বাভাবিকভাবেই প্রবৃত্ত হয়েছে । এর ফলে একটা তর্কযুদ্ধ দানা বেঁধেছে । জগতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমালোচনার একট পরোক্ষ প্রভাব৪ দুষ্ট হয়। সমালোচনাফারীকে প্রতিরোধ করতে প্রবৃত্ত হলে কিছুটা মাত্মসমীক্ষার কাজে সকলেই অগ্রসর হয় এবং বিরোধীপক্ষের সমালোচনার আলোকে নিজেকে যাচাই করে দেখার ফলে বিলম্বে হলেও সমালোচনার পাত্র আত্মগত ত্রুটি সম্বন্ধে সচেতন হয়। পরম্পর পরস্পরের সন্ধুখীন হলে একের মানসিক প্রবণতা! অপরের মধ্যে কিছুটা সংক্রমিত হতে বাধা ; উদ্দেশ্য যদ্দিও সেক্ষেত্রে প্রধানতঃ বিরোধিতা | যুক্তি ও বিশ্লেষণার ষে ধার! চার্বাক- বাদের মাধ্যমে উৎপারিত হয়েছে তার প্লাবনে ভারতীয় অধ্যাত্মদর্শনের ক্ষেত্র বহুলাংশে প্লাবিত । শ্রুতিকে আশ্রয় করে থাকলেও তাই এই দর্শনে যুক্তি অনেক ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পেয়েছে এবং প্রমাণ ও. প্রমেয়ের বিচারে সুক্ষ বিচার বিশ্লেষণ! চার্বাকের মত ভারতীয় অধ্যাত্বদর্শনেরও মাধ্যম হয়েছে । বৈদিক কর্মকাণ্ডের অনুসারী হিসাবে ষে পূর্মীমাংস! দর্শনের পরিচিতি সেই ১৪৪ পটভূমি প্রসঙ্গে মীমাংসার আচার্য কুমা রল ভট্ের মধ্যেই তর্ষের প্রবণতা সমধিক | হরির আদি কারণ হিসাবে ঈশ্বরের ধারণ! যে যে কারণে সমর্থনযোগ্য নয় সেই কারণগুলিকে তিনি বিভিন্ন ভাবে যুক্তি অবলম্বনে পরস্ফুট করার প্রয়াস পেয়েছেন | বেদের অপৌরুষেযত্ খণ্ডন করার জন্য বেদকে ঈশ্বরস্ছ্ প্রতপন্ন করার যে নৈয়ায়কী প্রচেষ্টা তাকে প্রতিহত করার জন্যই কুমা রল ভট্ের এই উদ্ধম। বুদ্ধের মধ্যে সর্বজ্ঞতা অনুসন্ধানের বৌদ্ধ প্রয়াসকেও কুমা রল প্রতিক্দ্ধ করতে চান একই মনোভাবের সমধনে । এ প্রসঙ্গেও মীমাংসকাচার্য যে যু ক্তজালের অবতারণ। করেছেন ত। আমাদের চার্বাক আ.্রত যুক্তির কথা$ স্মরণ করে দেয় ।৩৩৪ শ্রতকে আশ্রয় করলে 9 ভারতীয় অধ্যাত্মদর্শনের প্রতিটি শাখা 'নজম্ব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বকীর চিন্তাধারার আশ্রয় নিয়েছে । যুক্তির আলোর বিচার করে তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে, ্ৃত্িকে ঘখন সে প্রমাণের পুরোভাগে আসন দিয়েছে, তখনও তার অবলম্বন যুক্তি। ভারতীয় টিন্তারাজ্যের এই প্রবণতাকে চার্নাকী চিন্তার পরোক্ষ প্রভাব হিসাবে চিহ্নত করা যেতে পারে । যুক্তির দর্শন যে নিজ ক্ষেত্রে কতখা'ন সুষ্্ত! অর্জন করতে পারে চার্মাকী গরপ্ঠ “তত্বোপপ্নবসিংহ' পাঠে আমরা তা ধারণ করতে পারি। চার্বাক দর্শনের অন্যান্য গ্রন্থের অস্তিত্ব আমাদের কাছে অবলুপ্ত হলে ও এই গ্রন্থের মাধ্যমে পরিণত হেতুবার্দের যে পরিচয় পাওয়া যায় তার মধো এই জাতীয় চিন্তার দীর্ঘকালব্যাপী অনুশীলনের ইঙ্গিত সুপরিস্ফুট এবং এই পুস্তকটিকে কোন ক্রমেই একমাত্র অথব' আদ্দি চার্বাকী প্রচেষ্টারূপে নির্দেশ করা চলে ন| | তাছাড়।, সমসাময়িক ভারতীয় দর্শনের অন্যান্ত গ্রন্থে চার্বাকী যে মতবাদ উপস্থাপিত করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুরূপ চার্বাকী চিন্তার সাক্ষা প্রকাশিত । এ বিষয় নিয়ে আমরা আগেই আলোচন। করেছি। যুক্তি বা তর্কের রাজ্যে চার্বাকী চিন্তার যথেষ্ট প্রসার থাকলেও সর্বাত্মক বিচারে অন্যান্ট দর্শনের পুবোভাগে চার্বাকের স্থান নির্দিষ্ট হতে পারে না। চার্বাকী চিন্তা কোন নির্দিষ্ট মতবাদের লক্ষ্যে উপনীত হতে চায় না, অপরের মতকে যৃক্তির সাহায্যে গুন করেই তার পরিত্ৃপ্তি। “তত্বোপপ্নবসিংহ" গ্রস্থে চার্বাকী চিন্তার এই প্রক্কাতির সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । পরম্পরবিরৌধী ছুটি মতকে কেন্দ্র করে ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখা খন পরস্পরের বিরোধিতায় প্রবৃত্ত চার্বাক জয়রাশির ৩৩৪ । ক্লোকবাতিক, ২।১১৬-১৪৪ চাাক সিদ্ধান্তের মুল্যায়ন ১৪৪ আক্রমণের লক্ষ্য তখন বিরোধী মত ছুটির প্রত্যেকটিই ৷ প্ররুতপক্ষে চার্বাক প্রধানত; তর্কের দর্শন-_-তর্কই এখানে লক্ষা, অন্যান্য দর্শনের মত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হবার মাধ্যমমাত্র নয়। তর্ক বা 1,০81০-কে এভাবে একমাত্র প্রাধান্য দেওয়ার মধ্যে ক্রটি আছে । তর্কের অন্থশীলনে বুদ্ধির পরিতৃপ্থি হতে পারে বটে কিন্ত নির্দিষ্ট কোন ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে অন্তরের বুতূক্ষার প্রশমন হয় না। এই প্রসঙ্গে ₹.৪৫1)8101181)08-এর বক্তব্যের উল্লেখ প্রয়োজন ; [20611650081 72881119517, 15 0061 5001161100০ 10591210525 01 ০০70৮81 091170% 1690. 10196 51116 01 17910, [7 9 62110010 59818011517 11710081) 1-081০ 0106 0901) ০ 8056111118) 50 00001) 0106 0156 401 1,0810.৩৩৫ মানুষের স্বাধীন ক্রিয়াপদ্ধতিতে আরোপিত যে কোন বন্ধনের বিরুদ্ধে চাবাকী অভিযান রূপায়িত। বৈদিক বিধিনিষেধের নিগড় অপসারণের প্রচেষ্টায় এই মতবাদের সচনা। বৈদিক যুগের আতিশয্যরোধ করার মধ্যে এই মতবাদের মূল নিহিত থাকায় বিপরীত গতিতে এর মধ্যেও আতিশয্যের প্রকাশ সুম্পষ্ট । মানুষের আচরণ বিধিতে কিছু বন্ধনের প্রয়োজন আছে, ঘা স্ুল বস্তকেনত্ররিক জগৎ থেকে তার দৃষ্টিকে অপসারিত করে আদর্শের রাজো নিবদ্ধ করে। পাপ-পুণ্য ধর্-অধন্য ইত্যাদি নির্দেশনার মাধ্যমে ভারতের অধ্যাত্মদর্শন এই আদর্শের জগতের আভাস দেবার চেষ্টা করেছে । আমর! আগেই দেখেছি যে চার্বাক মতবাদ এই ধরনের সবকিছু ধারণাকেই অস্বীকার করেছে । ফলে চার্বাক দর্শনে হ্বাভাবিকভাবেই নীতির আদর্শ থেকে ব্চ্যিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে এবং 'চার্বাক” সংজ্ঞ৷ প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তিবাদী মতবাদের প্রতিরূ্প হলেও উচ্ছৃঙ্খলতার প্রতিশক হিসাবে পরবর্তাঁ যুগে বাবহীত হমেছে। চার্বাকী নীতি প্রধানত; প্রতিষেধাত্মক এবং নেতিবাচক হলেও প্রতিষেধের সুপ থেকে চার্বাক দর্শনে একমাত্র ইতিবাচক কর্তব্যের ইঙ্গিত “্যাবজ্জীবেৎ নুখং জীবে” এই বাক্যাংশের মধ্যে আবিষ্কার কর যেতে পারে । মানুষের শ্বাভাবিক প্রবণতা স্বখভোগের দিকে, স্থের প্রতিহন্দী ছুঃখকে উচ্ছেদ কর! চিরদিনিই তার প্রয়াসের অঙ্গ । বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন দার্শনিক গোষ্ঠীর যাবতীয় প্রচেষ্টা এই লক্ষ্যের রূপায়ণের পথেই প্রসারিত । চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শনের আচার্যর। খন মোক্ষ বা নির্বাণের ৩৩৫ | [1১81 0,278 ১৬ ১৪৬ পটভূমি প্রসঙ্গে নির্দেশনা দেন তখন সুখের পথরোধকারী দুঃখের আত্যস্তিক বিনাশকে উপলক্ষ্য করেই তারা অগ্রসর হন। কিন্ধ তাদের দৃষ্টিভঙ্গী এক্ষেে বজদূর প্রসারী | জন্ম- জন্মাস্তরের সখ দুঃখকে একত্র গ্রথিত করে সামগ্রিকভাবে দুঃখের উচ্ছেদ করতে তারা উদ্যোগী । চার্বাকের দৃষ্টি আবদ্ধ নির্দিষ্ট জীবনের সীমায়িত গণ্ডীর মধ্যে, সবখভোগের আকাজ্জাকে সে এই থগ্ডিত জীবনের পটভূমিতেই চরিতার্থ করার অভিলাষী | প্রকৃতপক্ষে মানবসমাজের বৃহত্তর অংশ এই চার্বাকী চিন্তারই অংশীদার । মোক্ষ, জন্মাস্তর, কর্মফল ইত্যাদি ধারণ! অধিকাংশ ক্ষেত্রে তর্কের বিষয়বস্তু এবং মানুষের যাবতীয় কর্মপ্রচেষ্ট। বর্তমান জীবনকে সর্বতোভাবে সী করার প্রয়াসেই ব্যয়িত। চার্বাক দর্শনে ষদ্দি উচ্ছৃঙ্খলতার কোন ইঙ্গিত থাকে তাহলে মানুষের স্থস্পৃহার এই সাধারণ স্বীকৃতির মধ্যে তাকে আবিষ্কার করা যাবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে জাগতিক সব কিছু কর্োগ্যমকেই উচ্ছৃঙ্খলতার পর্যায়তৃক্ত করতে হয়। স্ুথম্পৃহার চরিতার্থতাকে কেন্দ্র করে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে চার্বাক দর্শনে কর্মোছ্যমকে যেভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তার আলোচনা আমরা আগেই করেছি | চার্ধাকী এ কর্োছ্যম প্রশংসনীয়, সন্দেহ নেই | “সর্বর্শনসংগ্রহ” ও অন্যান্য গ্রন্থে বস্তবাদী চার্বাকদের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, ত। থেকে বোঝা যায় যে ভবিষ্যৎ স্থথের প্রতিশ্রুতি কোন ক্ষেত্রেই তাদের বর্তমান কর্মোছ্যমের প্রতিবন্ধকতা। করেনি । স্থখ-ছুঃখময় বর্তমানের সব রকম কর্মপ্রচেষ্টার মধ্যে তার! পরিপূর্ণভাবে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন-_এ ব্যাপারে বাধার কোন সম্ভাবন। তাদের বিচলিত করতে পারেনি । উচ্ছৃঙ্খলতার যে অভিযোগ চার্বাক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তার মূল চার্বাক দশ'নের বিদ্রোহাত্মক প্রবণতার মধ্যে অনুসন্ধান করা উচিত | মানুষ সামাজিক জীব, মানুষের সৃথস্পৃহাকে সামগ্রিক ভাবে চরিতার্থ করতে গেলে ন্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক মান্ষকে কোন না কোন নিয়মের গণ্ডীতে আবদ্ধ হতে হয়। যে বিদ্রোহাত্মক মনোভাব চাাক দর্শনের প্রাণ, বিশেষ কোন নিয়ম বা বন্ধনের স্বীকৃতি তার সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন। এই বিদ্রোহাত্বক বা প্রতিষ্ধাত্রক পটতমিকায় মান্থষের ভোগাকাজ্ষাকে অনুমোদনের প্রচেষ্টায় স্বভাবতঃ নীতিবোধবিহীন বিশেষ এক মতবাদের চেহার] পরিস্ফুট হয়। শৃঙ্খলাহীন নৈতিকতার উত্দ এই উভগ্ন ধারণার অদ্ভুত সংমিশ্রণে । প্রকৃত পক্ষে বন্ধনবিহীন সম্পূর্ণ নেতিবাচক পটভূমিতে তোগন্পৃহার চরিতার্থতা! একমাত্র স্বীকৃতি পেলে ছুর্নীতিপরায়ণতা৷ তার মধ্যে আসতে বাধ্য । পরবর্তাঁ যুগের লেখকের! চার্বাকদের চরিত্রচিত্রণ করতে গিয়ে ইন্জিয়ন্থখ- পরায়ণ, নীতিবোধবিহীন ভোগোন্নত্বতার যে ছবি একেছেন, তা কিছুটা অআবতিরপঞ্রিত চার্বাক সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন ১৪৭ হলেও সর্বতোভাবে অগ্রাহ্থ নয় এবং এর মূল চার্বাক দর্শনের নিজন্ব প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত। চার্বাক দর্শনের বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ প্রধানতঃ ছুটি ধারাকে কেন্দ্র করে । প্রথমটি নেতিবাচক । অপরের ত্বারা সাধারণভাবে স্বীকৃত সব কিছু ধারণার বিরোধিতার মধ্যেই এটির রূপায়ণ । যুক্তি বা তর্দ এক্ষেত্রে চার্বাক দর্শনের অবলম্বন এবং যুক্তিশান্তরের স্থষ্ষ্ম নৈপুণ্য প্রকাশিত । চার্বাক দর্শনের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের দ্বিতীয় ধার! স্থের অন্বেষণাকে কেন্দ্র করে এবং বোধ হয় উত্তর যুগের চার্ধাকী মতবাদে এই ধারাটিই প্রাধান্য লাভ করেছে । চার্বাক দর্শনের প্রাথমিক এবং মূল বৈশিষ্ট্য অবস্ঠ এ যুগে অবলুপ্ত হয়নি এবং প্রথম ধারার পটভূমিতে দ্বিতীয়টির অস্ততূ-ক্তির ফলে দশ নটি বহক্ষেত্রে সঘমহীনতার পরিচায়ক হয়েছে । উত্তরযুগের চার্বাকী ভোগবাদী নৈতিকত। সাধারণ মানুষের স্থুল মানলিকতার সাক্ষ্য বন করে এবং বোধহয় চার্বাকদের এই ভোগাম্রক্তিকে কেন্ত্র করেই অনেকে ধারণ! করেন ষে চার্বাক দশ'নে সাধারণ মান্থষের ভোগ স্থখের আকাঙ্া প্রতিফলিত এবং এই দশ 'নটির মধ্য দিয়ে আমরা! জনসাধারণের চিন্তাধারার পরিচয় পাই । চার্বাক শার্শনকে সামগ্রিকভাবে বিচার করলে কিন্ত দশ নটির সম্বন্ধে এ ধরনের মন্তব্য করা চলে না । আমরা দেখেছি যে চার্বাক দশ'নের মূল হেতুবাদে নিহিত, যুক্তির পরিপন্থী অন্ধ বিশ্বাস চার্ধাক সিদ্ধান্তে কোন দিন স্থান পায়নি । সাধারণ মানুষের জীবনধার' 'পর্যালোচনা করলে কিন্তু দেখা যায় ষে সেখানে বিশ্বাম অধিকাংশ ক্ষেত্রে যুক্তির পথ- রোধে সচেষ্ট । বিভিন্ন ছুবিপাকের প্রতিষেধক হিসাবে দৈব প্রতিকারে বিশ্বাস জনসাধারণের মধ্যেই দেখা যায় । এ জাতীয় বিশ্বাসের সঙ্গে চার্বাকী যূল নীতির সামগ্নশ্ত ব্যাখ্যা কর! কঠিন । এই প্রসঙ্গে “চার্বাক” ও “লোকায়ত'-_-একই দাশ নিকগোরষ্ঠীর উদ্দেশ্য প্রযুক্ত দুটি বিভিন্ন সংজ্ঞার গুণরত্বকৃত ব্যাথার উল্লেখ প্রয়োজন 1৬৩৬ চার্বাকগোরষ্ঠীর “লোকায়ত” নামের কার। হিসাবে তিনি এই সম্প্রদায়ের লোকেদের বিচারবিহীন সাধারণ (লোকের মত আচরণের নিদর্শন দেখান । চার্বাকী স্ুল ভোগপ্রবণতা। সম্ভবতঃ তাকে এই জাতীয় মন্তব্যে উৎসাহিত করেছে । “চার্বাক' এই সংজ্ঞাটিকেও গুণরত্ব ব্যাখ্যা ৩৩৬ | চর্বয়ন্ত ভক্ষরস্ত তত্বতঃ ন মন্যান্তে পুন্তপাপা,দকং পরোক্ষ, বন্তজাতমতি চাধাকাঃ * লোক। নিবিচারাঃ সামাদ্য। লোবাম্তত্দাচরক্কি ন্মেতি লোকায়তা লোকায়তিক। ইত্যপি” তর্বয়হস্তদীপিকা, পৃঃ ৩০০ ১৪৮ পটভূমি প্রসঙ্গে করেছেন কষ্টকল্পনার আশ্রয় নিয়ে । ভার মতে পাপ-পুণয, পরোক্ষ বস্থজাত ইত্যাদিকে চর্বন অথব! তক্ষণ করার জন্য এই বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকের 'চার্বাক” আখ্যা অভিহিত । কইকল্পিত হলেও গুণরত্বের এই ব্যাখা চার্বাক দর্শনের খল বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ নেতিবাচকতার রূপ স্থপরিস্ফুট করেছে । ভারতের অধ্যাত্মদর্শনের প্রতিদ্বন্দী হিসাবে লোকায়ত বা চার্ধাক দর্শনের বন্তধ্মী প্রকৃতির উপর অনেক সময় প্রাধান্য দেবার চেষ্টা করা হয়েছে | দেবীপ্রসাদ' চট্টোপাধ্যায়ের মতে ভারতীয় অধ্যাত্মদশনের 'প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বাস্তব জগৎটাকে ছেড়ে মানুষের অধ্যাত্ম জগতটির দিকেই মনোযধোগ দেবার চেষ্টা ।”৩৩৭ তাই লোকায়ত দর্শনের বন্তধর্মী চেহারার পরিচয় দিতে গিয়ে এই অধ্যাত্মজগৎ, ছাড়াও ষে বস্জগতের দিকে এক বিশেষ শ্রেণীর ভারতীয় দর্শনের নজর আছে, তা তিনি দেখাতে চেয়েছেন । ভারতের অধ্যাত্ম দর্শন ষে অধ্যাত্ম জগতের অভিমুখী সে বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না । কিন্তু বাস্তব বা ভোগাত্মক জগৎও এই দর্শনের কাছে উপেক্ষণীয় নয়, এই বাস্তব জগতেরই বিভিন্র কর্মপ্রচেষ্টাকে নানাভাবে নিয়মিত করে অধ্যাত্ম পরিণতির দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা আধ্যাত্ম দর্শনে দেখ! যায় । কর্ম বা কর্মফলের উপর প্রাধান্য ভারতীয় দর্শনে দেওয়া হয়েছে এই কারণেই | অপর পক্ষে চার্যাক দশ নের রূপায়ণ যে সব সময়েই বস্তগৎকে কেন্দ্র করে হয়নি, চার্বাকী গ্রস্থ “তত্বোপপ্রবসিংহ' তার সাক্ষ্য বহন করে । ৩৩৭ | লোকায়ত দর্শন, পৃপৃঃ ৫৮-৯ ১৩ ৩৭ ৫৪ থ৪ ৮৩ ৮৪ নত ১১ প্রচ শাঁড়! ষ্স সসং 71২72 না, ন্ট 5005 ৪ [1 পং ১৩ ১৭ ৮ ণ ২ তু ডট € ১৭ ২৩ রা ৪ ৯ পার্দটাক। পং ১ এ রা এ চার্বাক দর্শন | ১৪৯, সংক্ষেপিক। প্রবোধচজ্দরোদস়্ শঙ্ববাচার্যরূত ব্রহ্মমীমাংসাশ্ত্রের শারীরক ভাষা যড় দর্শনসমূচ্চয় সর্বদর্শনসংগ্রহ লাব০01.0৮৯210৮ 0 ₹৪1701 0 &ট হশারা0ও [71501২% 0৮ বা01৯ইৈ [শালাতণাাহ2 মা5102% 0চ [বাটা খৈ ৮711.0590727% [বা] চনা1.090৮না সংশোধন আছে হবে ইহার এর লোকায্নেত লোকায়ত যে সে এতৎ : " এ কঠোপানিষদের :- কঠোপনিষদের আসব্বি ্ আসক্তি ব্যপকতা! ব্যাপকতা সামন্তকে সামান্যকে লোকয়ত লোকায়ত জীবেদনং জীবেদূনং ১৫, চারবাক দর্শন নির্দেশিকা হু অজিত কেশকম্বলী, ১৬ পৃ, ৩৫ উদ্যোতকর, ৮৭ অথর্ববেদ, ১২ রা ১ উপাধি, ৮৩ ৮ ২) ৫২ পৃঃ ৫৫) ৬৭, ৮৬ ধাথেদ, ২২, ৩২ পৃ, ১২১ বেদাস্ত, ৩৭, ৭৬) ১০৫ ভরের উপনিষ অধর্ম, ৫৩, ৫৫, ৮৬ কঠোপনিষদ $ ১৬ অধ্যাত্ম, ১৫১ ৪৪১ ৫৪ পৃ) ৫৫ পৃ, ৬১ $ ১ ৭৫) ৮৬) ৯২) ৯৯১ ১১৭ অনিরুদ্ধ, ৬ অনুমান, ৩৩ পৃপৃ, ৫৭ পৃপু, ৬৭, ৭৭ পপ ১১০) ১১৬ অপূর্ব, ৫৩ অভিনিবেশ, ৫৪ অমরকোষ, ৭; ২৭ অমর সংহ, * অর্থশান্ত্, ২* পৃঃ ২৩১ ১২৫ অন্থুর, ১৪ পৃ অন্মিতা, ৫৪ আত্মা, ১৫ পৃপৃ, ৩৮, ৪৬ পৃপৃ, ৫১ পু ৫৮) ৬৭, ৭৫১ ৯২ পৃ, ১১৫ আম্বীক্ষিকী, ২৯ পৃ, ২২ পু, ২৭ পুপু, ৭৯ আগ্তবাকায, ৬০ পৃ, +৯ পৃ, ৮৯ আ'স্তক, ৮ পৃপৃ, &৯, ৬১, ৬৩ আসন্তিকবাদ, ১০ ইন্ত্র, ১, ১২২ ঈশ্বর) .১২. পৃ, ৪১, ৬৯ পৃপূ, ১১৫ ঈশ্বর প্রাণিধান, ৬৫ ঈশ্বরবাদ। ৬১ উদয়ন, ৮৭ কমলশীল, ২, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৫৭১ ৭৭ ৮৯) ৯৭ পৃপৃ, ১১১ কম্ধলাশ্বতর, ৩৫ পু, ৯৯ কর্মফল, ১২ পৃ, ১৭, ৩৭, &২, ১১% কর্মফলবার্দ, ১১, ৫২১ ৫৫) ৬১ ১১৪ পৃ কর্মাশয়, ৫৩ পৃ কাম, ১১৯৭ কামন্থুত্র, ১১৭ ১২ কার্যকারণভাব, ৮৪ পৃ, ৮৮ ৯৮ কুমারিল, 9৪১ ৬০, ৬২ কুলুক ভট্ট, ২৮, ৩০ কেশকন্বলী, ১৭ কেমী, ১৭ ক্লেশ, ৫৪ কৌটিল্য, ২ পৃ, ২৩, ২৬ খণ্ডনখগখাস্যম্‌, ৩৪ গীতা) ১৪ গৌতম, ৬২১ ৭৮ গীতম ধর্মনূত্র। ২৯ গীতম বু, ৪৫ পৃ চার্বাক ( গোষ্ঠী), ১১৭১ ৩৫ পৃপৃ, ৫৭, ৬৮ গৃপ্‌, ১৫ পৃপৃ চার্বাক (ব্যক্তিবিশেষ ), ৩৩১, ১৮ পৃ চার্ধাক দর্শন চাবণক (মতবাদ), ২ পৃ, ৬, ৮, ১৪ পৃপৃঃ ্‌ ৭৫ পৃপৃ, ১২৭ পৃণৃ চাবণক (মতানুসারী), ৩৫, ৩৮, ৪১ পৃ, *১) ৭৫ পৃপৃ, ১২৮ পৃপৃ চার্বাকপন্থী, ১৫, ৩১ চাবণকী, ১ পৃ, ১১১ ১৪ পৃপৃ, ৩৩ পৃপু ৭৫ পৃপৃ, ১২৮ পৃপৃ চাবণক স্প্রে, ৫) ৩৮ চৈতন্য, ১৫, ৩৫) ৩৮) ৪৮ পৃ, ৫১, ৯৪ পৃপৃ, ১০৩ পৃপৃ ছান্দোগ্য উপনিষদ, ১৪ পৃপৃ, ১২৫ জন্মান্তর, ৫২, ৬৭ জন্মাস্তরবার্দ, ৫২, ১১১, ১১৩ প্র জয়ন্ত ভট্ট, ২, ৫, ৩৯ পৃপৃ, ৬৯ পৃ ৭৫ ৮১১৮৪) ৯০) ১০৬, ১১৬ জয়রাশি ভট্ট, ৪, ৩৬১ ৭১, ৭৫, ৮০ জল্ল, জাবালি, ১১১ ৩১ জৈন, ২১ ১০১ ১৭১ ৩০১ ৪৩, ৪৫) ৪৭, ৫২, ৫৫ পৃ, ৫৯, ৬১, ১২৩ পৃ জৈমিনি, ৬২ তত্বসংগ্রহ, ২, ১০১ ৯৯, ১১১ তত্বসংগ্রহপঞ্জিকা, ২, ৫১ ৩৬, ৩৮, ৬৯, ৯৯ তত্বোপপ্লবসিংহ, ১, ৪ পৃ, ২০, ৩৩ পুর, ৪৩, ৬৭, ৭৯ পৃপৃ, ৮৪, ১১২ পৃ তন্নাত্র, ৯৩ তীর্ঘস্কর, 9৭, ৫৮, ৬৭ ১৫২৭ ত্রয়ী, ২০, ১২১ দগ্ডনীতি, ২০ পৃ দাসগুধ, হরেন্দ্রনাথ। ৭১ ২৪, ২৬, ২৯ ৩৯) ৪১ দিব্যাবদান, ২৪ দুর্যোধন, ১২১ ১৮ দেহাত্মবার্দ, ১৫) ৩৫, ৯১ পৃপ্‌ ছেষ, ৫৪ দ্রোপদী, ১২ পৃ, ১৯ পৃ ধর্ম, ১২ পৃ, ৫২ পৃ, ৫৫ পৃ, ৮৬, ১১৯ পৃপ্‌ ধারণা, ৬৪ পৃ ধ্যান, ৬৪ নাস্তিক, ৮ পরপৃ, ২৮ পৃ, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৪৪) ৫০১ ৬১) ১১৬ নান্তিকবাদ, ৮ পৃপৃ, ২০, ৩৪ নিব্ণ, ৪৭) ৫০) ৫৪) ৫৬ নৈয়ায়িক, ৪৮, ১৩ হ্যায়, ২১ ২৫) ৪৪, ৪৯, ৫২, ৫৬ পৃ, ৫৯, ৬২, ৬৫) ৭৩, ৭৫ হ্যায় পরিশুদ্ধি; ৯* ্যা়বাতিক, ৮৭: ন্যায়তাস্তয, ২৮১ ৯১ ্যায়মগ্জরী, ২, ৫, ২৮, ৩০, ৩৯ পৃপৃ, ৬৯, ৭১) ৮১) ৮৪) ৯০) ৯৬). ১০৬), ১১৪ দ্যায়সত্র, ২৫) ৪৯) ৭২ ৭9, ৭৮, ৮ পঞ্চপাণুব, ১২ পঞ্চশিখ, ১৪ পতগ্রলি, ৮ পৃ, ২৪ পরলোক, ৯ পৃ» ৪১, ১১০ পু ৯৫৭ পাপণিন, ৮ পৃ পায়া'স, ১৭ পুরম্দর, ৩৬১ ৩৮) ৪ ১, ৯৪, ১১৬ 'পুকষ, ৫৬ 'পুরুযার্থ, ১১৯ প্রক'তি, ৫৬ প্রজাপতি, ১৫ প্রত্যক্ষ ১১, ৩৩, পৃপৃ, ৪০, ৫৭ পৃপৃ, ৬৭ পৃপ্‌, ৮৯ পৃপৃ, ১১০১ ১১৬ প্রত্যক্ষপ্রমাণবাদী, ৬৭ পৃ *৬ পৃ 'গ্রবোধচন্দ্োদয়, হ প্‌ ৬, ২০ প্রভাকর, ৪৪১ ৬২ প্রমাণ, €৭ পৃপৃ, ৬৭ প্‌প্‌ ৭৪8 বন্তবাদ, ১*, ৩৬১ ৪৩, ৫৬) ৭৫, ১১৫ বাচম্পতি, ৪, ৬, ২২ বাৎ্তায়ন (কামস্থত্রকার) ১১৭ বাংস্ায়ন [ন্যায়ভাস্তকার), ২৭, ৮৬, ১০৪ পৃ বাতা ২০ পৃ 'বাহস্পত্য, ৩, ৬১ ১৯ পৃপূ, ৩১ পৃ বিজ্ঞান, ৯৯ পৃপৃ, ১১১ পৃপৃ বিজ্ঞানভিক্ষু, ৩৬, ৪৮, ১৫ বিজ্ঞানসম্ভতি, ১১১ পৃপৃ বিভগ্া, ২২) ২৫১ ৭৪ বিচ্যানন্দী, ৭৬ বিবেকথ্যাতি, ৫€ বিরোচন, ১৫ বুদ্ধঘোষ, ২৫ বুদ্ধদেব, ১১, ১৬, ৩৫১ ৪৬ পৃ ৫৬ বুহদারণ্যক উপনিষদ, ১৫ চার্বাক দর্শন বৃহস্পতি ৩, € পৃপৃ, ১৪, ১৯ পু, ৩১ পৃ বৃহস্পতি স্থত্র, ৩৪ বেদ, ৯ পৃ, ১৪, ১৬১ ২০ পৃ, ২৩, ২৮, ৩৩, ৪2, ৫৮ পৃ, ১২১ প্রপৃ বেদাস্তদে' শক, ৬২ ব্দোস্তসার) ৩৮১ ১০ ৭ বৈদক, ৯, ১২, ১৬) ২৩, ২৭ প্রপু, ৪৫ পৃ, ৬০১ ১২১ পৃপৃ বৈশেষিক, ৪৪) ৫২১ ৫৬) ৫৯) ৬২, ৬৫ বৈশোধক স্তর, ৬২ বৈষ্কব, ৬৬ বোধিসত্ব, ৫২ ূ বৌদ্ধ, ২১ ১৯১ ২৬১ ২৪ পৃ, ৩২) ৩৫) ৩৭১ ৪৩) ৪৫, ৪৭) ৫১ পৃ) ৫৫ পৃ, ৫৯ ৬* পৃঃ ৭৫ পৃ ৯৯, ১২৬ পৃ ব্যাঞ্চি, ৭৮ পৃপৃ ব্যাস, ২২ ব্রদ্মজ্ঞান, ১২৫ র্া্ত্রভাস্ত, ১০৩, ১০৭ বর্ষা) ১৮ ্রাহ্মণা, ১১১ ২৩ পু, ২৬, ২৯ ভরত, ১১ তষ্টাচার্য, কৃষ্ণচন্দ্র, ৬৭ ভট্টাচার্য বিময়তোষ, ৩৫ তটোজী দীক্ষিত, ৯ ভাগবত পুরাণ, ২৮ ভাগুরি, ২৪ ভূতচৈতন্তবাদ, ৯১ পৃপৃ, ১৬ পু মনু, ৯ ৩১ : চাধাক দরশন অন্সংহিতা, ৯, ২৭ পৃপু অহাভারত, ১২ পৃ, ১৮ পৃঃ ২৬ পৃ, ৩১, ৬৪ মহাবীর, ৪4, ৪৭ মহাভাস্, ৮ পৃ» ২৪ মহাভূত, ১৭, ৯১ পৃপুৃ মাধবাচার্য, ২ ৫১ ৮১ ১০১ ৪৪ মায়ামোই, ৬ মীমাংসক, ৫৯ মীমাংসা, ৪৪, ৫৩, ৫৬, ৫৯ পৃ মীমাংসা! স্থত্র, ৬২ মুণ্ডক উপনিষদ, ১২৫ মেধাতিথি, ৯ পৃঃ ২৮১ ৩০ মৈত্রায়ণীয় উপনিষদ, ৬) ১৫ পু মৈজ্রেয়ী, ৪৩ মোগ্ষ? ১২১ ৪৪, ৪৮১ ৫০ ৫৩ পৃ, ১১৫ ১১৯ যঙ্গুবে দঃ ১২১ যজ্ঞ, ১৩, ১৬১ ১২২ পৃ যাগযজ্ঞ, ১০১ ৪৫১ ১২৫ যাজক, ১২৩ পৃ যুধিষ্ঠির, ১২ পু, ১৮ যোগ, ২৩, ৪৪১ ৪৮ প্‌, ৫৩ পৃ ৫৬) ৫৯, ৬৩ পু 'যৌগভাষ্ক, ৫৩ যোগস্যত্র, ৫৩, ০৫ যোগাঙ্গ, ৬৪ পৃ বাগ, ৫৪ রাম, ১১ রামায়ণ ১১ পু? ১৪১ ১০১ ৩১ ১৪.৩ লক্ষণসার, ৩৫ লোকায়ত, ৩, ৫ পৃপৃ ৯৩) ২৬ পপ, ৩১, ৩৩ লোকায়ত সুত্র, ৫, ৩৮, ৭৭ শতপথ ব্রাহ্মণ, ১২২ পু শঙ্করাচার্য, ২, ২২১ ৪৯১ ৮৯, ১০৩ ১৩৫ প্‌পৃ শবা, ৫৮ পৃ, ৬৬ ৪ শাস্তরক্ষিত, ২১ ৩৫) ৯৯ পৃপূ, ১১১ শাস্থ্ী, দক্ষিণারগ্নন, ২২১ ৩২ শান্ী হরপ্রসাদ, ৪২ শন্যবাদ, ৩৭ শৈব, ৬৫ শ্রীরুষ্ণ ১৮ শ্রীধরস্থামী, ১৫ শমচ্ছস্করদিথ্বিজয়, ৪৯ ্রীহ্ধ, ৩৪ পৃ শ্রুতি, ৫৮ পৃ, ৬৬ পৃ» ১২৮ ষড় দশ নসমুচ্চয়, ২১ ৭) ৬৮ সদানন্দ, ৩৮, ১০৭ সমাধি, ৬৫ সব'দশ নসিদ্ধান্তসংগ্রহ, ২, ১১, ৮৬, ৯৬ সবদিশ সংগ্রহ, ২ পৃ, ৮, ২৪, ৪৪, ৭৯, ৮১, ৮৯১ ১১৭ পু সব মতসংগ্রহ, ২, * সামবেদ, ১২১ সাংখ্য, ২৩, ৪৪, ৪৮ পৃঃ ৫৬১ ৫৯১৬৩ সাংখ্যপ্রবচনভাস্ক। ৪৮ ত্রকূতা, ১৭ সুশিক্ষিত (চাবাক ), ৩৯ পৃপু, ১১০ রি ৯৫ চার্বাক দর্শন ত্বভাব্বাদ, ৭৭, ৮৫ পৃপ্‌ চ890121, ৬ হরিভদ্র স্থরী, ২১ ৭ পৃ, ১০ চ1805/8117161) [7001019) ৪২ হেতু, ২৬, ২০, ২৯ পৃ) ৭৮ [১190১ ৭৭ হেতুবাদ, ২২, ২৬ পৃপূ 98, ৭৬, ৯১, 19017211151020) 9৫৯ ১২৩ ১১৬ [২810 7.7 ৭ '1)01778,8, £. ৬/.১ ১৯ 4৯772 । ৪1196 1১09095120)-1-07315 * 0951৯ ০0%/611, ২৪ ৩১ [08৬148 [২1)%5, ২৪ ভ/ 10165110102) ৪৩ চাবাক দর্শন ১৫৫ ্রস্থপঞ্জি ১। সংস্কত রচন। শভপথ ব্রাঙ্মণ কঠোপনিষদ, বৃহদারণ্যক উপনিষদ, ছান্দোগ্য উপনিষদ, তৈত্তিরীয় উপনিষদ, মুণ্ডক উপনিষদ, মৈত্রায়নীয় উপনিষদ সাংখ্যদর্শনম_ _-কালীবর বেদাস্তবাগীশ পাঁতগুলদর্শনম্‌-_কালীবর বেদাস্তবাগীশ /৮/১7২/১1059/৯ (85101 990510100 991185), ৬ 8780951) 1970 /াাা7 5৯97৮ ডেও০0155)১ 9০1777095) 1960 817 /১0/৯% /510017) 29908১ 19099 97২/১ বাণ /১9171২/৯ 01 980185808 9101) 90011601819 ০? 98710881909199, 2100 8২০0)80 018 (9912) 1890---1904 20/৯1/৯977 01 8689 &৬ 2182) 36109195 7 /৯)04১4 87 108 107৮70% চোপু 01911178754 1৬/১7/317৯ ২/৯74) ৮০০10৪) £929-30 1৮/১7/97১5 (8501511)) 8০01) 025) 1906 1৬/৯৬/৯107 95৭ 4৯১ 8০0177685) 19259 ১4৯৮0901483 ৮1] (0495 58109)১ 732179165) 1912 বি /১/১৮/বি 14] বে৪5200 909008), 30172198, 1936 (855101 920510116 951165) বিণ, 106) বি /৯৬৯৮/২1907010 71 (0100%101)870108) বি 4১907 4 ৬0 % 21592527025 18559) 1৯00108) 1939 7২901277৯04 101২0704৯41 (85157081411518), 86021765, | 1955 9০/১1/৯10৯ 7২9৯৯941৬01 74 01 5985 8109.-1190109 ৬28 (0০৮. 011610191 561165 ০1, ]) 1১009108) 1924 94৯ 2২/৯7/1545 11079174059) 02, 27028208100801 8825017), 71158001007) 1918 ১১ ১৫৬ চার্বাক দর্শন 9১7২ /১-911)7)]7/472১-381107২8 17৯) (5৫১ ০10) 90081 30989) 08%108108) 1929 91,074 /৯ [২/৯ (5) 1২277898501), 0110৮101811 02, 9815. 961169, 1898 শ/াশা% /যা১-91,01 5৮01 10987081001 (03810171 12110872128. 7811)8, 012100158 1%818) লুসি 2১9৯1৩6017ঞ74 01 5217105158105108 59101) াঠেবাাড £১- ১4১101২4৯77] 01 (278 [85112 (0891৬/21 0)11910091 351168, ৬০]. ৯2) "১77৬ 07/৯১৮1,%2১9]172 0118521851 8178012 (08611 011610181 991165) ৬171) 149/৯7২/৯ 01 92091191108) 91112108 211), 191] ৬1/১২/11২1 8177552৯017 ৮11821086101880) 0000৮৮- 11721) 02) 939198198 (010 73181110)9,- 11111) 217758,511117) ২। আধুনিক রচন। চার্বাক দর্শন--্রীদক্ষিণারঞ্চন শাস্ত্রী, কলিকাত। ্যায়দর্শন-_শ্রীনথময় ভট্টাচার্য ( বিশ্ববিষ্ঠাসংগ্রহ ) ভারতদর্শনসার--শ্রীউমেশচন্দর ভট্টাচার্য ( লোকশিক্ষা গ্রন্থমাল1 ) 88108, 0.1. ৯1715707025 ৮২752-8170170150 1014১ 2711 05077) 09190009) 1921 8179000108159) 5. 0১570101185 18 ৮2170507১৬০, ॥ 81817778) 8) 72711090177 05 18120 ৯৯০7৯ ৭০, (919869) 1932 19858500 90160019210901)) 4 719701% 05 [বা0 8 ৮1711,090278, ৬০1৪১ 1১801 6. 1৬ (09179615086) 1921-55 চাবাক দর্শন ১৫৭ 10951058, [19৪,701 000189 01 শার৪; 8000174৯, ০1. 3 78199011213. ১ ৯৯ 07771150৮77 81611021005 [ানাল২/৯8 0 [01১ 02০1৭, 1929 [19 05/8111061) 7701010) 1715700২0৮6 [0৯ 27110- 90৮৮, ৮০1. 3? 01)09891,) 70. ই.) 4৯170151005 70171110417 17025, 0%1০14 7১15955, 1966 [7111980108১ 0771.18155 0 [18 217110909৮7) ৮০1, 70170101105) 17. ৬/.১ 17770 05২64৯৭7517 05 17014, 051501069, 1969 86101) /১- 9১ 4৯ 90 8% 0৮ ১45 12 কি শব) 05:01 1928 70101717180, 11017017195 7১ 4৯157110775 71010710 ৯) ৩৬ ৮০710 1962 ৬1017811911, ৮. 3. শা77 24২1% 71510 02 92041, ৬ 912,10951, 1974 [২.01801151)182] 5.) রা) 2711050চ৮তাস্া। ৮০15. 1 11, [.01691), 1966 ২৪], ৮, 5 127725 2121109077721041721147011108৭9 07 [014৯১ 10200০90, 1971 5185011) 7. ৮৮১ 10৮4৯১8৯745 108০6581925 90001018,12)17)91) 10115, 11,৮10 7010271084১, 10100012, 1963 শা19/1811) 3. 0.১ 5990001,4151৬ ১70 1৬৫4৯72118৯ 1151% ৭ 11070727 খৈ01/৯, 18621101 ৬1006510102 ১ 2১ 2157 08%025 110158৭ 17 মা শু ৬০1 5 ০955802) 192”